নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/shusmitashyamaofficial

স্বাগতম

সুস্মিতা শ্যামা

লেখাটা আমার প‌্যাশন। তবুও লিখি খুব কম। তখনই লিখি যখন আর না লিখে কোন উপায় থাকে না। মাথাটা যখন ভার হয়ে যায়, চিন্তাগুলো প্রসববেদনার মত কষ্ট দেয়, তখন লিখতে বসি। লিখে কিছু পরিবর্তন করার আশা করি না। নিজের ভাবনাগুলো নিজের কাছে আর একটু ভাল করে প্রকাশ করার জন্য লিখি। আমারর চরিত্রগুলোর আনন্দ-বেদনা আর বদলের সঙ্গী হবার জন্য লিখি।\nআমার সবচাইতে বড় পরিচয়- আমি সিরিয়াস পাঠক। আপাতদৃষ্টিতে অসামাজিক। নিজেকে মাঝে মাঝে ভীষণ বিরক্তিকর বলে মনে হয়; ঠিক তখনই মনে পড়ে, ঈশ্বর/আল্লাহ/সৃষ্টিকর্তা বড় ভালবেসে আমায় তৈরি করেছেন। তিনি আমার হাজার খামতি সত্ত্বেও আমাকে সঙ্গ দিয়ে চলেছেন। একথাটা ভাবলে নিজেকে বা অন্যকে ভালবাসতে বা ক্ষমা করতে আর অসুবিধা হয় না। \nআমার ফেসবুক ঠিকানা: https://www.facebook.com/shusmitashyamaofficial

সুস্মিতা শ্যামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের মা ভাবনা ও একজন সাকিব আল হাসান

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:২৭


আমার কর্মজীবনের একটা বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে মেন্টরিং করা, মূল্যবোধের উপর সেশন নেওয়া। আমার মত একটা পাগলাটে মানুষের কাছে যারা পরামর্শ নিতে আসেন, তারা যে কতটা অসহায় সেটা বলাই বাহুল্য। গ্রাম থেকে গ্রামে, শহরের বিভিন্ন কোণে, সেশন নিতে গিয়ে আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি- মানুষের সমস্যা আর জটিলতার অন্যতম মূল উৎস হল- আত্মবিশ্বাসের অভাব। আমি প্রায়ই আমার নারী Participant- দের একটা প্রশ্ন করি- “আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মেয়ে?” অধিকাংশই খুব অস্বস্তিভরে একটা হাসি দেয়।

অনেকের চোখে স্পষ্ট প্রতিবাদ এবং অবিশ্বাসের দৃষ্টি দেখি। আমি তখন মায়েদের দিকে তাকিয়ে বলি, “আপনার বাচ্চার কাছে যদি এই মুহুর্তে শাবানা বা ববিতাকে এনে দেওয়া হয়- বলা হয় যে, আজ থেকে এই সুন্দরী মহিলাটি তোমার মা- আপনার কি মনে হয় আপনার বাচ্চা আপনাকে ছেড়ে তার কাছে যাবে?” তখন সবাই একবাক্যে বলেন, “না, যাবে না।” তখন আমি বলি, “এবার কি বুঝলেন, পৃথিবীতে কোন একজনের চোখে আপনি সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত?” যে শিশুর মুখে কথা ফোটে নি, সে-ও তার কান্না দিয়ে বুঝিয়ে দেয়, তার মাকে সে অন্য কাউকে দিয়ে রিপ্লেস করবে না।
একই কথা, মায়ের ক্ষেত্রেও সত্য। তার চোখে তার সন্তানের চেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি আর কেউ নেই। এই কথাগুলো বলার একটা কারণ আছে। আপনি যতক্ষণ নিজেকে ভালবাসতে না পারবেন, ততক্ষণ অন্যকে ভালবাসা আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না। যে মেয়ে নিজেকে সুন্দর ভাবে না, সে মেয়ে অন্য মেয়ের সৌন্দর্য অ্যাপ্রিশিয়েট করতে পারবে না। অন্যের সৌন্দর্য তার মনে কেবলই ঈর্ষা জাগাবে। সৌন্দর্য দর্শনের নির্মল আনন্দ জাগাবে না।
সাধে কি যীশু বলেছিলেন- “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাস”! তাঁর ভাষ্যমতে, এইটুকু করতে পারলেই পৃথিবীর সমস্ত আইন-কানুন মান্য করা হয়ে যায়। আসলেই তাই। নিজেকে যেভাবে ভালবাসেন, সেভাবে ভালবাসলে আপনি কোন মানুষকে কষ্ট দিতে পারবেন না। কিন্তু, আমরা পোস্ট-মর্ডান মানুষ যে নিজেকে ভালবাসতেই ভুলে গেছি! সারাক্ষণ inferiority complex আমাদের কুরে কুরে খায়।

সবশেষে , পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে বলি, মায়ের চোখ দিয়ে পৃথিবীটা দেখুন। নিজেকে আগে ভালবাসুন, তারপর বাকি সবাইকে ভালবাসতে পারবেন। যারা নিজেকে ভালবাসেন না, তারা অন্যকে সম্মান দিতে পারবেন না। তাদের দিন গুজরান হবে সাকিব আল হাসানের পোস্টে জ্ঞান বিতরণ করে, অশ্লীল কমেন্ট করে। কারণ নিজের মনের গহীনে তারা জানেন, এ জগতে কেউ তাদের পোছে না। সাকিবের পোস্টে কমেন্ট করে তাও যদি মানুষের দৃষ্টি কাড়া যায়। ভাল কাজ দিয়ে কারো নজর কাড়ার সাধ্য যেহেতু নেই, অতএব বিখ্যাত মানুষের গায়ে কাদা ছুঁড়ে কুখ্যাত হই। এইসব হীনম্মন্য মানুষের জন্য রইল আমার আন্তরিক সমবেদনা। এরা কি কোনদিন নিজের মায়ের চোখ দিয়ে নিজেকে দেখবেন? কী জানি!

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

রাফা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন করেছেন।হিনমন্যতায় ভোগা মানুষগুলোই আবোল তাবোল বলে দৃষ্টিতে আসতে চায়।

ধন্যবাদ,সু.শ্যামা।

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, রাফা! ভাল থাকবেন।

২| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।আমরা আসলে দিন দিন মূর্খই হয়ে যাচ্ছি।

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৫৮

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: আমাদের পজেটিভ অ্যাটিচুড একেবারেই লোপ পাচ্ছে। তাই মনটা বদ্ধ হয়ে যাচ্ছে, আর আামরা মূর্খই থেকে যাচ্ছি।

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৫৯

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: মন্ত্যব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

৩| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ।

//যারা নিজেকে ভালবাসেন না, তারা অন্যকে সম্মান দিতে পারবেন না। তাদের দিন গুজরান হবে সাকিব আল হাসানের পোস্টে জ্ঞান বিতরণ করে, অশ্লীল কমেন্ট করে।// -- সহমত !!!

ভাল থাকুন। সবসময়।

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:০০

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন আপনিও।

৪| ০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

কলাবাগান১ বলেছেন: "ভাল কাজ দিয়ে কারো নজর কাড়ার সাধ্য যেহেতু নেই, অতএব বিখ্যাত মানুষের গায়ে কাদা ছুঁড়ে কুখ্যাত হই। "
দূর্ভাগ্য যে এই সব লোকের সংখ্যাই বেশী

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:০১

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: আসলেই দুর্ভাগ্য। ভাল থাকবেন।

৫| ০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বেশ ভালো ভাবনা!

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:০২

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

রাােসল বলেছেন: thanks. pray your regular writing.

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:০৩

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: নিয়মিত লিখতে বলছেন? আমার মত আলসের জন্য সে বড় কঠিন কাজ। আপনাকে ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

পুলহ বলেছেন: সংক্ষিপ্ত পোস্টে অত্যন্ত শক্তিশালি এক অবজার্ভেশন তুলে ধরেছেন। আপনার তুলে ধরা এই দর্শন হৃদয়ে, মনে ধারণ করতে পারাটাও নিঃসন্দেহে সাধনার বিষয়।
ইসলাম ধর্মেও মুসলিমদের এ উপদেশ দেয়া হয়েছে যে- তারা নিজের জন্য যা পছন্দ করে, অন্য ভাইদের জন্যও যেন সেটাই করে; যীশুর বাণীর প্রাসঙ্গিক হওয়ায় বিষয়টা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না।
"নিজেকে আগে ভালবাসুন, তারপর বাকি সবাইকে ভালবাসতে পারবেন।"-- সম্পূর্ণ সহমত।
পরিশেষে- এ জগতে কেউ যাদেরকে 'পোছে' না, বড় মানুষদের গায়ে কাদা লাগিয়ে যারা উপরে উঠতে চায়- আপনার সাথে সুর মিলিয়ে তাদের প্রতি আমারো সমবেদনা।
ভালো থাকবেন!

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:০৫

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।

৮| ০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো বলেছেন।

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:০৭

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: তাই? নিয়মিত ধৈর্য ধরে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৯| ০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০৯

লা-তাহ্‌যান বলেছেন: এভাবে ত আগে ভাবিনি! ভাল লাগল।

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:০৮

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: মন্তব্য পেয়ে আমারো ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১:২৫

আমিই মিসির আলী বলেছেন: “আপনার বাচ্চার কাছে যদি এই মুহুর্তে শাবানা বা ববিতাকে এনে দেওয়া হয়- বলা হয় যে, আজ থেকে এই সুন্দরী মহিলাটি তোমার মা- আপনার কি মনে হয় আপনার বাচ্চা আপনাকে ছেড়ে তার কাছে যাবে?” তখন সবাই একবাক্যে বলেন, “না, যাবে না।” তখন আমি বলি, “এবার কি বুঝলেন, পৃথিবীতে কোন একজনের চোখে আপনি সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত?” যে শিশুর মুখে কথা ফোটে নি, সে-ও তার কান্না দিয়ে বুঝিয়ে দেয়, তার মাকে সে অন্য কাউকে দিয়ে রিপ্লেস করবে না। চমৎকার লাগলো কথাটা। অসাধারণ উপলব্ধি।

১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:১০

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য। ভাল থাকবেন।

১১| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১০

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: এমন সুন্দর লেখনীর জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
শুভকামনা রইল।

১২| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: তো মা ভাবনার সাথে সাকিব আল হাসান কিভাবে যুক্ত হলো ?

অপ্রাসঙ্গিক কথা-বার্তা.................

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: মা দিবসে মা বিষয়ে সাকিবের পোসে্টর নিচের অরুচিকর মন্তব্যগুলো দেখার পরে এটা লিখেছিলাম। আমার কাছে সাকিবকে তখন প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছিল। আপনার এটা খাপছাড়া লেগে থাকলে আমি সেজন্য দু:খিত।
ভাল থাকবেন।

১৩| ১০ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

জেন রসি বলেছেন: যে নিজেকে ভালোবাসতে পারেনা, সে আসলে অন্য কোন কিছুকেই ভালোবাসতে পারেনা। গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছেন।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অল্প কথার শক্ত গাঁথুনিতে একটা চমৎকার দর্শন বুঝিয়ে গেলেন। ধন্যবাদ আপনাকে এজন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.