নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুহৃদ আকবর

Do Well, Be Well

সুহৃদ আকবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পহেলা বৈশাখেই কেন মঙ্গল শোভাযাত্রা

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

নতুন বছরকে মানুষ স্বাগত জানাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে তা কতটুকু জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষার সাথে মিল রেখে করা হয় সেটাই হলো আসল কথা। বৈশাখ উদ্যাপন করা অথবা মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করার বিপওে নই। কথা হলো বৈশাখের দিন কেন এই মঙ্গল শোভাযাত্রা? কোনো ধর্মের বিষেদাগার করাো আমার এ লেখার উদ্দেশ্য নয়। লেখার উদ্দেশ্য হলো, আমাদের নীতি আদর্শ, সংস্কৃতি কিরূপ হবে তা বলার চেষ্টা করা।
হিন্দু মত অনুযায়ী তাদের এক দেবতার নাম ছিল বিষ্ণু দেবতা। যার পত্নী হচ্ছে লক্ষ্মীদেবী। তাদের পাঁচ কন্যা বিশ্বাস করতো, সমস্ত মঙ্গলের মালিক হচ্ছে লক্ষ্মী দেবী। যার বাহন হলো ‘পেঁচা’। শয়তানী চক্র বিচিত্র উপায়ে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তির সাথে এই পেঁচার মূর্তিটিও ঢুকিয়ে দেয় মঙ্গল শোভাযাত্রায়।
মঙ্গল শোভাযাত্রা ঢাকায় বাংলা বর্ষবরণ উৎসবে করা একটি আয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এই শোভাযাত্রায় চারুকলার শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে। এই শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ধরনের প্রতীকী শিল্পকর্ম বহন করা হয়। থাকে বাংলা সংস্কৃতির পরিচয়বাহী নানা প্রতীকী উপকরন, রং বেরংয়ের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা। সে বছরই লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় এই আনন্দ শোভাযাত্রা। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক শিক্ষার্থীগন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে প্রথম বারের মতো। শোভাযাত্রায় থাকে বিশালকায় চারুকর্ম পাপেট, হাতি ও ঘোড়াসহ বিচিত্র সাজসজ্জা। থাকে বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্য। পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু থেকেই জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। তারপরের বছরও চারুকলার সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। তবে সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, সে বছর চারুশিল্পী সংসদ নববর্ষের সকালে চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল বের করে। শুরু থেকেই চারুকলার শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার স্বপ্নদ্রষ্টাদের একজন মাহবুব জামাল শামীম এমনটাই বলেছেন। তিনি জানান, তখন এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। সেই সময়ের সংবাদপত্রের খবর থেকেও এমনটা নিশ্চিত হওয়া যায়। সংবাদপত্র থেকে যতোটা ধারণা পাওয়া যায়, ১৯৯৬ সাল থেকে চারুকলার এই আনন্দ শোভাযাত্রা মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে নাম লাভ করে। তবে বর্ষবরণ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা চারুকলায় ১৯৮৯ সালে শুরু হলেও এর ইতিহাস আরো কয়েক বছরের পুরানো। ১৯৮৬ সালে চারুপীঠ নামের একটি প্রতিষ্ঠান যশোরে প্রথমবারের মতো নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। যশোরের সেই শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, বাঘের প্রতিকৃতি, পুরানো বাদ্যসহ আরো অনেক শিল্পকর্ম। শুরুর বছরেই যশোরে সেই শোভাযাত্রা আলোড়ন তৈরি করে। যশোরের সেই শোভাযাত্রার উদ্যোক্তাদের একজন মাহবুব জামাল শামীম মাস্টার্স ডিগ্রি নিতে পরে ঢাকার চারুকলায় চলে আসেন। পরবর্তীতে যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকার চারুকলা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা।
১৯৮৯ সালে প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল পাপেট, ঘোড়া, হাতি। ১৯৯০ এর আনন্দ শোভাযাত্রায়ও নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিল্পীদের উদ্যোগে হওয়া সেই শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর, বিশিষ্ট লেখক, শিল্পীগণ-সহ সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেয়। শোভাযাত্রায় স্থান পায় বিশালকায় হাতি, বাঘের প্রতিকৃতির কারুকর্ম। কৃত্রিম ঢাক আর অসংখ্য মুখোশখচিত প্ল্যাকার্ডসহ মিছিলটি নাচে গানে উৎফুল্ল পরিবেশ সৃষ্টি করে। ১৯৯২ সালের আনন্দ শোভাযাত্রার সম্মুখে রং বেরংয়ের পোশাক পরিহিত ছাত্র-ছাত্রীদের কাঁধে ছিল বিরাট আকারের কুমির। বাঁশ এবং বহু বর্ণের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল কুমিরটি। ১৯৯৩ সালে ‘১৪০০ সাল উদযাপন কমিটি’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর চারুকলা ইন্সটিটিউটের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রার আকর্ষণ ছিল বাঘ, হাতি, ময়ূর, ঘোড়া, বিভিন্ন ধরনের মুখোশ। চারুকলার সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় দিয়ে শিশু একাডেমি হয়ে পুনরায় চারুকলায় এসে শেষ হয়।
প্রশ্ন হলো, নতুন বছরেরর প্রথম দিন বাঘ, ভাল্লুক, হাতি, ঘোড়া. শাপ, বিচ্ছু, কুমির এবং বিভিন্ন দেব-দেবির মূর্তি, ছবি আর মুখোশ নিয়ে যে ব্যালী বের হয় এখানে কার কাছে মঙ্গল কামনা করা হয়? নাকি এর মাধ্যমে ভিনদেশি হিন্দু সংস্কৃতির প্রসার ঘটানো হচ্ছে।
ইসলাম ধর্ম মতে মুসলমানের সকল কল্যাণের মালিক তো একমাত্র আল্লাহ তাঁয়ালাই। বাংলাদেশ পৃথিবীর বৃহত্তম এক মুসলিম দেশ। তাই এ দেশে মঙ্গল শোভাযাত্রা চালু কতটুকু যুক্তিযুক্ত এবং মুসলমানদের ঈমান আকিদার সাথে যায় কিংবা সাংঘর্ষিক তা ভেবে দেখা সময়ের দাবি বলে সচেতন মহল মনে করেন।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

প্রামানিক বলেছেন: X((

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

সদালাপি বলেছেন: এই ফালতু জিনিষ গুলকেই বাংলা সংস্কৃতির মুল অংশ বলে ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মত একদল আবাল লম্ফ ঝম্প করে .। তাদের দেখে আমার মাল সাহেব (অর্থমন্ত্রী) এর কথা মনে পরে, শুধুই বলতে ইচ্ছে করে "টোটালি রাবিশ"

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

অেসন বলেছেন: দেব-দেবির মূর্তি, ছবি কোন সালে দেখেছেন ? দেব-দেবির মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রার একটি ছবি দেখাতে পারেন? আপনার আপত্তির কারন কি মঙ্গল শব্দটি নিয়ে! চারুকলার ছাত্রছাত্রীরা তাদের কাজের সাথে সংগতি রেখেই শোভাযাত্রাটি করে। এখানে ধর্মীয় দিকটি না টানলেই কি নয় ?

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

নতুন বলেছেন: ভাই আপনার প্রফাইল ছবিতেও কিন্তু সুন্নতী কিছু নাই।

আপনি টাই পরেছেন সেটাও কিন্তু বিদেশি সংস্কৃতি...সাট` বিদেশি সংস্কৃতি..

ক্লিন সেইভ করেছেন সেটাও সন্নতি কায়দা না...

নিজে বিদেশি কায়দায় সাট`, টাই, ক্লিন সেইভ করে.. ইসলাম উদ্ধার করছেন? ভন্ডামী হয়ে যায় না?

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার আপত্তির কারন কি মঙ্গল শব্দটি নিয়ে! চারুকলার ছাত্রছাত্রীরা তাদের কাজের সাথে সংগতি রেখেই শোভাযাত্রাটি করে। এখানে ধর্মীয় দিকটি না টানলেই কি নয় ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.