নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোহান ফয়সাল খান

সোহান ফয়সাল খান

নিজের সম্পর্কে লিখার মতো এখন কিছু নেই। যখন কিছু থাকবে তখন অবশ্যই লিখবো।

সোহান ফয়সাল খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ে করার উপযুক্ত ছেলে বলতে কি বুঝায়

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:২৮

বেশ কিছুদিন ধরেই একটি প্রশ্নের মাঝেই ঘুরপাক খাচ্ছি। বিয়ে করার উপযুক্ত ছেলে বলতে কি বুঝায়। অথবা অন্যভাবে চিন্তা করলে, কি ধরনের যোগ্যতা থাকলে একটা ছেলের কাছে মেয়ের বাবা মা নিশ্চিন্তে তার মেয়েকে বিবাহ দিতে চাইবে। নিজের দেখা কিছু অভিজ্ঞতা থেকে একটি কাল্পনিক গল্পের বর্ণনা করছি।

সখিনা ভালোবেসে একটি ছেলেকে বিয়ে করলো। মেয়ের বাবা মা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলতে থাকলো, একটা বেকার ছেলেকে বিয়ে না করে ছোটখাটো একটা চাকুরীজীবী ছেলেকে বিয়ে করলেও প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনের কাছে মুখটা দেখাতে পারতাম।

জরিনা ভালোবেসে একটি ছেলেকে বিয়ে করলো। মেয়ের বাবা মা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলতে থাকলো, কেরানীর চাকুরী করে এইরকম ছেলেকে বিয়ে না করে ছোটখাটো একটা অফিসার পদবীর ছেলেকে বিয়ে করলেও প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনের কাছে মুখটা দেখাতে পারতাম।

আমিনা ভালোবেসে একটি ছেলেকে বিয়ে করলো। মেয়ের বাবা মা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলতে থাকলো, ছোটখাটো একটা অফিসার পদবীর এইরকম ছেলেকে বিয়ে না করে একটা উচ্চ পদবীর ছেলেকে বিয়ে করলেও প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনের কাছে মুখটা দেখাতে পারতাম।

এইভাবেই মেয়ের বাবা মায়েদের দীর্ঘশ্বাস কখনোই শেষ হবেনা। ভালোবেসে বিয়ে করে ছেলে মেয়েটি বড্ড বড় অপরাধী যেন হয়ে গেল। ছেলে মেয়ের দুইজন দুইজনার প্রতি ভালোবাসাটাকে এখানে নগণ্যরুপেই গণ্য করা হয়।

এইটা গেল আমার একধরনের অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতাটাকে আমি এক দিক দিয়ে ভালো বলি এই জন্য যে, মেয়ের বাবা মা খুশী হোক বা না হোক ছেলে মেয়ে কিন্তু দিব্যি বিয়ে করে সংসার করা শুরু করে দিয়েছে। ছেলে মেয়ের কাছে এইখানে ভালোবাসাটাই প্রাধান্য পেয়েছে।

আমার আরেক ধরেনর অভিজ্ঞতাও আছে। যাকে আমি বাজে অভিজ্ঞতা বলি। নিজের দেখা এই ধরনের কিছু অভিজ্ঞতা থেকে একটি কাল্পনিক গল্পের বর্ণনা করছি।

সাবিনা ভালোবাসে একটি বেকার ছেলেকে। বিয়ে করা যাবে কিন্তু মেয়েটির শর্ত একটাই। যেইভাবেই হোক একটা ছোটখাটো চাকুরী হলেও পেতে হবে। চাকুরী পেলে সাবিনা ছেলেটির হবে আর চাকুরী না পেলে সাবিনা অন্য কারো হবে।

রুবিনা ভালোবাসে একটি স্বল্প বেতন পাওয়া চাকুরীজীবী ছেলেকে। বিয়ে করা যাবে কিন্তু মেয়েটির শর্ত একটাই। যেইভাবেই হোক একটা ভালোবেতনের চাকুরী পেতে হবে। বেশি বেতনের চাকুরী পেলে রুবিনা ছেলেটির হবে আর চাকুরী না পেলে রুবিনা অন্য কারো হবে।

কারিনা এমন একটি ছেলেকে ভালোবাসে যার চাকুরী ভালোমানেরই বলা চলে। কিন্তু কারিনাদের পরিবার এতো বেশি বিত্তশালী যে ছেলেটিকে সেই পরিবারে গ্রহণ করা সম্ভব হবেনা। ভালো চাকুরী করেও ছেলেটি তখন চিন্তা করে আলাদীনের প্রদীপ হাতে পাবার।


বিয়ের যোগ্য ছেলে বলতে আসলেই কি বুঝায় সেইটা এক প্রকার রহস্যই বলা চলে মেয়ে এবং মেয়েদের পরিবারের কাছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




একটি গল্প বলি পাত্রটি প্রথম শ্রেনীর একজন গবেষনা কর্মকর্তা
পা্ত্রীর বিত্তশালী পিতা দলবল নিয়ে পাত্রের বাড়ীতে এলেন
বিয়ের কথাবার্তা অনেক এগুনোর পরে । মোটামোটি
বিয়ের কথাবার্ত প্রায় ফাইনাল । পাত্রীর বাবা শুধু
একান্তভাবে পাত্রের কাছে একটি কথা জানতে
চাইলেন । আর তা হল পাত্রের কোন উপরী
পাওয়ার জায়গা বা ব্যাবস্থা আছে কিনা
পাত্র সলজ্জভাবে বলল জি না। বাছ
হয়ে গেল । পাত্রীর বাবা উঠে
গেলেন।বললেন পরে ফোনে
জানাবেন।পরদিন খবর এল
খারাপ । উপরী নাই
এমন পাত্র তাদের
চলবেনা ।

এখন বুঝেন পাত্রের যোগ্যতা কি লাগে !!!!!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২০

সোহান ফয়সাল খান বলেছেন: অবাক না হয়ে পারলামনা।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

রিফাত_হাসান বলেছেন: বাস্তবে আসলে পাত্র পক্ষ এবং পাত্রী পক্ষ বলে কিছু নেই। একই পরিবারে যখন মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়, এমন ছেলে খুঁজে যেন পাত্র মেয়েকে আরাম আয়েসে রাখে। আবার সেই পরিবারের যখন ছেলেকে বিয়ে দিবে তখন চিন্তা করে, এমন মেয়ে ঘরে আনবে যেন সে বাসার সব কাজ করে, পুরো পরিবারকে আগলে রাখে।

মানুষ আসলে খুব খারাপ একটা পশু। নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই দেখেনা।

একটা জোকস মনে পরে গেল। এক মা বলছে-

আমার মেয়ের জামাইটা কত্ত ভাল, মেয়ের কথা ছাড়া উঠবস করেনা, আর আমার ছেলেটা একটা হারামি, বউ ছাড়া কিছুই বুঝেনা। =p~

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২১

সোহান ফয়সাল খান বলেছেন: হ্যাঁ ভাই। মানুষ আসলে খুব খারাপ একটা পশু। নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই দেখেনা।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬

নীল আশরাফ বলেছেন: ছেলের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা মেয়ের সব ধরণের মৌলিক চাহিদা পুরণ করতে পারার ক্ষমতা।
এই চাহিদার মধ্যে রয়েছে - খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদি। ইকোনমিক ক্লাস অনুযায়ী এসব চাহিদার ধরণ ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে এসব চাহিদার বাইরেও একটা চাহিদা আছে - যৌন চাহিদা, যা পূরণ না করাতে অনেক সংসার ভেঙে যায় বা পরকীয়ায় লিপ্ত হয়।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৪

সোহান ফয়সাল খান বলেছেন: ছেলেদের বিয়ের যোগ্যতা একটা আপেক্ষিক শব্দ ছাড়া আর কিছুই না।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যাই বলেন না কেন বেকার ছেলের কাছে কোন মেয়েরই বিয়ে দেয়া উচিত না। আর বিয়ের পর স্বচ্ছলতা কে না চাইবে? বিয়ের পর যদি টানাটানি হয় তাহলে কারই বা ভালো লাগবে? তাই পাত্রী পক্ষ সবসময় চায় যেন মেয়েটা সুন্দর ভাবে থাকতে পারে। যদিও সব ঠিক থাকার পরও ঝামেলা হয় (সেটা অন্য প্রসঙ্গ)...

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৫

সোহান ফয়সাল খান বলেছেন: বেকার ছেলেদের মাঝে এমন কিছু যোগ্যতা থাকে যা অনেক বড় বড় চাকুরীজীবী করা ছেলেদের মাঝে থাকেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.