নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তৌফিক জোয়ার্দার

তৌফিক জোয়ার্দার

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট শেষ করে দেশে ফিরেছি ২০১৫ সালের শেষ দিকে। যারা ফলো করতো, তাদের কাছে বারবারই বলেছি দেশে ফিরবো। সামুতে লিখেওছিলাম এ নিয়ে। অনেকেই সাধুবাদ দিয়েছিলেন, আবার অনেকে প্রকাশ করেছিলেন সন্দেহ ও অনাস্থা। এ ক’টা বছর কেটে গেল ফিরে আসার ধাক্কাটা সামলাতে। অনেক দিন পর আবার এলাম সামুতে। আবারো লেখালেখির দুর্মর আকাঙ্ক্ষা বুকে নিয়ে। আবার ঘন ঘন দেখা হবে বন্ধুরা।

তৌফিক জোয়ার্দার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার প্রিয় প্রাণীরা: কুকুর

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:০৫

আগের পর্বটি পড়তে চাইলে: আমার প্রিয় প্রাণীরা: হাতি



(২) কুকুর:



ছোট বেলায় আব্বুর কাছে একটি গল্প শুনতাম। কুকুরের প্রভুভক্তির ওপর গল্প, আমার ধারণা আপনাদের অনেকেরই গল্পটি জানা। এক লোক জাহাজ থেকে নদীতে পড়ে গিয়েছে। প্রবল স্রোতের মাঝে কেউই সাহস করে তাকে উদ্ধার করতে যাচ্ছেনা। এমন সময় পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ল তার পোষা কুকুর। প্রবল স্রোতের প্রতিকূলে প্রাণপণ সাঁতরে কূলে নিয়ে আসল মনিবকে। কিন্তু প্রানান্তকর ক্লান্তিতে অবসন্ন কুকুরটি নিজেই প্রাণত্যাগ করল।



আমার বাবা বা মা যে খুব ভাল গল্প কথক ছিলেন তা নয়। তবে চঞ্চল প্রকৃতির সন্তানকে ঘুম পাড়ানোর সুতীব্র প্রয়োজনে এর চেয়ে কার্যকরী আর কোন মহৌষধ তাঁদের হয়ত জানা ছিলনা। ভান্ডারে যেহেতু খুব বেশি গল্পের পুঁজি সঞ্চিত ছিলনা, তাই একই গল্প ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শোনাতে হত। তার ফলশ্রুতিতে কুকুরের এ গল্পটিও আমার বেশ অনেকবার শোনা হয়ে যায়। আর সেই শৈশব থেকেই নিজের অজান্তে প্রাণীটির প্রতি এক ধরণের মমত্ববোধ জন্মে যায়।



শুধু সাঁতার কিম্বা প্রভুভক্তি নয়, কুকুরের রয়েছে দারুন কিছু সহজাত প্রবৃত্তি যা মানুষের জন্য খুব দরকারী। যেমন, দিনে ঘুমিয়ে রাতে পাহাড়া দেওয়া, গন্ধ শুঁকে শত্রু-মিত্র বা বিপদাপদ নির্ণয় করা, ইত্যাদি। শুনেছি তারা নাকি মনিবের ঘামের (বা ঘামের সাথে মিশে থাকা হরমোনের) গন্ধ শুঁকে তার মনোভাব ধরতে পারে। বিবিসি হরাইজনে দেখেছিলাম কুকুর কিভাবে মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে তার আবেগ বুঝতে পারে।



মানুষ তার অবচেতনে আরেকজন মানুষের বাম চোখের দিকে তাকায়, কারণ বাম চোখের মধ্যেই মানুষের আবেগ সবচেয়ে পরিষ্কার ধরা পরে। কুকুর হল সেই অল্প সংখ্যক প্রাণীদের একটি যারা মানবীয় আবেগের এই প্রাকৃতিক গুপ্ত তথ্যটি জানে। হাইস্পীড ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে যে কুকুর যখন মানুষের দিকে তাকায় সে অত্যন্ত তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে কিছুক্ষণের জন্য মানুষের বাম চোখের দিকে তাকায়, এবং তার মনোভাব বোঝার চেষ্টা করে।



শুধু তাই নয়, এমনকি নানা জটিল রোগ নির্ণয়েও কুকুরের করিতকর্মতার প্রমান পাওয়া গিয়েছে। শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হবে তবু সত্যি যে কুকুর ক্যান্সার, হৃদরোগ, মৃগীরোগ, বহুমূত্র, নারকোলেপ্সি সহ আরো নানা রোগ খুব প্রথমিক অবস্থাতেই সনাক্ত করতে পারে। এখানে কোন অলৌকিক ক্ষমতা কাজ করেনা, বরং চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং জৈবরসায়নের খুব বেসিক কিছু মেকানিজম এখানে ক্রিয়াশীল। এসব রোগ হলে এক ধরণের সাইটোকেমিকেল বা মানব কোষ থেকে বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ রক্তের সাথে মেশে। কুকুর তার অসাধারণ ঘ্রাণশক্তির বদৌলতে এই রাসায়নিক পরিবর্তনকে অনেক আধুনিক ডায়াগনোস্টিক টেস্টের আগেই সনাক্ত করতে পারে।





ছবি: ক্রীড়া প্রিয় কুকুর



যাইহোক, কথাগুলো শেয়ার না করে পারলাম না বলে লিখলাম; কিন্তু সিরিজটির উদ্দেশ্য কিন্তু প্রাণীবিজ্ঞানের জ্ঞান দেওয়া নয়। বরং লেখাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে প্রাণীগুলো আমার অনুভূতির তন্ত্রীতে কি অনুনাদ সৃষ্টি করে তা পাঠকের সাথে শেয়ার করা। সেখানে ফিরে যাচ্ছি।



আমার পড়াশুনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে পছন্দের বিষয় হল ইতিহাস এবং নৃতত্ত্ব। এ বিষয়ে টুকটাক পড়াশুনা করতে গিয়ে দেখেছি কুকুর প্রাণীটি কি অনবদ্যভাবে মানুষের ক্রমবিকাশের ইতিহাসের সাথে নিজেকে পরম মমতায় জড়িয়ে রেখেছে। মানুষ যখন গুহাবাসী তখন কুকুর তার গুহা পাহাড়া দিয়েছে হিংস্র প্রাণী এবং শত্রুর আক্রমণ থেকে তাকে রক্ষা করতে। মানুষ যখন শিকারী জীবন শুরু করেছে তখন কুকুর তার ঘ্রাণশক্তি কাজে লাগিয়ে শিকার খুঁজতে সাহায্য করেছে। মানুষ যখন পশুপালন শিখেছে কুকুর তখন দুম্বার পালকে নানা দিক থেকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে নিয়ে এসে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছে। শীত প্রধান অঞ্চলে কাঠের স্লেজ টেনেছে অকুণ্ঠচিত্তে। আর এখন, যখন মানুষ যন্ত্রের কল্যাণে সব কিছুতেই স্বয়ংসম্পূর্ণ, যখন কার্যত কুকুরের আর কোন ভূমিকা থাকার কথা নয় আধুনিক মানুষের দিনানুদৈনিকতায়; তখনো আশ্চর্য হয়ে দেখি এই আদি অকৃত্রিম বন্ধুটি ঠিকই মানুষের জীবনে তার নিজের অবস্থানকে ধরে রেখেছে। শুধু ধরেই রাখেনি, বরং আরো সুসংহত করেছে।



দু'বছর যাবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছি। এমন একটি দিন নেই যেদিন লিফটের দরজা খুলতেই একটি আঘ্রাণোন্মুখ আদুরে সারমেয়র মুখ না দেখি। এদেশের বৃদ্ধদের একাকী জীবনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে কুকুর। এমনকি অনেক তরুণ তরুণীকেই রোজ দেখি কুকুর সাথে নিয়ে জগিং করতে। এতে তাদের শরীর ভাল থাকে; এমনকি পরিসংখ্যানগত দিক থেকে নাকি কুকুরপালনকারী মানুষের গড় আয়ু অন্যান্যদের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি।



কয়েকটি মজার ট্রিভিয়া দিয়ে শেষ করব সারমেয় পর্ব [বাই দা ওয়ে, 'সারমেয়' মানে কুকুর :D]।



১। কুকুর মানুষের অতি প্রিয় এবং আপন প্রাণী হলেও এর পূর্বপুরুষ কিন্তু মানুষের অত্যন্ত অপছন্দের একটি প্রাণী- নেকড়ে।



২। বর্তমানে যে পোষা কুকুরের জাত আমরা দেখি তাকে পোষ মানানোর সূত্রপাত হয়েছিল আজ থেকে ১৫,০০০ বছর পূর্বে (মতান্তরে ৮,৫০০ বছর, হু কেয়ারস :) ), সাইবেরিয়া অঞ্চলে।



৩। কুকুর একরকম বর্ণান্ধ বা কালার ব্লাইন্ড; সে কেবল হলুদ এবং নীল রঙ দেখতে পারে। কিন্তু ভিজুয়াল ডিসক্রিমিনেশন অনেক উচ্চ হওয়ায় সে গতিশীল বস্তু মানুষের চেয়ে অনেক ভালভাবে সনাক্ত করতে পারে। সেজন্যই ছুঁড়ে দেয়া ফ্রিজবি বা বল তারা সহজেই মুখে ধরে মনিবের কাছে বয়ে নিয়ে আসে। মূলত: তারা গতিশীল বস্তুকে অনেকটা স্লো মোশনে দেখতে পায়।



৪। কুকুরের মস্তিষ্কের সাইজে মানুষের মস্তিষ্কের চেয়ে অনেক কম হলেও তাদের মস্তিষ্কের ঘ্রাণ সঙ্ক্রান্ত অংশটি এতটাই শক্তিশালী যে মানুষের চেয়ে তাদের ঘ্রাণশক্তি ১০ কোটি গুণ বেশি।



৫। ফাইনালি, বাংলাদেশের একটি প্রজাতির কুকুর বেশ বিখ্যাত, যাকে বলে Sarail Hound বা সরাইলের কুকুর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় প্রাচুর্যপূর্ণ এ প্রজাতিটিকে আরবের শিকারি কুকুরের সাথে গ্রেহাউন্ড, বন্যকুকুর, এবং হয়ত অন্য কোন ইউরোপীয় প্রজাতির (পরবর্তীকালে মিশ্রিত) এক ইউনিক বা অনন্য মিশ্রণের ফলে উদ্ভূত বলে ধারণা করা হয়।



ছবি: সরাইল হাউন্ড



কুকুরের অনেক গুণের কথা হল। খুঁজলে হয়ত কিছু দোষও বের করা অসম্ভব নয়। কিন্তু কুকুরের যে গুণটি তাকে মানুষের এত কাছাকাছি এনেছে এবং সহস্র বছর মানুষের জীবনের সাথে অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ করেছে তা হল কুকুরের অসাধারণ বন্ধুভাবাপন্নতা, তার অপরিসীম বিশ্বস্ততা, এবং বুদ্ধিমত্তা। চিন্তা করে দেখুন, সামান্য একটু মমতা, ক্ষুধায় একটু খাবার প্রাণীটিকে কেমন কৃতজ্ঞ করে রাখে। এমন বন্ধু আর কে আছে যে নিজের জীবনকে পর্যন্ত বাজি রাখতে কার্পণ্য করেনা। আমাদের হৃদয়হীন নির্লিপ্ত বিযুক্ততার এই কালবেলায় কুকুরের কাছ থেকে তাই আমাদের অনেক কিছু শিক্ষণীয় আছে।





অসাধারণ একটি ডকুমেন্টারি: দা সিক্রেট লাইফ অফ ডগস।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

রামন বলেছেন:
কুকুরকে আমার অপছন্দ নয়। কিন্তু কিছু কিছু মনিবদের প্রতি আমার অনেক ক্ষোভ রয়েছে যাদের কুকুর রাস্তা বা ফুটপাতে বিশেষকরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে মলমূত্র ত্যাগ করলে মনিব সেটা পরিষ্কার না করে উল্টো দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায়।

যাইহোক কুকুর নিয়ে আপনার পোস্টটি দারুণ হয়েছে। মনিবের সাথে কুকুরের নৃত্যের একটি ভিডিও ক্লিপ যোগ করলাম। ধন্যবাদ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ সেইসব পাবলিক ন্যুইসেন্স সৃষ্টিকারী কুকুর পালকদের বিষয়টি তুলে আনবার জন্য। তবে আমেরিকায় লক্ষ্য করেছি রাস্তার পাশে বা পার্কে (বিশেষত: যেসব জায়গায় মানুষ কুকুর নিয়ে হাঁটতে বের হয়) একটি স্ট্যান্ডের সাথে পলিথিন জাতীয় বস্তু থাকে কুকুরের মল কুড়িয়ে সেটিতে ভরে জায়গামতো ফেলে দেবার জন্য। মানুষকে এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন দেখেছি এখানে। এমনকি কারো গায়ে কুকুরের স্পর্শ লাগলেও মনিবরা বেশ লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী হয়। আমাদের দেশে হয়ত এখনো এই প্র্যাক্টিস গড়ে ওঠেনি।
ধন্যবাদ ক্লিপটির জন্য।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৯

এন ইউ এমিল বলেছেন: ঘেউ

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: হা হা হা। ঘেউ।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আমার প্রচন্ড ডগ ফোবিয়া আছে। কোন কুকুর আমার দিকে তাকালেই আমার মনে হয় পিছে ফিরে দৌড় দেই।

যাই হোক কুকুরের স্বর্গ বলে খ্যাত আমেরিকায় ডগ ফোবিয়ায় আক্রান্ত লোকের প্রোটেকশনের কোন ব্যাবস্থা আছে কি? আমার ইউএসএ যাওয়ার খুব শখ। হয়ত নেক্সট ইয়ারেই যাওয়া হতে পারে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: আমার স্ত্রী দারুণভাবে ডগফোবিয়ায় আক্রান্ত। রাস্তাঘাটে বের হলে কুকুর দেখে তার লম্ফ ঝম্প আমাকে বেশ বিব্রত করে, কারণ নিরীহদর্শণ কুকুরের মনিবরা তার প্রতিক্রিয়া দেখে খুব অপ্রস্তুত হয়।
প্রোটেকশনের কোন আইনকানুন আছে কিনা নিশ্চিত নই, তবে ধারণা করি আছে। প্রত্যেকেই লীশ দিয়ে কুকুর বেঁধে তবেই রাস্তাঘাটে বের হয়। আজ পর্যন্ত ছাড়া অবস্থায় কোন কুকুর দেখিনি। ভয়ের কোন কারণ আছে বলে মনে করিনা।
শুভ কামনা।

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: কুকুর আমার অত্যন্ত পছন্দের প্রাণী। ছেলেবেলার কিছু সুন্দর স্মৃতি আছে কুকুর নিয়ে। আপনার পোস্টে কুকুর নিয়ে বেশ কিছু অজানা তথ্য জানলাম। ভালো লাগলো।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: বেশ,আপনার সাথে দু'টো প্রাণীর বিষয়ে পছন্দ মিলে গেল। দেখা যাক তৃতীয়টিও মেলে কিনা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: তৌফিক জোয়ার্দার,

আপনার সুন্দর লেখাটি পড়ে আমার নিজের লেখা একটি গল্পের কথা মনে পড়লো । মনে পড়লো আপনার এই লাইন ক'টি দেখে -

.....সহস্র বছর মানুষের জীবনের সাথে অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ করেছে তা হল কুকুরের অসাধারণ বন্ধুভাবাপন্নতা, তার অপরিসীম বিশ্বস্ততা.....

লিংকটি দিচ্ছি , দেখে নিতে পারেন এখানে -
Click This Link

শুভেচ্ছান্তে ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়েছি। অত্যন্ত ভাল লেগেছে। যে কম্পিউটার থেকে বসেছিলাম সেখান থেকে বাংলায় লেখার ব্যবস্থা না থাকায় মন্তব্য করতে পারিনি; এখন যাচ্ছি আবারো পোস্টটিতে। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

জুন বলেছেন: আমার বাবার বাসায় কুকুর পালতাম। তখন খোলামেলা বাসা ছিল। একটা ছিল এলসেশিয়ান নাম টাইগার। দেখতে দারুন আকর্ষনীয়, কিন্ত পাহারাদার হিসেবে ভয়ংকর। চোররা তাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেল্লো। এরপর ছিল একটা বুলটেরিয়ান ছোট লেজের।
এখন এপার্টমেন্টে থাকি, তাছাড়া আমার স্বামীকে একবার কুকুর কামড়ে দিয়েছিল । তার জন্য বাসায় কুকুর প্রবেশ নিষেধ :(

আপনার তথ্যবহুল পোষ্ট অনেক ভালোলাগলো তৌফিক জোয়ার্দার।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২২

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: আপনার কুকুর সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। বিষ খাইয়ে পাহাড়াদার কুকুর মেরে ফেলার কথা অনেক শুনেছি। এটিও আসলে আমার লেখায় স্থান পেতে পারত।
আমি বেশিরভাগ সময় এপার্টমেন্টে থেকেছি, তাই কুকুর পালাটা সুবিধাজনক ছিলনা। তবে তার চেয়েও বড় ফ্যাক্টর হল আমার মা। অত্যন্ত ধার্মিক প্রকৃতির মানুষ তিনি, ঘরে কখনোই কুকুর অনুমোদন করতেন না।
তবে বন্ধু বান্ধব যাদের বাসায় কুকুর আছে সেখানে গেলে কুকুরের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়ে যেত সহজেই।

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৬

ফুলবানু ব্লগার বলেছেন: আমারাও একটা কুকুর আছে, নাম তার টমি। টমিকে আমি রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। মা ছাড়া টমিকে ১ দিন যাবত রাস্তায় এভাবে একা থাকতে দেখে আমার খুব কষ্ট হয়েছিল। আমি ওকে বাসায় নিয়ে আসি। কিন্তু কুকুরকে কি খাওয়াতে হবে, কিভাবে তাদের সঠিকভাবে যত্ন নিতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে আমার কোন ধারনা ছিলনা। এরপর আমি গুগোলে Pet Food & Accessories লিখে সার্চ দেই এবং fixit.com.bd নামে একটা ওয়েবসাইট পাই। তাদের সাথে আমি এখনও কথা বলে আমি আমার টমির জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সংগ্রহ করি। এখন আমার টমি অনেক বড়। সে এখন আমার নয়নের মনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.