নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঝোকে ঝাকে বাঙালি

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৮


নগর জুড়ে চলছে বিক্ষোভ। রাস্তায় মানুষ আর মানুষ। ছেলে বুড়ো, গৃহবধূ, কিশোর কিশোরী, ধনী গরিব- কে না নেই রাস্তায়। বিক্ষুব্দ জনগণ ঘেরাও করে রেখেছেন নগর ভবন। সমান তালে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে চলেছেন নগর ভবনের ভেতরে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশসহ অন্যা্ন্য বাহিনীকে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভীষণ ব্যস্ততা বেড়েছে মিডিয়ার। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট থেকে টিভি চ্যানেলগুলো লাইভ টেলিকাষ্ট করছে। কমলাপুর রেলষ্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে এমন একজন টিভি কর্মী বলছেন, মুন্নী? আপনি কি আমাকে শুনতে পাচ্ছেন?

হ্যা শুনতে পাচ্ছি মদন, বলুন।

আপনি নিশ্চয় দেখতে পাচ্ছেন আমি যে জায়গাটিতে দাঁড়িয়ে আছি, ঠিক এখানে, এই স্থানে, যেখানে ইট দিয়ে চারপাশ ঘিরে রাখা হয়েছে, মানুষজন এখন সুশৃঙ্খল ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ফুল দিচ্ছে এবং এই ফুল দেয়া নিয়ে ঘন্টাখানেক আগে মানুষের ঠেলাঠেলি, হাতাহাতি, এমন কি মারামরির হতে আমরা দেখেছি। পুলিশের লাঠিচার্জে অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন, মুন্নি!

মদন আপনি বলতে থাকুন, টিভির সামনে আমাদের লাখ লাখ দর্শক অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

হ্যা, আমি যেটা বলছিলাম, এই যে চর্তুভূজের মত করে ইট বিছিয়ে রাখা স্থানটি, যেখানে এখন ফুলের স্তুপ জমে গেছে, সেখানে একজন মস্তিস্ক বিকৃত মানুষকে সবসময় বসে থাকতে দেখা যেতো। মুন্নি আমি এখানকার মানুষজনের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি ওই পাগলটি কখনও কারোর ক্ষতি করতো না, কিছু চাইতো না, নিজের মত চুপচাপ বসে থাকতো। অথচ তাকে গভীর রাতে পুলিশের সহযোগিতায় সিটি কর্পোরেশনের লোকজন উঠিয়ে নিয়ে যায়। মুন্নি এখানে উপস্থিত প্রতিটি মানুষের একই কথা, একই প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন এভাবে নিরপরাধ, অসহায়, অসুস্থ সর্বোপরি মস্তিস্ক বিকৃত মানুষগুলোর ওপর আঘাত করার মানে কী!

আচ্ছা মদন, আমরা যতদূর জেনেছি কমলাপুর স্টেশনের এই পাগলের অর্ন্তধান থেকে আজ নগর জুড়ে এতবড় প্রতিবাদের সুত্রপাত হয়। সম্ভাবত আমরা মিডিয়াকর্মীরা তাকে নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই মানবতা বিরাধী, জঘন্যতম কর্মকান্ড সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে। আপনি কি ঘটনার কোন প্রত্যক্ষদর্শীর খোঁজ পেয়েছেন?

হ্যা মুন্নি, আপনি যেমনটি বলছিলেন, এখান থেকে মূল ঘটনার সূত্রপাত হয় এবং একে একে মানুষ জানতে পারে কয়েকদিন আগে গোটা শহরে পাগল নিধন অভিযান চালানো হয়েছিল। আমি স্টেশনের আশেপাশের চা বিক্রেতা, কুলি, হকার, খবরের কাগজ বিক্রেতা, রিক্সাওয়ালাসহ অসংখ্য মানুষের বক্তব্য নিয়েছি। এই কমলাপুর স্টেশনের বাইরে, যেখানে ওই পাগলটি সবসময় বসে থাকতো, তার থেকে দশ বারো গজ দূরে বাদম বিক্রি করতো একজন। সেই বাদাম আলা ওই বয়স্ক পাগলকে প্রায় বাদাম খেতে দিতেন। দু সপ্তাহ ধরে তাকে ওই স্থানটিতে দেখতে না পেয়ে তিনি অন্যান্য হকারদের কাছে খোঁজ খবর করেন, এখানে যেসব টোকাইরা ঘুরে বেড়ায় তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেন। মুন্নি, যতদূর জেনেছি, ওই পাগলকে নিয়ে বিচলিত বাদাম আলা রেলওয়ের একজন পুলিশের কাছে প্রশ্ন করেন। জানা গেছে ওই পুলিশ নাকি তখন ধমক দিয়ে তাকে বলেছিল, “ব্যাটা চুপ থাক, এবার তোর পালা।” সবচেয়ে মর্মান্তিক ব্যাপার হলো মুন্নি, তারপর থেকে সেই বাদাম আলার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

মদন আপনি কি সেই পুলিশের নাম জানতে পেরেছেন?

না মুন্নি, এখানকার লোকজন ঘটনাটি শুনেছেন বলে আমাকে জানিয়েছে, কিন্তু কেউ নাম বলতে পারেননি।

ঠিক আছে মদন, আপনাকে ধন্যবাদ। দর্শক মন্ডলি আমরা এখন চলে যাচ্ছি নগর ভবনে। সেখানে আমাদের সহকর্মী আবুল রয়েছেন কমফারেন্স রুমে। আবুল, আবুল, আপনি কি আমাকে শুনতে পাচ্ছেন। হ্যা মুন্নি বলুন। আবুল, আর একটু পরেই তো মেয়রের প্রেস কনফারেন্স। ওখানকার পরিস্থিতি এখন কেমন? মেয়র সাহেব ঘটনাটি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন, বিষয়টি নিয়ে কোন আগাম তথ্য পেয়েছেন কী!

মুন্নি আমি দুঃখিত, আপনার মাধ্যমে দেশবাসীকে জানাতে চাই, দুপুর দুটোর সময় মেয়রের যে প্রেস কনফারেন্স হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। এইমাত্র মেয়রের একান্ত সচিব বিষয়টি নিশ্চিত করলেন। কিন্তু কেনো বা কি জন্য মেয়র সাহেব মিডিয়ার মুখোমুখি হতে চাইছেন না, তা পরিস্কার করে না বললেও এখানে উপস্থিত মিডিয়াকর্মীরা ই্তিমধ্যে অবগত হতে পেরেছে মুন্নি।


আচ্ছা আবুল, আমরা এখনও পর্যন্ত যা যা জানতে পেরেছি এবং বিষয়টি সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে ঢাকা শহরকে ভবঘুরে বা পাগলমুক্ত করতে সিটি কর্পোরেশন এক রাতের মধ্যে শহরের সব পাগলকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে, তা পরিস্কার করে বলছে না সরকারের কোন দায়িত্বশীল মহল। ইতিমধ্যে ফলোআপ নিউজে কোন কোন প্রিন্ট মিডিয়া বিস্ময় সূচক চিহ্ন ব্যবহার করে হেডিং করেছে, “কুকুরের মতই কি মেরে ফেলা হলো নগরীর শতাধিক পাগল!” আপনার কাছে এর কোন সঠিক পরিসংখ্যান আছে বা বিষয়টি এখনও গুজবের পর্যায় আছে কিনা।


মুন্নি আপনি নিশ্চয় আকস্মিক বাতিল হয়ে যাওয়া মেয়রের সংবাদ সম্মেলন থেকে বিষয়টি আঁচ করতে পারছেন। সরকারের কাছে আসলে এর কোন সদূত্তোর নেই। তবে তাদেরকে মেরে ফেলা হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কিন্তু আবুল! আশুলিয়া ও চিটাগং রোড থেকে পরশু রাতে উদ্ধার হওয়া পৃথক তিনটি অজ্ঞাত লাশ ওইসব হতভাগা পাগলের বলে দাবি করেছে একটি মানবাধিকার সংগঠন। আবুল আপনি সঙ্গেই থাকুন।


দর্শক মন্ডলি এ মুহূর্তে আমাদের ষ্টুডিওতে উপস্থিত আছেন বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ, নর্থ ওয়েষ্ট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর হাশমত রবিউল এবং বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী, ইষ্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর খবির মিঞা। আমরা প্রথমে জনাব রবিউলের কাছে জানতে চাচ্ছি, একজন নগর পরিকল্পনাবিদ বা সভ্যতার ধারক হিসাবে স্যার আপনি কি মনে করেন একটি পরিকল্পিত এবং পরিচ্ছিন্ন নগরী গড়ে তুলতে পাগল নিধন করা কতটা জরুরি!


মুন্নি আপনাকে ধন্যবাদ। যদিও নগর পরিকল্পনার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই, বিষয়টি এক ধরণের সামাজিক সমস্যা। রাস্তায় বা উন্মুক্ত পরিবেশে পাগলকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে আমরা বিব্রত হই, বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা, মহিলারা ভীত হয়ে পড়েন। এদের দ্বারা কখনও কখনও আমরা আক্রান্ত হয়ে থাকি। তাই একটি উন্নত সমাজ ব্যবস্থার প্রয়োজনে ভবঘুরেমুক্ত পরিবেশ বাঞ্ছনীয়।

স্যার আপনাকে ধন্যবাদ। প্রফেসর খবির মিঞা স্যারের কাছ এ বিষয়ে আমরা পরে আসছি, এইমাত্র আমরা খবর পেয়েছি ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় পুলিশের সাথে নতুন করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে ছাত্র-জনতা। অপরদিকে সকাল থেকে শাহাবাগ এলাকায় চলতে থাকা বিক্ষুব্ধ জনতা ও পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের রয়েছেন আমাদের সহকর্মী মকছেদ আলী। দর্শক মন্ডলি এখন আপনাদেরকে নিয়ে যাচ্ছি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে, সেখানে নতুন করে কোন অজ্ঞাত লাশ এসেছে কিনা তা মকছেদের কাছ থেকে আমরা জেনে নেবো। মকছেদ আপনি কি মর্গের ভেতরে?

হ্যা মুন্নি, আমি যে লাশটির পাশে দাঁড়িয়ে আছি, এটি অজ্ঞাত লাশ হিসাবে মাত্র মর্গে প্রবেশ করেছে। আপনি দেখতে পাচ্ছেন মৃত এই ব্যক্তিটির লম্বা লম্বা চুল ও দাড়ি রয়েছে, গায়ের ময়লা জামা ও ছেড়া প্যান্ট দেখে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারছেন লোকটি এ শহরেরে একজন উন্মাদ, যিনি ওই অভিযানে পাকড়াও হন এবং পরে তার লাশ ফেলে দেয়া হয় বলে প্রাথমিক আলামত দেখে ধারণা করা যাচ্ছে, মুন্নি।


মকছেদ আপনি মর্গেই থাকুন। দর্শক, এইমাত্র মেয়রের স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি আমাদের হস্তগত হয়েছে। ই মেইলে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি গুজবকে বিশ্বাস করে রাজধানী ঢাকাসহ আশেপাশের এলাকায় যেভাবে মানুষ রাস্তায় নেমে বিশৃঙ্খলা শুরু করেছেন, তা কোন সুস্থ এবং সচেতন নাগরিকের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে না রাষ্ট্র।


মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষগুলো নিরাপদে আছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। একটি বিদেশী সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের তিনটি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদের মধ্যে যাদের মানসিক ভারসাম্যহীনতার ভাগ বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে, তাদেরকে পাবনার হেমায়েতপুরস্থ মানসিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।


আমরা গত দু সপ্তাহে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রাথমিক পর্যায় ৪০ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরেকে উদ্ধার করে এনেছি। পর্যায়ক্রমে শহরের রাস্তায়, মার্কেটের বারান্দায়, ষ্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে বেওয়ারিশ ভাবে থাকা বিকারগ্রস্থ মানুষদেরকে এই চিকিৎসাসেবা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসা হবে।


প্রিয় নাগরিক। যেসকল ভবঘুরে, মস্তিস্ক বিকৃত মানুষদের নিয়ে গুজব ছড়ানো হলো, কোন কোন মিডিয়াই বলা হলো বেওয়ারিশ কুকুরের মত মেরে ফেলা হয়েছে, যা আপনারা কেউ কেউ বিশ্বাস করলেন, ফুসে উঠলেন এবং মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষগুলোর জন্য আপনাদের হৃদয় আজ কেঁদে উঠলো। মায়া-মমতা জাগ্রত হলো। আমরা আপনাদের আবেগকে সম্মান জানাই। কিন্তু আপনারা কেউ এইসব মানুষের পাশে কখনও দাঁড়িয়েছেন? সহমর্মিতা দেখিয়েছেন,? দু’পাঁচ টাকার খাবার কিনে দিয়েছেন?


রাষ্ট্রকে ভালবাসুন। রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষকে ভালবাসতে শিখুন।

বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক।

মেয়র, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: অবাক #:-S

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

শামীম সুজায়েত বলেছেন: এমন অবস্থা চলছে চারপাশ।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় আছেন তারা কি দেশকে ভালোবাসেন?

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: তাদের বেলায় বিষয়টি "ব্যবসায়ীক উপকরণ" অথবা বলা যেতে পারে পেশাদারিত্বের অংশ বিশেষ যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কৃত্তিমতা ছাড়া অন্যকিছু নয়।

ধন্যবাদ আপনাকে রাজীব ভাই। আপনি সবসময় ঢু মারের আমার ওয়ালে। ভাল লাগে মন্তব্যে।

আবারও তাকতে চাই আগের মত-
ওয়ালে ওয়ালে
প্রসবিত মন্তব্য হয়ে।।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় আছেন তারা কি দেশকে ভালোবাসেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.