নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্তার কথা শুনো, মনের কথা নয় মন করে প্রবঞ্চনা, সত্তা কখনও নয়।

স্বতু সাঁই

প্রকৃত সত্যকে জানা

স্বতু সাঁই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুল্লু নাফসিন যাইকাতুল মাওত

১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

সুরা ইমরানের ১৮৫নং আয়াতে বলা আছে 'কুল্লু নাফসিন'। নাফসিন শব্দের অর্থ হলো, প্রাণ, রক্ত, ব্যক্তিত্ব, মানুষ, মন এবং মাওত শব্দের অর্থ হলো- মৃত্যু, মরা, শ্বাসরোধ ও ধ্বংস। এখন প্রশ্ন হলো, কোরানের ঐ আয়াতে আল্লাহ নফস শব্দটি দ্বারা আল্লাহহ কোন অর্থকে বোঝাতে চেয়েছেন। এখন যদি বলি মন বা মনের অভ্যন্তরে মানুষের স-প্রবৃত্তিগুলোকে জাগ্রত করে সকল কু প্রবৃত্তিগুলোকে ধ্বংস বা তাদের মৃত্যু ঘটিয়ে মানুষ কলুষ মুক্ত হয়ে পবিত্র হয়ে উঠবে, তাহলে ভাবনাটা অবান্তর বলে মনে হয় না। কারণ সুরা রোমের ১১নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন, "আল্লাহই প্রথমবার জন্মদান করেছেন, পরে দ্বিতীয়বারও তিনি জন্মদান করাবেন, অতঃপর তাঁর নিকটে ফিরে যেতে হবে।" কত সুন্দরভাবে ছন্দ যেন মিলে যাচ্ছে। সু-প্রবৃত্তিকে জাগ্রত করে কু-প্রবৃত্তিকে ধ্বংস করে কলুষ মুক্ত হয়ে পবিত্র হওয়া, অর্থাৎ পবিত্র হলেই সে আল্লাহর নিকটস্থ হতে পারবে। তাহলে প্রাণের মৃত্যুটা কোথায় গেলো?! আসলে কোরানে মৃত্যু জনিত বিষয়ে যত জায়গায় বলা আছে তা সম্পূর্ণরূপে রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

মৃত্যু যেহেতু একটি অমিমাংসীত বিষয়, সেহেতু মৃত্যুর ব্যপারে সুনিশ্চত সিদ্ধান্ত কোনভাবেই আসা সম্ভব নয়। যতক্ষন না মানুষ মৃত্যুর কারণ জানতে পারছে ততক্ষন তা অমিমাংসীত সিদ্ধান্ত হিসাবেই গণ্য হবে। যদি মানুষ প্রকৃত অর্থে মৃত্যুকে রোধ করে না পারে তখনই কেবল বলা যেতে পাতে, মৃত্যু অবধারিত। কারণ এজগতে অসংখ্য সমস্যা আছে, সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে তত্ত্ব গঠন করা যেতে পারে, তত্ত্বে প্রাপ্ত উপাদান দ্বারা সমস্যা সমাধানের উকরণ এজগতে লাভ করাও সম্ভব, প্রাপ্ত উপকরণ প্রয়োগে সমস্যার সমাধানও সুনিশ্চত করা সম্ভব। অতএব আল্লাহ যদি মানবের সেবার তরে এই সৃষ্টি জগত সৃষ্টি করে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় মানবের সবচেয়ে কঠিন সমস্যা সমাধানের সকল উপাদান এই সৃষ্টি জগতে নিশ্চয় রয়েছে যা দ্বারা একদিন মানুষ ঠিকই তাদের মৃত্যুকে রোধ করতে পারবে। নচেৎ আল্লাহর প্রতিশ্রুতি যেমন তাঁর সকল মাখলুকাত মানবের জন্য সৃষ্টি, কথাটা ভ্রান্ত বলে পরিলক্ষিত হবে। আমরাও চাই না আল্লাহ মিথ্যাবাদী হোক। তাই মানুষ মৃত্যুকে জয় করে অবশ্যই মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে প্রমান করবে, আল্লাহ সর্বত সতত।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রকৃতির সবকিছু পরস্পরের সাথে জড়িত, মানুষের ফিজিওলোজী প্রকৃতিতে এক সময় বেঁচে থাকতে পারে না।

১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

স্বতু সাঁই বলেছেন: পারে না, হবে না এসব অবৈজ্ঞানিক ভাবনা বলে আমি মনে করি। প্রকৃতিতে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। কারণ প্রকৃতিই স্রষ্টা, প্রকৃতিই পালনকর্তা, প্রকৃতিই রক্ষাকারী। মানুষ প্রকৃতির সন্তান। এই ভাবনা যখন মানুষের মধ্যে লালিত হবে, মানুষ সব পারবে। মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধতা বলে কিছু নেই। যারা এখনও ভাবে মানুষের সীমাবদ্ধতা আছে, তারা প্রকৃতই গণ্ডমূর্খ। হ্যাঁ, আমার বক্তব্যের বিষয়ে সাফল্য পেতে গেলে সময়ের ব্যাপার, এটা প্রজন্মে সম্ভব নয়। তবে সম্ভব। এর বেশী আমি আর কিছু বলতে চাই না।

২| ১১ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দেখা যাক অবশেষে কি হয়!

১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: দেখা যাবে বলে মনে হচ্ছে না, কারণ ব্লগের কর্তৃপক্ষ লিখার সুযোগ করে দিচ্ছে না। কারণ যে কি কিছুই বুঝছি না। জানি না কি দোষে দুষ্ট হলাম। লিখার সুযোগ পেলে জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ হতো বলে মনে হয়।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কুল্লু নাফসিন - নফসের মৃত্যু হবে... রুহের নয়। ত্রিমাত্রিক ভুবনে রুহটা নফসের মাধ্যমে বিকশিত হয়েছিল এবং কর্ম সম্পাদন করেছে। তার মেয়াদ শেষে তার চলে যাবার মাধ্যম হল মৃত্যু।

মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী কারণ স্থুল দেহ নিয়ে সূক্ষ দেহে প্রবেশ সম্ভব নয়। মৃত্যু রুপান্তরের একটা মাধ্যম মাত্র।
জগতের মাত্রাভিন্নতায় ট্রান্সফর্মশেনর জন্য বেসিক রুপান্ত টুকু ঘটাতেই হবে -যার এই জগতে নাম মৃত্যু!



২৬ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: ওরে আল্লাহ রে! এই কমেন্ট কবে আইছে কে জানে। নোটিফিকেশন মেশিনটা ঠিক না বলে কখন কোন রিপ্লাই আসছে কিছুই বুজতাছি না। যাহোক,

আমি আপনার মন্তব্যের সাাথে একমত না। কারণ মেয়াদ শেষ কথাটা আমি মানি না। পদার্থবিদ্যায় কোন বস্তুর মেয়াদের মধ্যে ধ্বংস বা বিনাশ বলে কিছু নাই। দেহ নশ্বর বর্তমান অবস্থায়। কিন্তু এটা যে নশ্বরই সেটা নিশ্চত কারণ এখনও জানতে পারি নি। আমি আমার লিখনে বলেছি, সমস্যা আছে, সমস্যা সমাধানের তথ্যও আছে, তথ্যানুসারে ধরায় উপাদানও আছে এবং সমস্যার সমাধানও আছে। প্রতিটি বৈজ্ঞানিক সমাধান এই তথ্যের উপরেই হয়ে থাকে। সেরূপ মৃত্যু একটা সমস্যা অতএব এই সমস্যারও সমাধান এই ধরায় নিশ্চয় আছে। আজ হয়তো এটা প্রশ্ন, আগামীতে এর উত্তর পাওয়া যেতে পারে। আমার কথা হলো, যে বিষয়ের উপর কংক্রিট সিদ্ধান্ত এখনও হয় নি বা অমিমাংশিত রয়েছে, তা আমি সিদ্ধান্ত হিসাবে গ্রহণ করে পারি না। যেমন কুলুখ না কি জানি বলে, প্রস্রাবের সময় নেওয়া সুন্নত, এটা সাময়িক সিদ্ধান্ত। কিন্তু প্রস্রাবের ফরজটা কি? অর্থাৎ সঠিক উপায়ে নির্ভুলভাবে প্রস্রাব আদায় করাটা কেমন হবে, সে সিদ্ধান্তটা নবী দিয়ে যেতে পারেন নি বলেই সুন্নত। ফরজ যা মিমাংশিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.