নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুহৃদ আকবর

Do Well, Be Well

সুহৃদ আকবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্পর্ক ধরে রাখবেন যেভাবে

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না। সে হলো বহমান নদীর মতো। জীবন চলার পথে অনেক মানুষের সাথে আমাদের পরিচয় হয়। এদের ভেতর অনেক মানুষকে আমরা ভালোবেসে ফেলি। কারো সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরী হয়। তারা হয়ে যায় মনের মানুষ। এসব লোকের সাথে মান-অভিমান, রাগ-অনুরাগের মাধ্যমে সম্পর্ক এগিয়ে চলে। একে অপরের সাথে সম্পর্ক মজবুত হয়। এদের অনেকে এমন আছে যে এরা মায়ের পেটের ভাই নয়, কাছের কোনো আত্নীয় নয়, তবুও এরা তাদের মতই অথবা তাদের চাইতেও বেশি প্রিয় মানুষ হয়ে উঠে। একসাথে থাকা, খাওয়া, ঘোরাঘুরি, আড্ডা কিংবা গোধূলিবেলার সোনালি বিকালের সেই রূপালী মুহূর্তগুলোকে আমরা কি-করে ভুলি। বন্ধুর সাথে আমরা আমাদের মনের কথা বলি। গোপনীয় বিষয় শেয়ার করি। এভাবে কিছু মানুষের সাথে আমাদের মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা হয়ে ওঠে প্রাণের মানুষ। আর কোনো মানুষই সারা জীবন একসাথে থাকতে পারে না। কারণ, মানুষের জীবন হলো গতিময়। তাই সেই প্রিয় মানুষটি যখন কাছে থাকবে না তখন নিশ্চয় তাকে আপনার মনে পড়বে। সেই প্রিয় মানুষটির সাথে কিভাবে সম্পর্ক ধরে রাখবেন এ সম্পর্কে কিছু টিপস দেওয়া হলো।
১. নিয়মিত যোগাযোগ: কারো সাথে সম্পর্ক হবার পর নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলে সে সম্পর্ক থাকে না। সপ্তাহে অন্তত একদিন কিংবা মাসে কম করে হলেও দুইবার যোগাযোগ করুন। যোগাযোগ না থাকলে ধীরে ধীরে সম্পর্ক ফিকে হতে শুরু করে। সে মানুষটি এক সময় আপনার যতই কাছের মানুষ হোক না কেন সে দূরে সরে যেতে থাকে। তার জন্য আগের সে আবেগ অনুভূতি আর থাকে না। এ যোগাযোগ হতে হবে আপনার প থেকে। শুধু ও যোগাযোগ করছে না বলে আপনি যোগাযোগ করবেন না তা হতে পারে না। আপনি যা ভাবছেন সেও হয়তো তা ভাবছে। এভাবে হলেতো চলবে না। কারো না কারো প থেকে তো যোগাযোগ করতে হবে। মনে রাখবেন, সে আপনার সাথে যোগাযোগ করছে না তার মানে এটা নয় যে সে আপনাকে ভুলে গেছে। সে হয়তো কোনো সমস্যার ভেতর থাকতে পারে। আর কোনো সম্পর্কই বৃথা যায় না। মানুষ মানুষের সাথে সেই দুষ্টু, মিষ্টি স্মৃতিকে কিভাবে ভুলে থাকতে পারে! তাই আজই আপনার প্রিয় মানুষটির সাথে যোগাযোগ রা করে চুলুন। দূরত্ব কমিয়ে ফেলে আবার আগের মতো কাছের মানুষ করে ফেলুন।
২. উপহার প্রদান: প্রিয় মানুষটিকে উপহার দিন। এ ক্ষেত্রে বই হতে পারে উৎকৃষ্ট মাধ্যম। কথায় আছে বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না। যে বই পড়ে তার কোনো শত্রু থাকতে পারে না। বই পড়লে মানুষের চুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। যা দিয়ে সে পৃথিবীকে দেখতে পারে। অজানাকে জানতে হলে, মানুষের জটিল, কুটিল, কঠিন, স্বভাবকে জানার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। সেই জন্যই তো স্টিকারে লিখা দেখা যায়, প্রিয়জনকে বই উপহার দিন। যাকে ভালোবাসুন তাকে বই উপহার দিন। এটা তার আজীবন কাছে লাগবে। বই হলো এমন এক বন্ধু যা মানুষের সাথে কখনো অকৃতজ্ঞ আচরণ করে না। সে কেবল মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়ে যায়। সত্য-মিথ্যা, আলো-অন্ধকার, ঠিক-বেঠিকের নির্দেশনা বই-ই দিতে পারে। তবে বই নির্বাচনের ক্ষেত্রে সচেতনাতা জরুরী। বই মানুষের আত্নাকে জাগিয়ে তোলে, ব্যক্তিত্বকে বিকশিত করে। তাই প্রিয় মানুষটিকে বই উপহার দিয়ে তার জীবনকে আলোকিত করে তুলুন। এছাড়া ডায়েরি, ক্যালেন্ডার, জামা-কাপড় হতে পারে উপহারের বিষয়।
৩. সুখে দুঃখে সমবেদনা জানানো: সুখের সময় বন্ধুর অভাব হয় না কিন্তু দুঃখের সময় কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। সুখ দেখলে মানুষ মৌমাছির মতই ছুটে আসে। দুঃখ, দৈন্য, অভাব দেখা দিলে মানুষ পিঠ দেখিয়ে পালায়। যাকে আপনি সবচেয়ে প্রিয় মানুষ ভাবতেন দুঃখের সেই আপনার পাশে নেই এটা হলো অকৃতজ্ঞ মানুষের চিরাচরিত স্বভাব। ভালো মানুষ কখনো বিপদের সময় আপনাকে ছেড়ে যেতে পারে না। আর সে যদি হয় আপনার বন্ধু তাহলে তো কথাই নেই। কি করে সে আপনার বিপদের সময় কেটে পড়তে পারে! তাই বিপদের সময় যে আপনাকে সহযোগিতা করে, আপনাকে সান্তনা দেয় সে হলো আপনার প্রকৃত বন্ধু। তাই সত্যিকার অর্থে আপনি যদি আপনার বন্ধুটিকে ভালোবেসে থাকেন তাহলে তার বিপদের সময় তার কাছ থেকে দূরে সরে যাবেন না। মনে রাখবেন, তার বিপদের সময় শুধু কাড়িকাড়ি টাকা আর উন্নত ফল-ফলাদি নিয়ে যেতে হবে এমনটা নয়। যদি টাকা আর ফল-ফলাদি দিতে পারেন ভালো কথা তাই বলে যে আপনি তার কাছ থেকে দূরে থাকবেন এমনটা নয়। টাকা-পয়সার চাইতে আপনার একটু সান্তনাই হতে পারে অনেক বেশি উত্তম। তাই বিপদের সময় কখনো বন্ধুকে ছেড়ে যাবেন না। তাকে ফোন করুন, তাকে সান্তনা দিন, পরামর্শ দিন। এটা হলো তার সাথে আপনার সম্পর্ক আরো বেশি মজবুত হয়ে উঠবে।
৪. আল্লাহর নিকট দোয়া করা: আপনার পছন্দের মানুষটির জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করুন। যাতে আপনাদের সম্পর্ক আমরণ টিকে থাকে। কারণ, চলার পথে অনেকের সাথে আমাদের পরিচয় ঘটে। সব মানুষের সাথে কিন্তু বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে উঠে না। কিছু মানুষ আছে ব্যতিক্রম। যারা আপনার খুব কাছের মানুষে পরিণত হয়। সুখে দুঃখে আপনার পাশে থাকে। আপনার খোঁজ খবর নেয়। বিপদ আসলে পাশে দাঁড়ায়। এদের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করুন। দেখবেন দিনদিন আপনাদের সম্পর্ক আরো বেশি মজবুত ও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবে।
৫. ভুল হলে ক্ষমা করা: এ ক্ষেত্রে হযরত আলী (রাঃ) একটি কথা প্রণিধানযোগ্য ‘যাতে তুমি ভালোবাসো তার জন্য একটি কবর বানাও যাতে ওর দোষত্রুটি গুলোকে দাফন করতে পার”। সত্যিই চমৎকার উপদেশ। দেখা যায় অনেক আন্তরিক মানুষের সাথে শুধু এ কারণে সম্পর্ক ছিন্ন হয় যে, কারণ, যাকে মানুষ প্রিয় ভাবে তার একটু দোষও সে সহ্য করতে পারে না। এতে সম্পর্ক বেশি দিন টিকে থাকে না। তাই যাকে আপনি সত্যিকার অর্থে ভালোবাসবেন তার দোষত্রুটিগুলোকে আপনি মা করতে শিখুন। মনে রাখবেন, কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আর কোনো মানুষকেই আপনি একশো পার্সেন্টস নিজের মতো করে পাবেন না। তাই ভুলের তিরস্কার না করে বন্ধুর ভুল ধরিয়ে দিন, সঠিক পরামর্শ দিন, তার সত্যিকারের সহযোগি হোন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আজকাল স্বার্থপর মানুষের সংখ্যায় বেশি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.