নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষার্থী।

তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন

স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার চাই।

তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে আমাদের ভাবনা

২৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

একটি প্রতিক্রিয়া এখন ভেতরে ভেতরে স্পন্দিত হচ্ছে খুব। কঠিন বাস্তবতাটাও জানান দিচ্ছে খুব। আঘাতের নিয়ম ও সময় বেশ পাল্টেছে এখন। খবরের কাগজে খুব অবহেলা এখন। বেশ কিছু ঘটনা খুব কৌশলে ঘটানো হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে শিক্ষার্থীদের আক্রমণ করা হচ্ছে। তাদের দুর্বলতা অনুসন্ধান করে সে অনুযায়ী তাদের আঘাত করা হচ্ছে। নির্যাতন করা হচ্ছে, নির্মম ভাবে রক্তাক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। কোটা বাতিল আন্দোলনের সাথে জড়িতদের এভাবেই দমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এর কোন প্রতিবাদ বা প্রতিক্রিয়া করছি না আমরা। চোখে পড়লেও যাচ্ছি তা এড়িয়ে।
যদি কোটা পদ্ধতি বাতিল করা না হয় তাহলে অনেক মেধাবীরা কর্ম ক্ষেত্রে সুযোগ পাবে না। কোটা সুবিধা নিয়ে অন্যরা সেই সুযোগ ছিনিয়ে নিবে। একারণেই কোটা পদ্ধতির বাতিলের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। ফলে আন্দোলনের দায়ে অভিযুক্ত হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

তবে এমন অনেকেই আছেন যারা এই আন্দোলন চান না। তাদের ধারণা এরকম যে, ধরুন কেটা পদ্ধতি বাতিল করে দেওয়া হল। তাতে বেশকিছু মেধাবীও কর্ম ক্ষেত্রে সুযোগ পেলেন। কিন্তু শুধু এতেই কি সব যোগ্য ব্যক্তিরা বা মেধাবীরা তাদের উপযুক্ত কাজ পাবেন? না না না, তা কিন্তু পাবেন না। এটা সত্যি যে হয়ত কিছু সংখ্যক পাবেন কিন্তু এই বাংলাদেশেই আরো অসংখ্য মেধাবীরা তাদের যোগ্যতা থাকার পরও কর্ম ক্ষেত্রে সুযোগ পান না দুর্নীতির কারণে। হাজার হাজার মেধাবী বাধ্য হন একই সাথে চাকুরিতে জয়েন এবং রিজাইন করতে। তাদের প্রথমে রিজাইন করতে দেওয়া হয় পরে জয়েনিং সিগ্নেচার করে ফিরে আসেন। শুধু এই শেষ নয়, এমনতর আরো অনেক অনেক দুর্নীতি আছে এদেশে। যেমন নিয়োগ দুর্নীতি, ইন্টারভিউ দুর্নীতি সহ হরেক রকমের দুর্নীতি। সেক্ষেত্রে শুধু কোটা বাতিল করেই কি সব ঠিক হয়ে যাবে?
আবার অনেকেই মনে করেন কোটা বাতিল হওয়াটা খুব জরুরী একটি বিষয়। কোটা সুবিধা থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী যোগ্যতা থাকার পরেও কর্ম ক্ষেত্রে সুযোগ পাচ্ছেন না। সে জন্যই কোটা পদ্ধতির বাতিল হওয়া প্রয়োজন। তাদের মতে কোটা পদ্ধতি বাতিল হলে সকলেই সমান সুযোগ পাবে কর্ম ক্ষেত্রে।
কিন্তু আমি মনে করি কর্ম ক্ষেত্রে সুযোগ পাওয়াটা অনেকটা ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। তাছাড়া কর্মের সাথে ব্যক্তির ভালবাসা জড়িত থাকে। একটি জীবন, একটি পরিবার নির্ভর করে থাকে। এই বিষয়টি আন্দোলনের উপর নির্ভর করে না। নির্ভর করে সততা এবং কর্ম ক্ষমতার বা কর্মদক্ষতার উপরে। দুর্নীতি বাংলাদেশে থাকবেই। কিন্তু তার পরেও আমাদের সঠিক ভাবে এগিয়ে যেতে হবে। এবং সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। আর এভাবেই আমাদের অধিকার আমাদেরই ফিরে পেতে হবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: খুব খারাপ অবস্থা।

২৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: জ্বী, অসহায়তা চেপে ধরেছে।

২| ২৯ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

রাজীব নুর বলেছেন: কোটা ব্যাপারটা এখব তিতা লাগে।

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৯

তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: হ্যাঁ, তবে নিউজে শিক্ষার্থীদের কান্না দেখে মায়া লাগে।

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ম্যাঁওপ্যাঁও ধরণের ভাবনা

১৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৪

তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: ☺ হে হে হে..... ধরি মাছ না ছুঁই পানি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.