নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের উন্নয়ন

১০ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭


বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্বের বিভিন্ন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে, তখন এই ছোট্ট ভূখণ্ডে যেখানে প্রাকৃতিক সম্পদ পর্যাপ্ত নয়, অথচ এক বিশাল জনগোষ্ঠীর বসবাস, এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় কিছু অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশকে Test case of Development আখ্যায়িত করেন। তখন এ দেশের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলো ছিল অনেক বিস্তৃত এবং অত্যন্ত কঠিন। দেশ পরিচালনাকারীদের সামনে ছিল একটি বিশেষ পরীক্ষা অর্থাৎ তাদের দক্ষতা, কৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা দিয়ে কী করে বাংলাদেশকে একটি টেকসই রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা যায় তার পরীক্ষা। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে বিগত ৪৫ বছরে বাংলাদেশ শুধু টেকসই রাষ্ট্র হিসেবেই পরিণত হয়নি, একটি ‘Model case of Development’ অর্থাৎ উন্নয়নকামী দেশের জন্য বাংলাদেশ একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। একটি দেশ কতটা উন্নত বা অনুন্নত তা বিচার করা হয় কতগুলো সূচক বা মানদন্ডের সাহায্যে। এই মানদন্ডগুলো হলো দেশটির মোট জাতীয় উৎপাদন (Gross National Product: GNP), জনগণের মাথাপিছু আয় (Per Capita Income), জীবনযাত্রার মান প্রভৃতি। একটি দেশের উন্নয়নের মানদণ্ড বিভিন্ন ধরনের পরিসংখ্যানগত সূচকের মাধ্যমে নিরূপণের ব্যবস্থা রয়েছে। তন্মধ্যে - মাথাপিছু আয় (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন), প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল, শিক্ষিতের হার অন্যতম। এইসব দিক বিচারে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নতি লাভ করছে। আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার প্রতি বছরই পূর্ববর্তী বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে যেমন আছে আমাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন তেমনি আছে প্রবাসে কর্মরত শ্রমিক ও অন্যান্য চাকুরীজীবীদের অবদান। গত দুই দশকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের যেকোনো সূচকের বিচারে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ ১৯৯০-এর পর সার্বিকভাবে প্রবৃদ্ধিতে উন্নয়নশীল দেশের গড় হারের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী মাথাপিছু আয় ১,৬০২ ডলার এবং অর্থনীতির আয় ২৪৮ বিলিয়ন ডলার। দারিদ্রের পরিমাণ কমেছে ৪০ শতাংশ থেকে সাড়ে ২৩ শতাংশে। আর অতি দরিদ্রতার হার কমেছে ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ১ শতাংশে। বর্তমান সরকার যেহেতু একটি অভীষ্ট লক্ষ্য (রুপকল্প ২০২১) সামনে রেখে অগ্রসর হচ্ছে সে কারণে সরকারের দৃষ্টি কেবল এক বছরের অর্জনে সীমাবদ্ধ নয়, সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে জাতিকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ সীমানা পেরিয়ে একটি শান্তিপুর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত দেশের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়া। এ লক্ষ্য পূরণে সরকার অদম্য গতিতে কাজ করে যাচ্ছে। চলমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় প্রায় ১২ হাজার ডলারে উন্নীত হবে। আর দেশের অর্থনীতির আকার হবে আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার। বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের সার্বিক উন্নয়নে যে গতি এসেছে তাতে দেশের প্রতিটি মানুষের মনেই আস্থা এবং বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। দেশের প্রতিটি মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব ২০৪১ সালে স্বাধীনতার ৭০তম জয়ন্তীতে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ডলারে উন্নীতকরণকে অনেকটাই সহজ করে তুলবে, তিনি নেতৃত্বে তথা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে লক্ষ্যটি অর্জিত হবেই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

তপোবণ বলেছেন: "বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের সার্বিক উন্নয়নে যে গতি এসেছে তাতে দেশের প্রতিটি মানুষের মনেই আস্থা এবং বিশ্বাস তৈরি হয়েছে।"

তাহলে তো এবার নির্ভেজাল ভোট হবে কি বলেন? নাকি গাছেরটাও খাবেন আবার তলেরটাও কুড়োবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.