নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামি শিক্ষা

১০ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

শান্তির ধর্ম ইসলামঃ ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের আবির্ভাব হয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানবকল্যান ও মানবতার জন্য। ইসলাম মানুষকে প্রকৃত মানুষ বানানোর শিক্ষা দেয়। নবীকুল শিরোমনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিশ্বে শান্তি, কল্যান ও মানবতা প্রতিষ্ঠার আহবান জানান। দ্বীনী দাওয়াত প্রদানের মাধ্যমে রাসুলে করীম (সাঃ) ইসলাম প্রচার করেছিলেন। অতুলনীয় চরিত্র মাধুর্য, অনুপম শিক্ষা ও আদর্শ, আমল ও আখলাক দ্বারা তিনি মানুষকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়েছিলেন। চরম গোষ্ঠীগত মতানৈক্য ও সংঘাতের মধ্যে সকল গোষ্ঠী, সম্প্রদায়, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কিভাবে শান্তিপূর্ণভাবে সহবস্থান করা যায় মহানবী (সাঃ) এর সোনার মদীনাকে তার একটি অতুলনীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ইসলাম বিশৃঙ্খলা, বে-আইনি কার্যকলাপ, ফিতনা-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না। সর্বাবস্থায় সন্ত্রাসের পরিনতি অত্ত্যন্ত ভয়াবহ। দাঙ্গা, বিশৃঙ্খলা, নির্যাতন ইত্যাদি ধরণের কাজকে ইসলামে ফিতনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফিতনা একটি জঘন্য অপরাধ। আল্লাহতাআলা বলেন, “ফিতনা হত্যার চেয়েও ভয়াবহ” (সুরা বাকারা, আয়াত-১৯১)। ইসলামে সন্ত্রাসী, জঙ্গী, ফিতনাবাজ, বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের কঠোর শাস্তির উল্লেখ রয়েছে। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, “মানুষের কৃতকর্মের দরুন জলে-স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে তাদের কোন কৃতকর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে” (সুরা রুম, আয়াত-৪১)

মদীনা সনদঃ তৎকালীন মদীনায় মুসলমানদের সাথে ইহুদীদের ১০টি গোত্র এবং আওস ও খাযরায গোত্রদ্বয়ের ১২টি উপগোত্রের বসবাস ছিল। মদীনায় বসবাসরত বিভিন্ন গোত্র, উপগোত্র, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠী, দল ও উপদলের সহাবস্থান, সোহার্দ্য সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, পারস্পারিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাসুলে কারীম (সাঃ) একটি লিখিত চুক্তি সম্পাদন করেন, যা ইতিহাসে মদীনা সনদ নামে খ্যাত। বহু ধর্ম জাতি, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ক্ষেত্রে মদীনার সনদ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মদীনার সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তৎকালীন সমাজের গোত্রসমূহের আন্তকলহের অবসান ঘটে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিদায় হজ্জের ভাষণঃ অপর মূল্যবান প্রবন্ধ বিদায় হজ্জের ভাষণে মুসলমানদের দৈনন্দিন ও জাতীয় জীবনের করনীয় সম্পর্কে অত্ত্যন্ত মূল্যবান নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ইসলামে জাতি, শ্রেণি ও বর্ন বৈষম্য নেই। আরবের উপর অনারবের এবং অনারবের উপর আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠত্বের একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে তাকওয়া। নারীদের বিষয়ে বিদায় হজ্জের ভাষণে বলা হয়েছে তাদের উপর তোমাদের যেমন অধিকার রয়েছে, তেমনি তোমাদের উপর তাদেরও অধিকার রয়েছে।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদঃ সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কারণ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের শিক্ষা এবং দ্বীনি দাওয়াতি কাজের গুরুত্ব সম্পর্কে মূল্যবান আলোচনা রয়েছে কোরআন-হাদীস ও ইসলামি গ্রন্থসমূহে। ইসলামের আলোকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে অত্ত্যন্ত চমকপ্রদ বিশ্লেষণসহ মুসলমানদের করনীয় সম্পর্কে তাতে সুনির্দিষ্ট ধারনা দেয়া আছে। ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে, তারা প্রিয় নবী (সাঃ) এর শিক্ষা ও আদর্শ থেকে অনেক দূরে, এটা অনস্বীকার্য। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের কোন ধর্ম নেই। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও আতঙ্কগ্রস্থ করে রেখে পার্থিব সম্পদ অর্জন, ক্ষমতা দখল ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা কর। “তোমাদের কেউ যেন তার (মুসলমান) ভাইয়ের প্রতি হাতিয়ার দিয়ে ইঙ্গিতও না করে। কারণ তার অজান্তে শয়তান তার হাতে স্খলন ঘটাতে পারে। আর সে (অন্যায়ভাবে হত্যা করার অপরাধে) জাহান্নামের কূপে গিয়ে পতিত হবে” (বুখারী)। “যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়” (বুখারী)।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

রায়হান আহমেদ তামীম বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন!!

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

আহলান বলেছেন: যারা বুঝে তার তো বুঝেই, যারা বুঝে না, অশান্তি তো তাদের নিয়ে ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.