নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪



দেশী-বিদেশী ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে পরিচিত একটি নাম কুয়াকাটা। ভৌগোলিক দিক থেকে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর লাঘোয়া পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় এর অবস্থান। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা দৃষ্টিনন্দন এ বেলাভূমির দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার। সৈকতের একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোলোভা দৃশ্য উপভোগ করার বিরল সুযোগ রয়েছে এখানে। সাগরের গর্জনসহ বিশাল আকৃতির ঢেউয়ের জলরাশি যখন একের পর এক সৈকতে আছড়ে পরে, ঠিক তখনই প্রকৃতি প্রেমীদের সকল ক্লান্তি ধুঁয়ে মুছে যায়। সমুদ্রের পেট চিরে র্সূয উদয় হওয়া এবং সমুদ্রের বক্ষে র্সূযকে হারিয়ে যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা নিঃসন্দহে দারুন ব্যপার। কুয়াকাটাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ বহু আগে শুরু হলেও ১৯৯৮ সাল থেকে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পর্যটকদের কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে এখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেল প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় লতাচাপলী ইউনিয়নে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার অবস্থান। ঢাকা থেকে সড়ক যোগে এর দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার। আর বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার, পটুয়াখালী থেকে ৭০ কিলোমিটার এবং কলাপাড়া থেকে ২২ কিলোমিটার। প্রকৃতির নিজ হাতে গড়া কুয়াকাটার সী-বীচ অতুলনীয়। যা এ দেশে আর দ্বিতীয়টি নেই। ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সী-বীচে এলে মন প্রফুল্ল হয়ে ওঠে যে কোন মানুষের। এখানে দাড়িয়ে সূর্যোদয় দেখলে মনে হবে সূর্য নয় যেন একটি অগ্নিকুন্ড পানির বুক চিরে উপরে উঠে আসছে। আবার সূর্যাস্তের সময় মনে হবে পৃথিবীর সবটুকু আলোকে কুন্ডলী করে সাগরে ডুব দিচ্ছে। সূর্যোদয় দেখতে হলে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। শীতের সময় ঠিক ঝাউবনের সামনে এসে দাঁড়াতে হবে এবং অন্যান্য মৌসুমে সী-বীচ এর জিরো পয়েন্টে দাঁড়ালেই হবে। সারাদিন বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটগুলো ঘুরে ফিরে শেষ বিকেলে সবাই সূর্যাস্ত দেখার জন্য সী-বীচে ভীড় জমায়। সাথে ক্যামেরা থাকলে ডুবু ডুবু সূর্যকে হাতে নিয়ে ছবিও তুলতে পারেন। বীচের পশ্চিম দিকে রয়েছে সুন্দর বনের পূর্বাংশ ফাতরার বন, লেবুচর, দুলবার চর, পূর্বদিকে গঙ্গামতির চর, কাউয়ার চর, ক্র্যাব ল্যান্ড ও সোনার চর। কুয়াকাটার সী-বীচ রাতে যে কত সুন্দর ও মোহনীয় হয়ে ওঠে তা নিজচোখে না দেখলে বুঝতেই পারবেন না। চাঁদনি রাত হলে তো কথাই নেই, চাঁদ ছুয়ে সাগরে আছড়ে পড়বে ঢেউ। যা দেখে বিমুগ্ধ হতেই হবে। রাতের কুয়াকাটা উপভোগ করতে চাইলে সী-বীচ আসার বিকল্প নেই। প্রকৃতি যে কত সুন্দর হতে পারে তা এখানে না এলে বোঝা যাবে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: অনেক আগে ওইখানে গেছিলাম। রাস্তা এত খারাপ ছিলো কিছু জায়গায়, ভ্যানে কইরা মাঝে মাঝে ভ্যানরেই ঠেইলা যাইতে হইছিলো। এখন কি অবস্থা কে জানে।

২| ১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

জ্ঞানহীন বিজ্ঞানী বলেছেন: আমি গত বছর ঘুরে এসেছি । আসলেই অনেক সুন্দর জায়গা । আর এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা পূর্বের তুলনায় অনেক ভাল । রাস্তা খুবই ভাল আর মাত্র দুইটি ফেরি পার হতে হয় এখন । জেনে খুশি হবেন যে একটির কাজ খুবই তারাতারি শেষ হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.