নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদ্মা সেতুর লাভের হিসাব লাখো কোটি। কিন্তু ক্ষতির হিসাব কই পাই?

২৫ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪



উত্তাল পদ্মার বুকে সেতু হয়েছে। যাতায়াত সহজ হবে, অর্থনীতি প্রবৃত্তি বৃদ্ধি, জিডিপি বৃদ্ধি, নির্মানকালী নানা ধরণের প্রযুক্তির ব্যবহার, বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদে আর সামাজিক যোগাযোগের আলোচনায় এটি প্রতিষ্ঠিত যে পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা বিবেচনায় একটি এ অঞ্চলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বেশকিছু সংবাদ পড়ছিলাম গত কয়েকদিন সংবাদ মাধ্যমগুলোর পদ্মা সেতু নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে এ সেতু নিয়ে বেশ কিছুটা চিন্তিত।

কারণ এদেশে সেতু মানেই নদীর বুকে চর, নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়া। এখন পর্যন্ত এ দেশে একটি সেতুর উদাহরণ দেওয়া যাবে না যা নদীবান্ধব হয়েছে বা নদীকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সবগুলো প্রকল্প নদীর গলা চেপে ধরতে চেয়েছে।


পদ্মা সেতু বানাতে একটা খরস্রোতা নদীকে বাগে আনতে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আলোচনা যেভাবে শুরু করেছিলেন পত্রিকাগুলোতে তাতে কিছু বক্তব্য পড়ে পদ্মার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। নিমার্ণের সাথে জড়িত কেউ বলছেন ভাল শাসন করেছি, জেদি চেপেছে, জেদ থেকে ..... করেছি। এ বাক্যগুলো পদ্মার সাথে যায় না। কারণ পদ্মার শুধু ভাঙ্গতে জানে না। পদ্মা আর্শিবাদ। পদ্মা এ দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ পানির অন্যতম জোগানদাতা, দেশের কৃষি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, মৎস সম্পদ, লবণাক্তা বৃদ্ধিরোধ, মরুকরণ থেকে রক্ষায় পদ্মা ভূমিকা মাথায় নিয়ে পদ্মার আলোচনা করা প্রয়োজন ছিল।

পদ্মা সেতু নিয়ে এত এত আলোচনার মাঝে এ প্রকল্প নিয়ে পরিবেশগত সমীক্ষা নিয়ে পত্রিকাগুলোতে তেমন আলোচনা নেই। কিন্তু এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পদ্মা সেতু থেকেও এ অঞ্চলে পদ্মার গুরুত্ব অনেক বেশি। পদ্মা সেতুর হাজার বিকল্প আছে বা থাকতে পারত। যে কারণে মানুষকে ঢাকা মুখী হতে হয় তা দক্ষিণ অঞ্চলে সহজেই নিয়ে যাওয়া যায়।


এ সেতুর বিপরীতে অন্য কি বিকল্প ছিল তা নিয়ে তেমন কন আলোচনা হয়নি। যতটা বলা হচ্ছে যে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। কিসে পরিবর্তণ ঢাকা কেন্দ্রিক সব গন্তব্যই কি ভাগ্য পরিবর্তন ।

এটি স্পষ্ট সেতু কি আবারও ঢাকা কেন্দ্রিক উন্নয়নকেই প্রাধান্য দিয়েছে। পদ্মা সেতু টাকা দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বিনিয়োগ করলে হাজারগুণ বেশি অর্থনীতির অগ্রগতি সম্ভব হত। উন্নয়নের বিকেন্দ্রিকরণ হত। পরিবেশ ও নদীবান্ধব উন্নয়ন হত।

কিন্তু এ আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন। এ দেশের নদীর ভূমিকা শুধু কাগজে বা মুখে বলেই হবে না। ভৌগলিক কারণে নদীর অস্তিত কোনভাবে মুছে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের উন্নয়নবাদের তত্ত্ব ও প্রযুক্তিজ্ঞানে নেই এটা মনে রাখতে হবে। পদ্মার স্বাভাবিক প্রবাহ বাধা দিয়ে এ উপর বিরুপ প্রভাব আগামীতে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলসহ সারাদেশে কি প্রভাব ফেলে তা দেখার বিষয়।

সেই প্রভাবে আজকের অনেক অর্জন হয়তো তখন বিস্বাদ হবে। আমাদের যদি ব্যাপক আলোচনার সুযোগ থাকতো তাহলে হয়তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতেই পারতাম যে সেতু চাই নাকি দক্ষিণ অঞ্চলে হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ চাই।

আলোচনা শুরুর জন্য আজকের দিনটা মন্দ নয়। কারণ সেতু আরো হবে। সব সেতুর গন্তব্য তো ঢাকায়।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



সেতু পানি স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা দিবে?

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:১৮

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: জ্বি । ভৈরব সেতুর পর আপনি হাওরের জলাবদ্ধতা অনেক বেড়ে গেছে।

২| ২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: প্রশাসনিক বিভাজন দরকার এবং তা এই মুহূর্তে ।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:১৮

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: এইটা সেতু থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ

৩| ২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩২

শাহ আজিজ বলেছেন: @সোনাগাজী

সেতু পানি প্রবাহে বাঁধা হবে না কিন্তু চর পড়তে সাহায্য করবে যেমন দেখেছি যমুনার নিচে ।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:২৬

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: পানি প্রবাহ যে বাধাগ্রস্থ হবে তা কিন্তু স্বীকৃত। সেতুর সাথে জড়িত সবাই স্বীকার করে। তবে কতটা কম হবে তাই ছিল মূল বিষয়। আর চর পরবে কিনা তার জন্য অপেক্ষা।

৪| ২৫ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কামাল৮০ বলেছেন: সেতুর প্রয়োজন ছিল।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৩২

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ছিল বলেই হয়তো হয়েছে। কিন্তু বিকল্প আর কি কি ছলি

৫| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: এই সেতু নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:০৮

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: অবশ্যই

৬| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:২৯

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: সব কিছু মুদ্রা দিয়ে লাভ ক্ষতি করা যায় না। একজন রোগী এম্বল্যান্স দিয়ে শরীয়তপুর থেকে ঢাকা যেতে পারবে। এতে তার সময় কম লাগছে। আবার বার বার গাড়ি পরিবর্তন করা লাগছে না।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৫৪

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: যদি হাসপাতাল ওখানে বানানো হয় তাহলে তো রোগীকে ঢাকায় আসতে হয় না

৭| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন ,




পদ্মাকে শাসন করা হলেও কর্তৃপক্ষ বলেছেন, এতে পদ্মার গতি প্রবাহে কোনও বাঁধার সৃষ্টি করা হয়নি। আশার কথা!
তবুও বিষয়টি ভেবে দেখার মতো কারন -------
দেশের নদীগুলো দিয়ে প্রতি বছর যে ২৫০ কোটি মেট্রিক টন পলি সাগরে গিয়ে পড়ে তার সিংহভাগই পদ্মা হয়ে মেঘনা নদী বাহিত । যে পলি এ পর্যন্ত সাগরে গিয়ে জমা হয়েছে তাতে নদীর মোহনা ভরাট হয়ে নিত্য নতুন চর জাগছে। এতে উপকূলবর্তী এলাকার সাগরের গভীরতা কমছে। বঙ্গোপসাগর পৃষ্ঠ থেকে দেশের মধ্যভাগের উচ্চতা মনে হয় এখন ১৩/১৪ ফুটের মতো । আরও অল্প কয়েক দশকের মধ্যে বঙ্গোপসাগর পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে সাড়ে ৩ ফুটের মতো। তখন ঢাকা সহ মধ্যভাগের উচ্চতা দাঁড়াবে মাত্র ১০ ফুটে। পানি প্রবাহে ধীরগতি হবে যার কারনে মেঘনা আর পদ্মার বুকে পলি জমে যেতেই পারে।
আপনি যেহেতু অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন , "সেতু মানেই চর" আর সহ ব্লগার শাহ আজিজ ও যমুনা সেতুর নীচে চর পড়েছে দেখেছেন তাতে মনে হয় , এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

কারনটি শুধু মাত্র পদ্মা সেতু না হলেও বিষয়টি আলোচনা আর ভেবে দেখার দাবী রাখে।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৫

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ব্লগে এমন একটা আলোচনা করাই যায়

৮| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:২০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখকের সাথে সহমত পোষণ করছি। সেতু যে একটা বিরাট অর্জন সেটা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই কিন্তু সম্ভাব্য সমস্যাগুলোর বিষয় নিয়ে অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো জরুরী। সবকিছু ঢাকা কেন্দ্রিক চিন্তা করাটাও ভুল। লিখার জন্য ধন্যবাদ।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৩২

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: আলোচনা শুরু করা যেতে পারে। কারণ লবণাক্তের পরিমাণ কতটা বাড়বে যদি পদ্মার পানির চাপ কমে তা ধারনা করা যাবে না। নদী ভাঙ্গা কোথায় গিয়ে শুরু আর শেষ হবে তা পদ্মার কোন পাড়ের মানুষ ধারনা করতে পারবে না।

৯| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৬

নিমো বলেছেন: উন্নয়ন মানেই পরিবেশ সংকট। পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন বলে কিছু নেই। টেকসই উন্নয়ন একটা গালভরা বুলির চেয়ে বেশি কিছু নয়। সেভাবে চিন্তা করলে প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে কৃষিকাজ বন্ধ করে দেয়া দেয়া। তারপর পশুপালন। সভ্যতা, নগরায়ণ, শিল্পায়ন মানেই পরিবেশ ধ্বংস। সেদিক বিবেচনায় করোনা আশির্বাদ হয়ে এসেছে। আপনার এই পোস্ট আর আমার মন্তব্যের কারণে কার্বন নিঃসরণের পরিমানটা বলুনতো কিংবা কতটুকু ইকোলজিক্যাল ফুটপ্রিন্ট রক্ষিত হয়েছে ? আলোচনা অবশ্যই দরকার।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:২৯

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ক্ষতি কতটা কমানো যায়। আর না বানিয়ে অন্য কি করা যায়। তা নিয়ে আলোচনা করা যেত। হ্যাঁ আমার পোস্ট কার্বন নিঃসরণে ভূমিকা রাখবে

১০| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:২৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

ঢাকায় ঢুকতে ফেরীর জ্যাম পোহাতে হতে পারে।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:২৭

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: সবাইকে ঢাকায় আনার চেষ্টা হলে ফেরি থেকে আরো বেশি ভয়াবহ হবে।

১১| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:১৭

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: নেগেটিভ ভাবনার লোকও আছে। থাকবে না কেন? থাকাই তো স্বাভাবিক।

২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৩

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: এখানে নেগেটিভ ভাবনা হল নাকি?

১২| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সব চেয়ে বড় কথা বাংগালী
মাথা নোয়াবার নয়!

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:০৬

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: হুম। তবে কোথায় নোয়ায় না তাহল বিষয়

১৩| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:১২

বিটপি বলেছেন: এই সেতু নির্মাণের কোন বিকল্প ছিলনা। এই সেতু নির্মাণ করতেই হত। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই সেতু বর্তমান অবস্থানের বদলে যদি দোহারে নির্মাণ করা হত, তবে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে কোন বাধা হতনা, নির্মাণ ব্যয়ও কম হত। তবে এটা ঠিক যে কানেকটিং সড়ক বানাতে অতিরিক্ত অনেক টাকা খরচ হত।

পদ্মা সেতুর একটা ক্ষতির হিসাব হতে পারে এরকম যে, লঞ্চ এবং ফেরী কেন্দ্রিক ব্যবসাগুলোর মাথায় হাত পড়বে। ঢাকামূখী মানুষের চাপ বাড়বে।

২৬ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:২৪

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: সারা বরিশালের মানুষের কালো অধ্যায় যে না হয় পদ্মা

১৪| ২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ক্ষতির হিসার সরকার বদল হলে পাবেন তার আগে না।

২৬ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৯

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: তবে সবার বেলায় এ তথ্য পেতে হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.