নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নগুলো নিয়েছে পিছু, হেটে চলেছি আমি

নিজের জন্য একটু সময় আর একটু ভালোবাসা, হয়তো দুরুহ নয়, তবুও যেন এতোটা সহজও নয় ।

একজন সময় জ্ঞানহীন

সময় জ্ঞানহীন , অতীব অলস প্রকৃতির মানুষ ।

একজন সময় জ্ঞানহীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন যখন সাধারন (পর্ব -১)

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

নাম তার জনি, মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। কোন এক বেসরকারি কলেজের ছাত্র। এই হলো বর্তমান অবস্তা , খুবই সাধারন জীবন যাপন তাই না? কিন্তু তার জীবন এতোটা সাধারন ছিলো না।

--ফিরে দেখি কয়েক বছর আগের সেই ছোট্ট জনির জীবন--

খুবই শান্তশিষ্ট , কিন্তু তার ছেলেবেলা খুবই দুরন্তপনায় কেটেছে। দিনভর ছোঁটাছুটি আর বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন খেলা খেলে বেশ ভালোই চলছিলো তার সময়। কিন্তু এক দিন খুবই অসুস্থ হয়ে পরে সে। তখন সে ক্লাস সেভেনে। ব্লাড টেস্ট , এক্সরে সহ আরো কিছু টেস্ট হয় তার। কিন্তু সে বুঝতে পারেনি বড় এক অসুখ বেধছে তার শরীরে। তার হার্টে ব্লক ধরা পরে। অসুস্থ হয়ে হাঁসপাতালে ছেলেটি। বুকের বা পাশে অনেক যন্ত্রনা। বাবা মা তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে, যে তার তেমন কিছুই হয়নি। কিন্তু ছেলের মন মানতে চাইছে না। সে কিছুটা আন্দাজ করতে পারছিলো। তার চিকিৎসার তাদের একমাত্র জমিটুকু বিক্রি করে দিতে হয়। প্রায় একমাস হাঁসপাতালে ছিলো সে। চিকিৎসা শেষে মোটামুটি সুস্থ সে, তার বাবা এর মধ্যে চাকুরী হারান। এতো কষ্ট আর দুর্দশা দেখে সেই দুরন্ত ছেলেটি কেমন যেন মনমরা হয়ে গেলো। যেহেতু বাবার পর তার উপরই তার পরিবার নির্ভর করে। তাই সে তার বাবা অথবা মায়ের আদেশের অপেক্ষা করে নি। লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেলো তার। একটা গাড়ীর গ্যারেজে কাজ নিলো সে। জীবন হয়ে গেলো সংগ্রামময়। এভাবে এতো কষ্ট সে কখনো করেনি। তার বাবা ছেলের জন্য খুবই দুঃখ পেতেন। কিন্তু চাকরী হারিয়ে তাদের ভাড়া বাড়ির খরচ আর পরিবারের খাবারের খরচ মেটানো তার পক্ষে সম্ভব ছিলো না। ছেলেটি গ্যারেজে কাজ করে , তার সহপাঠীরা যখন সেই রাস্তা ধরে হেটে যায় । যে রাস্তার পাঁশেই সেই গ্যারেজ যেখানে ছেলেটি কাজ করে। তার চোখ বেয়ে নীরব অশ্রু বয়ে যায়। বুকের মাঝে অনেকটা কষ্ট জমাট বাধতে শুরু করলো। তার বাবা একটা ছোট খাটো চায়ের দোকান দিলেন। তবে তাদের পরিবারের খরচ মেটানোর জন্য যথেষ্ট ছিলো না। জনি যে গ্যারেজে কাজ করতো সে গ্যারেজের মালিক খুবই ভালো মানুষ তিনি ছেলেটিকে নিজের ছেলের মতো স্নেহ করতেন। মালিকের কোন সন্তান ছিলো না। কয়েকবছর আগে রোড এক্সিডেন্টে সে তার স্ত্রীকে হারিয়েছে। এখন তার জীবন বলতে গ্যারেজ আর যে সকল ছেলেরা এখানে কাজ করে। জনির একবছর গ্যাপ হয়ে গেলো, সে ভেবেছিলো তার লেখাপড়া আর হবে না। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই তার গ্যারেজের মালিক তাকে আবার স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়। সে পড়ালেখার পাশাপাশি গ্যারেজে কাজ করছে। --চলবে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.