নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একবার যখন দেহ থেকে বা’র হ’য়ে যাব আবার কি ফিরে আসবো না আমি পৃথিবীতে? আবার যেন ফিরে আসি কোনো এক শীতের রাতে একটা হিম কমলালেবুর করুণ মাংস নিয়ে। কোনো এক পরিচিত মুমূর্ষুর বিছানার কিনারে”

দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সোহেল

স্পন্দিত রক্ত

দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐতিহাসিক সীমানা ও উত্তরপ্রজন্মের গতিধারা

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

গত তিন দিন ধরে চলা কণ্ঠশিক্ষা অনুশীলনের শেষ দিন ছিলো আজকে । শিক্ষক হিসেবে ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীত গুরু আচার্য জয়ন্ত বোস। এ ধরণের কসরতের মত কোন 'ওয়ার্কশপ' এ আমার অংশগ্রহন এবারই প্রথম। তিনি শেখানোর সাথে সাথে কিছু “রাগ” পরিবেষণ করছিলেন , শুনতে শুনতে করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠলো পুরো কক্ষটি । তিনি এতোটাই ভালো করেছেন যে, তার ভালোর কদর কিভাবে করবো বুঝি নি। শুধু ভেবেছি , তিনি নিজেকে এতো দূর পৌঁছিয়ে যে লেভেল নির্মাণ করে যাচ্ছেন পরবর্তীতে সেটা না যানি কোন পর্যায়ে পৌঁছুবে। একটি মানুষের কণ্ঠ থেকে যে কত শত সুমধুর ধ্বনি , কত শত ভাবে মানুষের মনে দাগ কাটতে পারে , সেটা তার অনেক কঠিন নিজস্ব আঙ্গিকে গেয়ে - পরিবেষণ করে উজ্জ্বল উদাহারন রেখে গেলেন। প্রতিটি ধাচে তিনি যেভাবে কণ্ঠকে সুক্ষভাবে সুমধুর পথে এগিয়ে নিয়ে চলছিলেন , সেটা দেখে , বুঝতে বাকি রইলো না যে , “ধ্বনিবিজ্ঞানের সাথে গাণিতিক পরিমাপের একটি সুক্ষ সম্পর্ক রয়েছে”। সেই সাথে মানুষের মস্তিষ্কের । এটাও হইত বলা যায় , মানুষ আসলে এক জাতীয় কিছুকে একইভাবে দেখে বা শুনে তৃপ্তি লাভ করে না । সে একই বিষয়কে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পরখ করতে চাই , আর সেই পরখ করানোর চিন্তা থেকেই হইত সুরের উদ্ভব। সেই সুর যেটা একই বিষয়কে বার বার অচেনা করে তোলে । অনুষ্ঠানে থাকা অবস্থায় শুধুই ভেবেছি ,"কোনটা অতিরিক্ত আর কোনটা স্বাভাবিক ?" মানুষ এতো দুরও আগাতে পারে ! মানুষের যোগ্যতার মাপকাঠিতে অসম্ভব এর মাত্রাটা আসলে কোথায় ? , যে কাজ যার কাছে খুব প্রিয় কিংবা ভালোবাসার জাইগা সেটা নিয়ে সে এগিয়ে যেতে যেতে অতিরিক্তের চরম শিখরে পৌঁছে যেতে পারে। সেটাই পরবর্তীতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি হিসেবে গন্য হতে পারে । এই গুরুও ঠিক সেটাই করছেন । কথা প্রসঙ্গে তিনি বলছিলেন, যে কোন শিল্পী তার করতে যাওয়া শিল্পকে তখনই ভালো করতে পারবে , যখন সে মন থেকে ধরে নিতে পারবে " সময় তার একবারই, এটা দ্বিতীয়বার করার কোন সুযোগ তিনি পাবেন না" , সেটাই আসলে প্রকিতির অমোঘ নিয়ম , সব কিছু এক বারেই ঘটার সম্ভাবনা রাখে উদাহারন হিসেবে গুরু লালন সাঁইজির দেহতাত্ত্বিক কসরতের কথা বলতে পারি । তিনি যেমন দেহের মাঝে বাগান- বাড়ী- গুরু কিংবা ঈশ্বরের অস্তিত্ব খুঁজে ফিরতে ফিরতে সম্ভাবনার দ্বার এর এমন জাইগায় গিয়ে ঠেকলেন , যেখান থেকেই হইত লাখ লাখ অমানুষিক ভ্রান্ত ভক্ত তৈরি হয়েছে যারা সাইজির লেভেল টপকানোর মত চিন্তার নয়। অথচ, শেষ হয়ে যাচ্ছে , জীবন-যৌবনের কতটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। শুধু লেভেল টকানোর মত “পুরুষোচিত” আশাতেই একজন মানুষ একটি আদর্শকে গ্রহণ করবে , ঠিক সেটাও না । আবার সময় টা কেনো- কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে বা আদ্য সময়ের কোন মুল্য আছে কি না , সেটাও অনেক ভাব্বার বিষয়। কিন্তু , একটি কথা রয়ে যায় , এতো গুণী মানুষের ঐতিহাসিক ক্ষেত্রকে যারা ভালোবাসার টানে নিজের অস্তিত্তের ভিতরে নিয়ে আগাতে চান , তাদের অনেকেই মানসিকভাবে অনেক নির্যাতনের স্বীকার হন , কেননা তারা(ঐতিহাসিক মানুষরা) এক জীবনে যতটা পথ পাড়ি দিয়েছেন ঐ কেন্দ্রিক সব্বাই থেকে এগিয়ে যাওয়ার তীব্র বাসনাই তাকে অমানুষিক করে তোলে । হইত সেটা মানুষের অস্তিত্তের মধ্য রয়ে যাওয়া “ লাইফ ফোরস” । আবার সব সময় এগিয়ে থাকার প্রচেষ্টাটাই উত্তর উপনিবেশিক কালে অমানুষিক হিসেবে গন্য হয়। অনেক ছড়ানো- ছিটানো কথা , যানি ভালো লাগবে না । তবুও, বলতে ইচ্ছে হলো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.