নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/shusmitashyamaofficial

স্বাগতম

সুস্মিতা শ্যামা

লেখাটা আমার প‌্যাশন। তবুও লিখি খুব কম। তখনই লিখি যখন আর না লিখে কোন উপায় থাকে না। মাথাটা যখন ভার হয়ে যায়, চিন্তাগুলো প্রসববেদনার মত কষ্ট দেয়, তখন লিখতে বসি। লিখে কিছু পরিবর্তন করার আশা করি না। নিজের ভাবনাগুলো নিজের কাছে আর একটু ভাল করে প্রকাশ করার জন্য লিখি। আমারর চরিত্রগুলোর আনন্দ-বেদনা আর বদলের সঙ্গী হবার জন্য লিখি।\nআমার সবচাইতে বড় পরিচয়- আমি সিরিয়াস পাঠক। আপাতদৃষ্টিতে অসামাজিক। নিজেকে মাঝে মাঝে ভীষণ বিরক্তিকর বলে মনে হয়; ঠিক তখনই মনে পড়ে, ঈশ্বর/আল্লাহ/সৃষ্টিকর্তা বড় ভালবেসে আমায় তৈরি করেছেন। তিনি আমার হাজার খামতি সত্ত্বেও আমাকে সঙ্গ দিয়ে চলেছেন। একথাটা ভাবলে নিজেকে বা অন্যকে ভালবাসতে বা ক্ষমা করতে আর অসুবিধা হয় না। \nআমার ফেসবুক ঠিকানা: https://www.facebook.com/shusmitashyamaofficial

সুস্মিতা শ্যামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে রূপকথার রচয়িতা স্বয়ং ঈশ্বর

১০ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

এটি একটি বিলম্বিত পোস্ট। গতকালকের উপলক্ষে আজ লিখছি। আমার জানামতে, নিচের গল্পটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম রূপকথা।
আজ থেকে বহু বছর আগে, কোন এক কলেজের এক তরুণ শিক্ষক এক্সাম হলে ডিউটি দিচ্ছিলেন। হঠা দেখলেন, এক পরীক্ষার্থীনী লেখা বন্ধ করে বসে আছে। কৌতুহলী শিক্ষক জানতে চাইলেন, "কী ব্যাপার, তুমি কিছু লিখছো না কেন?"
"দেখছেনই তো স্যার, কলমের কালি শেষ। কী করে লিখব?"
"তুমি চাইলে আমার কলমটা নিতে পার। তবে পরীক্ষা শেষে আবার ফেরত দিয়ে যেতে হবে।"
"আপনার কলম অযথা রেখে দেওয়ার কোন কারণ আছে? এখন আপাতত দেন। লিখে নিই। পরীক্ষা শেষে পেয়ে যাবেন।" সাহসিনী শিক্ষার্থীর নির্বিকার জবাব।
তরুণ শিক্ষকটি ছাত্রীর এহেন উত্তরের ধরণে খানিকটা আশ্চর্য হলেন। কলমটা দিয়ে দিলেন। পরীক্ষা শেষে ফেরতও পেলেন। দুজনই সময়োচিত গাম্ভীর্য বজায় রেখে কলম আদানপ্রদান সারলেন।
কিন্তু খাতা দেখার সময়ে সেই বিশেষ এবং আপাত-উদ্ধত ছাত্রীটির খাতা সনাক্ত করতে তার এক সেকেন্ডও সময় লাগল না। আর তাই দেখে বিধাতাপুরুষ মুচকি হাসলেন। কারণ এই আপাত গম্ভীর তরুণ এবং এই শিক্ষার্থিনীর জীবনের স্ক্রিপ্ট যে তারই লেখা!
পুরো কলেজে মুডি বলে পরিচিত মেয়েদের প্রতি উদাসীন সেই মাস্টারমশাই ওই অদ্ভুত মেয়েটিকে ভুলতে পারলেন না। মেয়েটি একটু বেশিই অন্যরকম। সাজগোছের বালাই নেই। মনোযোগ আকর্ষণের কোন চেষ্টা নেই। নিজের চেহারাকে সুন্দর করে তোলার কোন বাড়তি প্রয়াস নেই। বাইরে বের হওয়ার আগে মনোযোগ দিয়ে আয়নাটা দেখে কীনা সন্দেহ! এমনও অদ্ভূত মেয়ে হয় পৃথিবীতে!
আর ঠিক এই কারণেই এই অনন্য মেয়েটিকে ভোলা তার পক্ষে সম্ভব হল না।
বাকিটা ছিল শুধু সময়ের ব্যাপার। স্ক্রীপ্ট এগিয়ে চলল। আর দশটা রুপকথার শেষে যেমনটা হয়, তেমনটাই হল।
ধুমধাম করে দুজনের বিয়ে হল।
অর্থে নয়, বিত্তে নয়, কিন্তু ভালবাসার সাম্রাজ্যে তারা রাজা এবং রাণী। তাদের কোল্ আলো করে আসার কথা ছিল এক ফুটফুটে রাজকন্যার। তার বদলে এল একটি বিশুদ্ধ বাঁদর।
রাজা আর রাণী ভালবেসে সেই বাঁদরের নাম রাখলেন সুস্মিতা শ্যামা।
গতকাল রাজা-রাণীর বিবাহবার্ষিকী ছিল। রাণীমাকে মা দিবসের শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দারুন ব্যাপার তো। পড়ে অনেক ভাল্লাগলো। :)

১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০১

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। ভাললাগা জানিয়ে যাবার জন্য আমার কৃতজ্ঞতা রইল।
ভাল থাকবেন। :)

২| ১০ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

ওয়্যারউলফ বলেছেন: বোকারা নকি নিজে নিজে হাসে!! আমি বোকামি করলাম।

১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: উহু! বোকারা নিজেই নিজের জন্মকাহিনী লিখতে বসে। আমি সেই বোকামিটা করলাম। আর আপনি সেই বোকামিটা দেখে হাসলেন। হাহাহাহা!
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। :)

৩| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক শুভকামনা রইলো।

১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: আপনার প্রতিও অনেক শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন, ভাইয়া।

৪| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুস্মিতা শ্যামা ,



শিক্ষকের কলমে ছাত্রীর জীবনালেখ্য রচিত হয়ে গেলো । এটুকু যদি সত্যি হয় তবে বলতেই হয় সে রূপকথার রচয়িতা স্বয়ং ঈশ্বর ।

লিখেছেন - রুপকথার শেষে যেমনটা হয়, তেমনটাই হল।
ধুমধাম করে দুজনের বিয়ে হল।
কিন্তু "নটে গাছটি মুড়লো" একথা লেখেননি । একটা ফাঁক থেকে গেলো । ভরে দিচ্ছি --- বিয়ের সে ফুল থেকে একটি ফল হলো , সুস্মিত হাসিতে ভরিয়ে দিল সে এক শ্যামলা পৃথিবীকে । (বাঁদর নয় মোটেও )

রূপকথার সেই গর্ভধারিণীকে এই বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা ।


১৩ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: এত চমৎকার নান্দনিক মন্তব্য! মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
ভাল থাকবেন।
আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকেও শুভেচ্ছা জানাই। :)

৫| ১৩ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: রূপকথার গল্পের রাজা এবং রাণী কে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা। আর গল্পের সবচেয়ে ভাল লাগা অংশটুকু হল “রাজা আর রাণী ভালবেসে সেই বাঁদরের নাম রাখলেন সুস্মিতা শ্যামা। ”




১৩ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: এক্কেবারে খাঁটি কথা। ওটুকু আমারও সবচেয়ে ভাল লাগার অংশ। হাহাহা!
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা, ভাইয়া। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.