নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

ইনোসেন্ট মিনহাজ

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র

ইনোসেন্ট মিনহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিজাব ও বিকৃত মানসিকতা

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

****** হিজাব ও বিকৃত মানসিকতা ********

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি ডিপার্টমেন্ট এর নীল দলের প্রভাবশালী শিক্ষক ও সিনেট সদস্য একজন ছাত্রী কে হিজাব পরার অপরাধে ক্লাস থেকে বের করে দিয়েছে।
তিনি ছাত্রীকে বলেন - " হিজাব পরলে আমি কিভাবে বুঝব তুমি ছেলে নাকি মেয়ে।"
স্যার আমি বলতে চায়- কোন ছেলের পরিচয় জানার জন্য কি তাদের শার্ট পেন্ট খুলতে হয় ?
একজন মেয়ের বোরখা, হিজাব কি তার বাহ্যিক পরিচয়ের জন্য যথেষ্ট নয়?

সৌদি আরবের বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন সালমানকে এক বিবিসির সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন- সৌদি নারীরা ব্যবসা কিংবা ঘরের বাহিরে কাজ করেনা কেন? এ ক্ষেত্রে সরকার তাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কি?
আব্দুল্লাহ বিন সালমান বলেন- সৌদি নারীরা ঘরের বাহিরে কাজ করতে কিংবা ব্যবসা করতে অভ্যস্থ না। তাছাড়া সামাজিক ও ধর্মীয় কারণে তারা এ সংস্কৃতির সাথে নিজেদের Adjust করে নিয়েছে। এখন কেউ যদি বলে আমরা নারীরদের ঘরের বাহিরে যেতে দিচ্ছিনা, তাহলে কথাটা যুক্তি সংগত নয়। কারণ যদি কেউ সেচ্ছায় ব্যবসা কিংবা চাকরি করতে চায়, তাহলে আমরা তাদেরকে বাধা দিচ্ছিনা। কিন্তু নারীর ক্ষমতায়নের নামে, কর্মক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণের নামে, প্যাশন সো এর নামে নারীদের ভোগের পণ্য বা অন্যের প্রদর্শনী বস্তুতে পরিণিত হতে দিতে পারিনা। প্রত্যেক কে প্রত্যেকের মুল্যবোধের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। আর এর দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করবেন শিক্ষকেরা অন্যের মতামত কিংবা মুল্যবোধকে শ্রদ্ধা করার মাধ্যমে, ক্লাস থেকে বের করে দিয়ে নয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট কোন ড্রেস কোড নেই। এখানে যদি শার্ট পেন্ট, শর্ট পেন্ট, টি শার্ট, পাঞ্জাবী,টুপি, ট্রাউজার, খেলোয়াড় ড্রেস পরে ক্লাস করা যায়, তাহলে কেন হিজাব, বোরখা পরে ক্লাস করা যাবে না। আমারা সব ক্ষেত্রে Open Minded. কিন্তু অন্যের মুল্যবোধ কে শ্রদ্ধা জানাতে কেন আমারা Narrow Minded হয়ে যায়। অন্যের মুল্যবোধকে অশ্রদ্ধা কিংবা হেয় করার নাম মুক্তিবুদ্ধি চর্চা বা প্রগতিশীলতা নয় বরং এটা হল বিকৃত ও অসুস্থ মানসিকতার পরিচয়।

শিক্ষকেরা হল জাতির পথপ্রদর্শক, আর তার ছাত্ররা জাতির Future Maker । আমরা জানি আমাদের শিক্ষকরা উদার মানসিকতা লালন করে। কিন্তু বাস্তবে শিক্ষকেরা ছাত্র ছাত্রীর প্রতি এই উদার মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেনা। এই যদি শিক্ষকের দৃষ্টিভঙ্গি হয়, তখন শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের সম্মান দেখানো প্রশ্নাতীত। কারণ সম্মান জোর করে নেওয়ার বিষয় নয়।

আর কেমন জানি বাংলাদেশে একটা ট্রেন্ড শুরু হয়েছে- ভাল কিছু করতে দেখলেই এক ধরণের মানুষের চুলকানী বেড়ে যায়। সারা দেশে যখন মুক্তবুদ্ধি চর্চার নামে অপসংস্কৃতির পালন আর সভ্যাতার নিদর্শন নামে নগ্নতা আর বেহায়াপনার জোয়ার বইছে, তখন এক শ্রেণীর লোক এগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় লিপ্ত। দেশে চলমান প্রতিতাবৃত্তি, হোটেলে দেহ ব্যবসা,পর্ণগ্রাফি ইত্যাদি নৈতিকতা ধ্বংসকারী ও আত্মা সংহারক কর্মকান্ড সমুহের বিরুদ্ধে এই সকল বুদ্ধিজীবিদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় না।

একবার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্রদের বলেছিলেন- বাংলাদেশে নাকি প্রতিতাবৃত্তি থাকা উচিত। তা নাহলে অপকর্ম নাকি বেড়ে যাবে এবং বর্তমান যুগের পুরুষেরা তাদের উচ্ছাসিত যৌবন সে কোথায় বিসর্জন দিবে। তখন এক ছাত্র দাড়িয়ে বললেন- স্যার আপনি ঠিক বলেছেন। তাহলে আপনার ছোট মেয়ে যে আমাদের ডিপার্টমেন্ট এ পড়ে তাকে নিয়ে শুরু করা হউক।

প্রত্যেক ধর্মে নারীদের পর্দা করার কথা বলা হয়েছে। খ্রিস্টান মহিলা পুরোহিত বা পাদ্রিরাও নির্দিষ্ট পোষাক পরিধান করে যা কিনা অনেকটাই বোরখার মত। ইসলাম প্রথমে পুরুষের পরে নারীদের পর্দা করার কথা বলা হয়েছে। নারীরা যেমন তাদের শরীর মোবারক হেফাজত করবে, তেমনি পুরুষেরা ও তাদের দৃষ্টিকে সংযত করবে। উভয়ের জন্য পর্দার বিধান রয়েছে। এই ক্ষেত্রে আমি দুটি উদাহরণ দিতে চায় -
১. কিছুদিন আগে ভারতের মধ্যে একজন নারীর লাশ কবর থেকে তুলে কিছু কুলাংগার ধর্ষন করেছে। সুতরাং এখানে নারীর পর্দার বিষয় নিয়ে কথা বলা যাবেনা। এটি পুরুষের বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। এক্ষেত্রে ছেলেদের অবশ্যই দোষ আছে। কেননা তাদেরকেও পর্দা করতে বলা হয়েছে, তবে পর্দা কেবল পোশাকে হয় না। চোখ , মুখ , অন্তর -এসবেরও পর্দার প্রয়োজন আছে। নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।
২. অনেক মেয়েরা আছেন- যারা কিনা বলেন আমরা যেভাবে চলাফেরা করি না কেন সেটা কোন সমস্যা না। পুরুষেরা নিজেদের সংযত করলেই সব ঠিক হবে যাবে। এটাও যুক্তিসংগত না। ধরুণ-আপনার কাছে অনেক টাকা আছে । আর আপনি প্রতিদিন ১০০০ টাকা রাস্তায় ফেলে রাখেন কিন্তু পরের দিন এসে তা খুঁজে পান না। টাকা যে রাস্তায় ফেলে রাখার জিনিস নয় - একথা আপনি বুঝতে চান না। বরং চিৎকার করে বলেন যে, আমার টাকা আমি যেখানে খুশি রাখব, চোর কেন তা চুরি করবে? চোর কেন তার মনকে পবিত্র রাখল না! টাকা দেখলেই কি চুরি করতে হবে?

বর্তমান কর্পোরেট কোম্পানী গুলোও দেখি নারীদের নিয়ে নতুনভাবে বিজনেস শুরু করেছে। কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন নারী ছাড়া হয়না।আর এভাবে যে ওরা কেবল নারীকে নিয়ন্ত্রণ করে তা নয়, ওরা এভাবে ওদের ব্যবসাকেও নিয়ন্ত্রণ করে।এসব সূক্ষ বুদ্ধির লোকেরা তাদের প্রোডাক্টকে নানা আকর্ষণীয় ভঙ্গিমায় মানুষের সামনে উপস্থাপন করে আর ক্রেতা তৈরি করে।

সর্বশেষ একটা উদাহরণ দিয়ে শেষ করতে চাই-
নোবেল বিজয়ী ইয়ামেনের তাওয়াক্কুল কারমান কে প্রশ্ন করা হয়েছিল - আপনি হিজাব পরিধান করেন কেন?
কারমান উত্তরে বলেছিলেন- কাপড় পরিধান না করাটা যদি আধুনিকতা হয়, তাহলে আদিম যুগের মানুষেরা সবচেয়ে বেশি আধুনিক ছিল। কারণ তারা ত কাপড়ই পরিধান করতনা।বনের পশুরা হবে More Civilized.
সুতরাং আধুনিকতা মানে নগ্নতা নয়, লজ্জাহীনতা কোন সভ্যাতার নিদর্শন নয়। শালিন,মার্জিত, ভদ্র, সুস্থ মানসিকতার ব্যক্তিই সবচেয়ে আধুনিক ও সভ্য।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

এ আর ১৫ বলেছেন:

এটি ফেসবুকে জনাব আজিজুর রহমান সাহেবের স্টেটাস এবং এটা নি:শন্দেহে সত্য করান এই চাপাতি বাজির যুগে কেউ এমন কথা যেটা পোষ্টে দেওয়া হয়েছে , বলা সম্ভব নয় । বহু মানষ চাপাতির শিকার হয়ে মৃর্তু বরন করেছে । শিক্ষক মেয়েটিকে মুখের নিকাব খুলতে বোলেছে যেটা সুরা আযাবের ৫৯ তম আয়াতে নির্দেশ আছে । এই চাপাতি বাজরা নিরিহ একজন শিক্ষককে হত্যা করার পটভুমি তৈরি করার জন্য একটার পার একটা মিথ্যা অভিযোগ এনে খুন করার পায়তারা কোরছে । কত বড় মিথ্যাচার ---- তিনি ছাত্রীকে বলেন - " হিজাব পরলে আমি কিভাবে বুঝব তুমি ছেলে নাকি মেয়ে।"----- মেয়েটিকে মুখের নিকাব খুলতে বলা হয়েছে তার পরিচিতি প্রকাশ করার জন্য ।
সুরা আযাব আয়াত ৫৯ ------ ৩৩:৫৯ - হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। ----------- এখানে স্পষ্ঠ লেখা আছে -- ( এতে তাদের চেনা সহজ হবে ) ---- তার মানে কেউ মুখ লুকাতে পারবে না । সুতরাং শিক্ষক আজিজুর রহমান যা বলেছেন তা সুরা আযাবের ৫৯ তম আয়াতের সাথে মিলে যায় ।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:

তিনি ছাত্রীকে বলেন - " হিজাব পরলে আমি কিভাবে বুঝব তুমি ছেলে নাকি মেয়ে।"



মস্তিস্ক বিকৃত হলে কাউকেই চেনা যায়না।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: ঘটনাটা কত দিন আগের দয়া করে জানাবেন কি?

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৭

বিজন রয় বলেছেন: এক পোশাক নিয়ে এত, তো অন্য কাজ করবো কখন।

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

ইনোসেন্ট মিনহাজ বলেছেন: এ আর ১৫ কে বলছি:-
আমার নিশ্চিত সুরা আযাব নামে কোন সুরা কুরআন নেই। কুরআন সুরা আহযাব আছে।
এবার আপনার কথায় আসি,
এখানে চেনা সহজ হওয়ার আর্থ হল- নারীরদের এই ধরনের অনাডম্বর লজ্জা নিবারণকারী পোষাকে সজ্জিত দেখে প্রত্যেক প্রত্যক্ষকারী জানবে তারা অভিজাত ও পুত পবিত্র মেয়ে, ভবঘুরে অসথী পেশাদার মেয়ে নয়, কোন অসাধুচারী মানুষ তার কাছে নিজের কামনা পুর্ণ করার আশা না করে।
আর আপনি আয়াতের কিছু অংশের উদ্ধৃতি দিয়ে বাকি অংশ বললেন না। কারণ বাকি অংশে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর আছে। আর সেটি হল - এই ভাবে নারীদের চলাফেরার কথা বলা হয়েছে যায়ে তাদের উত্যক্ত করা না হয়।
আপনি যে আয়াতের মনগড়া ব্যাখ্যা দিলেন তা আপনার সুরার নামটা ভাল করে লিখতে না পারার অক্ষমতা থেকে বুঝা যায়। আপনি রাজনৈতিক নেতাদের মত শানে নুযুল বা আয়ত নাযিলের প্রেক্ষাপট না জেনে বলে দিলেন " লাকুম দিনাকুম ওয়ালিয়াদিন।"।
আপনি স্যার এ কথা কে কুরআনিক দলিল দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তারমানি আপন কুরআনের আয়াতের একটি আয়াতের অংশ মেনে নিয়েছেন। আর বাকি অংশাটা ও মনগড়া কিংবা সুবিধামত ব্যাখ্যা না দিয়ে আসল মর্মার্থ বুঝে আমল করবেন।
আপনাকে সুরাটির পূর্ণাং অনুবাদসহ তাফসির পড়ার অনুরোধ করছি।

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:১৯

এ আর ১৫ বলেছেন: এখানে চেনা সহজ হওয়ার আর্থ হল- নারীরদের এই ধরনের অনাডম্বর লজ্জা নিবারণকারী পোষাকে সজ্জিত দেখে প্রত্যেক প্রত্যক্ষকারী জানবে তারা অভিজাত ও পুত পবিত্র মেয়ে, ভবঘুরে অসথী পেশাদার মেয়ে নয়, কোন অসাধুচারী মানুষ তার কাছে নিজের কামনা পুর্ণ করার আশা না করে।-------- তাই নাকি এটা কোথাকার আবিষ্কার ??? আপাদমস্তক ঢাকা পেশাদার দেহদান কারি মহিলারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে এখন খদ্দর যোগার করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় । ইসলামের প্রথম যুগ থেকে এখন পর্যন্ত যে সমস্ত মুসলিম মহিলারা আপাদমস্তক ঢেকে চলা ফেরা করে তাদের ৯৭ বা তারো বেশি শতাংশ সাধারন পরিবারের, অভিজাত পরিবারের নয় । সৌদি আরবে সকল ধর্মের মহিলাদের ঐ পোষাক পরতে হয় তাহোলে কে সতি বা কে অসতি বা কে অভিজাত কে গরিব বা কে মুসলিম বা কে অমুসলিম ইত্যাদি পোষাক দেখে বোঝার উপায় নাই ।
****** আপনি যে আয়াতের মনগড়া ব্যাখ্যা দিলেন তা আপনার সুরার নামটা ভাল করে লিখতে না পারার অক্ষমতা থেকে বুঝা যায়।******* তিনি ছাত্রীকে বলেন - " হিজাব পরলে আমি কিভাবে বুঝব তুমি ছেলে নাকি মেয়ে।" ------ তিনি নিকাবের কথা বোলেছেন এবং মুখ আড়াল করতে মানা করেছেন যে সুরা ৩৩-৫৯ আয়াতে ।

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৪৭

এ আর ১৫ বলেছেন: দেখুন মিশরের ধর্মীয় গুরু স্কুল ছাত্রীকে নিকাব খুলে ফেলার আদেশ দিচ্ছে তাতে কিছু যায় আসে না কিন্তু একই কাজ জনাব আজিজুর রহমান সাহেব করেছেন সেটা চাপাতি বাজদের কাছে মহাদোষের ..
Egypt’s most powerful Muslim cleric, Mohammed Sayed Tantawi, has announced an impending religious edict against the wearing of full, face-covering, headscarves, or niqab. He apparently announced that full-face veiling was a custom independent from Islam, and seeks to ban it from schools of Al Azhar University.
From AP:
A security official also told The Associated Press that police have standing verbal orders to bar girls covered from head to toe from entering al-Azhar’s institutions, including middle and high schools, as well as the dormitories of several universities in Cairo.

Saturday, a handful of women protested the ban outside the university, and despite such backlash, it appears Tantawi will not be “dismissed.”
Unfortunately, his announcement came after he visited a local school, witnessed schoolgirls wearing the niqab, requested that one girl take hers off, and was surprised when she didn’t, saying “Niqab has nothing to do with Islam…I know about religion better than you and your parents.” Inappropriate!

“Niqab has nothing to do with Islam…I know about religion better than you and your parents.” Inappropriate!

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪

এ আর ১৫ বলেছেন: কারণ বাকি অংশে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর আছে। আর সেটি হল - এই ভাবে নারীদের চলাফেরার কথা বলা হয়েছে যায়ে তাদের উত্যক্ত করা না হয়------ এই লিংকে গিয়ে ভিডিওটা দেখুন --- বোরকা পরা মেয়েদের কি ভাবে উতাক্ত করা হচ্ছে ---- পর্দা কি নারীকে লম্পট পুরুষ থেকে রক্ষা করতে পারে?

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

ইনোসেন্ট মিনহাজ বলেছেন: আপনি যে ব্যাখ্যা দিলেন- সেটা আপনি কোন তাফসির থেকে দিলেন?
সবাই যাতে চিনতে পারে সেই জন্য সব মেয়েকে নেকাব খুলতে হবে আপনি কোথায় পেলেন এটা?
আর আপনি নিজের দৃষ্টিতে টাকা পয়সা থাকার কারণে অভিজাত বললেত হবেনা, যে নারী যত মার্জিত, ভদ্র, শালীন পোষাক পরিধান করে, সুস্থ মানসিকতার সে মেয়ে সবচেয়ে সভ্য ও অভিজাত।
কোন সিস্টেম এর যদি অব্যহার হয়, তাহলে কি সবাইকে ও সিস্টেম পরিত্যাগ করতে হয় নাকি?
কোন মেয়ে বোরখা পড়ে প্রতিতাবৃত্তি করলে সেই জন্য কি সব মেয়েরা বোরখা পড়া বাদ দিয়ে দিবে। যদি তাই হয়- বোরখা পড়ে নকল করার কারণে মানুষ কে পরিক্ষার হলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হঊক। আর পরিক্ষার হলে যেহেতু নকল হয় তাই পরীক্ষাই নিষিদ্ধ করা হউক। ভাইয়া, মাথাই ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা সমাধান নয়। আপনি ব্যাথা হলে মাথা কাটার কথা বলতেছে।এটা কি কোন সমাধান?
আর আপনি বল্লেন পর্দা কি নারী কে রক্ষা করে?
ঘুম হল মৃত্যুর ভাই। একপ্রকার বলা যায় মানুষ ঘুমালে মৃত্যুর কাছা কাছি চলে যায়। ঘুমানোর সময় যে দুয়া পদেন তাতে এই কথা আছে। ঘুম যেহেতু মানুষ কে মৃত্যুর কাছি কাছি নিয়ে যায় তাই বলে মানুষ কি ঘুমাবেনা। পর্দা করা কোন মেয়ে কে যদি কেউ উত্যক্ত করে তাই বলে সবাই পর্দা ছাড়া চলাফেরা করবে? ভাই এখানে বিষয়টা হল- ধরুন দুই যমজ বোন। একজন বোরখা ছাড়া খুলামেলা পোষাক পরিহিত আর একজন পর্দানশীল বোরখা পরিহিত রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে। কোন বখাটে ছেলে দেখলে কাকে উত্যক্ত করার সম্ভাবনা বেশি? আর এই বিষয়ে আমার স্ট্যাটাস এ আমি দুটি উদাহরন দিয়েছি।
আর আপনি আমাকে লিংক পাঠিয়েছেন। আমি আপনাকে অনেক ভিডিও দেখাতে পারি যাখানে বোরখা পড়ার কারণে তাদের উত্যক্ত করা হয়নি।

১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০২

এ আর ১৫ বলেছেন: আমি বোরকা সম্পর্কে বলিনি আমি বোলেছি নিকাব সম্পর্কে এবং সেটা সুরা আযাব বা আহযাব ৩৩ -৫৯ থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছি । আল্লাহ কোরানকে সহজ বুজ্ঝ করেছেন এবং আল্লাহর শব্দ জ্ঙানের জন্য কারো পরামর্শ করার দরকার নাই । চেনা শব্দ নিয়ে কোন তফসিরে কে কি বোলেছে সেটা যে সত্য মানতে হবে এমন কোন নিতী নাই । কিনি কোন পন্থি তিনি সে ভাবে ব্যাখা করেছেন । এই ব্যাখা যে ভুয়া তার প্রমাণ হজ্ঝ । হজ্জের সময়ে কেন মহিলাদের মুখ খোলা রাখতে হয় । মুখ ঢাকা থাকলে তাকে চিনতে মানুষ না পারলেও আল্লাহ তো ঠিক ই চিনেন তাহোলে কেন হজ্জের সময়ে মুখ খোলা রাখতে হয় ।
মিশরের গ্রান্ড মুফতি যেখানে নিকাব খোলার আদেশ দিয়েছেন সেখানে প্রফেসর আজিজুর রহমান সাহেব মহা অন্যায় করে ফেলেছেন । saying “Niqab has nothing to do with Islam…I know about religion better than you and your parents.” Inappropriate! .

১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১১

এ আর ১৫ বলেছেন:

প্রশ্ন: সবাই যাতে চিনতে পারে সেই জন্য সব মেয়েকে নেকাব খুলতে হবে আপনি কোথায় পেলেন এটা ??
উত্তর : আমি এটা সুরা ৩৩-৫৯ থেকে পেয়েছি যেখানে স্পষ্ঠ করে বলা হয়েছে -- এতে তাদের চেনা সহজ হবে । উপরের ছবি দেখে বলুন তো কাউকে চিনতে পারেন কিনা । আপনার তফসির ধোপে টিকেনা কারন মরুভুমিতে মুসলিম অমুসলিম খৃষ্টান ইহুদি ইউজিদি সবাই বোরকা হিজাব নিকাব পরে

১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৯

এ আর ১৫ বলেছেন:

উপরে ছবি দুটি মুর্তি পুজাকারি ইউজিদি মহিলাদের কারন তারা মরুভুমিতে ৪৫ থেকে ৫৫ ডিগ্রী তাপের মধ্য থাকে তাই তাদের শরির না ঢেকে রাখলে না রাখলে ডিহাইড্রেড হয়ে চামড়া পুড়ে মারা যাবে । তাই হিজাব বোরকা পরলেই বোঝা যায় না সে মুসলমান না খৃষ্টান না ইহুদি বা ইউজিদি ( মুর্ত পুজা করে ) । সৌদি আরবে সব ধর্মের মহিলাদের বাধ্যতা মুলক বোরকা হিজাব নিকাব পোরতে হয় তাই তারা কোন ধর্মের অভিজাত না গরিব সতি না অসতি কিছুই বোঝা যায় না । আপনারা যাতের তফসির হতে যে আজগুবি ব্যাখা চেনা শব্দ থেকে আবিষ্কার করেছেন সেটা ধোপে টিকে না । সব চেয়ে বড় কথা ঐ সমস্ত তফসির কারিরা গোটা দুনিয়াকে মরুভুমি মনে করে তাই মরুভুমির ড্রেসকোড ফলো করার পরামর্শ দেয়।
মরুভুমির তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৫৫তে ভ্যারি করে সেটা বোধ হয় আপনার জানা নেই । ঐ তাপদাহ থেকে বাচার জন্য মুসলিম অমুসলিম সবাই মাথা সহ গোটা দেহ ঢেকে রাখে । ঘাস নাই সামান্য বাতাসে বালু উড়ে এই বালু যদি শরির বা মাথার চুলে প্রবেশ করে সেটা খুবই যতনা দায়ক তাই নারি পুরুষ মুসলিম অমুসলিম মাথা সহ শরির ঢেকে রাখে কারন পানি খুব দু:প্রাপ্য তাই পরিষ্কার করা বা গোসল করা সহজ নয় । মেয়েদের মুখের চামড়া নরম তাই অনেক মহিলা নিকাব পরে মুখকে তাপ হতে রক্ষা করার জন্য । তাই হিজাব বোরকা পরলেই বোঝা যায় না সে মুসলমান না খৃষ্টান না ইহুদি বা ইউজিদি ( মুর্ত পুজা করে ) । এই মুর্তি পুজা কারি ইউজিদি মহিলাদের দেখে বলুন তো আমার কথা ঠিক কিনা ??
১) মূরুভুমিতে তাপ মাত্র ৪৫ থেকে ৫৫ ডিগ্রী পর্যন্ত ভ্যারি করে
২) ঘাস নেই তাই সামান্য বাতাসে শরিরের ভিতর বালু ঢুকে যায় এবং সেটা খুব যতনা দায়ক । পরিষ্কার করা বা ধুয়ে ফেলা বা গোসল করা জরুরি হয়ে পরে ।
৩) পানির খুব অভাব তাই চেলেই ধোয়া বা গোসাল করা যায় না ।

তাই মরু ভুমিতে টিকতে হোলে পুরুষ নারী সবাইকে ঢোলা পোষাক পরতে হয় , মাথা ঢেকে রাখতে হয় যাতে চুলে বা গলা দিয়ে শরিরে বালু প্রবেশ পরতে না পারে । মেয়েরা নিকাব পরে কারন তাদের চামড়া পুরুষের থেকে নরম চামড়া পুড়ে যায় । শীত কালে যেমন কোট জাম্পার পরতে হয় তেমনি মরু ভুমিতে টিকতে হোলে ঐ ড্রেস কোড ফলো করতে হয় । অমুসলিম এমন কি ইউজিদি মহিলারা ও ( যারা মুর্তি পুজা করে) মাথা মুখ ঢেকে রাখে মরুভুমির আবহাওয়া থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে ।

১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

ইনোসেন্ট মিনহাজ বলেছেন: কুরআনে একটি আয়াত আছে- যেখানে বলা হয়েছে " তোমরা নামাযের নিকটবর্তী হওনা"। আপনার মত তাফসির কারীরা বলবে- আল্লাহ মানুষকে নামায পড়তে নিষেধ করেছেন। কারণ আপনি এটাই বুঝবেন।
আপনি বললেন মরুভুমি তে অনেক গরম তাই তৎকালীন মেয়েরা বোরখা পড়ত। আমি একজন খ্রিস্টান পুরোহিতের পিকচার স্ট্যাটাস এ দিয়েছি। গির্জার মধ্যেও কি খুব বেশি গরম ছিল?
আপনি বললেন কুরানের শব্দ দেখে বুঝা যায় কুরানে কি বলা হয়েছে।
ভাই কুরআনে আললাহ বলেছেন - নাহনু নাযযালনাল যিকরা। এখানে যিকির বলতে বুঝিয়েছেন কুরআনকে।
আর নাহনু শব্দের অর্থ হল আমরা। অর্থাৎ আমরা কুরআন নাযিল করেছি। তাহলে আল্লাহ ত একজন। কিন্তু এখানে বুঝা যাছে শাব্দিক অর্থ অনুযায়ী আল্লাহ অনেক। তাহলে কি বলবেন আল্লাহ অনেক জন?
যদি বলেন হ্যা আল্লাহ অনেক জন, তাহলে আপনার সংগে আমার কোন বিতর্ক নেই। কারণ এই রকম প্রশ্নের আনসার আপনার চেয়ে বড় বড় পন্ডিত কে জাকির নাইক দিয়েছেন।
হজ্জের মধ্যে নারীরা শুধু নেকাব খুলা রাখেনা, নারী পুরুষ একত্রে পাশাপাশি হজ্জ পালন করে। আপনি নেকাবের কথা বল্লেন কেন? আপনি চাইলে নারীপুরুষ একত্রে হজ্জ পালন নিয়ে আর বড় প্রশ্ন করতে পারেন।
ভাইয়া ওটা হল স্পেসিফিক জায়গা, তাই স্পেসিফিক বিধান।ওটার সাথে আপনি এটাকে রিলেটে করতে পারেন না।জেনারেল মানুষ কি ক্যন্টনমেন্ট এ প্রবেশ করতে পারে? কেন পারবনা আমি এই দেশের নাগরিক। ক্যান্টনমেন্ট যেমন স্পেসিফিক স্থান, তাই স্পেসিফিক নিয়ম, তেমনি মক্কা মদিনা ও আরাফাতের ময়দান স্পেসিফিক স্থান, স্পেসিফিক বিধান।
শিক সম্প্রদায় দেখবেন সবসময় কঠিন পাগড়ি পরিধান করে। এসি রুমে বসে থেকেও। তারা কি গরম থেকে বাচার জন্য পাগড়ি পড়ে? মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী হয়েও কি তাপমাত্রায় ভোগতেন?
ভাই এটা কোন গরমের জন্য মানুষ পরিধান করে না।এটা আল্লাহর বিধান। সৌদি আরবে গরম যেমন বেশি তেমনি তাদের এসি ছাড়া কোন গাড়ি, বাড়ি,অফিস নেই। বাংলাদেশে ও গরম কম হওয়াতে বোরখা পরিধানের সংখ্যা বেড়ে যায় নি।সুতরাং যারা বোরখা পড়ে তারা ধর্মীয় সংস্কৃতির কারণে। আল্লাহর বিধান হওয়াতে।
আপনি বিকিনি পড়েন কিংবা বোরখা পড়েন বা নিকাব পড়েন সেটা আপনার একান্ত ব্যাক্তগত ব্যাপার।
কোন হিন্দু মেয়ের সিধুর মুছে ফেলতে বলা যেমন তার সেন্টিমেন্টে লাগে, সু কোন মেয়েকে নিকাব খুলতে বলা তেমন সেমসিটিব ইস্যু।
আপনি ব্যাক্তিগত ভাবে উলংগ থাকেন, কিন্তু কেঊ কাপড় পরিধান করলে তাকে কাপড় খুলতে বলার অধিকার আপনার নেই।
আর আপনি স্যারকে ইসলামিক স্কলার বানানোর চেষ্টা করছেন মনে হচ্ছে। স্যার এর কথা কে কুরানের দাললিক প্রমাণ দেএয়ার চেষ্টা করছেন। আরো অনেক ডিপার্টমেন্ট এ মেয়েরা নেকাব পড়ে ক্লাস করে। কই কারো ত আইডেন্টিটি ফিল হয়নি।
আজিজুর রহমান কি কলা ভবনের সামনে অত্যন্ত নিরাপত্তায় যে প্রতিতাবৃত্তি হয়,তার বিরুদ্ধে কথা বলেছে কোন দিন?
যত সব চুলকানী শুধু নেকব ও বোরখা নিয়ে।
আজিজুর রহমান স্যার এর কথা কে আপনারা কুরআন সম্মত প্রমাণ করার চেষ্টা করেন আর শফী সাহেবের তেতুল তথ্য বিজ্ঞান সম্মত হওয়াত পর ও মানতে চান না।

১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

এ আর ১৫ বলেছেন: এতে তাদের চেনা সহজ হবে --- এর প্রেক্ষিতে যে ব্যাখা দিয়েছেন সেটা যে গ্রহন যোগ্য নয় তার জন্য ইউজিদি মহিলাদের ছবি দিয়েছি এবং বোলেছি বোরকা নিকাব হিজাব পরা নারীকে চেনা যাবে না তারা কোন ধর্মের । এই চেনা মানি তাদের পারশনাল আইডেনটিটি তাদের ধর্মীয় আইডেন টিটি নয় ।
মরুভুমির ঐ পোষাক যুক্তি সংগত কারন বাতাসে হিউমিডিটি নেই তাই ঢোলা পোষাক আপাদ মস্তক ঢাকা মাথা চুল সহ বিজ্ঙান সম্মত । কারন বাতাসে হিউমিডিটি কম থাকাতে শরিরের ভিতরে যে ঘাম সৃষ্টি হয় তা ঢোলা পোষাক শরিরের কাছে ধরে রাখে এবং শরিরে চামড়াকে সিক্ত রাখে । মরুভুমিতে আমাদের দেশের মত মার্জিত পোষাক শাড়ী সেলোয়ার কামিজ পরে থাকলে শরির পুড়ে যাবে এবং ডি হাইড্রেটেড হয়ে মারা যাবে । ঠান্ডার দেশে ঢোলা কাপড় শরিরের ক্ষতি করে এবং মৃর্তুর কারন হয় তাই ঐখানে টাইট পোষাক পোরতে হয় ।
**** আজিজুর রহমান কি কলা ভবনের সামনে অত্যন্ত নিরাপত্তায় যে প্রতিতাবৃত্তি হয়,তার বিরুদ্ধে কথা বলেছে কোন দিন?
যত সব চুলকানী শুধু নেকব ও বোরখা নিয়ে।******* তাই নাকি ঐ সব পতিতারা কি পর্দা করে ? ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পতিতারা কিন্তু আপাদমস্তক ঢেকে চলে ।,

১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

ইনোসেন্ট মিনহাজ বলেছেন: ভাইয়া আপনি এখন যে সকল প্রশ্ন করেছেন, তার আনসার ত আমি দিয়ে দিয়েছে। কমেন্ট গুলো ভাল করে পড়ার অনুরোধ রইল।

১৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: يٰۤاَيُّهَا النَّبِىُّ قُل لِّاَزۡوَاجِكَ وَبَنٰتِكَ وَنِسَآءِ الۡمُؤۡمِنِيۡنَ يُدۡنِيۡنَ عَلَيۡهِنَّ مِنۡ جَلَابِيۡبِهِنَّؕ ذٰلِكَ اَدۡنٰٓى اَنۡ يُّعۡرَفۡنَ فَلَا يُؤۡذَيۡنَؕ وَكَانَ اللّٰهُ غَفُوۡرًا رَّحِيۡمًا‏

অনুবাদ: হে নবী! তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মু’মিনদের নারীদেরকে বলে দাও তারা যেন তাদের চাদরের প্রান্ত তাদের ওপর টেনে নেয়। এটি অধিকতর উপযোগী পদ্ধতি, যাতে তাদেরকে চিনে নেয়া যায় এবং কষ্ট না দেয়া হয়। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়।

আরবী ভাষায় ‌‘জিলবাব’‍‍‍‍ বলা হয় বড় চাদরকে। আর ‘ইদন’ শব্দের আসল মানে হচ্ছে নিকটবর্তী করা ও ঢেকে নেয়া। কিন্তু যখন তার সাথে ‘আলা’ অব্যয় (Preposition) বসে তখন তার মধ্যে ইরখা অর্থাৎ ওপর থেকে ঝুলিয়ে দেয়ার অর্থ সৃষ্টি হয়।

ইবনে জারীর ও ইবনুল মুনযিরের বর্ণনা মতে মুহাম্মাদ ইবনে সিরীন (রা.) হযরত উবাইদাতুস সালমানীর কাছে এ আয়াতটির অর্থ জিজ্ঞেস করেন। (এই হযরত উবাইদাহ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে মুসলমান হন কিন্তু তাঁর খিদমতে হাযির হতে পারেননি। হযরত উমরের (রা.) আমলে তিনি মদীনা আসেন এবং সেখানেই থেকে যান। তাঁকে ফিকহ ও বিচার সংক্রান্ত বিষয়ে কাযী শুরাইহ-এর সমকক্ষ মনে করা হতো।) তিনি জবাবে কিছু বলার পরিবর্তে নিজের চাদর তুলে নেন এবং তা দিয়ে এমনভাবে মাথা ও শরীর ঢেকে নেন যে তার ফলে পুরো মাথা ও কপাল এবং পুরো চেহারা ঢাকা পড়ে যায়, কেবলমাত্র একটি চোখ খোলা থাকে। ইবনে আব্বাসও প্রায় এই একই ব্যাখ্যা করেন। তাঁর যেসব উক্তি ইবনে জারীর, ইবনে আবি হাতেম ও ইবনে মারদুইয়া উদ্ধৃত করেছেন তা থেকে তাঁর যে বক্তব্য পাওয়া যায় তা হচ্ছে এই যে, “আল্লাহ মহিলাদেরকে হুকুম দিয়েছেন যে, যখন তারা কোন কাজে ঘরের বাইরে বের হবে তখন নিজেদের চাদরের পাল্লা ওপর দিয়ে লটকে দিয়ে যেন নিজেদের মুখ ঢেকে নেয় এবং শুধুমাত্র চোখ খোলা রাখে।” কাতাদাহ ও সুদ্দীও এ আয়াতের এ ব্যাখ্যাই করেছেন।

সাহাবা ও তাবে’ঈদের যুগের পর ইসলামের ইতিহাসে যত বড় বড় মুফাসসির অতিক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা সবাই একযোগে এ আয়াতের এ অর্থই বর্ণনা করেছেন। ইমাম ইবনে জারীর তাবারী বলেনঃ ভদ্র ঘরের মেয়েরা যেন নিজেদের পোশাক আশাকে বাঁদীদের মতো সেজে ঘর থেকে বের না হয়। তাদের চেহারা ও কেশদাম যেন খোলা না থাকে। বরং তাদের নিজেদের ওপর চাদরের একটি অংশ লটকে দেয়া উচিত। ফলে কোন ফাসেক তাদেরকে উত্যক্ত করার দুঃসাহস করবে না। (জামেউল বায়ান ২২ খন্ড, ৩৩ পৃষ্ঠা)।

আল্লামা আবু বকর জাসসাস বলেন, “এ আয়াতটি প্রমাণ করে, যুবতী মেয়েদের চেহারা অপরিচিত পুরুষদের থেকে লুকিয়ে রাখার হুকুম দেয়া হয়েছে। এই সাথে ঘর থেকে বের হবার সময় তাদের সতর ও পবিত্রতা সম্পন্না হবার কথা প্রকাশ করা উচিত। এর ফলে সন্দেহযুক্ত চরিত্র ও কুকর্মের অধিকারী লোকেরা তাদেরকে দেখে কোন প্রকার লোভ ও লালসার শিকার হবে না।” (আহকামুল কুরআন, ৩ খন্ড, ৪৫৮ পৃষ্ঠা)

আল্লামা যামাখশারী বলেন, তারা যেন নিজেদের চাদরের একটি অংশ লটকে নেয় এবং তার সাহায্যে নিজেদের চেহারা ও প্রান্তভাগগুলো ভালোভাবে ঢেকে নেয়।” (আল কাশশাফ, ২ খন্ড, ২২ পৃষ্ঠা)

আল্লামা নিযামুদ্দীন নিশাপুরী বলেন, নিজেদের ওপর চাদরের একটি অংশ লটকে দেয়। এভাবে মেয়েদেরকে মাথা ও চেহারা ঢাকার হুকুম দেয়া হয়েছে। (গারায়েবুল কুরআন ২২, খন্ড ৩২ পৃষ্ঠা)

ইমাম রাযী বলেনঃ “এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, লোকেরা যেন জানতে পারে এরা দুশ্চরিত্রা মেয়ে নয়। কারণ যে মেয়েটি নিজের চেহারা ঢাকবে, অথচ চেহারা সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়, তার কাছে কেউ আশা করতে পারে না যে, সে নিজের ‘সতর’ অন্যের সামনে খুলতে রাজী হবে। এভাবে প্রত্যেক ব্যক্তি জানবে, এ মেয়েটি পর্দানশীল, একে যিনার কাজে লিপ্ত করার আশা করা যেতে পারে না।” (তাফসীরে কবীর, ২ খন্ড, ৫৯১ পৃষ্ঠা)

“চিনে নেয়া যায়” এর অর্থ হচ্ছে, তাদেরকে এ ধরনের অনাড়ম্বর লজ্জা নিবারণকারী পোশাকে সজ্জিত দেখে প্রত্যেক প্রত্যক্ষকারী জানবে তারা অভিজাত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের পূত-পবিত্র মেয়ে, এমন ভবঘুরে অসতী ও পেশাদার মেয়ে নয়, কোন অসদাচারী মানুষ যার কাছে নিজের কামনা পূর্ণ করার আশা করতে পারে। “না কষ্ট দেয়া হয়” এর অর্থ হচ্ছে এই যে, তাদেরকে যেন উত্যক্ত ও জ্বালাতন না করা হয়।
এখানে কিছুক্ষণ থেমে একবার একথাটি অনুবাধন করার চেষ্টা করুন যে, কুরআনের এ হুকুম এবং এ হুকুমের যে উদ্দেশ্য আল্লাহ‌ নিজেই বর্ণনা করেছেন তা ইসলামী সমাজ বিধানের কোন্ ধরনের প্রাণ শত্তির প্রকাশ ঘটাচ্ছে। ইতিপূর্বে সূরা নূরের ৩১ আয়াতে এ নির্দেশ আলোচিত হয়েছে যে, মহিলারা তাদের সাজসজ্জা অমুক অমুক ধরনের পুরুষ ও নারীদের ছাড়া আর কারো সামনে প্রকাশ করবে না। “আর মাটির ওপর পা দাপিয়ে চলবে না, যাতে যে সৌন্দর্য তারা লুকিয়ে রেখেছে লোকেরা যেন তা জেনে না ফেলে।” এ হুকুমের সাথে যদি সূরা আহযাবের এ আয়াতটি মিলিয়ে পড়া হয় তাহলে পরিষ্কার জানা যায় যে, এখানে চাদর দিয়ে ঢাকার যে হুকুম এসেছে অপরিচিতদের থেকে সৌন্দর্য লুকানোই হচ্ছে তার উদ্দেশ্য। আর একথা সুস্পষ্ট যে, এ উদ্দেশ্য তখনই পূর্ণ হতে পারে যখন চাদরটি হবে সাদামাটা। নয়তো একটি উন্নত নকশাদার ও দৃষ্টিনন্দন কাপড় জড়িয়ে নিলে তো উল্টো এ উদ্দেশ্য আরো খতম হয়ে যাবে। তাছাড়া আল্লাহ‌ কেবল চাদর জড়িয়ে সৌন্দর্য ঢেকে রাখার হুকুম দিচ্ছেন না বরং একথাও বলছেন যে, মহিলারা যেন চাদরের একটি অংশ নিজেদের ওপর লটকে দেয়। কোন বিচক্ষণ বিবেকবান ব্যক্তি এ উক্তিটির এছাড়া দ্বিতীয় কোন অর্থ করতে পারেন না যে, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ঘোমটা দেয়া যাতে শরীর ও পোশাকের সৌন্দর্য ঢাকার সাথে সাথে চেহারাও ঢাকা পড়বে। তারপর আল্লাহ‌ নিজেই এ হুকুমটির ‘ইল্লাত’ (কার্যকারণ) এ বর্ণনা করেছেন যে, এটি এমন একটি সর্বাধিক উপযোগী পদ্ধতি যা থেকে মুসলমান মহিলাদেরকে চিনে নেয়া যাবে এবং তারা উত্যক্ত হবার হাত থেকেও বেঁচে যাবে। এ থেকে আপনা-আপনিই একথা প্রকাশ হয়ে যায় যে, এ নিদের্শ এমন সব মহিলাকে দেয়া হচ্ছে যারা পুরুষদের হাতে উত্যক্ত হবার এবং তাদের দৃষ্টিতে পড়ার ও তাদের কামনা-লালসার বস্তুতে পরিণত হবার ফলে আনন্দ অনুভব করার পরিবর্তে একে নিজেদের জন্য কষ্টদায়ক লাঞ্ছনাকর মনে করে, যারা সমাজে নিজেদেরকে বে-আবরু মক্ষিরাণী ধরনের মহিলাদের মধ্যে গণ্য করাতে চায় না। বরং সতী-সাধ্বী গৃহ প্রদীপ হিসেবে পরিচিত হতে চায়। এ ধরনের শরীফ ও পূত চরিত্রের অধিকারিনী সৎকর্মশীলা মহিলাদের সম্পর্কে আল্লাহ‌ বলেন, যদি সত্যিই তোমরা এভাবে নিজেদেরকে পরিচিত করাতে চাও এবং পুরুষদের যৌন লালসার দৃষ্টি সত্যিই তোমাদের জন্য আনন্দাদায়ক না হয়ে কষ্টকর হয়ে থাকে, তাহলে এজন্য তোমরা খুব ভালোভাবে সাজসজ্জা করে বাসর রাতের কনে সেজে ঘর থেকে বের হয়ো না এবং দর্শকদের লালসার দৃষ্টির সামনে নিজেদের সৌন্দর্যকে উজ্জল করে তুলে ধরো না। কেননা এটা এর উপযোগী পদ্ধতি নয়। বরং এজন্য সর্বাধিক উপযোগী পদ্ধতি এই হতে পারে যে, তোমরা একটি সাদামাটা চাদরে নিজেদের সমস্ত সৌন্দর্য ও সাজসজ্জা ঢেকে বের হবে, চেহারা ঘোমটার আড়ালে রাখবে এবং এমনভাবে চলবে যাতে অলংকারের রিনিঝিনি আওয়াজ লোকদেরকে তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট করবে না। বাইরে বের হবার আগে যেসব মেয়ে সাজগোজ করে নিজেদেরকে তৈরী করে এবং ততক্ষণ ঘরের বাইরে পা রাখে না যতক্ষন অপরূপ সাজে নিজেদেরকে সজ্জিতা না করে নেয়, তাদের এর উদ্দেশ্য এছাড়া আর কি হতে পারে যে, তারা সারা দুনিয়ার পুরুষদের জন্য নিজেদেরকে দৃষ্টিনন্দন করতে চায় এবং তাদেরকে নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করতে চায়। এরপর যদি তারা বলে, দর্শকদের ভ্রূভংগী তাদেরকে কষ্ট দেয়, এরপর যদি তাদের দাবী হয় তারা “সমাজের মক্ষিরানী” এবং “সর্বজনপ্রিয় মহিলা” হিসেবে নিজেদেরকে চিত্রিত করতে চায় না বরং পূত-পবিত্রা গৃহিনী হয়েই থাকতে চায়, তাহলে এটা একটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। মানুষের কথা তার নিয়ত নির্ধারণ করে না বরং কাজেই তার আসল নিয়ত প্রকাশ করে। কাজেই যে নারী আকর্ষণীয়া হয়ে পর পুরুষের সামনে যায়, তার এ কাজটির পেছনে কোন্ ধরনের উদ্দেশ্য কাজ করছে সেটা ঐ কাজ দ্বারাই প্রকাশ পায়। কাজেই এসব মহিলাদের থেকে যা আশা করা যেতে পারে ফিতনাবাজ লোকেরা তাদের থেকে তাই আশা করে থাকে। কুরআন মহিলাদেরকে বলে, তোমরা একই সঙ্গে “গৃহপ্রদীপ” ও “সমাজের মক্ষিরাণী” হতে পারো না। গৃহপ্রদীপ হতে চাইলে সমাজের মক্ষিরাণী হবার জন্য যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় তা পরিহার করো এবং এমন জীবনধারা অবলম্বন করো যা গৃহপ্রদীপ হতে সাহায্য করতে পারে। কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত মত কুরআনের অনুকূল হোক বা তার প্রতিকূল এবং তিনি কুরআনের পথনিদের্শককে নিজের কর্মনীতি হিসেবে গ্রহণ করতে চান বা না চান, মোটকথা তিনি যদি ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে জাল-জুয়াচুরির পথ অবলম্বন করতে না চান, তাহলে কুরআনের অর্থ বুঝতে তিনি ভুল করতে পারেন না। তিনি যদি মুনাফিক না হয়ে থাকেন, তাহলে পরিষ্কারভাবে একথা মেনে নেবেন যে, ওপরে যা বর্ণনা করা হয়েছে তাই হচ্ছে কুরআনের উদ্দেশ্য। এরপর তিনি যে বিরুদ্ধাচরণই করবেন একথা মেনে নিয়েই করবেন যে, তিনি কুরআন বিরোধী কাজ করছেন অথবা কুরআনের নিদের্শনাকে ভুল মনে করছেন।

আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।

১৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০১

ইনোসেন্ট মিনহাজ বলেছেন: হাফিজ বিন শামসী আপনাকে ধন্যবাদ। তাফসির টি আমিও পড়েছি।আসলে হাফিজ ভাই কিছু মানুষ আছে যাদের কান আছে কিন্তু শোনেনা, বিবেক আছে তা দিয়ে বুঝার চেষ্টা করে না, চোখ আছে কিন্তু দেখে না। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুক।

১৮| ০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

এ আর ১৫ বলেছেন: জনাব হাফিজ বিন শামসী ------ আপনি নিকাব পন্থি কিছু মানুষের উদৃতি দিয়েছেন তাহোলে আপনি আমার করা এই বল্গের ৭ নম্বর কমেন্টটি পড়ুন দয়া করে ওখানে দেখুন মিশরের গ্র‌ান্ড মুফতি কি বোলছেন । তিনি স্কুল ছাত্রীকে নিকাব খুলার আদেশ দিয়েছেন । আপনি যে যুক্তি গুলি দিয়েছেন তার জবাব ইতি পুর্বে দেওয়া হয়েছে । উপরের আমার কমেন্ট গুলো পড়েন দয়া করে ।
ইমাম রাযী বলেনঃ “এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, লোকেরা যেন জানতে পারে এরা দুশ্চরিত্রা মেয়ে নয়। কারণ যে মেয়েটি নিজের চেহারা ঢাকবে, অথচ চেহারা সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়, তার কাছে কেউ আশা করতে পারে না যে, সে নিজের ‘সতর’ অন্যের সামনে খুলতে রাজী হবে। এভাবে প্রত্যেক ব্যক্তি জানবে, এ মেয়েটি পর্দানশীল, একে যিনার কাজে লিপ্ত করার আশা করা যেতে পারে না।” (তাফসীরে কবীর, ২ খন্ড, ৫৯১ পৃষ্ঠা) ------ উনি কি কারনে বোলেছেন আমি জানিনা - আপাদ মস্তক ঢাকা থাকলে নারীর চরিত্র বোঝার উপায় নাই সে কি সতি না অসতি । কয়েক দিন আগে পুলিশ ঢাকার বিভিন্ন স্পট থেকে বোরকা নিকাব পরা মহিলা ছিনতাইকারি দেহ ব্যবসায়ি কে আটক করেছে । মরুভুমিতে আবহাওয়া জনিত কারনে মুসলিম অমুসলিম নাস্তিক মুর্তি পুজারি সকলেই আপাদমস্তক ঢাকা পোষাক পরে মাথা চুল ঢেকে রাখে এবং মুখে নিকাব পরে মুখের চামড়া বাচানোর জন্য ।

এনারা সবাই মনে করেছেন গোটা দুনিয়াটা মরু ভুমি তাই দুনিয়ার সব পুরুষের সেক্স কন্ট্রোল মরুভুমির পুরুষের মত । মরুভুমি পুরুষরা সারা জীবন আপাদমস্তক ঢাকা নারি দেখে অভস্ত কারন আবহাওয়া তাই যদি তারা মেয়েদের হাত বা মাথার চুল বেরিয়ে থাকা দেখে তাহোলে যৌন উত্তেজনা বোধ করে তারা যদি আমাদের দেশের মত শাড়ী বা সেলোয়ার কামিজ পরা মেয়েদের দেখে তাহোলে তো কথাই নাই কারন সারা জীবন তারা মহিলাদের আপাদ মস্তক ঢাকা দেখে তাই কিন্তু দেখুন মার্জিত শাড়ী সেলোয়ার কামিজ পরা মহিলা দেখে আমাদের দেশের পুরুষরা অভ্যস্ত।
সমস্যা হোল এই সমস্ত কিছু লোক গোটা দুনিয়াকে মরুভুমি মনে করে কিন্তু মরুভুমিতে বসবাস কারি মিশরের গ্রান্ড মুফতি কিন্তু ব্যতিক্রম । ধন্যবাদ ।

১৯| ০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

এ আর ১৫ বলেছেন: মধ্য আফ্রিকার ইসলামী দেশ চাদে সোমবারের বোমা হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত হবার পর দেশটিতে বোরকা পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠকের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী, কালজেবুয়ে পাহিমি দুবেত এই ঘোষণা দেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় চাদের রাস্তা ঘাটে প্রকাশ্যে বোরকা পড়া যাবে না। এমনকি নিজেদের বাড়ি ঘরেও বোরকা পড়া যাবে না। দোকান থেকে সমস্ত বোরকা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলারও নির্দেশ দিয়েছে পুলিশকে।

ধরা পড়ে যাওয়া ঠেকাতে ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠি বোকো হারাম এখন নারী আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের বেশি ব্যবহার করছে। বিবিসি। এর আগে একই কারণে
মুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াং রাজ্যে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করেছে চীন সরকার।
ইসলামী দেশে বোরকা হারাম !

২০| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২৭

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: জনাব, এ আর ১৫ আপনার কোন মন্তব্য পড়ার মত ইচ্ছা আর আমার নেই। আপনার চতুরতা দেখে আপনার মন্তব্য পড়ার মত ইচ্ছা উবে গেছে। আপনি আজিজুর রহমান সাহেবের নামে ফেবুর যে স্ক্রীনশর্টটা দিয়েছেন সেটা কি আদৌ আজিজুর রহমান সাহেবের?
ঢাবির ঐ ঘটনাটা ঘটেছিল ২৯শে এপ্রিল ২০১৬ ইং তারিখে।
আপনি যে স্ক্রীনশর্টটি দিয়েছেন সেটা হচ্ছে ২৯শে আগষ্ট ২০১৫ ইং তারিখের।
অর্থাৎ স্ট্যাটাসটি ঘটনা ঘটার ৮ মাস আগের। তাহলে কি আজিজ সাহেব ঘটনা ঘটার আট মাস আগেই ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন? তার মানে ঘটনাটি পরিকল্পিত।
আসলে ব্যাপারটা সে রকম না। এটা হচ্ছে আপনার মিথ্যাচার।

২১| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

বঙ্গতনয় বলেছেন: জনাবের লেখা খুবই চমৎকার লাগলো। ধন্যবাদ।

২২| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: স্রষ্টা প্রদত্ত কোন বিধানের মত নির্ভূল, উত্কৃনষ্টতম, যথাযথ ও ভারসাম্যপূর্ণ বিধান কেউ তৈরী করতে সক্ষম নয়৷ স্রষ্টার বিধানের শ্রেষ্ঠত্বের কোন তুলনাই হতে পারে না৷ স্রষ্টা প্রদত্ত কোন বিধানের উপর প্রশ্ন উত্থাপন করা বড়ই স্পর্ধার বিষয়৷ তবে কোন বিধান স্রষ্টা প্রদত্ত বলে দাবি করা হলে, সেটা আসলেই স্রষ্টা প্রদত্ত কিনা তা যাচাই করা অন্যায় তো নয়ই বরং স্বাভাবিক বিবেক-বুদ্ধির দাবি৷ বুদ্ধিমানেরা যাচাই-বাছাই করে কোন কিছু গ্রহণ-বর্জন করে থাকে, আর বোকারা অন্যের তালে তালে/বংশ প্রীতির কারনে/আবেগ তাড়িত হয়ে কোন কিছু গ্রহণ-বর্জন করে থাকে৷

ইসলামে নারী অধিকার দিয়েছে বলতে যদি বুঝায় ১৪০০ বছরে তত্কা লীন সমাজে নারীদের যে অবস্থা ছিল তার তুলনায় নারীদের কতটুকু অধীকার দিয়েছে, তাহলে আমি বলবো অবশ্যই সে তুলনায় ইসলামে নারীদের অনেক অধীকার দিয়েছে৷ যদি প্রশ্ন করা হয় অন্য ধর্মের তুলনায় ইসলামে নারীদের কতটুকু অধিকার দিয়েছে, আমি বলবো সে বিতর্কে হয়ত আপনি প্রমাণ করতে পারবেন ইসলামে অনেক বেশি নারী অধীকার দিয়েছে৷ কিন্তু আপনি যদি প্রশ্ন করেন মানুষ হিসাবে ইসলামে নারীদের কতটুক অধিকার দিয়েছে, তাহলে আমি বলবো ইসলাম নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য করেছে৷
ইসলামে নারীদের উপর পুরুষদেরকে কতৃত্বশীল করেছে৷ পুরুষ পরিচালক,নারী তার অধীনস্ত৷ পুরুষেরা যাতে নারীদের উপর কর্তৃত্ব খাটাতে পারে সে জন্য পুরুষদের হাতে দেয়া হয়েছে অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব৷ এ নীতি সম্পর্কে আল ক্বুরআনের বক্তব্য লক্ষ্ করুন:
পুরুষ নারীর কর্তা। এ জন্য যে, আল্লাহ‌ তাদের একজনকে অন্য জনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে, পুরুষ নিজের ধন-সম্পদ ব্যয় করে। কাজেই সতী-সাধ্বী স্ত্রীরা আনুগত্যপরায়ণ হয় এবং পুরুষদের অনুপস্থিতিতে আল্লাহর হেফাজত ও তত্বাবধানে তাদের অধিকার সংরক্ষণ করে থাকে।৫৮ আর যেসব স্ত্রীর ব্যাপারে তোমরা অবাধ্যতার আশঙ্কা করো, তাদেরকে বুঝাও, শয়নগৃহে তাদের থেকে আলাদা থাকো এবং তাদেরকে মারধোর করো।৫৯ তারপর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়ে যায় তাহলে অযথা তাদের ওপর নির্যাতন চালাবার জন্য বাহানা তালাশ করো না। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ ওপরে আছেন, তিনি বড় ও শ্রেষ্ঠ। (সুরা আন নিসা:34)

তালাক প্রাপ্তাগণ তিনবার মাসিক ঋতুস্রাব পর্যন্ত নিজেদেরকে বিরত রাখবে। আর আল্লাহ‌ তাদের গর্ভাশয়ে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তাকে গোপন করা তাদের জন্য বৈধ নয়। তাদের কখনো এমনটি করা উচিত নয়, যদি তারা আল্লাহ‌ ও পরকালে বিশ্বাসী হয়, তাদের স্বামীরা পুনরায় সম্পর্ক স্থাপনে প্রস্তুত হয়, তাহলে তারা এই অবকাশ কালের মধ্যে তাদেরকে নিজের স্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে নেবার অধিকারী হবে।২৪৯নারীদের জন্যও ঠিক তেমনি ন্যায়সঙ্গত অধিকার আছে যেমন পুরুষদের অধিকার আছে তাদের ওপর। তবে পুরুষদের তাদের ওপর একটি মর্যাদা আছে। আর সবার ওপরে আছেন আল্লাহ‌ সর্বাধিক ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধিকারী, বিচক্ষণ ও জ্ঞানী। (সুরা বাকারা:২২৮)
আপনি হয়ত আমার অভিযোগ অস্বীকার করে বলবেন ইসলামে পুরুষকে শাসক করেনি বরং ইসলাম বলে নারী-পুরুষ পরস্পর পস্পরের বন্ধু ও সাথী৷ আপনাকে প্রথমে স্বীকার করতে হবে পুরষদেরকে নারীদের পরিচালক/কতৃত্বশীল করেছে৷ আপনি বলবেন পুরুষকে যেহেতু নারীর যাবতীয় খরচ বহনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই পরিচালনার দায়িত্ব তার উপরে চলে আসে৷ আমি বলব আমার অভিযোগ এখানেই৷ অর্থ কর্তৃত্ব খাটানোর প্রধান হাতিয়ার৷ এ অর্থনেতিক কর্তৃত্ব আরো বেশি করে দিতে ইসলাম উত্তারাধিকার সুত্রে পুরুষের অংশ নারীর দ্বিগুন নির্ধারন করেছে৷ আপনাকে যদি প্রস্তাব দেয়া হয় আপনি কারো অধীন হয়ে থাকবেন, যার অধীন হবেন তিনি আপনার সার্বিক খরচ নির্বাহ করবেন৷ এমনকি মালিকের মৃত্যূর পর মালিকের সম্পদের ভাগের একটি অংশ আপনি ( পেনশন স্বরুপ বা যে নামেই হোক)৷ একটি কথা সবসময় মনে রাখতে হবে যে চিরজীবন আপনি অধিনস্ত৷ আপনি কি এমন অধিনস্ত হতে পছদ করবেন?
মজার বিষয় কি একজন দাসকে যদি আপনি মনস্তাত্বিকভাবে প্রস্তুত করতে পারেন যে তার সৃষ্টি দাস হিসাবে, দাস হিসাবে অনুগতভাবে মনিবের সেবা করাই তার দায়িত্ব ও কর্তব্য।দাস হিসাবে যে তার মানসিক কষ্ট তা কেটে যাবে। ধর্মীয় বিষয়ে মানুষ চরম দূর্বল। যেহেতু নারীদেরকে ধর্মের নামে পুরুষের অধীনস্ত করা হয়, তারা অধিনস্ত থেকেও অধিনস্ত থাকার মানসিক কষ্ট থেকে মুক্ত থাকতে পারে।
পুরুষদের কর্তৃত্বশীল করার কুফলসমূহ:
১. এ নীতি নারীদের শিক্ষা ও উন্নত জীবন গঠনে অনুৎসাহীত করে:
যখন একটি নারী ছোট বেলা থেকে বড় হয় এ ভেবে যে সে যত যোগ্যতাই অর্জন করুক না কেন তার কোন মূল্য নেই, যখন তার বিবাহ হবে তাকে তার স্বামীর অধীনে চলে যেতে হবে - এ ভাবনা নারীর প্রতিভা বিকাশের প্রধান বাধা৷ একজন পুরুষ যখন বড় হয় তখন সে ছোট থেকেই তার উজ্জ্বল ক্যরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে৷ এ স্বপ্ন তার প্রতিভা বিকাশে তাকে বহুদুর এগিয়ে নিয়ে যায়৷সাম্প্রতিককালে নারীদের যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ তৈরী হয়েছে তা নারীবাদীদের আন্দোলনের ফলে এবং নারীদের পুরুষের কর্তৃত্ব থেকে বের হওয়ার মানসিকতা থেকে।
২. নারীদের মেধা ও যোগ্যতা বিকাশে প্রধান অন্তরায়:
এছাড়া একজন পুরুষ কর্মজীবনে এসে তার কর্মের মাধ্যমে সে তার যোগ্যতার বিকাশ ঘটিয়ে থাকে৷ উল্লেখ্য, বই পড়ে মানুষ যে বিদ্যা অর্জন করে তার চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যা অর্জন করে কর্মজীবনে তার কর্মক্ষেত্রে বাস্তব প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে৷ একটি ৫ম শ্রেনি পাস করা ছেলেও যদি রাষ্ট্র প্রধাণদের সাথে ছোট বেলা থেকে চলা-ফেরার সুযোগ পায় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকে সে ছেলে বয়স্ক হলে যদি তাকে রাষ্ট্র প্রধাণ বানানো হয় সে যথারিতী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সক্ষম হবে৷ অপরপক্ষে এম, এ পাস তুখর মেধাবী এক গরীব যুবক যে কোনদিন কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হয়নি, তাকে যদি হঠাৎ রাষ্ট্র প্রধাণ বানানো হয় তাহলে রাষ্ট্রের কি অবস্থা হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷
৩. ব্যবস্থানাগতক্ষেত্রে এ নীতি নারীদের অযোগ্য করে তোলে:
একজন পুরুষ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে ইন্টারএকশন এর ফলে তার বিভিন্ন বিষয় ব্যবস্থাপনাগত যোগ্যতাও বৃদ্ধি পায়৷ অপরদিকে এ ধরনের নীতির সমাজে প্রথমত নারীরা শিক্ষার্জনের প্রতি আগ্রহ তো হারিয়ে ফেলে৷ দ্বিতীয়ত:তাদের কর্মজীবন বলতে সাংসারিক জীবনই সব, যেখানে রান্না-বান্নার বিদ্যা ভালো করে রপ্ত করতে হয়৷ রান্না-বান্না ও ঘর গোছানোর পর অতিরিক্ত সময়টি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কার স্বামী ও কার ছেলে-মেয়ে কেমন ইত্যাদি সব গাল-গল্পে কাটে৷ এ সকল গাল গল্পের মাঝে বিভিন্ন প্রকার পশ্চাদ আলোচনা-সমালোচনা, পরনিন্দা ইত্যাদি স্থান পায় যা বিভিন্ন ধরণের ঝগড়া বিবাদে বেশ ভালোই অবদান রাখে৷ আর যেহেতু তারা বাস্তব কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ পায় না, এ ধরনের সমাজে নারীদেরকে সমাজের বা কোন প্রতিষ্ঠানের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়৷এ ধরনের পরিবেশে বড় হওয়ায়, নারীরা নিজেদেরকে মনে করে সংসার করাই তাদের একমাত্র কাজ ও যোগ্যতা৷ সমাজের কোন সম্মানজনক কোন পদে অধিষ্ঠিত হওয়া তাদের কাজও নয় এবং যোগ্যতাও নেই৷
হঠাৎ কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নারীরা সক্ষম নয়৷ এ যোগ্যতা থাকবেই বা কি করে-ছোট বেলা থেকে যে পরিবেশে ও মনমানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছে সেরুপই হওয়ার কথা৷ মানসিকতা অর্ধেক যোগ্যতা কেড়ে নেয়৷যে সিংহ শাবক ভেড়ার পালের মধ্যে বড় হয়, সে সিংহ কখনও সিংহসুলভ আচরণ করতে সক্ষম হয় না৷কারণ সে সিংহ জানেই না যে সে সিংহ৷তাছাড়া সে তো ভেড়ার আচরন রপ্ত করেছে, সিংহের সাহসিকতা ও কার্যাবলী তো সে শেখেইনি৷ ছোট বেলা থেকেই মেয়ে শিশুদের বাস্তব জীবনের সকল জটিল পরিস্থিতি থেকে আলাদা করে রাখা হয়৷ দায়িত্বশীলতামূলক সকল কাজ ছেলে সন্তান দিয়ে করানো হয়, আর শুধু সাংসারিক কিছু কাজ মেয়েদের দিয়ে করানো হয়৷ সুতরাং পুরুষেরা সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা, সামাজিক ইন্টারএকশন, ও ব্যবস্থাপনাগত যোগ্যতা রপ্ত করতে করতে বড় হয়ে থাকে৷ পুরুষেরা সামাজিক বিভিন্ন যোগ্যতা লাভ করছে উভয় দিক দিয়ে- মানসিক ও বাস্তব কর্মক্ষেত্রের মাধ্যমে৷
অভিযোগ: আমি যে ধরনের সমাজের কথা বলছি তাতে নারী-পুরুষের অবাধ মেলা-মেশার সুযোগ দিতে হবে৷ আর এরুপ সুযোগ দিলে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক (যেমন-ইভটিজিং,ধর্ষন ইত্যাদি) সমস্যার উদ্ভব হবে৷
জবাব: কুরআন এর এ বিধান যে যে নারী-পুরুষে যে বৈষম্য করেছে উপরোক্ত আলোচনায় তা ব্যখ্যা করছি। কুরআনের বিধান মানলে উপরোক্ত সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয় কিনা তা আপনাকে আগে স্বীকার করতে হবে। কুরআনের বিধান না মানলে যে সমস্যা (ইভ টিজিং,ধর্ষন) হবে বলে আপনি বলছেন সেটা আরেকটি সমস্যা। কুরআনের বিধান মানলে এক সমস্যা আর না মানলে আরেক সমস্যা। দুটি তো সমস্যা। এক সমস্যার কারন থেকে আপনি আরেক সমস্যা গ্রহণ করতে পারেন না বা সমাধান বলতে পারেন না। সমাধান কি হতে পারে সে আলোচনায় পরে আসছি।
অভিযোগ: নারীরা সৃষ্টিগতভাবে সকল কাজের যোগ্য নয়৷ তাদের শারীরিক গঠন ও প্রকৃতি সকল কাজের উপযুক্ত নয়৷ হ্যা,এটা সত্য যে নারীরা শারীরিক গঠনগত দিক ও প্রকৃতিগতদিক থেকে পুরুষের থেকে কিছুটা ভিন্ন৷ তাই বলে তারা সামাজিক সকল কর্মক্ষেত্রের যাওয়ার অযোগ্য, পুরুষের অধীনস্ত থাকতে হবে তা বলা যৌক্তিক নয়৷ আমাদের সমাজের পুরুষেরা যে সকল কাজ করে তার প্রায় সকল কাজ একজন নারী করতে সক্ষম যদি তারা সে ধরনের পরিবেশ,পরিপাশ্বিকতা ও মনমানসিকতা নিয়ে বড় হয়৷
৪. জাতী তার অর্ধেক সম্পদ(নারী)এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়:
একটি জাতীর সবচেয়ে বড় সম্পদ হল মানব সম্পদ৷ মানুষ বলতে নারী-পুরুষ উভয়কে বুঝায়৷ এ ধরনের সমাজে যেহেতু নারীরা কর্মজীবনে আসে না, দেশ ও জাতী তাদের সুপ্ত মেধা ও যোগ্যতার সেবা থেকে বঞ্চিত হয়৷ জাতীর মহামূল্যবান সম্পদ ঘরে আবদ্ধ থেকে অপচয় হয়৷ একটি জাতীর অর্ধেক সম্পদ থেকে সে জাতী বঞ্চিত হয়৷
৫. এ নীতির ফলে নারীরা মানসিক ও শারিরীকভাবে নির্যাতন ও নিগৃহিতের শিকার হয়:

এ ধরনের সমাজে নারীরা নির্যাতন ও নিগৃহতের শিকার হয়৷ যেহেতু তারা পুরোপুরি পুরুষ নির্ভর, তারা মুখ উচু করে কথা বলতে পারে না৷ স্বামীর হাতে নির্যাতীত হওয়ার পাশাপাশি শশুর-শাশুরী ও শশুর বাড়ীর নিকটস্থীয়দের কর্তৃকও মানসিক ও শারিরীক নির্যাতনে নির্যাতীত হয়ে থাকে৷

অভিযোগ:
ইসলামে নারীকে চাকরী করার অনুমতি দেয়৷ ইসলাম নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে এমন সকল ক্ষেত্রে নারীদেরকে নের্তৃত্ব দেয়ারও অনুমতি দেয়৷ নারীরা এমনকি নারী বিষয়ক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হতে পারে৷ ইসলামে জ্ঞানার্জন করা নারী-পুরুষ সকলের উপর ফরয করেছে৷ সুতরাং জ্ঞানার্জনে নারীদেরকে ইসলাম উত্সানহিত করে৷ হযরত আয়েশা (র:) ছিলেন একজন মুহাদ্দিস৷ অতএব আপনার বক্তব্য ভিত্তিহীন৷
জওয়াব: ইসলামে নারীকে চাকরি করার অনুমতি দেয় স্বামীর দয়ার উপর৷ স্বামী অনুমতি না দিলে স্ত্রী চাকরি করতে পারবে না৷ আর স্ত্রী চাকরি করবেই বা কেন, যেহেতু স্বামী থেকে সবকিছু পাচ্ছে৷ আর যদি কর্তৃত্বের জন্য চাকরি করে, তা তো ইসলামে বৈধ হবে না, কারন স্বামীর আনুগত্য ফরয৷ বর্তমানে আমাদের দেশে নারীদের চাকরিতে আসার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷ এ প্রবণতার মুল অবদান আধুনিক নারী অধীকার আন্দোলনকারীদের৷ আমি নারী অধিকার আন্দোলনকারীদের বলছি না তারা অনেক ভাল/খারাপ৷আমি শুধুমাত্র সত্য তুলে ধরলাম৷ বর্তমানে আমাদের দেশে নারীদের যতটুকু কর্মক্ষেত্রে আসতে দেখা যাচ্ছে তার অনেকটা অবদান তাদের৷ পুরুষদের অথনৈতি কর্তৃত্বের কারনে দীর্ঘদিন যাবত নারীরা মুখবুজে নির্যাতন সহ্য করে আসছে৷
আপনি হয়ত বলবেন নারীরা নির্যাতিত হলে তার জন্য ইসলাম প্রতিকার নারীকে দিয়েছে৷ প্রথমত: নারী সালিসির মাধ্যমে মীমাংসা করার চেষ্টা করবে৷ মীমাংসা না হলে সে তালাক চেয়ে নিতে পারে৷
নারীকে অধিনস্ত করে দিয়ে তারপর নির্যাতিত হলে তা থেকে বেরিয়ে আসার এ সমাধান যথার্থ নয়৷ কারন প্রাথমিক কিছু নির্যাতন আছে যার প্রতিকারে সালিসি ডাকাও সম্ভব নয়৷ কাজের জন্য স্বামীর বা শশুর-শাশুরীর অন্যায়ভাবে বকা-ঝকা, বিভিন্ন সময় অপমানজনক কথা,ব্যবহার ইত্যাদি আচরনের মাধ্যমে পরিবারের দ্বিতীয় শ্রেনীর সদস্য হিসাবে গণ্য করা প্রাথমিক নির্যাতনের আওতায় পড়ে৷
দ্বিতীয় স্তরের নির্যাতন হলে সালিশি ডাকা সম্ভব৷ কিন্তু সেখানে কতটুকু ন্যায় বিচার পাবে তা প্রশ্ন থেকে যায়৷ আর ন্যায় বিচার না পেলেই যে তালাকের পথে হাটা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না৷ তাছাড়া আদালতের জটিলতা তো আছেই৷ সামাজিক মান সম্মানের বিষয় আছে৷ তাছাড়া তালাক গ্রহণ করলে তালাকের পর সন্তানেরা পিতা থেকে আলাদা হওয়াই তাদের মানসিক সুষ্ঠ বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়৷ এ মহিলার পক্ষে আবার বিবাহ সম্ভব হয় না৷ আবার বিবাহ হলেও পূর্বের স্বামীর সন্তানেরা সমস্যার সম্মুখিন হয়৷ তালাকাবস্থায় জীবনটা মনে হয় যেন অভিষাপের৷ মেয়ে সন্তান থাকলে তাদের ভালো পাত্রে বিবাহ দেয়া বেশ কঠিন হয়ে দাড়ায়৷ ইত্যাদি বিবেচনায় একজন নারী স্বামীর নির্যাতন থেকে বাচতে তালাকের পথে হাটার বদলে নির্যাতন সয়ে জীবন কাটানোই ঢের ভাল মনে করে৷ সুতরাং দেখা যাচ্ছে ইসলাম নারীকে পুরুষের অধীনস্ত রেখে তারপর তারা নিগৃহিত হলে তা থেকে বাচার যে উপায় বাতলে দিয়েছে তা যথার্থ নয়৷
এবার আসি নারী নেতৃত্বের বিষয়ে৷ নারী বিষয়ক মন্ত্রীত্ব বা নারী বিষয়ক হাতে গোনা কয়েকটি পদে আসতে পারাটা কখনো এ অর্থ করে না যে নারীরা সামাজিক সম্মানজনক পদে অধিষ্ঠিত হতে পারে৷
ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়ের উপর জ্ঞানার্জন ফরয করেছে৷ প্রশ্ন হল কোন কোন বিষয়ের কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরয৷ জ্ঞানার্জন ফরয ফলতে কি ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পাস না এম এ পাস করা ফরয? প্রতু্ত্তরে আপনি হয়ত বলবেন ইসলামের মৌলিক জ্ঞানার্জন ফরয৷ ইসলামের মৌলিক জ্ঞান বলতে নিশ্চয় ইসলামের ফরয বিধান ( যেমন-নামায,রোযা, হজ্জ,যাকাত,জিহাদ ইত্যাদি) ও মৌলিক আকিদা (যেমন-ইমান,ইসলাম,আখিরাত,কিতাব,ফেরেশতা ইত্যাদি) সম্পর্কে জ্ঞানার্জন বুঝায়৷ এতটুকু জ্ঞানার্জন করলে ফরয তো আদায় হয়ে যায়৷ বাকি জ্ঞানার্জন মুস্তাহাব৷ মুসলিম পরিবারগুলো নারীদেরকে বড়জোর একটি হুজুরের অধীনে এতটুকু জ্ঞানার্জন করে ছেড়ে দেবে৷
আমি বলি নাই যে ইসলাম সরাসরি নারীদের জ্ঞানার্জনে নিষেধ করেছে৷ আমার বক্তব্য হল নারীদের স্বামীর অধীনস্ত থাকার ইসলামের যে বিধান তা পরোক্ষভাবে নারীদেরকে শিক্ষার ব্যাপারে নিরুত্সাসহিত করে৷ যেহেতু স্বামীর উপার্জনের উপর সে পুরোপুরি নির্ভরশীল তাই ক্যারিয়ার নিয়ে তার কোন স্বপ্নই নেই৷ বেশি দুরে যেতে হবে না পনের/বিশ বছর আগে বাংলাদেশের নারীদের কি অবস্থা ছিল প্রত্যেক সচেতন বয়স্ক ব্যক্তি জানে৷ তখন প্রত্যেক পরিবারে ইসলাম ধর্মের প্রভাব বেশি ছিল৷
নারী মুক্তি আন্দোলন শুরু হল৷ তারা চাইল নারীরা ঘরের বাইরে আসুক৷ তারা কর্ম সচেতন হউক৷ তারা স্বনির্ভর হলে, স্বামীদের প্রভাব কমে আসবে৷ তখন স্বামীরা তথা পুরুষেরা একপেশে ভাবে তাদেরকে শোষন করতে পারবে না৷ এ আন্দোলনের ফলে আজ অনেক নারী কর্মজীবি হয়েছে৷ এ আন্দোলন শুরু হওয়ায় তখন আলেম সমাজ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল এ ভেবে যে, এ আন্দোলন ইসলামে নারী অধিকার সম্পর্কে যে বিধান রয়েছে তার প্রতি জনমনে বিরুপ প্রভাব পড়বে৷ তা থেকে রক্ষার জন্য তখন থেকে ইসলামে নারী অধিকার এ বিষয়ে ব্যপক লেখা-লেখি ও বক্তব্য বিবৃতি দেয়া শুরু হয়৷ এতকাল যে আমাদের দেশে নারীরা নির্যাতীত হচ্ছিল তখন নারী অধিকার সম্পর্কে আলেমদের লেখা-লেখি বক্তব্য-বিবৃতি কিছুই ছিল না৷ বরং নির্যাতীত নারীরা আলেমদের কাছে প্রতিকার চাইলে তাদের অনেকে এ বলে সান্তনা দিত যে স্বামীর কিছু বকা বা প্রহার করলে প্রতিবাদ করতে হয় না, তাতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন৷ তোমরা ধৈর্য্য ধর, আল্লাহ ধের্যশীলদের সাথে আছেন৷
কোন কোন নারী অভিযোগ দিলে বরং বঞ্চনার শিকার হতো এ বলে যে স্বামী বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া অসতি নারীর কাজ৷ স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাওয়া বড়ই পূন্যের কাজ৷ এমনকি এ প্রচারও করা হত যে 'স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেস্ত'৷ স্ত্রীর জন্য স্বামী কি করবে সে বক্তব্য খুব কমই হত৷ স্ত্রী স্বামীর সেবায় একনিষ্ঠভাবে নিজেকে নিবেদিত করবে- এমন বক্তব্য আপাত শুনতে ভালই শোনায়৷ কিন্তু এর পরিণতি অনেক খারাপ হয়ে থাকে৷ পুরুষদের মধ্যে এ প্রভুত্বসুলভ প্রবণতা তৈরি হয়, আর নারীরা অধীনতামুলক মানসিকতা নিয়ে বড় হয়৷
যাহোক বলছিলাম নারীবাদী আন্দোলনের ফলে নারীদের এক বৃহদাংশ ঘরের বাইরে আসতে শুরু করে৷ পর্যায়ক্রমে যারা এ নারীবাদীদের এ আন্দোলনের ঘোর বিরোধী ছিল তারাও তাদের মেয়েদের এখন চাকরি-বাকরিতে উত্সাদহিত করছে৷ এখন যে সব নারীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে তাদের মুল ইচ্ছা থাকে যে তারা চাকরি করবে, স্বনির্ভরশীল হবে, এবং তাদের এ অর্থনেতি শক্তি দ্বারা স্বামীর প্রভুত্ব প্রতিহত করবে৷ এ বাসনা শুধু সাধারণ নারীরাই করে তা নয়, বরং আমি নিজে এমন অনেককে দেখেছি যারা ইসলামী আন্দোলন করে, মুখে ইসলামে নারী অধিকারের বক্তব্য দিয়ে বেড়ায়,অথচ নিজে চাকরি করে এ নিয়তে যাতে সে স্বামীর উপরও প্রভুত্ব করতে পারে৷ এটা আমার অনুমান নয়,তাদের নিজ মুখে স্বীকারোক্তি৷
পুরষ ও নারীর কর্মক্ষেত্রের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: আমরা স্মরণাতীতকাল থেকে দেখে আসছি পুরুষ ও নারীর কর্মক্ষেত্র ভিন্ন৷ এর কারন কি৷ এর প্রধান কারন ধর্ম৷ প্রায় সকল ধর্ম নারীদের স্বামীর অধীন থেকে স্বামীর সেবা ও সংসার ব্যবস্থাপনার কথা বলে থাকে৷ আর পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ কোন না কোন ধর্ম অনুসরণ করে৷ এ কারনে বিশ্বজুড়ে এমন অবস্থা দেখা যায়৷ পূর্বের যুগে মানুষ বহুধরনের কুসংস্কারে বিশ্বাস করতো৷ কিছু মানুষ কিছু যাদু বিদ্যা বা অন্য কোন চাতুর্যপূর্ন কৌশল ইত্যাদি দ্বার অলৌকিক কিছু কার্য দ্বার অন্য মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করতো৷ মানুষ এসব বিশ্বাস করতো৷ আজ আধুনিক শিক্ষা-দীক্ষা ও বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়েছে৷
একটি জনপ্রিয় কথা ‘ এ জগতে যত উন্নতি এ পর্যন্ত হয়েছে তার অর্ধেক করেছে নারী আর অর্ধেক করেছে নর’- আমি এ কথার সাথে দ্বিমত পোষন করি। আমি মনে করি ‘এ জগতে যত উন্নতি এ পর্যন্ত হয়েছে তার কিয়দাংশ করেছে নারী আর অর্ধেক করেছে নর’। আমার মতে ‘নারী অর্ধেক করতে পারত, কিন্তু যুগে যুগে ধর্মের নামেই হোক বা যে নামেই হোক নারীকে সবসময় অবদমিত করে রাখা হয়েছে। যুগে যুগে তারা বঞ্চনার শিকার হয়েছে। আজ সভ্যতার যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, নারী জাতীকে যদি কোন যুগে অবদমিত করে রাখা না হত, সভ্যতা আরো অনেক দুর এগিয়ে যেত।
যে কারনে আল কুরআনকে স্রষ্টা প্রদত্ত গন্থ হিসাবে গ্রহণ করা যায় না
(আল কুরআনে নারী অধিকার সম্পর্কে বক্তব্যের পর্ব-৩)

(যাদের কাছে জন্মগতভাবে পাওয়া ধর্মের চেয়ে সত্য কল্যানের ধর্মই বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য এ লেখা।)
আল কুরআন যে নারী নীতিমালা দিয়েছে তা নারী জাতীর জন্য অনেক বঞ্চনার কারন। স্রষ্টা পদত্ত কোন বিধান এমন হতে পারে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছি নিম্নের লিঙ্কের প্রবন্ধে যার সারাংশ এখানে তুলে ধরছি:
আল কুরআন এর দৃষ্টিতে নারীর পরিচালক পুরুষ। অর্থ্যাৎ নারীরা পুরুষের অধীন হয়ে থেকে পুরুষের অনুগত্য করবে। সতিসাধ্ধি নারী তারাই যারা পুরুষের চরম অনুগত।অর্থ্যাৎ সংসারের সকল সিদ্ধান্ত নিবে পুরুষ, নারীর পরামর্শ পুরুষে নিতে পারে তবে তা ঐচ্ছিক। আর নারীকে অধীনস্ত করে রাখার হাতিয়ার হিসাবে পুরুষকে দিয়েছে অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব।আমাদের দেশে অন্যন্য আইনগুলো কুরআন থেকে নেয়া না হলেও পারিবারিক আইনটি কুরআন থেকে নেয়া।যার কারনে এ আইনের কুফল এ দেশের নারীরা বহুকাল আগের থেকে নিজ চোখে দেখে আসছে। নিম্নে কুফলগুলো তুলে ধরা হল(কুফলগুলো বিশ্লেষন করা হয়েছে মুল প্রবন্ধে যার লিঙ্ক উপরে দেয়া হয়েছে):
১. এ নীতি নারীদের শিক্ষা ও উন্নত জীবন গঠনে অনুৎসাহীত করে
২. নারীদের মেধা ও যোগ্যতা বিকাশে প্রধান অন্তরায়
৩. ব্যবস্থানাগতক্ষেত্রে এ নীতি নারীদের অযোগ্য করে তোলে
৪. জাতী তার অর্ধেক সম্পদ(নারী)এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়
৫. এ নীতির ফলে নারীরা মানসিক ও শারিরীকভাবে নির্যাতন ও নিগৃহিতের শিকার হয়

৪ নং পয়েন্টের উপর যে আপত্তি উঠতে পারে তার যথার্থ জবাব দেয়া প্রয়োজন মনে করছি। যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়ে থাকে তা হল নারী ঘরে থাকলে সন্তান পালনের যে দায়িত্ব পালন করে তাকে আমি খাটো করে দেখছি।
আচ্ছা, যদি ধরেও নেই যে সন্তান লালন পালনের ন্যয় গুরু দায়িত্ব পালনের জন্য নারীকে ঘরেই থাকা উচিত, তাহলে কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়? স্বামীর অধিনস্ত হয়ে ঘরে আবদ্ধ থাকলে উপরে উল্লেখিত অন্যন্য যে সমস্যাগুলোর উদ্ভব হয় সেগুলোর ব্যপারে আপনি কি বলবেন?
একটি সমাজের হাজার হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পরিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।ইসলামের দৃষ্টিতে নারীরা এ একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে থাকবে আর পুরুষদের প্রতিষ্ঠান হবে পরিবার সহ হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান। একজন নারী ঘরে থাকলে সন্তানকে বেশি সময় দিতে পারে ঠিকই কিন্তু তাকে ঘরে থাকতে হলে পুরুষের অধীন হতে হয় যা তাকে বঞ্চনার শিকার করে। আর সন্তান লালনে মা এর ভূমিকা বেশি বলতে পারেন তবে ১০০% নয়। আর মায়ের কাছে থাকার কারনে সন্তান যে সবসময় মা এর কাছ থেকে কল্যাণ পায় তা নয়। মা যদি সুশিক্ষিত না হয় তাহলে ঘরে থেকে সন্তানটি মায়ের থেকে বিভিন্ন কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস, অসদাচারন ইত্যাদিই শিক্ষা পেয়ে থাকে।কুরআনের নীতি মানলে যেহেতু নারীদেরে অর্থনৈতিক দায়িত্ব থাকে না, সেহেতু ক্ষুদ্রতম সংখ্যক নারীই শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হবে। এ নীতি থাকলে আপনি শুধু ওয়াজ করে, শিক্ষার গুরুত্ব ইত্যাদি বুঝিয়ে খুব বেশি একটি সংখ্যক নারীকে শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী করতে পারবেন না।
নারী যদি ঘরের বাইরে বৃহ্ত্তর কর্মক্ষেত্রে আসে তাহলে কি সন্তানকে আদর্শ করে লালন-পালন সম্ভব নয়? অবশ্যই সম্ভব। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে হবে। তাহল:
১. সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার সময় থেকে ১ বছর বাধ্যতামূলক ছুটি।
২. সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর দ্বিতীয় বছর থেকে পরবর্তী ৩ বছর (সন্তানের বয়স ৪ বছর হওয়া পর্যন্ত)সন্তানের মায়ের জন্য অর্ধ-বেলা (৪ ঘন্টা)অফিস সময় বাধ্যতামুলক করা যাতে করে মা সন্তানের কাছে বেশি সময় দিতে পারে।এরুপ সুযোগ দু’টি সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে করা যেতে পারে। এর চেয়ে বেশি সন্তান নিলে দায় দায়ীত্ব পিতা-মাতার।
৩. সন্তানের বয়স ৪ বছর হলে সে সকল সন্তানের জন্য কিন্ডারগার্টেন এর ন্যয় শিশু কেয়ার সেন্টার খোলা যেতে পারে।যেখানে শিশু মনস্তাত্বিক বিদ্যার উপর বিশেষ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত শিক্ষক, শিশুর শারীরিক মানসিক বিকাশে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক নিয়োজীত থাকবে যারা খেলাচ্ছলে শিশুদের সুন্দর মানুষ হিসাবে গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালন করবে।শিশুর সুন্দর মানসিক বিকাশে ভাল প্রশিক্ষন প্রাপ্ত অভিজ্ঞ লোকের প্রয়োজন যে প্রয়োজন এমন নারীরা যার চাকুরী না করে ঘরে থাকে তারাও পুরন করতে সক্ষম নয়।
এটা আমার প্রস্তাবনা।প্রকৃতপক্ষে এ নিয়ে আরো গবেষণা করে এর চেয়ে সুন্দর সমাধান বের করা যেতে পারে।যা নিয়ে গবেষণা হয় তা বিকাশ লাভ করে। যেমন শিক্ষা ব্যবস্তা,শিক্ষা দান পদ্ধতি ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা হচ্ছে।একজন শিক্ষক ছাত্রদের নিকট শিক্ষাকে কিভাবে আনন্দদায়ক করবে তা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, এর অনেক রেজাল্টও পাওয়া গেছে। আগামি দিনগুলোতে হয়ত ইহা আরো বিকাশ লাভ করবে।শিক্ষাকে আনন্দঘন করার গবেষণায় ব্রিটেন বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে।ঠিক একভাবে উপরোক্ত সমস্যা নিয়ে বিজ্ঞজনেরা রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা গবেষণা চালিয়ে গেলে আরো সুন্দরতম সমাধান বের হয়ে আসবে। আমার উপরোক্ত প্রস্তাবনা বুঝার সুবিধার্থে উদাহরণস্বরুপ দেয়া হয়েছে।
একটি সমাজ, সভ্যতা গঠিত হাজারও প্রতিষ্ঠান নিয়ে।সকল প্রতিষ্ঠানে নারী-পুরুষ উভয়ের মেধা, যোগ্যতার ছোয়া ও অবদান থাকে সে সমাজ ও জাতির বিকাশ উন্নয়ন অতি ত্বরান্বীত হবে।আর কুরআনের দৃষ্টিতে নারী শুধু সমাজের একটি প্রতিষ্ঠারে ভুমিকা রাখে যে প্রতিষ্ঠানে নারীর কোন চিন্তা গবেষনার প্রয়োজন হয় না, কর্মের নব নব ক্ষেত্র পায় না, কর্মের বৈচিত্রতা নেই যার ফলে এ সকল নারীরা গীবত-চোগলখুরি সহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। কার স্বামী ভাল কার স্বামী খারাপ, কার সন্তান কবে কি করেছে ইত্যাদি সহ বহু অর্থহীন কাজে তারা জড়িয়ে যায়।











২৩| ০৮ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:৫৫

বঙ্গতনয় বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.