নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বা বালিয়াটি প্রাসাদএর ইতিহাস

২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:৩৫


বালিয়াটি প্রাসাদ বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত মানিকগঞ্জ জেলার সদর থেকে আনুমানিক প্রায় আট কিলোমিটার পশ্চিমে এবং ঢাকা জেলা সদর থেকে প্রায় পয়ত্রিশ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের ১৯ শতকে নির্মিত অন্যতম একটি প্রাসাদ। এটি অবশ্য অনেকের কাছে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বা বালিয়াটি প্রাসাদ বলেও পরিচিত।মোট সাতটি স্থাপনা নিয়ে এ জমিদার বাড়িটি অবস্থিত।

এই বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বা এই প্রাসাদটির সবগুলো ভবন একসাথে স্থাপিত হয়নি। এই প্রাসাদের অন্তর্গত বিভিন্ন ভবন জমিদার পরিবারের বিভিন্ন উত্তরাধিকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্লকটি যাদুঘর। এই প্রাসাদটি বা ভবনটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত এবং পরিচালিত।

গোবিন্দ রাম সাহা বালিয়াটি জমিদার পরিবারের গোড়াপত্তন করেন। ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি লবণের বণিক ছিলেন। জমিদার পরিবারের বিভিন্ন উত্তরাধিকারের মধ্যে কিশোরিলাল রায় চৌধুরী, রায়বাহাদুর হরেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী তৎকালীন শিক্ষাখাতে উন্নয়নের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। ঢাকার জগন্নাথ কলেজ, বর্তমান যেটা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নামে তার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কিশোরিলাল রায় চৌধুরীর পিতা এবং যার নামানুসারে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়।

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত এই প্রাসাদ চত্বরটি প্রায় ১৬,৫৫৪ বর্গমিটার জমির উপর ছড়িয়ে থাকা ৭টি দক্ষিণমুখী দালানের সমাবেশ। এই দালানগুলো খ্রিষ্টীয় মধ্য ঊনবিংশ শতক থেকে বিংশ শতকের প্রথমভাগের বিভিন্ন সময়ে জমিদার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। সামনের চারটি প্রসাদ ব্যবহৃত হত ব্যবসায়িক কাজে। এই প্রসাদের পেছনের প্রাসাদকে বলা হয় অন্দর মহল যেখানে বসবাস করত তারা।

বালিয়াটি প্রাসাদ বাংলাদেশের ১৯ শতকে নির্মিত রেনেসা যুগে নির্মিত স্থাপত্যকৌশলের সাহায্যে নির্মিত অন্যতম নিদর্শন। এই বিশাল প্রাসাদটি ২০ একরের চেয়ে বেশি স্থান জুড়ে অবস্থিত। আসলে এই প্রাসাদটি একই রকম দেখতে কিন্তু পাচটি স্বতন্ত্র ব্লকের সমন্বয়ে গঠিত যার সর্ব পূর্বদিকের একটি ব্লক ব্যতিত বাকি চারটি ব্লক এখনো বিদ্যমান। বর্তমানে চারটি ব্লক আছে যার মধ্যে মাঝের দুইটি ব্লক যার একটি দ্বীতল বিশিষ্ট এবং আরেকটি টানা বারান্দা বিশিষ্ট যা তিনতল বিশিষ্ট।

এই প্রাসাদের চারটি ব্লকের পিছন অংশে চারটি আলাদা আভ্যন্তরিণ ভবন বা অন্দর্মহল আছে। উত্তরদিকে কিছুদূরে অবস্থিত পরিত্যক্ত ভবনটি হল বহির্মহল যা কাঠের কারুকার্য সম্পন্ন। এই ভবনে প্রাসাদের চাকর বাকর, গাড়ি রাখার গ্যারেজ, ঘোড়াশাল ছিল বলে ধারনা করা হয়। এই বিশাল প্রাসাদটির চারপাশ সুউচ্চ দেয়াল দ্বারা পরিবেষ্টিত। এই প্রাসাদের তিনটি প্রবেশপথ আছে। যার প্রত্যেকটিতে অর্ধবৃত্তাকার খিলান আকৃতির সিংহ খোদাই করা তৌরণ বিদ্যমান।


কিছু ছবি ইন্টারনেট এবং দুটি ছবি, প্রিয় ব্লগার খায়রুল আহসান ভাইয়ের কাছ থেকে সংগ্রহ ।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বালিয়াটি গেলে মনে হয়, অনেক আগেও এই জমিদাররা যথেষ্ট আধুনিক ছিল, পোষ্টে ভালোলাগা।

২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সে রকমি মনে হচ্ছে ভাই, আবার এমনো হতে পারে এই চিকচাক ইদানিং করছে ।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:২০

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: সময় পেলে, ঘুরে আসবো এই প্রাসাদ থেকে।।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।।

২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পোস্ট নজরে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই নাবিক সিনবাদ ।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


গিয়ে দেখতে হবে; এই বংশের লোকজন আছে আশেপাশে?

২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: থাকতে পারে,সব মারা যাওয়ার কথা নয় এক সাথে যাই হোক খবর নিয়ে আমাদের জানান দেন ।ধন্যবাদ প্রিয় রাজ কলম যোদ্ধা ।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৩৭

সনেট কবি বলেছেন: পোষ্টে ভালোলাগা রইলো।

২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় সনেট কবি ।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইন্টারনেট থেকে সুন্দর ছবি সংগ্রহ করে এখানে তুলে ধরেছেন, সাথে তথ্যসহ বিবরণ। অনেক ধন্যবাদ।
গত বছরে আমিও সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমার সেলফোনে তোলা দুটো ছবিঃ

বালিয়াতি জমিদার প্রাসাদের প্রবেশ মুখে বাংলায় লেখা একটি শ্বেতফলক।
A plaque in Bangla at the entrance of Baliati Palace.


এক কালের জমিদার পরিবারের অন্দর মহল, বর্তমানে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত।
Once an abode of the families of the Zamindars, now a place for visitors...

৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার ৫ নং মন্তব্যটি ভুলে চলে গেছে। ওটা মুছে দিয়ে ৬ নম্বরটি রেখে দিতে পারেন।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় খায়রুল আহসান ভাই,একটি মন্তব্য ডিলেট করেছি, ৫ এবং ৬ দুটোরেখেছি এবং ছবি পোস্টে সংযোগ করে
দিয়েছি ।

৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




চমৎকার ভ্রমন ব্লগ! ভ্রমনে উৎসাহিত বোধ করছি!

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভ্রমরের ডানা ।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪০

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: দেখি এক সময় ঘুরে আসবো ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ মাস্টার ভাই ।

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো তথ্য । চিন্তা করতেছি যাবো একবার ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ঠিক আছে যাইয়েন তবে পারলে চেষ্ঠা কইরেন মরনের আগে যাওয়ার ।

১০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বালিয়াটি গেলে মনে হয়, অনেক আগেও এই জমিদাররা যথেষ্ট আধুনিক ছিল, পোষ্টে ভালোলাগা।

আমিও তার সাথে সহমত।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৪৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।আমিও সহমত আপনাদের সাথে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.