নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবসরে বিনোদন পেতে চলুন ঘুরে আসি প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা সেন্টমার্টিন

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

কর্মমুখর জীবন থেকে একটু স্বস্তি পেতে কে না চায়। আর সেটা যদি হয় অপরুপ সৌন্দর্যে ঘেরা কোন প্রাকৃতিক জায়গা তাহলে তো মন্দ হয়না। আজকে আমরা সেরকম একটা জায়গা নিয়েই আলোকপাত করব, আর সেটা হল সেন্টমার্টিন। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিনে বঙ্গপসাগরের মাঝে অসংখ্য প্রবাল রাশি মিলে মিশে একাকার হয়ে তৈরি করেছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। সাগরের সুনীল জলরাশি আর নারিকেল গাছের সারি এই দ্বীপকে দিয়েছে অপার সৌন্দর্য। প্রকৃতি দু হাত মেলে সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে এখানে। বালুকাময় সৈকত, প্রবালের প্রাচীর আর কেয়া গাছের সারি এই দ্বীপকে দিয়েছে আলাদা এক বৈশিষ্ট যা আর কোথাও নেই। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে দক্ষিণে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। সেইন্টমার্টিন দ্বীপ পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষনীয়। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে এই দ্বীপকে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়। এর জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার। নারিকেল, পেঁয়াজ, মরিচ, টমেটো ধান এই দ্বীপের প্রধান কৃষিজাত পণ্য। আর অধিবাসীদের প্রায় সবারই পেশা মৎস্য শিকার। তবে ইদানীং পর্যটন শিল্পের বিকাশের কারণে অনেকেই রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল কিংবা গ্রোসারি শপের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে। সেইন্টমার্টিন যেতে হলে প্রথমে টেকনাফ যেতে হবে। ঢাকা থেকে বিমান, বাস এবং মাইক্রোবাসে করে যাওয়া যায়। তবে বিমানে করে গেলে কক্সবাজার এরপর সেখান থেকে বাস, মাইক্রোবাস এবং বিভিন্ন ধরনের গাড়ি করে টেকনাফ যেতে হবে। বাসে প্রায় ১০/১২ ঘন্টা পথ অতিক্রম করে। এরপর জাহাজে করে প্রায় আড়াই ঘন্টা অতিক্রম করে সেন্টমার্টিন পৌছাতে হবে। প্রতিদিন সকাল ১০ টায় টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন এর দিকে রওনা হয় কুতুবদিয়া, ঈগল এবং কেয়ারী সিন্দাবাদ নামক তিনটি জাহাজ। এই জাহাজগুলোর টিকেট চট্রগ্রাম, কক্সবাজার এবং টেকনাফের বিভিন্ন হোটেল থেকে আসা এবং যাওয়ার টিকেট এক সাথে কেটে নেয়া যায়। যাওয়ার পথে দেখা যাবে নাফ নদীর দুই ধারে বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের কিছু সুন্দর দৃশ্য। সেন্টমার্টিনের হোটেল গুলোতে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ এবং বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। সেখানে রাত্রি যাপনের জন্য হোটেল রয়েছে। ভ্রমণবিলাসী যে কেউ বা নবদম্পত্তিদের জন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে বসে থাকা সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এক কথায় অসাধারণ। শহরের যান্ত্রিক কোলাহল থেকে সাময়িক নিষ্কৃতি পেতে প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার আর দ্রুত হাতে ক্লিকে যারা সদা ব্যস্ত থাকতে চান তারা এখানে ঘুরে আসতে পারেন আর অবলোকন করতে পারেন নজর জুড়ানো চিত্র। আমাদেরই দেশে এমন নয়ন জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আছে তা এখানে না এলে বোঝা যাবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.