নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুইটি ভুল বারান্দা এই অদ্ভুত সন্ধ্যায় মুখোমুখি হয়ে বিপরীত মুখি ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে ভাবছে দুইটি আলাদা প্যারাবোলা পথের কথা। তবে আজ চলুন দেখে নেয়া যাক একজন সিগারেটের ঠোঙ্গা আর একজন প্রাচীন পুথির ডায়েরীতে। সেখানে উঁকি দেয়াটা একেবারেই অনুচিত জেনেও তৃতীয় পক্ষ হিসেবেই চলে এলাম আমি। অবশ্য মাঝে মাঝে যখন পুরো আকাশ জুড়ে কৃষ্ণ কেশের বালিকা আধিপত্য বিস্তার করে তখন ইন্দুর বৃষ্টিতে ভিজতে খুব একটা ভালো লাগে না আমার, আমি শুধু অপেক্ষা করি প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটায় রংধনু স্বপ্ন দেখার।
খুব ছোট বেলায় একবার বাবার কাছে বলেছিলাম, বাবা মাকে প্রতিদিন এভাবে আঘাত করো কেন? বাবা রক্ত চক্ষু মেলে আমায় বলেছিলো তুই ছোট মানুষ বুঝবি না, রুমে যা, দরজা আটকে দিয়ে পড়তে বস অথবা কার্টুন দেখ। আখি ছল ছল বালকটি তখন ছম ছম ভয়ে নিজের ছোট গন্ডিতে প্রত্যাবর্তন করে, তার চোখের সামনে ভেসে আসতো এক রাশ বালি, যেই বালিতে চিক চিক করতো বালিশ। হায় কার্টুন দেখা আজো শেষ হয় নাই, এই তো কিছুক্ষন আগেই ওপাশের ফ্ল্যাটে কার্টুন দেখলাম। দেখলাম বিবশ এক বট গাছের নীরব বিসর্জন। থাক আজ আর কাউকে কাঁদাবো না, আজ যে সবার বিবশ হবার বেলা।
তখন আমি কেবল ক্লাস এইটের গন্ডি পেরুলাম, মাকে বলেছিলাম ওপাশের বাড়িতে ইলিশ রেঁধেছে, খুউব সুঘ্রান তাই না? মা বলেছিলো তোর বাবাকে বলবো ইলিশ আনতে। বাবা ইলিশ এনেছিলো কিন্তু মা আমার আর ঐ ইলিশ রাঁধতে পারে নাই, তার আগেই উনার বুঝি পাখির চিৎকার শুনবার খুব তৃষ্ণা জেগেছিলো। বেচারি বাবা রোজ পশ্চিম আকাশের দিক ঠিক ভর সন্ধ্যায় তাকিয়েই থাকে, লুঙ্গিটা প্রতিদিন এখন আমাকেই কেঁচে দিতে হয়। বিচ্ছিরি লাগে। এই বুড়ো ছেলের কাপড় ধোয়া আসলেই অসহ্য লাগে। তাও ধুতে হয় তার কাপড়, তার শরীর, তার সব সব সব সব সব, শুধু আমাকেই বসে বসে ধুতে হয়, আর আমি ধুয়ে ধুয়ে শুধু আবারো সেখানে দেখতে পাই লাল রঙের আর্তনাদ। মাফ করে দাও আমাকে, পারবো না আর ধুতে।
অনেক দিন পর একটু সময় পেলাম রঙ পেন্সিলের বক্স হাতে নেয়ার, প্রথমেই ক্যানভাসের এক কোনে লাল রঙ ছুড়ে দিলাম বড় অযত্নে, জানি ওটা ঠিক জায়গায়, সঠিক ডিরেকশনে বসে থাকবে। নট নড়ন চড়ন। তারপরেই ছুড়ে দিলাম তাঁরার মেলা, ওগুলো জ্বল জ্বল করছিলো কখনো নীল কখনো বেগুনি হয়ে, ভালো করে চোখ কচলে তাকিয়ে বুঝলাম সত্যি সব সত্যি। পায়েলের মৃদু শব্দে পিছনে ফিরেই দেখি ছোটটা চা করে নিয়ে এসেছে। মনে মনে বলি বাচিয়েছিস রে, তোর ঐ সাদা শাড়িই আজ আমায় বাচিয়ে দিলো, এক কাজ কর তোর ঐ সাদা শাড়ি ঝলসে যাওয়া যে অংশটা দিয়ে প্রতিদিন চা করিস সেই চা বানাবার রেসিপিটা আমায় দিয়ে যা। সাদা শাড়িতে ফুটে উঠে আমার প্রিয় চা। প্রথমে গরম পানি খুব, কিছু চা পাতা ছাকনীর উপর রেখে তার উপর দিয়ে পানি গুলো একটা বড় কাপে ঢালতে হবে, তারপর অল্প চিনি, এক টুকরো লেবু দুই টুকরো আদা দিয়ে নেড়ে নিলেই হয়ে গেলো। আমার প্রিয় চা।
ক্রিং ক্রিং শব্দে বেল বাজিয়ে দিলাম, অপেক্ষা করছি একটা বহু আকাঙ্খিত ব্যাচেলর ফ্ল্যাটের, মনে হল এক যুগ পর দরজার ক্যাচ ক্যাচ শব্দ শুনতে পেলাম, শুভ্র হ্যা কাশফুলের মতো কিছু একটা দরজার এপ্রান্তে মুখ বাড়িয়ে জানতে চাইলো আমি পুন্য গঙ্গার হাটে শেকল বেচি কিনা। সেই শুরু তারপর থেকে এক গাদা শেকল কিনে তার ব্যবসা শুরু করে দিলাম। কিন্তু শেকলের দৈর্ঘ্য যে প্রতিদিন বাড়াতে বাড়াতে আমার পকেটের করুন দশা করে ছেড়েছে, প্লীজ এবার এই শেকল নিয়ে যান আপনি, আমি গোঁড়া থেকে কেটে দিলাম। গঙ্গার জলে তার পর থেকে শুনেছি শেকল পোড়া ছাই। খেও না বাবা, ও মাছ খেও না, ও যে গঙ্গার। তুমি যে বাড়ি রেখে গেছো সে বাড়ি যে আজ হিমালয়সম উচ্চতায়, আর আমি এই পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালী কলুর বলদ।
পানপাত্রটা আরেকটু এগিয়ে দে তো শমীর, আচ্ছা আজকের ডিব্বাটা কিন্তু তেমন মজা দিচ্ছে না, জমছে না শালা বাইঞ্চোদ। ধুর মেজাজ আজ অগ্নি। বাসায় ফিরেই শ্যাওলা ধরা একটা বালুর বস্তা পেয়ে গেলাম, এটাই কি তবে আমার রোজকার বিরক্তির কারন? হ্যা তাই তো। আশীর্বাদ করো মা, আশীর্বাদ করো বাবা। আজ এই বালুর বস্তার দফারফা করেই ছাড়বো। কোথায় যেন শুনতে পাই মায়ের আর্তনাদ, বাবার আক্ষেপ। প্লীজ তোমরা আমায় মাফ করে দিও, প্রীতি ম্যাচের তোমরা কি বুঝবে হ্যা? দিস ইজ ফাকিং লাইফ। ইয়া এটা একটা ঈশ্বরপ্রদত্ত গিফট। হাসো বন্ধুরা। আজকে হাসির সময় চেক করে দেখিও তোমার ঘরে একটা কাচা দেয়া শক্ত পোক্ত লাঠি আছে কিনা, লাঠি নেই তো কি হয়েছে দুদিন বুকডন দিয়ে পেশি বানিয়ে নিও। আসো বন্ধুরা আমরা আজ হাসবো।
আমাকে চিনতে পেরেছো? আমিই সেই যে কিনা বারবার ফিরে আসি প্রজাপতির ডানায় রঙ হয়ে, যে কিনা রোজ সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশ রাঙাতে আরো একটু রঙ ঢালি। চিনতে পারো নাই নাকি এখনো? আমিই সেইই যে প্রতি রাতে নখের ডগায় কিংবা তোমার কারো কারো শক্ত মুঠিতে ভর করি, আমিই তোমাদের প্রতিরাতে ফুটবল ম্যাচের আয়োজক।
আজ আর কোনও বৃষ্টি হয় না নগরীতে, মেঘেরা সব পরবাসে।
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪২
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, আপনি মে বি আজকেই প্রথম এলেন আমার বাড়িতে। শুভেচ্ছা জানবেন।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: দারুন গল্পটা।চা বানানোর রেসিপিটা পছন্দ হইসে.....++++ এবং প্রিয়তে..
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: চা বানাবার রিসিপিটা নিলেই যে বানাতে পারবা তা নয়, অবশ্যই লেবুর টুকরা ছোট হতে হবে, আদার টুকরাও ছোট ছোট সাইজের, আর চিনি দিবা যে যেভাবে পছন্দ করে সেভাবে। খাওয়ার সময় লেবু আর আদা একসাথে চিবিয়ে খেও, এইটা অনেক উপকারী।
ভালো থেকো মেঘ।
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০২
নিমচাঁদ বলেছেন: হাতের জশ চেনা চেনা লাগছে ।
গুড জব শাফী
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১১
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: নিমচাঁদ ভাই আমি অবশ্যই শাফী নামের কেউ নই, আমি উচ্ছাস, আদি অকৃত্রিম উচ্ছ্বাস।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২২
মাক্স বলেছেন: থীমটা কি একটু বলেন তো!
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৭
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: শেষ দুই প্যারায় তো পরিষ্কার করে দিয়েছি সব, একেবারেই। আর শেষের লাইনটাই থিম।
যারা অশ্রু ঝরায় তারা সবাইই একদিন আমাদের হাত টিকেট নিয়ে পরবাসী হবে। তখন আর মেঘেরা থাকবে না।
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৮
মাক্স বলেছেন: আবারও পড়ে দেখব!
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৯
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: আচ্ছা।
৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩০
রবি_জল বলেছেন: অসাধারণ ! চমৎকার +++
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪০
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রবি জল। এতো রাতে ব্লগে যে।
৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: চমৎকার একটা ইউনিক গল্প।
শব্দচয়ন অসাধারণ।
আপনাকে কথাসাহিত্যিক বলা যায়।
এরকম শব্দের নিক্বণে আপনি কীভাবে লেখেন ভাই?
লাইক দিয়েছি।
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: ছিঁচকাঁদুনের সমাধান আগের পোষ্টে দিয়ে দিয়েছি চেক করিও। আর হ্যা ভালো আছো নিশ্চয়ই।
৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩১
শের শায়রী বলেছেন: আরে ভাই আপনি তো মাত করে দিছেন। আমাকে তো ভক্ত করে ফেললেন আপনার লেখার।
আপনি অনুসারিত।
সাথে আছি জানবেন।
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: সন্মানিতবোধ করছি শায়েরী। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
লেখোয়াড় বলেছেন:
দারুন!!
আবারও পড়তে হবে।
আকর্ষণীয়।
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।
১০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হু ...।
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৪
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: হু?
এই দিয়ে কি বুঝাইলা আপু?
১১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৪
লতিফা লতা বলেছেন: চমৎকার।
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: ধন্যবাদ লতিফা লতা। কি জানেন আপনার ঐ লেখাটা আমাকে একটা পোস্ট লিখতে অনেক সহায়তা করবে, শুধু কি তাআই কতো ছেলের যে উপকার করলেন। বুঝতে পারবেন খুব শীঘ্রই।
সে যাই হোক, আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগত।
১২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪১
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: দুপুরে কিছুটা তাড়াহুড়ার মাঝে পড়েছিলাম। এখন মনোযোগ দিয়ে আবার পড়লাম।
চমৎকার হয়েছে ভুল উচ্ছাস, স্রেফ চমৎকার। ওয়েল ডান।
ইন্ট্রো তে আলাদা করে ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফ্রাস্ট্রেটেড সাহেব। চেষ্টা করি নিজের বিভিন্ন সময়কার অনুভূতি ফুটিয়ে তুলতে। এই যা।
ভালো থাকুন।
১৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বুঝাইলাম সব সময় পোস্ট এ এসে ভাল হইছে , ++ দিতে পারমু না, ফ্রম ফিলাপ এর সময় এড্রেস লেখার সময় ২য় বার লেখার সময় যেমন শুধু ঐ লিখলেই হয় , সেই রকম হু লিখে বুঝাইলাম, যে আগের মতোই , +++ দিছি চালাইয়া যা
সত্যি ভাললেগেছে
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৩
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: আইচ্ছা আপু , চালাইয়া যাবো।
১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৬
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
আমাকে চিনতে পেরেছো? আমিই সেই যে কিনা বারবার ফিরে আসি প্রজাপতির ডানায় রঙ হয়ে, যে কিনা রোজ সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশ রাঙাতে আরো একটু রঙ ঢালি। চিনতে পারো নাই নাকি এখনো?
অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম।
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৬
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: স্নিগ্ধ শোভনকে চিনতে পেরেছি আমি। ধন্যবাদ শোভন।
১৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৩
কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: ভুল উচ্ছাসের ভক্ত হয়ে গেলাম
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: কামরুল ভাই ধন্যবাদ অনেক। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:০৩
নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: অসাধারন ++++++++++++
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: থেঙ্কু নিশাচর ভবঘুরে। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: কঠিন অবস্থা...! মাথার উপর দিয়ে গেসে!!! তবে +++ দিলাম......
আমার পোস্টগুলায় কষ্ট করে...
মেলা টাইম নষ্ট করে
কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ নিও ভাইয়া...
কাল মনটা খারাপ ছিলো আর একটু বিজি আছি ...সময় নিয়ে রিপ্লাই দিবোক্ষন....
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: এতো সহজ করে লিখলাম, তাও মাথার উপ্রে দিয়া?
বুঝতে পারছি যেই বান্দা দিনরাত অনলাইনে পরে থাকে হুট করে নাই হয়ে যাওয়া মানে বিশাল বিজি।
শুভ কামনা জেন আপু।
১৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন:
আজ আর কোনও বৃষ্টি হয় না নগরীতে, মেঘেরা সব পরবাসে।
ভাল হয়েছে ভ্রাতা .....।
ধন্যবাদ ....ভাল থাকবেন...
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: চমৎকার