নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবণ চলছে তার নিজস্ব গতিতে, আমি আস্তে আস্তে বড় হয়ে উঠছি। কিংবা বলা যায় মৃত্যুর দিকে যাচ্ছি ধীরে ধীরে। যেভাবেই বলি না কেন জীবণ তো অতিবাহিত করছি। রাত আর দিনের পাল্টা- পাল্টিতে বয়স বাড়ছে অথবা বয়স কমছে। কেননা একটি নির্দিষ্ঠ ক্ষণ আমার মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে। বয়স নিয়ে ভাবতে গেলেই কি আর না ভাবলেই বা কি। তবু এই পৃথিবীতে যে টাকা ছাড়া পথচলা খুব কঠিন সেটা বুঝতে পেরেছি ভালভাবে। আমার দুঃখ তৈরি হয়ে গেছে তা প্রকাশ করাবার জন্য। আমি তাইতো এভাবে বর্ণমালাদিয়ে খুঁচিয়ে কাঁদতে চেষ্টা করছি। আমরা মোটামুটি হারে জমিতে ফষল ফলিয়েই জীবণ নির্বাহ করি। আমার বাবা একজন প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষক। আজ চার মাস পেড়িয়ে গেল আমার বাবা বেতন পান না। শুধু শুধু স্কুল করতে হয়। চার মাস আগে সরকার সব বেঃসঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে সরকারী করেন। সেই সুবাদে তার প্রতি আমরা কৃতঙ্গ। তবে এখন এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় চারমাস ধরে বেতন না পেয়ে প্রায় সব শিক্ষকদের পরিবার চরম মানবেতর জীবণ জাপন করছে। আর আমদের কথা মুখে বলবার মত অবস্থায় নেই। চার মাস বেতন না পেলে কি অবস্থা হবে একবার আপনিই ভাবুন। আর আমার ও আমার বোনের লেখাপড়ার খরচটাও এখন ধার করে চলছে। আল্লাহর করুণায় খাবার কি খাচ্ছি তা সবাই বুঝতে পেরেছেন। আমার বুকফেটে আজ শুধু একটা কথাই বেরিয়ে আসছে যে, সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের এই চরম পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে উনি কি খুব সুখে আছেন কিনা? নিষ্ঠুরতার মায়ের কাছে জানতে চাই?
©somewhere in net ltd.