নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটা নির্দিষ্ট গন্ডীর মাঝেইথাকতে চাই।।

সচেতনহ্যাপী

সচেতনহ্যাপী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্তের বিনিময়ে ফিলিস্তীনদের অর্জিত

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

শেষ পর্যন্ত বিবির সরকার বাধ্য হলো ফিলিস্তীনিদের সাথে আলোচনার টেবিলে বসে,একটা যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে।এখন শুরু হলো নুতন এক বিতর্কের সৃষ্টি। কে জিতলো র হারলোই বা কে?পক্ষ-বিপক্ষ,দু’দলেরই প্রবল যুক্তি।তবে একটা ব্যাপারে সবাই একমত। তাহলো সাহসী ও দূর্দমনীয় গাজাবাসী।যাদের অক্লান্ত লড়াই,অদম্য সাহস আর অকাতরে বিলিয়ে দেয়া প্রানের বিনিময়ে এ বিজয় অর্জিত হয়েছে।

এ যুদ্ধের পটভূমিতে একটু পিছন ফরে দেখা যাক গাজার পরিস্থিতি।দেখা যা্ছে যুদ্ধটা পরিচিতি লাভ করেছে হামাস এবং ইসরাইলের যুদ্ধ হিসাবেই,সঙ্গত কারনেই।যদিও বর্তমানে হামাস,ফাতাহ সরকর তথা মাহমুদ আব্বসের ফিলিস্তীনি অথরিটির সাথে এক চুক্তিবলে গাজার একক ক্ষমতা ছেড়ে,জোট সরকারে পরিনত হয়েছে।যা ২০০৭ সালে এক রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের মাঝে হামাস একক ক্ষমতায় বসেছিল।আর পশ্চিম তীরটি ছিল ফাতাহ্ শাসনে। বর্তমানে দু’গ্রুপের মাঝে প্রতিষ্ঠিত শান্তিচুক্তির ফলে যৌথ বা জোট সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।।

ক্ষমতায় আসার পর থেকে এবং ক্ষমতা ছাড়ার পরও শেষ হতে চায় না,গাজাবাসীদের দুঃখ-দূর্দশা।সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী হামাসের অনুসারী হওয়ার কারনে,বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি প্রদানে অনীহা থেকে শুরু করে ইসরাইল এমন কি মিসরেরও বিভিন্ন অবরোধের মাঝে পড়ে যায় তারা।ধীরে ধীরে কমতে থাকে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর আমদানি।একদিকের বর্ডারতো ইসরাইল আগেই বন্ধ করে রেখেছে এবার মিসরের টানেল এবং সিনাই পেনিনসুলা বন্ধ করার ফলে একধরনের অচলাবস্থায় পতিত হলো তারা। একপর্যায়ে বেতন পাওয়াও বন্ধ হয়ে গেল। যে পরিস্থিতির উন্নতি হয় নি যৌথ সরকারের সময়েও। বানিজ্য অবরোধের ফলে দুর্দশা চুড়ান্তরূপ ধারন করলো। তাদের নিজস্ব উৎপাদন ১৮ লক্ষ লোকের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত না থাকায় গাজানদের অধিকাংশে নির্ভর করতে হতো বহিঃবিশ্বের উপর।কিন্তু চতুর্দিকের এই অবরোধের যাতায়, দৈনন্দিন জীবনেও তারা দিশেহারা হয়ে পড়ে।খাদ্য থেকে শুরু করে ঔষধ,চিকিৎসা সামগ্রী,শিশুখাদ্য,বাড়ীঘর তৈরীর উপকরন সংকট তাদের টানতে থাকে এক বিশেষ পরিনতির দিকে।যুদ্ধ করলেও মৃত্যু,না করলেও মৃত্যু।এই পরিস্থিতিতে তারা যদি ভেবে থাকে কিছু মৃত্যুর বিনিময়েও যদি এ থেকে মুক্ত হওয়া যায় এই হতাশা আর বঞ্চনা থেকে,ভুল হবে না।।

ওদিকে ইসরাইল ভেবেছিল তাদের “অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত, অ্রপ্রতিরোধ্য”সেনারা নিমিষেই গুড়িয়ে আর মিলিয়ে দেবে গাজানদের চোরাই পথে আনা আর ঘরে তৈরী সমস্ত সমরাস্ত্র তথা প্রতিরোধকে।সাথে নিজেদের সুরক্ষার জন্য আয়রন শিল্ড বা ডোম তো আছেই। বাস্তবে হয়েছেও তাই।৫০দিনের যুদ্ধে তাদের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান,গাইডেড ও লেজার মিশাইল,নিখুত লক্ষ্যভেদ আর “গর্বিত সেনাদের” বেপরোয়া গোলাবর্ষনে গাজা ধ্বংশস্তুপে পরিনত হয়।নিহত ২০০০হাজারেরও অধিক।আহত ১১০০০হাজারেরও বেশী। যাদের অধিকাংশই নরী-শিশু-আর বৃদ্ধরা।।কিন্তু যা ছিল মূল লক্ষ্যবস্তু সেই হামাসের সামরিক ক্ষমতা খর্ব করা থেকে শুরু করে তার প্রথম সারীর নেতাদের হত্যা এবং রকেট আক্রমন থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।পক্ষান্তরে মূল্য দিতে হয়েছে ৫জন সাধারন নাগরিকসহ ৭০জন লিট যোদ্ধা,অফিসারের জীবন।(যা ইসরাইলের মত দেশের জন্য অনেক বেশী)।ট্যাংক,আর্মাডকার সহ বিপুল পরিমান যুদ্ধসরঞ্জামাদী।সাথে রকেট হামলায় বিভিন্ন নগরী ও শহরের ক্ষয়ক্ষতিতো আছেই।এ্যান্টি মিশাইলের রক্ষাবুহ্য কিছুটা কার্যকরী হলেও পুরোপুরি নিরাপত্বা দিতে ব্যর্থ।মিশনের ফলাফল ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধের মতই।

পক্ষান্তরে গাজানদের এই যুদ্ধে বিপুল পরিমানে জান-মাল আর সম্পদের ক্ষতি হলেও তারা ইসরাইলকে বাধ্য করেছে আলোচনার টেবলে এনে নিজেদের দাবী পূরনে।যার মাঝে রয়েছে দীর্ঘদিনের বন্ধ থাকা বর্ডার গেটগুলি খুলে দেওয়া,ফিলিস্তীনি মৎসজীবিদের জন্য সমুদ্রসীমার বর্ধিতকরনসহ গাজার পূনর্বাসনে সাহায্য-সহযোগীতার আশ্বাস।

প্রাথমিক পর্যায়ে অস্বীকৃতির পরও বিবির সরকার তার নাগরকদের মতের বিরুদ্ধে হলেও এই চুক্তিতে বাধ্য হয়। ফলে ইসরাইলের অভ্যন্তরের এই যুদ্ধের বিষক্রীয়া কাজ করতে শুরু করছে।এরই মাঝে ইসরাইলের স্যাটেলাইট চ্যানেল ২ এর এক সাম্প্রতিক জরীপে দেখা যায় ৮০%ইহুদীই এই চুক্তির বিপক্ষে।ভাঙ্গনের রেখা জোটেও।এখন দেখার বিষয় বিবি আর কতদিন ক্ষমতায়।হারালেই আরেকটি নৈতিক বিজয় আসবে নির্যাতিত জন-সাধারনের।সেইদিনটির অপেক্ষায়। দিন গোনা শুরু হয়েছে একরকম বলাই যায়।।

বিঃদ্রঃ এই লেখাটির জন্য নেটে ঘুরতে ঘুরতে এক অবিশ্বাস্য খবর পেলাম কিছু ইসরাইলী প্রথম থেকেই এই যুদ্ধের বিরোধীতা করে আসছে,অহেতুক প্রান আর সম্পদের অপচয়ের জন্য। এটা বড় হয়ে যাওয়াতে আরেকদিন সেটা শেয়ার করবো ভাবছি।।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

আরজু পনি বলেছেন:

মানবতাবাদীরা কখনো যুদ্ধ চায় না ।।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ঠিক তাই। আবার কখনো স্বাধীনতা আনতে গেলে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী-তাই না। আমাদের বেলায় হয়েছে,ফিলিস্তীনদের বেলায় হচ্ছে।।
অনেক ধন্যবাদ,আমার বাড়ীতে।।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০২

জহীরুল ইসলাম বলেছেন: শিয়ালের মত শত বছর বেচে থাকার চেয়ে সিংহের অল্প সময় বেচে থাকাই অনেক ভাল, গাজাবাসী এটাই প্রমান করল

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বরাবরই এটা তাদের প্রমান করতে হচ্ছে ভাই!!

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৯

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: আপনারও মগজের ঘাটতি আছে; ফিলিস্তিনীদের দরকার স্বাধীনতা; হামাস তা হতে দিচ্ছে না।

৩ জনের জন্য ২৪০০ ফিলিস্তিনীকে প্রাণ দিটে হয়েছে, ১০০ বিলয়নের ক্ষতি হয়েছে; ফিলিস্তিনীদের ফাকড-আপ মগজ!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কি ভাবে দিচ্ছে না জানি না। তবে জানি এ নিয়ে প্রচুর বিতর্ক আছে। আপনার বক্তব্যের সপক্ষে লিখতে অনুরোধ রইলোধন্যবাদ।।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন:


প্যালেস্টাইনকে ১৯৯০ সালের শান্তি চুক্ত কার্যকরী করতে হবে; অস্ত্র ছাড়তে হবে; দেশ গঠন করতে হবে; ওরা ভিক্ষা করে চলছে; এ স্বভাব বন্ধ করতে হবে; সবাইকে স্কুলে যেতে হবে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তাহলে অহিংসা ধর্ম বৌদ্ধই বা বাদ গেল কেন??এটাকে মেনে নিলেই তো পুরোটা পূর্ন হতো B:-) !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.