নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওষুধনীতির সুফল মডেল ফার্মেসি

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২


উন্নত দেশে রোগীর নিরাপত্তার কথা ভেবে আমাদের দেশের মত ফ্রি-স্টাইল ওষুধ বিক্রি হয় না। বাংলাদেশের রোগীরাও মানুষ এবং তারাও ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার শিকার হতে পারে। রোগীর নিরাপত্তার স্বার্থে তাই বাংলাদেশেও উন্নত দেশের মতো ‘রিটেইল ফার্মেসি’ স্থাপন করা প্রয়োজন। অনেক বক্তৃতা
আর লেখালেখির পরেও কিন্তু এই চেষ্টাকে ফলবতী করা যাচ্ছিল না। দেশে প্রথমবার ১৯৮৬ সালে ওষুধ প্রশাসন পরিদফতরের উদ্যোগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশে ওষুধের একটি আদর্শ দোকান স্থাপন করা হয়েছিল। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় স্থাপিত এই দোকানের নাম দেয়া হয়েছিল ‘মডেল ফার্মেসি’। বিদেশে যেমন করে ওষুধের দোকানগুলো চলে এটিও তেমনি করে চলার কথা ছিল। ওষুধের নিরাপদ ব্যবহার বিষয়ে অনভিজ্ঞ লোকজনের পরিবর্তে অভিজ্ঞ লোকদের তত্ত্বাবধানে ওষুধ বিক্রির জন্য গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টও নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমানে দেশে কতগুলো ওষুধের দোকান রয়েছে তার সংখ্যা আমাদের জানা নেই। তবে অনুমান করা যায় এবং এসব দোকানের মালিক সমিতির মতে এ সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। অবিশ্বাস্য ব্যাপার! আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো যে, এদের অধিকাংশেরই ওষুধ বিক্রির লাইসেন্স নেই। এসব দোকানে ওষুধ কিনতে প্রেসক্রিপশন লাগে না। টাকা থাকলেই যে কোন ওষুধ কেনা যায়। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ ব্যবহারের বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। এন্টিবায়োটিক, হরমোন, ঘুমের/নেশার ওষুধ, এন্টিক্যান্সার ইত্যাদি যে কোন ওষুধই প্রেসক্রিপশন ছাড়া একমাত্র এদেশেই কেনা সম্ভব। ওষুধ কেনাবেচার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তাই সব সম্ভবের দেশ! সরকার দেশের তৃতীয় জাতীয় ওষুধনীতি ঘোষণা করেছে। এতে জনবান্ধব অনেক ধারা রয়েছে। এতে অন্তর্ভুক্ত অনেক জনবান্ধব ব্যবস্থা এই প্রথম এদেশে চালু করা হচ্ছে। ওষুধনীতি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। ওষুধনীতির অংশ হিসেবে নিম্নমানের ও নকল-ভেজাল ওষুধের উৎপাদন বন্ধে জাতীয় স্থায়ী কমিটিসহ সরকার আরও কিছু আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকার ওষুধনীতি বাস্তবায়নের সূচনায় দীর্ঘ ৩০ বছর পর আজ আবার মডেল ফার্মেসি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার কর্তৃক সারাদেশে মডেল ফার্মেসি চালু হলে দেশের মানুষ ওষুধের ক্ষেত্রে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাবে। যেমন এই মডেল ফার্মেসিতে কোন নিম্নমানের বা নকল-ভেজাল ওষুধ বিক্রি হবে না। তেমনি কোন মেয়াদোত্তীর্ণ কিংবা চোরাচালানকৃত ওষুধও বিক্রি হবে না। ওষুধের প্যাকেটে কোম্পানির মুদ্রিত দামের চাইতে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি হবে না। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি বন্ধ হওয়ার কারণে নেশার ওষুধও কারও পক্ষে কেনা সম্ভব হবে না। সঠিক স্বাস্ত সেবা সকলের হাতের কাছেই আসছে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

সুমন কর বলেছেন: ভালো কথা।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো উদ্যোগ।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৩

উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: খুব ভাল উদ্যোগ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.