নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কার্ণিশ ভাঙ্গা জানালার ফাঁক দিয়ে রাতের আকাশের যেটুকু অংশ দেখা যায়, অইটাই আমার পৃথিবী।
তুমি ছোঁয়া মাত্রই-
আগুন হয়ে উঠেছিল সূর্যকিরণ
জল হয়ে উঠেছিল সাতস্তরের ঢেউ
আর আমি-
আমি হয়ে উঠেছিলাম- কিটারোর ধাতব বাঁশি
আর তুমি ছোঁয়া মাত্রই তা নীলাদ্রি’র সেঁতারে বেঁজে উঠেছিল- কলিং গানেশা,
এটুকু এক নিঃশ্বাসে বলেই থেমে গেল নতুন প্রেমিকা।
তাঁর চোখজোড়া ক্রমশঃ শাদা, আরো শাদা হয়ে উঠছিল
সেখানে আইবল ছিল না।
তারপর? তারপর-
তুমি ছোঁয়া মাত্রই রেললাইনের উপর দিয়ে
খাদ্যগুদামের লরিটা সাঁই সাঁই ধেয়ে আসছিল
তুমি ছোঁয়া মাত্রই- এক ঝাঁক বুনো হাঁস দূর থেকে উড়ে এসে
শাদা পালক দিয়ে আমাকে অভিনন্দিত করেছিল
একটা পানকৌড়ি চোরা শিকারির ছোঁড়া তীরে-
সবুজ জলে ঘুরপাক খেতে খেতে ডুবে গিয়েছিল
আর সেখানে একটা লাল-সবুজের ক্যানভাস তৈরি হয়েছিল।
এরপর? এরপর-
বলতে গিয়ে কনের গলা ভারী হয়ে উঠেছিল ভীষণ
সামলে নিয়ে বলতে শুরু করল-
এরপর শীত আসছিল সেবার। ঘন কুয়াশা
আর সেই কুয়াশায় আগন্তুক মিশে গিয়েছিল।
আমি টেরও পাইনি।
যেমন আমি আজকে রাতে মিলিয়ে যাবো রাতের গভীরতায়
তুমি তা জানতেও পারোনি, পুরুষ।
একজন কবন্ধ প্রেমিক ডুপ্লেক্সের সিঁড়ি ভঙ্গে ভেঙ্গে গড়িয়ে পড়ছিল।
রাতের শেষ ট্রেন সজোরে হুইসেল বাঁজিয়ে চলে যাচ্ছিল
আগন্তুকের সাথে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০২
বাউলা সন্ন্যাসী বলেছেন: বহুদিন বাদে ভাই.....।
আর আগের কবিতা থেকে এটার লেখনী আলাধা হওয়ায় বেশ ভাল লাগলো।
চালিয়ে যান ভাই।