নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুহৃদ আকবর

Do Well, Be Well

সুহৃদ আকবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিভাবে ভালো বন্ধু হবেন

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

আমরা সাধারণত অপরের উপর দোষ চাপাতে বেশি অভ্যস্ত। তাইতো অনেককেই আপসোস করে বলতে শোনা যায় আহ! আমার কোনো বন্ধু নেই। বন্ধু নেই কথাটা ঠিক না। আসলে সে অর্থে মানুষ কথাটি বলে না। এ কথাটি বলার অর্থ হলো, তার কোনো ভালো বন্ধু নেই। এ চিন্তা মানুষের মনে আসা স্বাভাবিক। তবে কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন আপনি, নিজে একজন ভালো বন্ধু হতে পেরেছেন কি? সমবয়সীদের সাথে যেমন বন্ধুত্ব হতে পারে তেমন বয়সের ব্যবধানেও বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। আমরা শুধুমাত্র তখনই ভালো বন্ধুর আশা করতে পারি যখন আমি বা আপনি নিজেকে ভালো বন্ধু হিসেবে অপরের নিকট উপস্থাপন করতে পারব।

ভালো বন্ধু হওয়ার কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলো:

১. নিয়মিত যোগাযোগ রাখা: প্রতিদিন আমাদেরকে অনেক কাজ করতে হয়। অসংখ্য কাজের ভিড়ে অনেক সময় নিঃশ্বাস ফেলার সময় থাকে না। জীবনকে অসহনীয় মনে হয় নিজের কাছে। মাঝে মাঝে জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মে আমাদের। এ সময় যদি কোনো বন্ধু ফোন করে কথা বলে তখন ফিলিংসটাই অন্য রকম হয়ে যায় আমাদের। বন্ধুর সাথে একসাথে ঘুরতে, ধুমায়িত চায়ের কাপ হাতে জম্পেস আড্ডায় মেতে উঠতে কার না মন চায়। তেমনি আপনি যদি নিজেকে ভালো বন্ধু হিসেবে তৈরী করতে চান তাহলে আপনার প্রিয় বন্ধুটির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।

২. বিস্বস্ত থাকুন: সর্বদা বন্ধুর প্রতি বিস্বস্ত থাকার চেষ্টা করুন। অনেকে সময় দেখা যায় সুসময়ে মানুষের অনেক বন্ধু জোটে দুঃখের সময় ছায়াও মাড়াতে দেখা যায় না। শুধুমাত্র বসন্তের কোকিল না হয়ে দুঃখের সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। কেউ যদি এমন ব্যবহার আপনার সাথে করে তাহলে ভেবে দেখুন কেমন লাগবে আপনার। যদি বন্ধুর বিপদে টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করতে নাও পারেন অন্তত তার সাথে দেখা করুন তার পিঠে হাত বুলিয়ে সাহস দিন। এতে বন্ধুটি আতœবিশ্বাস ফিরে পেতে পারে। নামাজ পড়ে আল্লাহর নিকট ওই বন্ধুর জন্য দোয়া করুন।

৩. ভরসা করা যায় এমন একজন হোন: অপরের কাছে নিজেকে নির্ভরশীল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলুন। যদি বন্ধুকে কখনো কথা দিয়ে থাকেন তা রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। যদি না পারেন সময় আসার পূর্বেই কারণ ব্যাখ্যা করে মা চেয়ে নিন। মনে রাখবেন মা চাইলে মানুষ কখনো ছোট হয় না। বন্ধুর কাছে মা চাইতে ছোট হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। কারণ, এতে তার মনে আপনার প্রতি ইতিবাচক একটা ধারণা তৈরী হবে।

৪. হয়ে উঠুন ভালো শ্রোতা: সবাই চায় মনের কথাটি প্রিয় বন্ধুটিকে বলতে। প্রিয় মানুষের সাথে শেয়ার করতে। আপনিও আপনার বন্ধুর কথা মন দিয়ে শুনুন। পরামর্শ চাইলে ভালো পরামর্শ দিন। তার আগ্রহ আছে এমন বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করুন। মনে রাখবেন শুধুমাত্র আপনার সমস্যাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা নয়, এর চেয়ে আরো অনেক জটিলতা নিয়ে মানুষ জীবন অতিবাহিত করছে।

৫. বন্ধুর দুর্বলতাগুলো গোপন রাখুন: যখন কোনো বন্ধুত্বের সম্পর্ক গাঢ় হয় হখন তখন পরস্পর অনেক গোপন বিষয়ে জানা হয়ে যায়। আর বন্ধু তার গোপন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কথাটি সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটিকেই বলে। তাই বন্ধুর উচিত ওই গোপন কথাটি গোপন রাখা। অন্যদের সাথে এসব নিয়ে আলোচনা, হাসাহাসি না করা। তা না হলে আপনি বন্ধুর নিকট বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবেন। তাই বন্ধুর দুর্বলতাগুলো সব সময় গোপন রাখা উচিত।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খারাপ বলেননি।
তবে এটা একটু বেশি অফিশিয়াল হয়ে গেল না?

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।শুভ কামনা জানবেন।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

বিপরীত বাক বলেছেন: সব সুবিধাবাদী আর ধান্দাবাজ।
বন্ধুত্ব আবার সেখানে আসে কিভাবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.