নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন হলো এক কাপ গরম চা আর একটি জ্বলন্ত সিগারেটের মতো। গরম চা এক সময় জুড়িয়ে যাবে, সিগারেটের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।

পয়গম্বর

The woods are lovely, dark and deep, But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep.---Robert Frost

পয়গম্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমিগ্রেশন টু কানাডা - খরচাপাতির খসড়া

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৪৭



Website Address: http://www.immigrationandsettlement.org/

কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন প্রসেসিং-এর ধারাবাহিক পর্বগুলোর আজকের পর্বে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত খরচের হিসেব-নিকেষ নিয়ে আজকের পর্বটি সাজানো হয়েছে। শুরুতেই জানিয়ে রাখছি যে, আজকের পর্বের আলোচ্য খরচের হিসেবগুলো একটি আনুমানিক ধারণামাত্র। অর্থাৎ এর কম বা বেশি খরচ ক্ষেত্র বিশেষে হতেই পারে।

আজকে আমি কানাডা'র সাসকাচুয়ান প্রভিন্সে সম্প্রতি ইমিগ্রেশন হয়েছে এমন একজনের খরচের হিসেব আপনাদের সামনে সরাসরি তুলে ধরবো। কানাডার অন্যান্য প্রভিন্সে ইমিগ্রেশন প্রসেসিং এর বেসিক খরচগুলো সবার জন্যেই একই।

১. WES (World Education Services):
প্রধান অ্যাপ্লিক্যান্ট-এর জন্যে খরচ ২৩,৬৮৩ টাকা
প্রধান অ্যাপ্লিক্যান্ট-এর স্পাউস-এর জন্যে খরচ ২৩,৬৮৩ টাকা
(WES ফি ৩২২ কানাডিয়ান ডলার+ কুরিয়ার সার্ভিসের চার্জ)

২. IELTS: ১৫,২০০ টাকা (যদি কেউ প্রথম সুযোগেই কার্যকর স্কোর তুলতে পারেন)। IELTS প্রিপারেশনের জন্যে বই, মক টেস্ট ইত্যাদির পৃথক খরচ ধরে রাখতে হবে।

৩. বাংলাদেশ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স:
প্রধান অ্যাপ্লিক্যান্ট-এর জন্যে খরচ ২৫০০ টাকা। এখানে সরকারী খরচ ৫০০ টাকা এবং পুলিশকে ঘুষ দেওয়া বাবদ ২০০০ টাকা।
প্রধান অ্যাপ্লিক্যান্ট-এর স্পাউস-এর জন্যে খরচ ১০০০ টাকা। এখানে সরকারী খরচ ৫০০ টাকা এবং পুলিশকে ঘুষ দেওয়া বাবদ ৫০০ টাকা।

প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, কানাডায় অবস্থান করেন এমন একজন সিনিয়র ভাই, তাঁর নিজের প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তুলেছিলেন। মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ যখন শুনলো তিনি কানাডা থাকেন, তখন দশ হাজার টাকার নিচে করবেনা বলে জানিয়ে দিলো। অবশেষে দশ হাজার টাকা খরচ করে তিনি বাংলাদেশী পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তুললেন। একইভাবে আর এক পরিচিত সিনিয়র ভাই থাকেন অস্ট্রেলিয়া। তাঁর আশুলিয়া থানা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দরকার ছিল। আশুলিয়া থানায় যোগাযোগ করার পর যখন পুলিশ শুনলো তিনি অস্ট্রেলিয়া থাকেন, তখন তিন হাজার টাকা দাবী করলো এবং তিন হাজার টাকার এক টাকা কমেও রফা হলোনা।

কানাডাসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্যে এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তোলা এক বিশাল ঝামেলার কাজ। পুলিশ যখনই শুনবে আপনি কানাডা প্রবাসী, ব্যাস, কাজ হয়ে গেল! আর আপনি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে এই সুবিধা পাবেননা। আপনি কানাডা প্রবাসী হলে বাংলাদেশ থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তুলতে হলে প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে শুধুমাত্র আপনার পাসপোর্টের ফটোকপির সত্যায়ন করতে হবে। সে ক্ষেত্রেও আপনার ১০০ ডলারের মতো খরচ আছে (হাইকমিশনের ফি+ পোস্টাল খরচ)।

৪. মেডিকেল খরচ: ভিসা'র আগে মেডিকেল করাতে হবে কানাডা'র ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ডাক্তারের কাছে। এক্ষেত্রে গুলশানে ডা: ওয়াহাব এর কাছে গেলে তিনি প্রধান অ্যাপ্লিক্যান্ট-এর জন্যে নিবেন ৩০০০ টাকা এবং স্পাউসের জন্যেও ৩০০০ টাকা।

৫. ভিসা ফটো: ভিসা'র জন্যে গুলশান -২ এর VIP স্টুডিও-কেই আমি প্রেফার করি। প্রধান অ্যাপ্লিক্যান্ট-এর জন্যে খরচ ৩৫০ টাকা এবং স্পাউসের জন্যে খরচ ৩৫০ টাকা।

৬. ভিসা এবং RPRF ফি:
প্রধান অ্যাপ্লিক্যান্ট-এর জন্যে খরচ ৫৯,৩১০ টাকা। (ভিসা ৫৫০ কানাডিয়ান ডলার এবং RPRF ৪৯০ ডলার)
স্পাউসের জন্যে খরচ ৫৯,৩১০ টাকা। (ভিসা ৫৫০ কানাডিয়ান ডলার এবং RPRF ৪৯০ ডলার)
(কানাডিয়ান ডলারের রেট পরিবর্তনশীল)

৭. পাসপোর্ট সাবমিটের সময় VFS এ কুরিয়ার চার্জ বাবদ খরচ:
প্রধান অ্যাপ্লিক্যান্ট-এর জন্যে খরচ ২৫৬৯ টাকা।
স্পাউসের জন্যে খরচ ২৫৬৯ টাকা।

৮. যাতায়াত, প্রিন্ট, ফটোকপি বাবদ খরচ: ৫০০০ টাকা।

৯. উড়োজাহাজের ভাড়া:
প্রধান অ্যাপ্লিক্যান্ট-এর জন্যে খরচ ৬৯,০০০ টাকা*।
স্পাউসের জন্যে খরচ ৬৯,০০০ টাকা*।
(*IOM Authority এর মাধ্যমে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ভাড়া)

১০. কানাডায় নিয়ে যাওয়া অর্থের পরিমাণ:
CIC -এর গাইডলাইন অনুযায়ী দুইজন নতুন ইমিগ্র্যান্ট-এর জন্যে ১৫,১৪৩ কানাডিয়ান ডলার নিয়ে কানাডায় প্রবেশ করতে হবে।
সেই অনুযায়ী সমমূল্যের প্রায় ৯,০০০০০ টাকা নিয়ে কানাডায় আসতে পারলে ভালো।

এবারে ক্যালকুলেটর নিয়ে হিসেব করতে বসে পড়ুন মোট কত টাকার প্রয়োজন আপনার।

ইমিগ্রেশন টু কানাডা - ডকুমেন্ট চেকলিস্ট - পর্ব ০২

লক্ষ্য করুন:
*বাংলাদেশ সময় প্রতি সোম থেকে বুধবার এই সিরিজের নতুন পর্ব ব্লগে ও ফেসবুক পেইজে পোষ্ট করা হবে।
*ইমিগ্রেশন বিষয়ক আপনার সুনির্দিষ্ট কোন প্রশ্ন থাকলে [email protected] -এই ইমেইল-এ প্রশ্নগুলো পাঠিয়ে দিন।
*কানাডা'র নতুন অভিবাসী/ ইমিগ্র্যান্ট বিষয়ক কোন প্রশ্ন থাকলে [email protected] -এই ইমেইল-এ প্রশ্নগুলো পাঠিয়ে দিন।
*ফেসবুক পেজেও আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নটি করতে পারেন: Click This Link

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: ভাই আপনার পোস্ট আমি নিয়মিত পড়ি । আমাদের মতো যাদের কানাডাতে ফার্স্ট ব্লাড নেই কিন্তু অন্যান্য যোগ্যতা আছে যেমন ielts, education , exprience তাদের এক্সপ্রেস এন্ট্রির আন্ডারে কানাডাতে যাওয়ার চান্স কতটুকু?

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১

পয়গম্বর বলেছেন: আমার ব্লগে সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ। আমার জানা এবং দেখা মতে কানাডায় ইমিগ্রেশন প্রসেসিং শেষ করে কানাডা'র মাটিতে পা রেখেছেন, এমন অনেক মানুষের ফার্স্ট ব্লাড নেই। অর্থাৎ, অন্য কথায় ফার্স্ট ব্লাড ছাড়াই সেইসব মানুষ বাংলাদেশ থেকে কানাডায় এসেছেন এবং আরও মানুষ আসছেন। আমি নিজেও আপনার সামনে জ্বলন্ত উদাহরণ যার কানাডায় ফার্স্ট ব্লাড তো দূরের কথা, একটা সময় দু'একজন ছাড়া কোন পরিচিতও ছিলোনা।

ফার্স্ট ব্লাড ছাড়া নিজের শ্রম, ধৈর্য্য এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের মানুষ কানাডা'র মতো ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড দেশে আসছে। কাজেই, আমি মনে করি, কানাডা'র ইমিগ্রেশন প্রসেসিং-এ ঠিক কি কি প্রয়োজন সেগুলো সঠিকভাবে বুঝে নিয়ে দ্রুত ইমিগ্রেশনের জন্যে অ্যাপ্লাই করে দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এক্সপ্রেস এন্ট্রি ছাড়াও প্রভিন্স নমিনেশন রয়েছে। যেখানে এক্সপ্রেস এন্ট্রির মতোই সুযোগ পাওয়া সম্ভব।

আপনি যদি ট্রাই না করেন, তাহলে সম্ভাবনা ১০০% নেই। আর ট্রাই না করা পর্যন্ততো আপনি আপনার সম্ভাবনা যাচাই করতে পারবেননা। তাইনা?

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৯

গরল বলেছেন: ভাই কুইবেক এর সেল্ফ ইমপ্লয়েড ক্যাটাগরীতে যে ১লক্ষ ডলার দেখাতে হয় সেটা কি ক্যাশ না অ্যাসেট ভ্যালু হলেই হয়। আমি আসলে কনফিউজড, কারণ স্যাটেলমেন্ট ফান্ড যেমন ক্যাশ মানি হতে হয় তাই।

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১০

সুমন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ লেখককে। সুন্দর লেখনী..
আমার একটা জিজ্ঞাসা, বিএসসি ইঞ্জিঃ ডিগ্রি (কুয়েট)এ শিক্ষাগত যোগ্যতায় ২৫ এ কত পাওয়া যায়?

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০২

পয়গম্বর বলেছেন: bachelor 21 point

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.