নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পারলে করো, করে দেখাও

তুমি সুবিধার জন্য ব্যালেন্স করে চলতে পছন্দ করো, তাই নীতির সাথে আপোষ করতে তোমার আর বাধে না। আমি পারি না বলে আমার কাছের মানুষগুলো ও অনেক সময় পর হয়ে যায়। নেহায়েৎ আপন স্বার্থে তুমি তোমার উপকারীর শত্রুর সাথে সখ্যতা রেখে চলো, পাছে ভুলে যেতে থাকো তোমার উপকা

শেখ মেহেদী মির্জা

পারলে করো, করে দেখাও

শেখ মেহেদী মির্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাজারের ভন্ডামী নির্মূল হোক..............।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২০

কুমিল্লার ঠাকুরপাড়ায় এক পীর সাহেবের মাজার আছে "আযিযীয়া দরবার শরীফ" নামে। এখানে প্রচুর মুরিদ-ভক্তের সমাগম হয় এবং প্রচুর মানতের টাকা ও বস্তু জমা পরে।



একবার ওনার মাজারে গিলাপ পরানোর সময় দেখা গেলো, নতুন বানানো গিলাপ টা কিছুটা ছোট হয়ে গেছে, মাজারের লোকজন অনেক চেষ্টা করেও কিছু করতে পারলো না। তারপর পীরের ছেলে গেলেন বাবার দরবারে। কেঁদে বললেন, বাবা, অনেক চেষ্টা করেও তোমার ইজ্জৎ আবৃত করতে পারলাম না। এখানে উল্লেখ্য যে পীর সাহেবের ছেলে বাক-শক্তিহীন যিনি এখন তার বাবার আসনে আসীন। আবার উনার মেয়ে বাংলা সিনেমার নায়িকা......!:P



পরের দিন সকালে উঠে মাজারের লোকজন দেখতে পেল, গিলাপ এতো বড় হয়েছে যে পীর সাহেবের মাজার ঢেকেও আরো ১ হাতের মতো অতিরিক্ত আছে। ঘটনা চক্রে পীর সাহেবের পরিবারের লোকজন আমাকে নিয়ে তা দেখালো।



তখন আমার সাথে মাজারের খাদেম সহ সবচেয়ে সিনিয়র এবং শিক্ষিত কয়েকজনের সাথে কথা হইলোঃ



আমিঃ হুজুর, পীর সাহেবের কী কোন ক্ষমতা আছে?



হুজুরঃ না, সব ক্ষমতা আল্লাহর, তিনি যখন খুশি যাকে-তাকে এটা দান করতে পারেন।



আমিঃ গিলাপের ব্যাপারটা কিভাবে?



হুজুরঃ পীর বাবা আল্লাহকে বলেছেন, তিনি তা করে দিয়েছেন।



আমিঃ “আমি যখন কোন কিছু করার ইচ্ছা করি; তখন তাকে কেবল এতটুকুই বলি যে, "হয়ে যাও"। সুতরাং তা হয়ে যায়।" (১৬:৪০), এইটা তো হুজুর কোরানে লেখা আছে, সুতরাং, পীর সাহেব আল্লাহর কাছে আর্জী জানাইছে পরে আল্লাহ শুধু এই কথা বলছেন আর হয়ে গেছে, তাই তো?



হুজুরঃ হ্যা হ্যা। তাই।



আমিঃ তাহলে তো উনি অনেক কামেল পীর, তাই না?



হুজুরঃ অবশ্যই। অমুক জায়গায় অমুক কোটিপতি হয়ে গেছে, তমুক জায়গায় তমুক হারানো ঐশ্বর্য ফেরত পাইছে......।



আমিঃ আচ্ছা আচ্ছা! হুজুর আমার একটা আর্জী ছিলো? কী করতে হবে?



হুজুরঃ মানত কর, কান্নাকাটি করো, বাবার কাছে চাও। তিনি তো দেয়ার জন্যই বসে আছেন।



আমিঃ ঠিক আছে, আমি ৫টা গরু আর ১ লাখ টাকা মানত করলাম, যদি আমার নিয়ত অলৌকিক ভাবে এই গিলাপ বড় হওয়ার ঘটনার মতো পূরন হয়, তাহলে আমি এসব বাবার পায়ের কাছে এসে দিয়ে যাবো।



হুজুরঃ বলো বাবা, কী আর্জী তোমার?



আমিঃ হুজুর, আমার জন্য না। দেশের মানুষের জন্য একটা জিনিস...,। বাবা তো চাইলে আজ রাতেই করে দিতে পারে...।। কাল কত না উৎসব হবে সমগ্র দেশে...।।



হুজুরঃ কী বিষয়? বলো...।



আমিঃ হুজুর, পদ্মা সেতু টা। তিনি তো চাইলে আজ রাতেই করতে পারে। তিনি কী শুধু তাঁর গিলাপ বড় করার জন্যই কামেল? দেশের মানুষের জন্য কী তাঁর কোন দায়িত্ব নাই? লাগবে না উনার দায়িত্ব, আমার আর্জী পূরণ হলেই আমি মানতের অর্থ-বস্তু সব দিয়ে যাবো।



লা জওয়াব হয়ে গেলেন সব...।। অনেক ক্ষণ অনেক কিছু বললাম, কারো মুখ দিয়ে কোনো কথা বলাতে পারলাম না।



বাংলাদেশের প্রতি বর্গফুট জায়গায় একটা করে মাজার আছে। সরকারের উচিত "পীর কোয়ালিশন" গঠন কইরা বলা, যে আপনেরা তো বহু বছর যাবত বহু মানুষের মনের আশা পূর্ণ কইরা আসতেছেন, এই বার দয়া কইরা এই পদ্মা সেতুটা কইরা দেন।



গিলাপ বড় করতে যেই ক্ষমতা লাগে, পদ্মা সেতু করতে সেই একই ক্ষমতা হলেই যথেষ্ট। তবুও আমি জানি, তা তারা পারবে না.........। তাহলে এতো যে মুরিদ, এতো যে ভক্ত দিনের পর দিন তাদের অর্থ-গবাদি পশু এসব মাজারে দান করে আসছে... এগুলো? কিচ্ছু করার নাই, এমনই.........।।



"ভক্ত শব্দের অর্থ খাদ্য। প্রতিটি ভক্তই তার গুরুর খাদ্য। তাই ভক্তরা দিনদিন জীর্ণ থেকে জীর্ণতর হয়ে আবর্জনায় পরিণত হয়।"(হুমায়ুন আজাদ)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:০৬

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: কোন মৃত ব্যক্তি জীবিত ব্যাক্তির কল্যাণে আসতে পারেনা

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৪০

লেখোয়াড় বলেছেন:
এটা কখনো নির্মূল করা সম্ভব নয়।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২০

ইফতেখার কাদির বলেছেন: মাজার ব্যবসা বন্ধ করা আসলেই কঠিন। কারণ অশিক্ষিত জনগণ। এদের ধোকা দেওয়া অতি সহজ।

আমাদের এলাকায় একটা মাজার আছে। মাজারের চারদিকে অনেক জায়গায় লেখা আছে, "মাজারে সিজদা করিবেন না, এটা শিরক।"

অথচ, মানুষ সেখানে দেদারসে সিজদা করছে। সব দোষ মাজার ব্যবসায়ীদের দেওয়া যায় না। দোষ প্রকৃতপক্ষে এসব আবাল অবুঝ জনগনেরই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.