নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তৌফিক জোয়ার্দার

তৌফিক জোয়ার্দার

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট শেষ করে দেশে ফিরেছি ২০১৫ সালের শেষ দিকে। যারা ফলো করতো, তাদের কাছে বারবারই বলেছি দেশে ফিরবো। সামুতে লিখেওছিলাম এ নিয়ে। অনেকেই সাধুবাদ দিয়েছিলেন, আবার অনেকে প্রকাশ করেছিলেন সন্দেহ ও অনাস্থা। এ ক’টা বছর কেটে গেল ফিরে আসার ধাক্কাটা সামলাতে। অনেক দিন পর আবার এলাম সামুতে। আবারো লেখালেখির দুর্মর আকাঙ্ক্ষা বুকে নিয়ে। আবার ঘন ঘন দেখা হবে বন্ধুরা।

তৌফিক জোয়ার্দার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম আলোর 'সীমানা ছাড়িয়ে' বিভাগে প্রকাশিত আমার লেখাটির পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৪

গতকাল ক্যাম্পাসের ডিসপ্লে স্ক্রিনে একটি ট্রিভিয়া কুইজ চোখে পড়ল; কোন সে ক্যাম্পাস যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটানা একুশ বছর ধরে সর্বোচ্চ স্থান ধরে রাখা হাসপাতাল; বিশ্বের এক নম্বর পাবলিক হেলথ স্কুল; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের র্যা ঙ্কিংয়ে এক নম্বর নার্সিং স্কুল এবং তিন নম্বর মেডিকেল স্কুল অবস্থিত? নিচেই বোল্ড হরফে উত্তরটি লেখা- জন্স হপকিন্স মেডিকেল ক্যাম্পাস; জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত অনেকগুলো ক্যাম্পাসের মধ্যে যা সবচেয়ে স্বনামধন্য।





জন্স হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথের নতুন ভবন



যুক্তরাষ্টের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রধান সেশন হল হেমন্তকালীন সেশন বা ফল সেশন, যা সাধারণত আগস্ট মাসের শেষে কিম্বা সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে আরম্ভ হয়। স্কুল অব পাবলিক হেলথের ইন্টারন্যাশনাল হেলথ ডিপার্টমেন্টে, ডক্টরেট ইন পাবলিক হেলথ প্রোগ্রামে, তৃতীয় বর্ষে পা দিয়েছি গত মাসে শুরু হওয়া ফল সেশন থেকে।



দেশের বাইরে যারা পড়তে আসতে চায় তাদের অন্যতম জিজ্ঞাসা থাকে অর্থায়নের ব্যাপারে। তাদের উদ্দেশ্যে আমার অভিজ্ঞতাসঞ্জাত পরামর্শ হল, আগে ভর্তি নিশ্চিত করা উচিত। ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলে ফান্ডিং সচরাচর আটকে থাকেনা। তাছাড়া ভর্তির পর অন্তত এক বছর ভর্তি মুলতবি রাখা যায়। এর মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদন করলে ভর্তি নিশ্চিত হওয়া ছাত্র ছাত্রীরা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে।



আমার ফান্ডিং প্রাপ্তি ছিল বেশ নাটকীয়। জন্স হপকিন্সে সুযোগ পাওয়ার পর যখন ফান্ডিংয়ের জন্য হন্যে হয়ে পরিচিত স্বল্প পরিচিত সম্ভাব্য উৎসগুলোতে ধর্না দিচ্ছি, তখনি এ্যাডমিশন ডিপার্টমেন্ট থেকে একটি ইমেইল পেলাম। জন্স হপকিন্সের বাংলাদেশি অধ্যাপক, নবজাতকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণার বিশ্ববরেণ্য পুরোধা ডক্টর আবদুল্লাহ বাকী তাঁর সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন। পরে জানতে পারলাম বাংলাদেশি একজন ছাত্র হপকিন্সে সুযোগ পেয়েছে এ খবর পেয়ে তিনি স্বত:প্রণোদিত হয়ে তাঁর আওতায় থাকা একটি ট্রেনিং ফান্ড থেকে ফেলোশিপের ব্যবস্থা করেছেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন “মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ”। অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ এর সাথে যোগ করেছিলেন, “ তবে বাঙালির ওপর বিশ্বাস রাখা বিপজ্জনক”। আমি এক্ষেত্রে কবিগুরুর অনুগামী।



পিএইচডির ক্ষেত্রে আরেকটি প্রশ্নের মুখোমুখি প্রায়:শই হতে হয়, “প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করবো কিভাবে, যিনি এ্যাডমিশন দেবেন?” জানিয়ে রাখি, ইউরোপ-অস্ট্রেলিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের (বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে) ডক্টরেট প্রোগ্রামে কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে। ইউরোপ-অস্ট্রেলিয়ার ডক্টরেট প্রোগ্রামের জন্য আগে থেকে প্রফেসরের সন্ধান করতে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার প্রয়োজন হয়না। এখানে সাধারণত জিআরই’র স্কোর, রেফারেন্স, স্টেটমেন্ট অফ পারপাজ, কাজের অভিজ্ঞতা, কখনো পাবলিকেশন ইত্যাদি নানা মানদন্ডের আলোকে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে মাস্টার্স বা অন্যান্য কোর্সের মতোই এডমিশন দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ পিএইচডি প্রোগ্রামে দেড় থেকে দু’বছর কোর্সওয়ার্ক করা লাগে, যা ইউরোপিয় ডক্টরেট থেকে আরেকটি পার্থক্যের জায়গা। কোর্সওয়ার্কের সময় থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষণার ক্ষেত্র অনুযায়ী এডভাইজার ঠিক করে দেয়া হয়।



পড়াশুনার বাইরে আরেকটি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে অসংখ্যবার; ঢাকার বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন অফিসারকে দিয়ে যার শুরু- “দেশের বাইরে ডক্টরেট করতে যাচ্ছেন, দেশে তো নিশ্চয়ই ফিরবেন না?” ইমিগ্রেশন অফিসারকে যে উত্তর দিয়েছিলাম, সে উত্তরই দিয়ে আসছি এখন পর্যন্ত বারবার সবাইকেই। তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করেছিলাম, “বাড়ি থেকে অফিসে কাজ করতে এসেছেন; অফিসেই কি থেকে যাবেন?” বাড়ি থেকে কাজে বের হয়ে, কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা আমাদের মননে এর ব্যতিক্রমটিকেই স্বাভাবিক বানিয়ে নিয়েছি। নিজেরাও অস্বাভাবিক ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে আছি, অপরকেও তাতে প্ররোচিত করছি। তবে আশাবাদী হই যখন দেখি আমার সমবয়সী, তথা আমার জেনারেশনের আরো অনেকেই আজকাল পিএইচডি শেষে দেশে ফিরে নিজের অর্জিত জ্ঞানকে দেশের কাজে লাগাতে চায়। আজ থেকে চার পাঁচ বছর আগেও হয়ত এ ট্রেন্ডটা চোখে পড়তনা, এখন পড়ে।



আরেকটি ছোট্ট পরামর্শ দিয়ে শেষ করব। আবদুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারের একটি কথাকে একটু ঘুরিয়ে আমার অনুজদেরকে বলি, “মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় নয়; মানুষ তার স্বপ্নের চাইতেও বড়। কারণ মানুষ তার সম্ভাবনাকে জানেনা”। জেনেভার নাটালির সাথে জামালপুরের নাজমার কোনই পার্থক্য নেই মৌলিক জৈব কাঠামোর দিক থেকে। দু’জনের সম্ভাবনাই সমান, দু’জনের সম্ভাবনাই অসীম। বিশ্বায়ন আমাদেরকে হয়ত অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন করে দিয়েছে, কিন্তু এটাও সত্য যে বিশ্বায়ন আমাদেরকে একটি গ্লোবাল ভিলেজের বিশ্ববাসিন্দা হিসেবে অফুরন্ত সম্ভাবনার দুয়ারও খুলে দিয়েছে। এখন সময় কেবল অপরিসীম আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বজয়ের কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ার।



[লেখাটির খন্ডিত অংশ প্রথম আলোতে ১৩, অক্টোবর ২০১৩ তারিখে প্রকাশিত হয়]

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাহ! ঐটা আপনার লেখা! প্রথম আলোতে পড়েছিলাম, বেশ ভাল লাগল। আপনি এখানে ব্লগিং করেন সেটা ভাল লাগাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪২

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দেবদূত। আজকাল লেখালেখির ফুরসত খুব কম পাচ্ছি। আপনার জন্যও ঈদের শুভেচ্ছা।

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৪

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: “ তবে বাঙালির ওপর বিশ্বাস রাখা বিপজ্জনক”।

কাহিনী বুঝলাম না বিস্তারত লিখলে ভাল হত।


আর একটা কথা আপনার নিম্নোক্ত কথাটা পুরপুরি সত্য না।

"ইউরোপ-অস্ট্রেলিয়ার ডক্টরেট প্রোগ্রামের জন্য আগে থেকে প্রফেসরের সন্ধান করতে হলেও উত্তর আমেরিকার বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার প্রয়োজন হয়না। "


আপনার উপরোক্ত মন্তব্যটি আমেরিকার ক্ষেত্রে সত্য হলেও কানাডার ক্ষেত্রে সত্য না। কানাডায় মাস্টার্স বা পিএইচডি ভর্তির জন্য প্রফেসররাই অল ইন অল।


এ ব্যাপারে আমি একটা সিরিজ লিখেছি সামু ব্লগে। সময় হলে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।

কানাডাতে MS/PhD কোর্সে ভর্তির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন কাজটি হল অধ্যাপকে রাজী করানো।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩২

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: “ তবে বাঙালির ওপর বিশ্বাস রাখা বিপজ্জনক”। - কথাটি আমার নয়, হুমায়ুন আজাদের পরিচিত একটি উক্তি। উক্তিটি মোটামুটিভাবে সেল্প এক্সপ্ল্যানেটরি মনে হচ্ছে, তাই বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যাবার প্রয়োজন মনে করছিনা।

আপনার উপরোক্ত মন্তব্যটি আমেরিকার ক্ষেত্রে সত্য হলেও কানাডার ক্ষেত্রে সত্য না। কানাডায় মাস্টার্স বা পিএইচডি ভর্তির জন্য প্রফেসররাই অল ইন অল।
অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য। আমি দু'ধরণের কথাই শুনেছি। এমনকি আমেরিকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রফেসররা এ্যাডমিশনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বলে শুনেছি। আমার এবং আমি যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যাপ্লিকেশন করেছিলাম সেগুলোতে অবশ্য এমন কোন নিয়ম ছিলনা।
কানাডার ব্যাপারে আমি বিস্তারিত জানিনা। আমার পরিচিত একজন বন্ধু অবশ্য মাস্টার্সের জন্য প্রফেসরের পেছনে দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছে। সেই হিসেবে আপনার বক্তব্যটিই ঠিক বলে ধরে নিচ্ছি। তবে আমার এ্যাডমিশনের সময়ই এমন কথা শুনেছিলাম যে 'নর্থ আমেরিকা'র বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তির জন্য প্রফেসর ধরা গুরুত্বপূর্ণ না।
এটি ইউনিভার্সিটি টু ইউনিভার্সিট এবং সাবজেক্ট টু সাবজেক্ট ভ্যারি করে বলে আমার ধারণা।
এরপরও আপনি যদি নিশ্চয়তা দেন যে কানাডার প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং প্রায় সব সাবজেক্টে প্রফেসর ধরা লাগে (পিএইচডির জন্য); তাহলে লাইনটি এডিট করে দেব।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:০৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: তৌফিক জোয়ার্দার ভাই,

"এরপরও আপনি যদি নিশ্চয়তা দেন যে কানাডার প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং প্রায় সব সাবজেক্টে প্রফেসর ধরা লাগে (পিএইচডির জন্য); তাহলে লাইনটি এডিট করে দেব।"

হ্যাঁ এটাও সত্য যে কোন কোন বিশ্ববিদয়ালয়ে সেন্ট্রালাইজড ভর্তি সিস্টেম। তবে আমার পরিচিত সকল বন্ধু-বান্ধব প্রথমে প্রফেসর নির্ধারন করে তার পর দরখাস্ত করেছে।

আমি ২০০৭ সালে একই সঙ্গে কানাডার কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ টা বিভাগে ও ইতালীতে জাতিসংঘের একটি প্রতিস্ঠানে দরখাস্ত করেছিলম। তখন জানতাম না যে প্রথমে প্রফেসরের সাথে কথা বলতে হয়। ফলাফল ৩০ঝাজার টাকা পুরোটাই জলে।

ভাগ্য ভাল যে জাতিসংঘের সেই প্রতিস্ঠানের পূর্ন বৃত্তিটা পেয়েছিলাম না হলে তো আবারও ১ বছর বসে থাকতে হত।

পরে কানাডা এসেছি ইতালীতে ১ বছরের সেই ডিগ্রীটা শেষ করে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:০৮

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ঠিক আছে। আমি এডিট করে দিচ্ছি, কারণ আপনার মতো পরিস্থিতির মুখো মুখি অন্যরাও হতে পারে সঠিক ধারণার অভাবে। বিষয়টি পয়েন্ট আউট করার জন্য কৃতজ্ঞতা।

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৫০

খেয়া ঘাট বলেছেন: লিখাটি পড়েছি। অনেক ভালো লাগলো পড়ে। অনেক শুভকামনা রইলো ভাই ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:২৮

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ খেয়া ঘাট। আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৫৩

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: দেশে না ফেরাই ভালো।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: হা হা হা। কি জানি ভাই। সবাই এ কথাই বলে। তারপরও পিএইচডি শেষে দেশে ফিরতে চাই। দেশে চেষ্টা করে দেখি মনের মতো কাজ করতে পারি কিনা। না পারলে তখন বিকল্প দেখা যাবে। যুদ্ধ শুরুর আগেই আত্মসমর্পণ করব কেন?

৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫১

রাহি বলেছেন: লেখাটা পড়েছিলাম।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৩

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: আসেন আসেন, দেখে যান, আমিও এসেছিলাম আর খুব তাড়াতাড়ি চলে ্যাবার জন্যও ব্যস্ত হয়ে আছি।
লোকে বলে, ঠেকে শেখার চেয়ে দেখে শেখা ভালো

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২২

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: পড়াশুনা শেষে দেশে ফিরে কাজ করার বিষয়টি আরো কিছু ভ্যারিয়েবলের ওপর নির্ভর করে, যেমন: সেই বিষয়ে দেশে কাজের সুযোগ আছে কিনা; যে প্রতিষ্ঠানে ছিলেন সেখানে ফিরে আসার পর (কিম্বা ফিরে এসে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন সেখানে) কেমন ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন ইত্যাদি। আমি পাবলিক হেলথে কাজ করছি, এই ফিল্ডে দেশে কাজ করার সুযোগ ব্যাপক। ল্যাব সাইন্সে সেই সুযোগ কম। যে প্রতিষ্ঠানে আছি, সেটিও এখন পর্যন্ত রেসপন্সিভ বলেই মনে হচ্ছে। ফেরার পর কি দাঁড়াবে জানিনা। এমন আরো অনেক ফ্যাক্টর আছে। দেখা যাক সব কিছু ক্লিক করে কিনা। যদি না করে তখন বিকল্প ভাবা যাবে। একটি ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে আশা করি পথে বসতে হবেনা- এই আত্মবিশ্বাস আছে। লেখাতে যেমন উল্লেখ করেছি, দেশে ফিরে দেশ উদ্ধার করে ফেলব এমন আত্ম অহঙ্কার নেই। শ্রেফ দেশের মাটি জল মানুষের প্রতি এক ধরণের অভ্যস্ততা গড়ে উঠেছে, সেটা থেকে বের হতে ভাল লাগেনা। আমি চাই আমার সন্তান আমার মতোই তার দেশজ পরিচয়ে পরিচিত হোক, এদেশের সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে শিখুক। এসব বাস্তবে রূপ নাও পেতে পারে, কিন্তু আমি আমার অংশটুকু করে যেতে চাই। ধন্যবাদ।

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আপনি জন হপকিন্সে ডক্টরেট করছেন, ও এম জি!

#ড্রিম স্কুল# :|

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৫

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: এখানে প্রেশার টা অনেক বেশি, বিশেষ করে স্কুল অফ পাবলিক হেলথে। এর অন্যতম কারণ এখানে সেমিস্টার সিস্টেম না, টার্ম সিস্টেম। দুই মাসের একেকটা টার্ম শুরু না হতেই শেষ হয়ে যায়, তাই সবকিছু খুব দ্রুত এগোয়। এর সাথে তাল মেলানো খুব স্ট্রেসফুল। এত কথা বলার কারণ হল: ড্রিম স্কুল নাইটমেয়ারে পরিণত হতে পারে। এনজয় ইয়োর লাইফ :)

৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
হুম, আমি একটা টার্ম সিস্টেমের কলেজে চান্স পেয়েছিলাম, অন্য কারণে যাওয়া হয়নি। এখন টু সেমেস্টারস হলেও কাইন্ড অব ডায়িং :|

ড্রিম স্কুল বলতে মেডিসিনের জন্য। এমনিতেই তো নাইটমেয়ার :D

আপনি জনস হপকিন্স নিয়ে একটা লেখা দেন :|

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫০

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: হুম, মেডিসিনের জন্য বেশ ভাল, ইউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে ৩য়। হার্ভার্ড এবং পেনসিলভানিয়ার পরে। তবে হসপিটাল এবছর আবার টপ র‌্যাংঙ্কিং হয়েছে।

যাই হোক, হপকিন্স নিয়ে লিখতে সঙ্কোচ হয়, এখনো স্টুডেন্ট তো। মনে হবে নিজের প্রতিষ্ঠানের ঢাক পেটানোর ছলে নিজের ঢাক পেটাচ্ছি। পাশ করে নিই, এর পর চেষ্টা করে দেখব। লেখার মতো অনেক কিছু আছে। অবশ্য আমার ধারণা সব প্রতিষ্ঠান নিয়েই অনেক কিছু লেখা যায়। নৃতত্বের একটা দিকই আছে যাকে বলে 'ইনস্টিটিউশনাল এথনোগ্রাফি'।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.