নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা ইশারা...সৃষ্টি অথবা ধ্বংস।
ধ্বংসস্তূপের পাতা থেকে অনেকটা বেশি নিজের পাতায় মুখ গুঁজে
যাচ্ছি, যাচ্ছি ছেড়ে
নিয়ম অনিয়ম ছাড়া শুকনো কালির কোলে কিছু বর্তমান হাজিরা দিয়ে চলে যায়
আর পুরনো মানুষ আরও পুরনো হতে থাকে
এতো যে
নতুন করে আর চেনা যায় না তাদের
এক মানুষের মুখে কতো আর মুখ খুঁজি, গুঁজি?
অগোচরে তাকেই বোধ হয় বুঝি, সুঝি...
যে বোধ নিয়ে এসেছিলাম, বিচরণ করেছিলাম
সে বোধ আজও নিছক নিকট গভীরে
তোমরাই কেবল বেরিয়ে এসেছো বন্দী, যুগাক্ষরের ওপরে।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯
পেন আর্নার বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই :-)
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আর পুরনো মানুষ আরও পুরনো হতে থাকে
এতো যে
নতুন করে আর চেনা যায় না তাদের
ভাবতে বাধ্য করে। গভীর উপলব্ধি।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭
পেন আর্নার বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই।
শুভকামনা পরিবারের জন্য।
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
ভালো লেগেছে। +
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮
পেন আর্নার বলেছেন: ধন্যবাদ রাজপুত্র।
শুভকামনা।
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২০
অদৃশ্য বলেছেন:
সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে লিখাটি... তবে হাসান ভাইয়ের কোট করা জায়গাটা অনেক সুন্দর... এখানেই অনেক কথা জমা হয়ে আছে... শেষের অংশটুকু ধরবার চেষ্টা করলাম, তবে মনে হয় তা ধরতে পারিনি...
সব কিছুর জবাব প্রাসঙ্গিক হতে হবে এমন কোন কথা নেই... প্রসঙ্গ ছেড়েও জবাব দেওয়া যায়, প্রসঙ্গ ঘেঁষে... আর কবিতা এমন একটি চমৎকার জিনিস যে একটি কবিতা কি বলতে চাইছে তা হয়তো অনেকেই বুঝে উঠতে পারলোনা, তবে কেউ না কেউ তা পারে...আবার অনেকবার পাঠে তা না বুঝেও কেমন যেন আপন হয়ে যায়... কবিতার চমৎকারিত্ব এখানেই...
শুভকামনা...
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:০৭
পেন আর্নার বলেছেন: আমি আপনার কথাগুলোর সাথে সহমত অদৃশ্য 'দা, সেইসাথে এ এক সত্যও। আর এই সত্য মেনে নেওয়াবশত আপনার বলা কথাগুলোর জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা :-)
আসলে, এই ব্লগে এসে আমি আমার ব্লগের একটা নামকরন করেছিলাম - ধ্বংসস্তূপ, এই ভেবে যে, এখানে লেখার কী উদ্দেশ্য হতে পারে? তারপর কিছুদিন সময় লেগেছে ভাবতে। তারপর এই নাম দেওয়া। কেন?
ধ্বংসস্তূপ - আমরা প্রতি ক্ষণে ক্ষণে পদে পদে নিজের ভেতর ভাঙছি গড়ছি। নিজেকে খুঁড়ছি আবিষ্কার করছি। যতো করছি, ততো উপলব্ধি করছি বা দেখছি যে এই খোঁড়াখুঁড়ির কোনো নির্দিষ্ট অন্ত নেই, যদিও একটি অন্তপুর্ণ পৃথিবীতে আমরা আছি..তবু। তবু, কোথায় যেন আমাদেরই ভেতর এই অন্তহীনতা আছে। মজার ব্যাপার হলো, যখন নতুন কোনোকিছু আমরা খুঁজে পাই আমাদের ভেতর থেকে তখন সেটা আদৌতে প্রকাশই হয়ে গেলো এবং তখনও ভেতরে অপ্রকাশিত যা যা থেকে গেলো তারা আরও দামী, নিখুঁত এবং একদম নিজের। আমি আজ অবধি যা যা মানুষের সামনে দেখিয়েছি, বলেছি, প্রকাশ করেছি তা সবই আমার ভাঙন বা আমার থেকে খসে খসে পড়া টুকরো টুকরো ধ্বংস। এরাই স্তূপাকারে এই বলয়ে জায়গা করে নিয়েছে। ধ্বংসস্তূপ।
এখনও তারপর যা অনুচ্চারিত, অপ্রকাশিত, নিখোঁজ বা খুঁড়ে দেখা হয়নি যাদের তারাই প্রকট গভীর এবং আপন। একদম নিজের। তারাই আমার অগোচরে আমার অস্তিত্বের রক্ষণাবেক্ষণ করে যাচ্ছে। আমার আমিটাকে দামী করে রাখছে। যেদিন তারাও প্রকাশ পেয়ে যাবে জীবনপ্রবাহে, তারা একইভাবে নাম লেখাবে আমার ধ্বংসস্তূপে। আসলে এই ধ্বংসস্তূপের আওতায় প্রকাশ্য সবকিছুই।
শেষের লাইনদুটো ছাড়া ছাড়া। লেখা বা কবিতার ক্রম ধরে নামতে নামতে বা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ অসংলগ্ন অথচ মূলে প্রাসঙ্গিক যেসব ভাবনারা নিজেদের পদচিহ্ন বা অস্তিত্ব জানান দিয়ে যায় সেরকম।
অনেক ভালো থাকুন।
৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪
জুন বলেছেন: আপনার কবিতাটি মনে খুব গভীর ভাবে দাগ কেটে গেল। সেই দাগ কেটে যাওয়া খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আমিও ভদ্র চেহারার মুখোশ পড়া কিছু মানুষের মুখ দেখি আর অবাক হই পেন আর্নার। যাদের চেহারার ভেতর অন্য এক ভয়ংকর চেহারা।
অনেক ভালোলাগা রইলো।
+
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:২০
পেন আর্নার বলেছেন: ধন্যবাদ জুন :-)
কবিতার এই এক আনন্দদিক। লেখক লিখেও গোপন করে রাখে তার অনেক ভাবনা, আর পাঠক পড়ে পড়ে সৃষ্টি করে নেয় জড়িয়ে নেয় তার আপন অনুভূতিগুলোও। এখানেই হয়তো একটা সম্পর্ক লেখক-পাঠকের। এখানেই হয়তো অন্যরকম পুর্ণতা।
আমি এক ভাবনার আশ্রয়ে লিখেছি লাইনটি, এবং খুব আনন্দিত হয়েছি আপনি অন্য আরেক ভাবনার আশ্রয়ে খুঁজে পেয়েছেন তার নির্যাস।
আমি যা বলতে চেয়েছিলাম- একজন আপন কারো মাঝে কতো আর অন্য মানুষদের খুঁজে যাবো? কেউ কি কারো স্থান নিতে পারে? যার যার স্থান তার তার এবং সুন্দর। কিন্তু বাধ্য হই বাস্তবতায়। তাই, না বুঝেও (হয়তো) অগোচরেই সেই একজন আপন মানুষের ভেতরেই অন্য সব সম্পর্ক এবং তাদের প্রভাব্য ভালোবাসা মায়াদের খুঁজে যাই।
আপনি যা বুঝেছেন, তাও যে কতো চমৎকার! এবং অনুভবটা একই! এমনকি আপনার এই ভাবনা
নতুন করে আর চেনা যায় না তাদের
এক মানুষের মুখে কতো আর মুখ খুঁজি, গুঁজি?
বাক্য দুটোকে আরও সুন্দর করে সম্পর্কিত করে।
অনেক কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা।
৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: পেন আর্নার,
হুমমমমমম । এক মানুষের মুখে কতো আর মুখ খুঁজি, ঠিকই বলেছেন । একমুখে দুই কথা , মুখে এক মনে আর এক । একই মুখের ভিন্ন ভিন্ন চিত্র । গলাবাজিটাও উচ্চগ্রামে বাঁধা থাকে। এমন মুখ গুলোই তো চকচকে হয় বেশী , হয় আদরনীয় ।
চেনামুখগুলোর ভেতরে যে অচেনা অনেক কিছু খেলা করে যায় , তা কতোদিন আর কালের কোলে বসে থাকে ? একদিন তাকে বেড়িয়ে পড়তেই হয় । মুখের সুশ্রী-মুখোশটা তখন খসে গেলে যে কদাকার রূপটা বের হয় তার প্রতিচ্ছবি ছড়িয়ে যায় সবখানে ।
তবে অগোচরে তাকেই বোধ হয় বুঝি, সুঝি... এমনটাই হওয়ার কথা । যাকে দীর্ঘদিন ধরে বোঝা যায় সত্যিকার ভাবে , তার মুখোশ পাল্টায় না । তার ছবি থাকে অবিকল !
চমৎকার লিখেছেন । অল্পের ভেতরে ভাবনার অনেক খোরাক ।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৩৩
পেন আর্নার বলেছেন: আহমেদ জী এস,
অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্য। পাঠক জুনকে বলা কথাগুলো আপনার জন্যেও :-)
আমার খুব ভালো লাগছে যে, আপনি নিজের মতো ভাবনার খোরাক খুঁজে নিয়েছেন আমার রেখে চলা পদচিহ্ন অনুসরণ না করে। এখানেও কবির সার্থকতা।
একটা বই পড়ছে কেউ একজন। আর সেই মানুষটাকে বইপড়া অবস্থায় অন্য আরেকজন দেখছে। দুটো ছবি দুইরকম, তাইনা? কিন্তু কেন্দ্র এক। এবং দুই ছবির বিশ্লেষণ দুই রকম হয়ে (দুই দৃষ্টিকোণ থেকে) ছবিটার চাওয়া বা মেসেজ বা উদ্দেশ্য কিন্তু পরিপুর্ণতা পেয়ে যায়!
ভালো থাকা হোক নিরন্তর।
৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: পেন আর্নার,
প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
না আমি নিজের ভাবনার খোরাক খুঁজে নিইনি ওভাবে আপনি যেমনটা বলেছেন । ওটা পরবর্তী ভাবনার মুখবন্ধ ।
যা বলেছি তা এই - তবে অগোচরে তাকেই বোধ হয় বুঝি, সুঝি... এমনটাই হওয়ার কথা । যাকে দীর্ঘদিন ধরে বোঝা যায় সত্যিকার ভাবে , তার মুখোশ পাল্টায় না । তার ছবি থাকে অবিকল ! (আমার মন্তব্যে শুরুটা বোল্ড করাও ছিলো )
৫নং মন্তব্যে আপনার করা এই প্রতিমন্তব্যের পদধ্বনি শোনা যায় কি --একজন আপন কারো মাঝে কতো আর অন্য মানুষদের খুঁজে যাবো? কেউ কি কারো স্থান নিতে পারে? যার যার স্থান তার তার এবং সুন্দর।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৩
পেন আর্নার বলেছেন: :-)
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার এবং প্লাস।