নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাহে মহররমের ১০ তারিখ দুনিয়া সৃষ্টি ও প্রলয় এবং নানা ঘটনার উদ্ভব ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

মহররমের দশ তারিখ কি কি সংঘটিত হয়েছিল ।।
*********** নং এক ।।

বিশ্বনিয়ন্তা নিজ ক্ষুত্রতে মহররমের মঞ্জিলে
আরশে হয়ে সমাসিন সমস্ত কিছুই শ্রিজিলে
মোহাম্মাদি নুর পয়দা করে
আলোকোজ্জ্বল হল ত্রিভুবন জুড়ে
হল সজীব মহাশুন্য সাত আসমান গ্রহ নক্ষত্র
আরও সব সৃষ্টি বৈচিত্র্য উদয় দিবা রাত্র ।

শয়তানের কুমন্ত্রনায় আদম আঃ কে যখন বেহেস্ত হতে দুনিয়ায় প্রেরন করা হয় , তখন আদম আঃ ও হাওয়া আঃ সারে তিন শত বছর আল্লাহর নিকট ক্ষমার জন্য কাঁদেন । এই দিন আল্লাহ পাক আদম আঃ এবং হাওয়া আ এর তওবা কবুল হয় ।,
শের নং দুই
মাবুদ বানাইয়া আদম হাওয়া কত মহব্বতে
রাখিলেন সুখ সায়রে খুশির ও জান্নাতে
দেখে এত সুখ তাদের কুমন্ত্রনা দিল শয়তান
নিষিদ্ধ ফল খাইয়ে ভাঙ্গল খোদার ফরমান
আদম হাওয়া সেই থেকে এল জগতে নেমে
কেঁদে কেঁদে মাফ চায় আল্লাহর নামে
শত শত বছর গেল তারা করে আরাধনা
মোহাম্মাদি নামে এবার চাহে গো মার্জনা
সাথে সাথে তাদের দোয়া মাবুদ করিল কবুল
আদম হাওয়ার হইল মিলন ফুটল সুখের ফুল ।

নুহ আঃ এর সময়ে প্লাবনে সমস্ত দুনিয়া ডুবে গিয়েছিল । আল্লাহর আদেশে
নুহ আঃ বৃহৎ এক নৌকা বানালেন । তিনি ইমানদার ৪০ জন নারি পুরুষ এবং জোড়ায় জোড়ায় জীব সমষ্টি লয়ে নৌকায় আরোহণ করলেন । নৌকা
১২০ দিন জলে ভেসে ভেসে এই দিনে পাহাড়ের কিনারায় লোকালয়ে এসেছিলেন ।।
তিন নং
নুহ আঃ এর সময়ে মানুষ হইল বেঈমান
নবী বারে বারে সবার দ্বারে দাওয়াত পউছান
কেহ বলে পাগল আর কেহ বলে ভণ্ড
কেহ নুহ আঃ উপড় নির্যাতনে হইত পাষান্ড
আল্লাহ বলেন নুহ আঃ আসবে ধংশ প্লাবন
বানাও নৌকা যারা ইমানদার কর সংরক্ষণ
সব প্রস্তুতি লয়ে নুহ আ উটল নৌকায়
ইমান্দারগন আরও জীবসমষ্টি জুড়ায় জুড়ায়
নিদ্রিস্ট সময়ে প্লাবন এল জগত জুড়ে
ডুবে মরল কাফের এর দল পড়ে ফেরে
বহুদিন শেষে নৌকা এসে লাগল পাহাড়ে
নতুন করে আবার মানুষ বসবাস করে ।

ইউনুছ আর কে নিনয়ানবাসি যাত্রিরা জাহাজ থেকে সাগরে ফেলে দিয়েছিল । আর সাথে সাথে ইউনুছ আ কে সাগরের একটি বোয়াল মাছ গিলে নেয় । তিনি মাছের পেটে বসে আল্লাহর কালাম পড়তে লাগলেন । লাইলাহা ইল্লা
আন্তা ছুবাহানাকা ইন্নি কুন্তুম মিনাযুয়ালিমিন । তিন দিন পর বহাল হেফাজতে
এই বিশেষ দিনে তিনি মাছ থেকে উদ্ধার পেয়েছিলেন ।।


ইউনুছ নবী বিপদে পড়ে হায় রে ফেরেশান
কত না ক্ষুত্রত আল্লাহর তিনি মাছের পেটে বাঁচান ।।

ইব্রাহীম আ কে বেদিন খোঁদা দাবিদার নম্রুদ আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন । আল্লাহর মেহেরবানীতে ইব্রাহিম আ এর জন্য আগুন ফুল বাগিচা হয়ে গিয়েছিল এবং এইদিন অগ্নিকুণ্ড থেকে নির্ভেজাল মুক্তি পেয়েছিল ।

আগুন হয় ফুল বাগিচা মাওলাজির লীলা
ইব্রাহীম নবী তাই তো হয় খলিলুল্লাহ ।

মুসা আ এবং তার ৪০ হাজার সাহাবি কে ফেরাউনের বাহিনী তারা করলে
মুসা আ আল্লাহর সাহায্য সাগর এর পানি ভাগ হয়ে রাস্তা হয়ে যায় এবং তারা
পার হয়ে মুক্তি পায় আর ফেরাউনের দল সাগরে ডুবে মরে । দিন টি ছিল মহররমের দশ তারিখ ।

সাগরের পানি রাস্তা হয়ে মুসা আ কে বাঁচায়
আর ফেরাউন কে গ্রাস করে নীল দরিয়ায় ।

আরও অনেক গুরুত্ব পূর্ণ ঘটনার উৎপত্তি এই মহরমের দশ তারিখ । তার মধ্য
সবচাইতে মর্মস্পর্শি ও হৃদয় বিদারক ঘটনা হল কারবালা প্রান্তরে নবীজীর
দৌহিত্র বা নাতি ইমাম হোসেন এর এজিদ কর্তৃক শাহাদাৎ বরন ।।

কারবালার আংশিক কাহিনী ।।
********

ইসলামের ডংকা বাজে মরু সাহারায়
জাগে মরু জুতি এক ঈমানের চেতনায়
সারা জাহান নজরানা দেয় ঐ মদিনার
যেথায় শুয়ে আছে নুর নবী মস্তুফায়
নারায়ে তাকবিরে জাগে সারা দুনিয়া
ইমামের খোদা ভিরুয় কাঁপে কত খুনিয়া
শুধু পাথরের প্রান এজিদ হয়নি নতশির
ক্ষুভে ত্রাসে আলিজাদা মদিনার মহাবীর
হাছান মরল এজিদের ষড়যন্ত্র যহরে
সাধারন মানুষ মরে ছুরা গুপ্ত প্রহরে ।।

ইমাম হোসেন সাহায্য চায় বন্ধু জেয়াদের
সে যে বড় প্রতারক চিঠি লিখে আশ্বাসের
আমত্রন পেয়ে হোসেন দেয় পথ রওয়ানা
কুফা ভুলে এলে চলে একি কোন অজানা
পথ চলে আর হায় হায় রব উটে মরুময়
আশংকায় কাঁপে বুক দাস্ত এ কারবালায় ।

নাই পানি সুহারিতে কাঁদে বাচ্ছা বউ ঝিক
ফোরাত কুল ঘিরে রাখে এজিদের সৈনিক
মায়ের স্তনে দুধ নাই বাচা কাঁদে আহারে
ঘোড়ায় চড়ে হোসেন ছুটে পানি আনিবারে
নির্দয় এজিদ এর সৈন্য দেয়নি কো পানি আর
বিষের তীর বক্ষে মারে কচি শিশুর দেহ জার
কি বুঝাবে হোসেন আসগরের মাকে গিয়ে
জনমের মত পানি বিবি আনিলাম আজ খাইয়ে ।

লাগে যুদ্ধ সত্য আর অসত্যর ঘুরে তরবারি
সাহাদৎ এর পেয়ালা লভে সত্যর দিশারি
কাসেম তব রনে যায় ছেড়ে সখিনার বাধন
মেহেদির রঙ মাখে শোণিতের পড়ে লৌহ বসন
শত শত কাফের বধে কারবালা ময়দান
পিপাসায় নুইয়ে পড়ে কাসেমের শিরত্রান
গুপ্ত তির বিধে এসে শত শত বক্ষে
দুলদুল ছুটে ফেরে সখিনার কক্ষে
কাসেমের সেতবাস হবে আজি বাসর মিলনে
কাঁদে মরু ভুমি যত লুটায়ে করুনে ।

একে একে শহীদ হয় যত সাহাবী নওজোয়ান
হোসেন এবার ঘোড়া ছুটায় ধুন্ধুমার বাধে রন
কচুকাটা করে যত এজিদের বাহিনী
ফোরাত কুল মুক্ত করে খাবে এবার পানি
অঞ্জলি ভরে পানি যখনি ধরে মুখ সামনে
ভেসে উটে কচি শিশুর মৃত্যুটা ক্যামনে
পানি পানি করে কত শিশু আর কচি মেয়ে
মরুর বুকে চেতন হারায় জীবনের ছুটি লয়ে
হাত হতে সেই পানি ফেলে দিয়ে ইমাম হোসেন
আকাশের দিকে চেয়ে করে আজ কোন ধ্যান

লক্ষ টাকার আশায় সুযোগ খুজে সিমারে
গুপ্ত তীর ছুড়ে সে বিধে হোসেনের বক্ষ জুড়ে
মাটিতে পড়ে হোসেন দেখে আসমানের খুলে দ্বার
ডাকে মাতা ফাতেমায় আয় বাঁচা আগুসার
বক্ষে চড়ে সিমার হোসেনের গলে চালায় খঞ্জর
বারেবার দেখে দাঁর কাঁপে ভয়ে থর থর
চেতনা ফিরে হোসেন জিজ্ঞাসে তুমি কে বক্ষে
এই বুক কত পবিত্র নাই তোমার রক্ষে
সিমার কহে এতকিছু জানিনা আমি চাই মুণ্ডু
লক্ষ টাকা ইনাম পাব সাথে খেতাদের দন্ডূ
হোসেন কহে বক্ষ দেখাও লোম থাকবেনা সে সিমার
সেই শুধু হন্থা কারী চিনায়ে লইবে মুণ্ডু আমার
বক্ষ দেখে নিশ্চিত হয়ে বলল ডেকে সিমারে
নানাজানের চুমায় ভঁরা গলে কাটবেনা শির খঞ্জরে ।
নির্দেশ মোতাবেক সিমার খঞ্জর চালায় গলায়
হায় হায় রব উটে দাস্ত ভয়াল কারবালায় ।

আজ ইসলাম এবং ঈমানের সত্য প্রতিষ্ঠা , ন্যায় জিইয়ে রাখার জন্য ইমাম
হোসেন এর শাহাদাৎ বরন কিয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের নিকট এক উজ্জ্বল
মাইল ফলক ।
এই সত্য আদর্শ সটীক ইসলামি মুল্যবোধ তৈরি হোক প্রতিটি মুমিন এর
অন্তরে ।
এবং সর্বশেষ এই দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে ।।
হে আল্লাহ তুমি আমাদের সত্য সুন্দর সহজ সরল পথে চালাও
আমাদের দাও হেদায়েত করুণার রহমত কিঞ্চিত
সেই পথে চালাও , যে পথে চলে গেছে তোমার প্রিয়জন
দাও শান্তি দুনিয়ায় দাও আখেরাতে জান্নাত ।। আমিন

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্য প্রতিষ্ঠা , ন্যায় জিইয়ে রাখার জন্য ইমাম হোসেন এর শাহাদাৎ বরন কিয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের নিকট এক উজ্জ্বল
মাইল ফলক ।

মহরমের মাসে জেগে উঠুক মৃত চেতনারা...

++++++++++++

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ভ্রাতা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.