নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আউটসোর্সিং ও তারুণ্যের যুগলবন্দী

২৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮


বিপুল জনশক্তির অনুপাতে কর্মসংস্থানের অপ্রতুলতায় বর্তমানে দেশের অনেক কর্মক্ষম তরুণেরাই কর্মবাজারে প্রবেশে ব্যর্থ হচ্ছে। তবে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় দেশে ক্রমবিকাশমান আউটসোর্সিং খাত এখন কর্মবাজারে প্রবেশ না করতে পারা লাখ লাখ তরুণ-তরুণীর সামনে এক আশার আলোকবর্তিকা। আউটসোর্সিংয়ে বদলে যাচ্ছে অনেক বেকার তরুণ-তরুণীর ভাগ্য। এ থেকে মাসে ন্যূনতম ত্রিশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ দু-তিন লাখ টাকা উপার্জনের পথ খুলে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং এ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় তরুণরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়িয়ে নিজেদের আয় বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। ঢাকা বিভাগে এ পর্যন্ত মোট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে ১ হাজার ৫৬০ জন। এরই মধ্যে সফলভাবে আউটসোর্সিংয়ে যুক্ত হয়েছে ৪৮৫ জন। ঘরে বসে স্বাধীনভাবে ঝুঁকিহীন কাজ করার সুবিধার কারণে নারীদের মধ্যেও এই ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং ক্রমশ প্রিয় হয়ে উঠছে। তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব বর্তমান সরকার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে আন্তরিক। এবারের জাতীয় বাজেটেও তার প্রতিফলন ঘটেছে। আউটসোর্সিংয়ে বিশেষ প্রণোদনার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। জনশক্তির তুলনায় দেশের শ্রমবাজার অপর্যাপ্ত থাকায় বেকারত্ব দূর এবং আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যেই সরকার এ খাতে বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছে। ২০০৯ সালেও এ সেক্টরে ১৫% ভ্যাট ছিল। বর্তমান সরকার সেটা প্রথম দফায় কমিয়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ করেছিল। এবারের বাজেটে ডেটা এন্ট্রি, ডেটা প্রসেসিং, কল সেন্টারসহ পুরো বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) খাতকে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এমনকি তথ্যপ্রযুক্তি স্থাপনায় ভ্যাট মওকুফ করাসহ দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সরকারি উদ্যোগের প্রশিক্ষণগুলোর মান বৃদ্ধিতেও গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়েরই পোশাকি নাম আউটসোর্সিং। দেশের স্বাধীনচেতা, কর্মঠ এবং উচ্চাভিলাষী তরুণদের মধ্যে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। কারণ কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে ঘরে বসে অর্থোপার্জনের এ পদ্ধতিটি বর্তমান বিশ্বব্যাপী এক সম্মানজনক অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। এ কাজের জন্য ইন্টারনেট সংযোগবিশিষ্ট একটি ল্যাপটপই যথেষ্ট। বর্তমানে দেশে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার তরুণ মুক্ত পেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) হিসেবে সক্রিয়ভাবে আউটসোর্সিংয়ে যুক্ত। অনিয়মিতভাবে যুক্ত আছে আরও অনেকে। দেশে আইসিটি খাতে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে, তরুণ-তরুণীরা ব্যাপক আগ্রহের সঙ্গে আউটসোর্সিংয়ে কাজ করছে, তাদের দক্ষতা অন্য যে কোন দেশের সঙ্গে তুলনা করা যায়।। ইন্টারনেট খুলে দিয়েছে সব বন্ধ দরজা, বিশ্ব এখন তরুণ প্রজন্মের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। ইন্টারনেটের কল্যাণে তারা এখন উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। আগামী দিনে এই তরুণরাই দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে। তথ্যপ্রযুক্তিতে ভর করেই তারা দেশের উন্নয়ন ঘটাবে। সরকার ইতোমধ্যে ২০২১ সালের মধ্যে এ খাত থেকে ১ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এবং সে অনুসারে এ খাতে প্রণোদনাও দিচ্ছে। উল্লেখ্য, আউটসোর্সিংয়ে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের তরুণদের সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। নিজেদের উদ্যোগেই তারা আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যান্সিং, আইটি কোম্পানি গড়ে তুলতে পারে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা আইনজীবীর পাশাপাশি বর্তমানে আউটসোর্সিংও একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবে স্বীকৃত হয়ে উঠছে। বলাবাহুল্য নতুন প্রজন্মের বিপুল জনশক্তির কাজের বিশাল ক্ষেত্র আউটসোর্সিং। তাই আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য এ দেশের তারুণ্য আজ ক্রমবর্ধমান হারে বেছে নিচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। আশা করা যায় এ খাতে অচিরেই বিপুলসংখ্যক দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠবে, যাদের প্রচেষ্টা আর অর্জনের যুগলবন্দীতে নিশ্চিত হবে স্বনির্ভর-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

"সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় দেশে ক্রমবিকাশমান আউটসোর্সিং খাত এখন কর্মবাজারে প্রবেশ না করতে পারা লাখ লাখ তরুণ-তরুণীর সামনে এক আশার আলোকবর্তিকা। "

-ফরমালিনযুক্ত মুলা

২| ২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:২২

দ্য এন হোস্ট বলেছেন: লার্নিং এ্যান্ড আর্নিং প্রজেক্ট নিয়ে নানবিদ প্রশ্ন তুলেছে অনেকই। এই প্রজেক্ট আসলেই কতটুকু কি দিতে পেরেছে তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ জানেন। বাংলাদেশে আয়ের অনেক খাত পড়ে আছে। তারপরও সবাই একমুখি চিন্তা নিয়ে সব সময় ব্যাস্ত। কিছু দিন পূর্বে ছিল এমএলএম কোম্পানি নিয়ে। এখন সবাই দৌঢ় ঝাপ দিচ্ছে আউটসোর্সিং এর দিকে। এর ফলাফল তেমন একটা ভালো হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। কারণ অনেক:
১। পেপাল এর অপার্যপ্ততা
২। হায়ার রাইটার এর মত সাইট গুলো বাংলাদেশীদের প্রবেশাধীকার নিষেধ
৩। নতুন ফিরি লান্সাররা আফওয়ার্ক, ফাইবার এর মত সাইট গুলোকে ফেইসবুকের মত ব্যবহার শুরু করা..
বললে শেষ হবে না।
বাংলাদেশের দক্ষিণে বিশাল সমুদ্র, সমুদ্র হতে বছরে কয়েক হাজার বিলিয়ন আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবাই চায়: কম কষ্টে, কম কাজ করে, অল্প দিনে, অল্প সময়ে কোটি টাকা ইনকাম করতে। এটা কি সম্ভব?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.