নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষার্থী।

তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন

স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার চাই।

তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমস্যা যেসব ব্যাক্তিগত

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২৩

ব্যাক্তি সত্বা জাগ্রত করতে মাঝে মাঝে নিজের অভিজ্ঞতাও লিখতে হয়। তাছাড়া লেখকের ব্যাক্তিগত ব্যাপার গুলোতে পাঠক কি ধরণের প্রতিক্রিয়া করে তা জানবার জন্যেও এ লেখার প্রয়োজন আছে। অনেক বিখ্যাত লেখক তাদের সাহিত্যে নিজের ব্যাক্তিগত জীবনের কথা গুলোও খুব দারুণ ভাবে লিখে গেছেন। তার মাঝে অনেক লেখাই বেশ জনপ্রিয় হয়েও উঠেছিল। আমি আজ আমার ব্যাক্তিগত জীবনের সেরকম কিছু কথাই লিখব। ১লা সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে বগুড়া পলিটেকনিক্যাল থেকে ৮ জন ছাত্রের একটি দল ঢাকায় এসেছিলাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং করতে। ৮ জনের মধ্যে ৪জন বাসা নিয়েছিল NIKUNJO 2 এর 5 নম্বর রোডে, একজন ওর ভায়ের বাসায় এবং বাকি তিন জন উঠেছিলাম NIKUNJO 2 এর 15 নম্বর রোডে HOUSE NUMBER ছিল 15 । এই বাসাটা খুব একটা আধুনিক ছিল না। আমার বন্ধু কানন বাসাটা ভাড়া করেছিল। আমি যতটুকু বুঝেছি তাতে মনে হয় কানন মোশারফ নামের একটা ভাইয়ার সাথে চুক্তি করে বাসাটার নিচের এটা রুম ভাড়া নিয়েছিল। নিচের প্রায় প্রত্যেক রুমই অপরিষ্কার এবং অসুন্দর ছিল। আমাদের রুমে জানালা ছিল দুটি, তার একটি খোলা যেত এবং অপরটি খোলা যেত না। এর কারণ সামানে কাঞ্চন নামের একটা ছেলের দোকান ছিল। আমরা সবকিছু ঠিক ঠাক করে নিয়ে একটা মোটামুটি থাকার মত পরিবেশ করে নিলাম। এবং নিয়মিত ট্রেনিং করতে শুরু করলাম। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ছিল এয়ারপোর্টের ভেতরে মডার্ন টেকনোলোজি নামের একটা ওয়ার্ক শপে যারা কার্গো সার্ভিসিং এর কাজ করে থাকে। আমারা এখানে স্প্লীট এসি শিখছিলাম। আমাদের RAC টেকনোলোজি থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং হয় মূলত সেন্ট্রাল এসি, স্প্লীট এসি ও রেফ্রিজারেটর ইত্যাদির উপর। ট্রেনিং শুরুর ১৯ দিন পরেই ঈদের ছুটি কাটাতে বাড়িতে গিয়েছিলাম সবাই। বাড়ি থেকে ফিরে আসার পর এক দিন হঠ্যাৎ করে রান্নার ব্যাপার নিয়ে দুই বন্ধুর মাঝে ঝগড়া শুরু হল এবং এর পরের দিন পাশের রুমের ভাড়াটিয়াদের সাথেও ঝগড়া হল । একারণে উপরের বড় ভাইয়ারা এসে সমস্যাটা মিটিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমার মনে হয় কানন তবুও রেগেই ছিল। আমাদের বাসা ভাড়া নেওয়া ছিল ৩ মাসের জন্য অথচ কানন ঐ ঘটনাটা ঘটবার কারণে দুই মাসেই বাসাটা ছেড়ে দেবার কথা বলে আসে। যেহেতু আমাদের পক্ষ থেকে বাসাটা সেই নিয়েছিল তাই অক্টবরেই মানে এই মাসেই বাসাটা ছাড়তে হচ্ছে সবাইকে। একথা শুনে প্রথমে আমরা অন্য দু'জন খুশিই হয়েছিলাম কারণ এই বাসাটা আমাদের পছন্দ হয় নি। তাই অন্য বাসা খোঁজা শুরু করে দিলাম। কিন্তু সমস্যাটা দেখা দিল এই খানেই। শুধু এক মাসের জন্য কোথাও বাসা খুঁজে পাচ্ছি না আমরা। এখন প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে ঐ বন্ধুটির উপরে। আমাদের ইচ্ছা ছিল ট্রেনিং শেষ করে ড্যাফোডিল কিংবা স্ট্যামফোর্ডে ম্যাকানিক্যালে ভর্তি হব বিএসসি করার জন্য কেননা আমরা কেউই ডুয়েটে ভর্তি কোচিং করব না এবং ডুয়েটে পরীক্ষাও দেব না। পয়েন্ট ৩ হতে পারে কিন্তু ছাত্র হিসাবে আমি মোটেই ভাল না। তাছাড়া আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে কেউ চান্সই পায় না ডুয়েটে। এসব তো ছিল প্ল্যান কিন্তু এখন যে বিপদ ট্রেনিং শেষ করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওর এরকম একটা খারাপ সিদ্ধান্তের জন্য গোটা ব্যাপারটাই একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। আমরা অবশ্য সেজন্যেই এই অনিশ্চয়তার সমাধানেই লেগে রয়েছি এখন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.