নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে ভাষা প্রশিক্ষণ

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

বর্তমানে মানবসভ্যতা প্রতিনিয়ত একটি প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব ব্যবস্থার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। এখানে টিকে থাকতে হলে দক্ষতা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই, যোগ্যতার মানদন্ডেই নির্ণিত হয় অস্তিত্ব রক্ষার সক্ষমতা। এরই ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকা ও দেশের বাইরে ভাল চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের কোন বিকল্প নেই। পাশাপাশি দেশেও মানসম্পন্ন চাকরির জন্য ভাষাজ্ঞান অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এখনো বাংলাদেশের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী, পেশাজীবী ও বিদেশে গমনেচ্ছুদের বিদেশি ভাষাজ্ঞান প্রায় শূন্যের কোঠায়। এ কারণেই দেশীয় মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ১০টি ভাষায় প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের জন্য বাংলা ভাষার কোর্স চালু করার সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ২০১৮ সালের জুনের মধ্যেই এসব ভাষা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মকান্ড শুরু করবে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে একাধিক ভাষায় কথা বলতে সক্ষম দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য জাতির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ বৃদ্ধি করা; আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করা, ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুযোগগুলো কাজে লাগানোর দক্ষতা উন্নয়ন করা। বিশ্বায়নের এই যুগে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ভাষায় কথা বলতে পারলে সে দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করা সহজ হবে। ব্যক্তিগতভাবে অথবা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় অথবা শ্রম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যারা বিদেশে কাজের জন্য যাচ্ছেন সরকারিভাবে ভাষা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলে কর্মক্ষেত্রে তারা সহজেই বিদেশি ভাষায় যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ সুগম হওয়াতে বিষয়টি দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা সংরক্ষণ, সংগ্রহ, ভাষার উপর প্রশিক্ষণ ও গবেষণার দ্বার উন্মোচনের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের। ইউনেসকো ক্যাটাগরি-২ ভুক্ত এই ইনস্টিটিউটে সরকারিভাবে ১০টি ভাষার (বাংলা ছাড়াও ইংরেজি, চীনা, আরবি, জাপানি, কোরীয়, মালয়েশীয়, ফ্রেঞ্চ, জার্মান ও রুশ) উপর প্রশিক্ষণ দেশে ও বিদেশে সফলতা বয়ে আনতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিদেশ গমন (প্রবাসী কল্যাণ বা শ্রম মন্ত্রণালয় ও অন্যভাবে) নির্ধারিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সরকারিভাবে বিনা খরচে ভাষা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিদেশে প্রেরণ হবে নিশ্চিত করা হলে বিষয়টি হয়ে উঠবে সরকারের জন্য একটি বড় অর্জন। সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত এ সময়োপযোগী প্রকল্পে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে এসএসসি পাস। ডিপিপিতে এ প্রকল্পের জন্য টার্গেট গ্রুপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আগ্রহী তরুণ-তরুণী, ঝরে পড়া শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের। এ ছাড়া নার্স, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর জন্য বিশেষ কোর্স প্রদানেরও উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪২

উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: মানব সম্পদের উন্নয়নে ভাষা শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.