নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নগুলো নিয়েছে পিছু, হেটে চলেছি আমি

নিজের জন্য একটু সময় আর একটু ভালোবাসা, হয়তো দুরুহ নয়, তবুও যেন এতোটা সহজও নয় ।

একজন সময় জ্ঞানহীন

সময় জ্ঞানহীন , অতীব অলস প্রকৃতির মানুষ ।

একজন সময় জ্ঞানহীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুমন ভাইয়ের বিদেশ যাত্রা পর্ব -১

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

আগামী ২০ তারিখে আমাদের সুমন ভাই, মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছে। এই জন্য এই কয়েকটা দিন, সুমন ভাইকে সময় দিবো। যথারীতি আজ বের হয়েছিলাম। সুমন ভাই হচ্ছে আমার খালাতো ভাই। যেহেতু বাহিরে চলে যাচ্ছে, তাই আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ীতে সিরিয়াল দাওয়াত। আজ এর বাড়ি সকালে তারপর বিকেলে আরেক বাড়ি আর রাতে আরেক বাড়ি। রাতের খাবার খেয়ে হজম করতে বের হইছি। রেল লাইন ধরে কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি করলাম। সুমন ভাই তার শালার সাথে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শুরু করলো। আমি পাঁশে বসা ছিলাম। আমার এক ফ্রেন্ড নাইট টাইম ক্রিকেট খেলতেছিলো। ওর নাম আবু বক্কর সিদ্দিক, পুরা নামটা লিখে দিলাম। বেচারা মাইন্ড যেন না খায়। আরেক জন কমল , সে আমার ফোন পেয়ে ভাত খাওয়া রেখেই আইসা পরছে। যাই হোক কিছুক্ষণ কথা বললাম। রাজনৈতিক আলাপ, দেশের কি অবস্তা কি হইতে যাচ্ছে আগামিতে। নির্বাচন হবে কি না । সরাকারি দলের কি দোষ আর বিরোধী দলের কি দোষ। আমরা বিরোধী দলের অনেক দোষ খুজে পেলাম। আরে পামুই তো দুইজনেই তো আওয়ামীলীগ সাপোর্ট করি। তবে দোষী সে যে দলেরই হোক না কেন? সে আমাদের আলোচনার টেবিলে কখনো নিরপরাধ হবে না। এই বিশেষত্ব অবশ্য আমাদের মধ্যে আছে। যাই হোক এর মধ্যে সুমন ভাই তার শালাকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলা শেষ করছে। আমি কমলকে বিদায় দিয়ে সুমন ভাইয়ের সাথে তার কয়েকজন ছাত্রের সাথে দেখা করতে গেলাম। আরিচপুর সরকারী স্কুল মাঠ, সেখানে ব্যাডমিন্টন খেলা হইতেছে। সুমন ভাই , শেষবারের মতো সবার কাছে বিদায় চেয়ে নিলো, কিছুক্ষন প্যাচাল পারলাম, তারপর আমি বাসায় চলে আসবো, রাত ১০ বাজে , আসার সময় গরুর হাঁটে আবার এক ছোট ভাই মুন্নার সাথে দেখে, ওর সাথে একটু কথা বললাম। সুমন ভাই সবার সাথে সহজে মিশতে পারে। তাই ছোটরাও অনেক কথা বলতে পারে, তবে বেয়াদবী টাইপের কথাবার্তা না। কথায় কথা উঠলো আজকালকার মেয়েরা কেমুন? সুমন ভাই বলে উঠলো ক্লাস থ্রী'এর এক মেয়ে যদি বলতে পারে, আপনি কি মনে করেন আমি এখনো খালি আছি। তখন বেশতো'র সেই খুটিতে মাথা চাপড়ানো ইমো টার কথা মনে পড়ে যায়। আমিও বললাম, যখন কলেজে ছিলাম, ক্লাস ৭ এর কোন মেয়ে ফোনে মিসকল দিতো, তখন অবাক হইতাম, ক্লাস ৭ এ পইড়া এই অবস্তা , এখন তো ভাই ক্লাস ফাইভের মেয়ে মিসকল দিলেও অবাক হই না। কথা শেষ করলাম সুমন ভাই আবার বিদায় বিয়ে নিলো। ফিরছি বাড়ির পথে, আমার গায়ে সুমন ভাইয়ের জ্যাকেট ... আমাদের এলাকার মসজিদের সামনে এসে আমি সুমন ভাইকে টার জ্যাকেট দিয়ে দিলাম, এমন সময় একজন লোক আসলো তার হাতে একতা পলি ব্যাগ। সে বলে উঠলো , ঃ কি ব্যাপার, একজন জ্যাকেট দিয়ে দিলো আরেকজন পরলো, এখন দুজন দুইকে, আপনার বাড়ি কই? সুমন ভাই জাবাব দিলো ওই পারে, মানে আমার বাড়ীর অপজিটে , আমাকেও জিজ্ঞেস করলো , আমি বাড়ীর দিক দেখিয়ে দিলাম, তারপর লোকটা জিজ্ঞেস করলো খাওয়া-দাওয়া হইছে?

আমি আর সুমন ভাই জবাব দিলাম, হ্যাঁ হইছে। সুমন ভাই আবার এক্সট্রা করে জিজ্ঞেস করলো আপনার খাওয়া হইছে, লোকটা বলল , হ্যাঁ হইছে, এইমাত্র মাছেরে খাওয়াইয়া আসলাম। আমার সন্দেহ হইলো, সে মনে হয়, ডিফেন্সের কোন লোক । ছদ্মবেশে আছে, যাই হোক আমি বাড়ি ফিরে আসলাম, আব্বা খানিকটা রাগান্বিত , খাবার গরম করে খেয়ে তারপর নিজ রুমে প্রত্যাবর্তন করলাম। আর ভাবলাম, আজ যা হয়েছে লিখে ফেলি। ধরলাম কীবোর্ড আর অভ্র চালু করে লিখে ফেললাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.