নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার একটি দুঃখ আছে, নাম তার \'সুখ\' ! যার পেছনে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে হচ্ছি আমি নিত্যি বেহুশ !!( [email protected] )

কথাকথিকেথিকথন

আমি একজন পরীক্ষার্থী...

কথাকথিকেথিকথন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেকাহিনী

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৬

"ত্রিকিতা"

-দশ হাজার বই, এক হাজার ডকুমেন্টারি, ছয়শত জায়গা ভ্রমণ শেষ করার পর এই কল্পকাহিনীটি লিখেছি আমি। বলতে পারেন এতো হিসেব রেখেছি আমি কীভাবে! বিভোর নেশা নিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষে এগুতে চাইলে তার প্রতিটা স্টেপ মনে গেঁথে যায়। আমি যখন ছোট ছিলাম মায়ের পাশে ঘুমাতে ঘুমাতে যে গল্পগুলো শুনতাম সেই গল্পের রেখা ধরেই এই কল্পকাহিনীর সৃষ্টি। এরপর মায়ের বুক থেকে যখন আলাদা হলাম তখন প্রায়ই আমি রাতে বের হয়ে যেতাম। কিন্তু আমি টের পেতাম না। মা আমাকে ধরে আনতো৷ আমি ঘুমের মধ্যে অনুভব করতাম কিছু গল্প বিধ্বংসী হয়ে আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর কিছু নেই। এই কল্পকাহিনীর সাথে আমার বেড়ে উঠা। আমি বইগুলো পড়েছি, ডকুমেন্টারিগুলো দেখেছি এবং ভ্রমণ করেছি মূলত আমার ছোটবেলার গল্পগুলোকে ধরতে। সবকিছুর মাঝে কিছু ব্যাপার ছিলো যেগুলো আমি ধরতে পারি নি সত্য হিসেবে, পারি নি মিথ্যে হিসেবেও। এই কল্পকাহিনীর মধ্যে একটা চরিত্র রয়েছে। তার নাম 'ত্রিকিতা', খুব 'ইনোসেন্ট'।

অরিত চৌধুরী তার ওয়ালে পরবর্তী বইমেলায় তার প্রথম বই বের হবে বলে এই স্ট্যাটাস দিল। সে এমনিতে বিকারগ্রস্ত লোক হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন স্ট্যাটাসে তার প্রতি রয়েছে অনেকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কখনো ক্ষ্যাত, আবাল, আঁতেল। লেখার কোন আগামাথা নেই, মাথামোটা গরু।

কিন্তু তার এই বই সম্পর্কিত স্ট্যাটাসে সবাই যেন জমে যায়। মুহূর্তেই অনেক লাভ ওয়াও রিয়েক্ট আসে। মন্তব্যেও সবার ভালোবাসা প্রকাশ পাচ্ছে। কারো যেন তর সইছে না বইটি পড়ার জন্য!

অরিত চৌধুরী ঘুমের মধ্যে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালো। সে চোখে ঘুম রেখে হেঁটে হেঁটে ঘর থেকে বের হচ্ছে আর বিড়বিড় করে বলছে, ত্রিকিতা তুমি বড্ড জাদুকর, চতুর গল্পকার...

"অসমাপ্ত"

- আপনি এ সময়ের জনপ্রিয় লেখক। এখানে আসতে আপনার অনুপ্রেরণা কী ছিলো?

- আমার মা আমাকে কুতসিত বলতো। আমি আমার মা বাবার মত হই নি। আমি ছিলাম কুতসিত। এরপর আমি লেখালেখি শিখি। এখন আমি হ্যান্ডসাম লেখক অফ দ্যা ইয়ার! হা হা!

- আপনি মজা করতে পারেন বটে৷ আপনি মোটেও কুতসিত নন।

- দেখুন, আমি লেখালেখি করে এ পর্যায়ে না আসলে আপনিও আমাকে কুতসিত বলতেন।

- মায়েরা তার সন্তানদের কখনো কুতসিত বলে না।

- আপনার ধারণা ভুল। আমার মা আমাকে ভালোবাসতেন তবে কুতসিত বলতেন। তিনি রূপের মৌহে ভুগতেন৷ তিনি খুব রূপবতী ছিলেন। রূপের প্রশংসায় গলে পড়তেন! আমার ভাই বোনদেরও বাহ্যিক রূপ খুব সুন্দর৷ আমার ভাই মডেলিং এ আছে, আর বোন আছে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে। আমি সুন্দর না তাই আমি লেখক হলাম!

- আপনার বাবা সম্পর্কে আপনি কখনো কিছু বলেন নি। বাবা সম্পর্কে কিছু বলুন।

- আমার বাবাকে আমি দেখি নি। মা বলেন আমার বাবা আমার জন্মের দশমাস আগে মারা যান। নিকট স্বজনরা বলে এগারো মাস।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৬

আমি সাজিদ বলেছেন: বাকি টুকু কই?

০৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
এটুকুই !

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৭

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: তারপর...

০৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: তারপর এখানেই শেষ ।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: এখানেই শেষ? না আরো আছে?

০৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হ্যা, এখানেই শেষ ।

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০১

নীল আকাশ বলেছেন: দ্বিতীয় অণুগল্পটা বেশি ভাল লেগেছে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:


অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.