নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলা না বলা কথা

নীলপরি

গল্পের বই পড়তে , গান শুনতে , ব্লগ লিখতে ও পড়তে ভালবাসি

নীলপরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বীরভোগ্যা

২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩১




জেনেছি বসুন্ধরা হলেন বীরভোগ্যা ।
নীথর ধরণীকে যে কর্ষণ করে ,
বীজ রোপণ কোরে , প্রাণসঞ্চার করে ,
সে শুধু কৃষক । শস্যসংহিতার রচয়িতা নয় ।
এ সত্য । চিরন্তন সত্য ।

অশ্বক্ষুরে দলিত হয় শস্যসংহিতা ।
তাও মোহময়ী ধরীত্রি আত্মসর্ম্পন করে
সেই অশ্বারোহীর কাছে । বীরের কাছে ।
আর সেই কৌশিকীর রূপকার তখন
মন্দির নির্মান করে । বীরপূজো করবে বলে ।

ঘরভাঙা পাখীরা দেবস্তুতি গায় । বিষাদের সুরে ।
কৃষক শূন্য অঞ্জলী অর্পন করে ।
শস্যভরা অঞ্জলীর স্মৃতি হাহাকার করে ।
হায় ! বসুন্ধরা হলেন বীরভোগ্যা !

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪২

কাল্পনিক কামিনী বলেছেন: সুন্দর কবিতা।

২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪০

নীলপরি বলেছেন: ধন্যবাদ ।
শুভকামনা।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: কবিতায় +++ একটু কঠিন শব্দ চয়ন এবং অর্থ বোধক কিন্তু ভালো লাগলো।

২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪১

নীলপরি বলেছেন: খুশি হলাম ।
ধন্যবাদ ।
শুভকামনা।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কঠিন মনে হলো আমার কাছে। তবে খুব সুন্দর লিখেছেন কবিতা। ভালো লাগলো।

শুভকামনা রইল আপু।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

নীলপরি বলেছেন: কঠিন শব্দ ভেবে লিখিনি । হয়ে গেছে হয়তো । অনেক ধন্যবাদ ।

উত্তর দিতে দেরী হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত ।

আপনাকেও শুভকামনা।

৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১১

সুমন কর বলেছেন: কঠিন সুন্দর। .........হাহাহা

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নীলপরি বলেছেন: যেভাবেই হোক , আপনি কবিতা সুন্দর বলায় উৎসাহ পেলাম ।

অনেক ধন্যবাদ ।

উত্তর দিতে দেরী হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত ।

শুভকামনা।

৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর হয়েছে কবিতা । কবিতার প্রেক্ষাপটটি নেই জানা । একটি কবিতাকে যেদিক দিয়ে খুশী সেদিক দিয়ে দেয়া যায় হানা । তাই অনেক দিন আগে বীরভোগ্যা বসুন্দরা নামে গল্প একটা পড়েছিলাম ।জানি এর সাথে কবিতাটির নেই জানাশোনা । তবু দিলাম তুলে গল্পটির যতটুকু আছে মনে ।

গল্পে ছিল দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টায় মহারাজ বীরভদ্র ‘বসুন্ধরা’ পুরনগরীকে গড়ে তুলেছেন।বসুন্ধরা নগরীর একধারে রয়েছে এক নিবিড় অরণ্য। কিছুদিন যাবত মহারাজ তার প্রজাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাচ্ছিলেন যে অরণ্য নিকটবর্তী অঞ্চলে গৃহপালিত পশুদের রাতের আঁধারে হত্যা করা হচ্ছে। মৃত প্রাণীদের দেহাবশেষ এবং অন্যান্য উপস্থিত চিহ্ন দেখে প্রায় নিশ্চিত ভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে প্রতিক্ষেত্রেই হত্যা করার পর মৃতদেহটিকে অরণ্যের অভ্যন্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মহারাজ বীরভদ্র অনবদ্য শিকারি হিসাবে সর্বজন বিদিত। তিনি অশ্বারোহনে বনভুমিতে গমন করলেন । রাত গভীর , বৃক্ষরাজির পত্র-গুচ্ছের আড়াল থেকে চাঁদের আলো এসে অরণ্যের অভ্যন্তরে এক মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অশ্বারোহী মহারাজ বীরভদ্রর হাতের বর্শা অভ্রান্ত নিশানায় নিক্ষেপ করে বিদীর্ণ করলেন বনের ঘাতকেরে । মুক্তি মিলল এক পাশবিকতার কবল থেকে, এক হিংস্রতার কবল থেকে। সকলের উল্লাস ধ্বনিতে জেগে উঠল রাতের অরণ্য। ঊষাকাল আগতপ্রায়। পাখীরা গাইল , মহারাজের মুকুটে শোভিত হল আরও একটি উজ্জ্বল পালক।মহারাজ বীরভদ্র প্রজাদের কাছথেকে ভূয়সী প্রশংসা গ্রহণ করলেন ।

মহারাজ ঘোষণা করলেন, মানুষকে অরণ্যের আর কিছু দেওয়ার নেই, তাকে সংরক্ষণ করার অর্থ মানুষের সুরক্ষাকে অনিশ্চিত করা আর প্রজাদের বিপদকে বাড়িয়ে দেয়া । তাছাড়া অব্যবহৃত মানে অপচয়ও বটে। তাই তিনি ওই অবশিষ্ট অরণ্যকে নগরে পরিবর্তিত করলেন গড়লেন মন্দির । প্রজাগণ এই ঘোষণায় উৎফুল্ল হয়ে মহারাজের জয়গান করতে লাগলেন ।

শতবছর অতিক্রান্ত। একদল ঘোড়সওয়ার যাযাবর ব্যবসায়ী এক দেশ থেকে আরেক দেশের উদ্দেশ্যে চলেছে। সঙ্গে তাদের পণ্যসামগ্রী। এখন যে পথ দিয়ে তারা চলছে সেই পথ খুব রুক্ষ। জলের আভাষটুকুও নেই। পথে তাদের নজরে এলো এক মৃত নগরের ভগ্ন তোরণদ্বার। তার ফলকে উৎকীর্ণ ''বীরভোগ্যা বসুন্ধরা''।

আনেক শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৪

নীলপরি বলেছেন: ভীষণ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যের গল্পটা । পারলে এটা নিয়ে একটা পোষ্ট দিন । তাহলে অনেকে জানতে পারবে ।

হুম ! তবে আমি মহাভারতের খান্ডবদহন পর্বকে মনে রেখে লিখেছি । খান্ডব বন জ্বালিয়ে দিয়ে অর্জুন সেখানকার বাস্তু তক্ষকদের উচ্ছেদ করেন । আর তারপরই বিখ্যাত গান্ডীব ধনুক লাভ করেন । বীরের সম্মান ও পূজা পান ।
সেই ট্র‌াডিশন আজও চলছে । কৃষকের সমস্যার সমাধান না করেই অনেকসময় ইনড্রাসটি হচ্ছে ।

অনেক ধন্যবাদ ।

উত্তর দিতে দেরী হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত ।

শুভকামনা।

৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: কৃষকের বন্দনা!!!

সুন্দর হয়েছে!

প্লাস!:)

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৫

নীলপরি বলেছেন: অনুপ্রেরণা পেলাম ।

অনেক ধন্যবাদ ।

উত্তর দিতে দেরী হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত ।

শুভকামনা।

৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
কবিতা সুন্দর হয়েছে +++

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৬

নীলপরি বলেছেন: শুনে খুব ভালো লাগলো ।

অনেক ধন্যবাদ ।

উত্তর দিতে দেরী হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত ।

শুভকামনা।

৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।

ডঃ এম এ আলী ভাইর গল্পটা দারুন দোত্যনা যোগ করলো যেন!

এ অন্তহীন চক্র। রুপ বদল হয় কেবল সময়ান্তরে! বাকীটা কবিতার সারাংশ !

++++

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩০

নীলপরি বলেছেন: আমারো ডঃ আলীর গল্পটা খুব ভালো লেগেছে ।

এ অন্তহীন চক্র। রুপ বদল হয় কেবল সময়ান্তরে! -----

এটাই বলতে চেষ্টা করেছিলাম ।

অনেক ধন্যবাদ ।

উত্তর দিতে দেরী হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত ।

শুভকামনা।

৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শব্দগুলো কঠিন, কিন্তু পড়তে আরাম লাগলো। সুন্দর শব্দ ব্যবস্থাপনা।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩২

নীলপরি বলেছেন: আর আমার ভীষণ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা । খুব খুশি হলাম ।

অনেক ধন্যবাদ ।

উত্তর দিতে দেরী হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত ।

শুভকামনা।

১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ কবিতার পটভূমি বোধকরি ৫ নং প্রতিমন্তব্যে কিছুটা পাওয়া যায়ঃ কৃষকের সমস্যার সমাধান না করেই অনেকসময় ইনড্রাসটি হচ্ছে
অশ্বক্ষুরে দলিত হয় শস্যসংহিতা ।
তাও মোহময়ী ধরীত্রি আত্মসর্ম্পন করে
সেই অশ্বারোহীর কাছে । বীরের কাছে
চমৎকার!
কবিতা ভাল লেগেছে। + +

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

নীলপরি বলেছেন: হুম স্যর । ওরকমটা ভেবেই লেখার চেষ্টা করেছি ।

আপনার ভালো লেগেছে শুনে উৎসাহ পেলাম ।

অনেক ধন্যবাদ ।



শুভকামনা।

১১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



বসুন্ধরা সর্ব-প্রসুতী, বসুন্ধরা সর্বভুক।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

নীলপরি বলেছেন: ভালো বলেছেন ।

অনেক ধন্যবাদ ।



শুভকামনা।

১২| ১৪ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:৪১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: যুগ যুগ তাই তো হচ্ছে! এর শেষ চাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.