নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তৌফিক জোয়ার্দার

তৌফিক জোয়ার্দার

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট শেষ করে দেশে ফিরেছি ২০১৫ সালের শেষ দিকে। যারা ফলো করতো, তাদের কাছে বারবারই বলেছি দেশে ফিরবো। সামুতে লিখেওছিলাম এ নিয়ে। অনেকেই সাধুবাদ দিয়েছিলেন, আবার অনেকে প্রকাশ করেছিলেন সন্দেহ ও অনাস্থা। এ ক’টা বছর কেটে গেল ফিরে আসার ধাক্কাটা সামলাতে। অনেক দিন পর আবার এলাম সামুতে। আবারো লেখালেখির দুর্মর আকাঙ্ক্ষা বুকে নিয়ে। আবার ঘন ঘন দেখা হবে বন্ধুরা।

তৌফিক জোয়ার্দার › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানির বাংলাদেশি ভার্সন: বিকল্প ভাবনার আহ্বান

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

ঈদের উৎসবটা বিভিন্ন দেশে কাটানোর অভিজ্ঞতা হয়েছে- শৈশবে ইরানে, বাবা মা'র চাকরির সুবাদে সৌদি আরবে, কনফারেন্সের সূত্রে সুইজারল্যান্ডে, আর পড়াশুনার সূত্রে নেদারল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যে ইরান, সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের বিষয়ে কথা তুলতে চাইনা, কারণ সেখানে কোরবানির সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন সংশ্লিষ্টতা ছিলনা। কিন্তু সৌদিআরব আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোরবানির স্মৃতি বেশ ভালভাবেই রয়েছে- তাই এই দুটো দেশের কথাই বলছি।

মুসলমানদের ধর্মীয় ইস্যুগুলোতে সৌদিআরবের আচরিত বিধানগুলোকে সঙ্গতকারণেই প্রামাণ্য ধরা হয়। ওখানকার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি- হজ্বের সাথে সংশ্লিষ্ট কোরবানি ছাড়া সাধারণ মানুষের কোরবানি দেয়ার ক্ষেত্রে রাস্তাঘাট নোংরা করে, দৃষ্টি অসুখকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, পরিবেশ দূষিত করে, বাচ্চাদেরকে রক্তারক্তির দৃশ্যে এক্সপোজ করে- কোরবানির ঈদের কথা কল্পনাই করা যায়না। যারা কোরবানি দিতে চান তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা জমা দিয়ে চলে আসেন, এরপর যথা সময়ে নিজের ভাগের অংশটুকু বাসায় নিয়ে আসেন। ভাগ বাটোয়ারা এবং গরিবদের অংশ বিলিয়ে দেয়ার কাজটাও সেই অথরিটিই করে থাকে; সম্ভবত চাইলে নিজেও সেটা করা যায়। তবে রাস্তা ঘাট দখল করে, নোংরা করে, ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে কোরবানির রেওয়াজ সেখানে নেই।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুসলিম প্রধান দেশ নয়, সেখানে পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও আরো বেশি গুরুত্ব পায়। তাই ওখানকার কোরবানি দিতে ইচ্ছুকদেরকে আরেকটু কষ্ট করতে হয়। আমি ম্যারিল্যান্ডে থাকি; ওখান থেকে পরিচিত অনেককেই দেখেছি পার্শ্ববর্তী স্টেট ভার্জিনিয়াতে গিয়ে কোরবানীর আনজাম করতে। তবে সেক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট অথরিটির তত্বাবধানে, নির্ধারিত জায়গতেই যে কোরবানি হয়- তা বলাই বাহুল্য।

কোরবানির ঈদ শুরু হবার কিছুদিন আগে থেকেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু মানুষ শুরু করে দেয় 'কোরবানি ব্যাশিং'। সেই তর্কে যেতে চাইনা, তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে কোরবানির স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং পরিবেশ দূষণ সৃষ্টিকারী আসপেক্ট থেকে বাংলাদেশে প্রচলিত কোরবানি প্রথার সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করি। আমাদের দেশে যে নোংরা প্রক্রিয়ায় কাজটি করা হয়, এবং এর ফলশ্রুতিতে কোরবানি পরবর্তী অন্তত মাসখানেক যে ভেক্টর বর্ন ডিজিজগুলোর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়- কোরবানির ধর্মীয় মাহাত্ম্যকে ক্ষুণ্ন না করেও এগুলোকে এ্যাড্রেস করা সম্ভব। এতে ইসলামের যে পরিচ্ছন্নতার সংস্কৃতি আছে (ওযু, গোসল- ইত্যাদি)- তার প্রতি যেমন বিশ্বস্ত থাকা হয়; অন্যদিকে যারা কোরবানি বাংলাদেশি সংস্করণের দোহাই দিয়ে গোটা কোরবানিকেই প্রশ্নবীদ্ধ করেন- তাদেরকেও একটু বিশ্রাম দেয়া যায়।

মোদ্দা কথা- কোরবানির যে বিভৎস রূপ আমরা বাংলাদেশে জিইয়ে রেখেছি- সেটা আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধের যতটা না বহি:প্রকাশ, তার চেয়ে ঢের বেশি আমাদের ইনসেনসিটিভিটি, অপরিচ্ছন্নতা, ক্রিয়েটিভ প্রব্লেম সল্ভিংয়ে অনীহা/অপারগতা- ইত্যাদির বহি:প্রকাশ।



দীর্ঘদিনের বিতর্কের অভ্যাসহেতু সবকিছুরই আরেকটা দিক দেখার প্রবণতাটা রয়ে গিয়েছে। সবাই মিলে গোল হয়ে বসে রক্তাক্ত গেঞ্জি গায়ে মাংস কাটা, ওজন করে ভাগাভাগি করা, কার গরুতে লাভ হয়েছে সে বিষয়ে সমাধানহীন বাতচিতে মেতে ওঠা, গরীব প্রার্থীদের হাতে নিজ হাতে মাংস তুলে দেয়া- এসবের একটা আলাদা চার্ম রয়েছে অবশ্যই।

তর্ক চলুক। দ্বন্দ্বের কড়াঘাতে বেরিয়ে আসুক নবতর সত্য। সত্যই সুন্দর। সুন্দর হোক সবার ঈদ- এবং তার পরবর্তী সময়গুলোও। সাবাইকে শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

এমএম মিন্টু বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা নিবেন ঈদমুবারক ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ, ঈদ মোবারক।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

আলাপচারী বলেছেন: ভালো কথা বলবেন আর এখানকার োদনাদের গালি শুনবেন। এরা নিজেদের থেকে পরিবর্তন না হলে কিছু করা সম্ভব নয়।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: হা হা হা। আপনার বলার ভঙ্গিটা ইন্টারেস্টিং। ঈদ মোবারক।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে অসভ্য অশিক্ষিত অকর্মন্য পরশ্রীকাতর হিংসুটে দুর্ণীতিবাজ মানুষ হলাম আমরা। বহুদিনের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: জানিনা ঈদের প্রভাবে কিনা, আপনাদের মন্তব্যগুলো খুব মজার লাগছে :D । আমিও অনেক বিষয়ে হতাশ বোধ করি। হয়ত একটা জাতির বিকাশের ধারায় এই স্টেপগুলো সবাইকেই পেরুতে হয়। হয়ত একদিন এই আঁধার কেটে যাবে। হয়ত তখন আমি বা আপনি বেঁচে থাকবোনা।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

রাজ হাসান বলেছেন: াই সামাজিক প্রেক্ষাপট এর অনেক বিষয় আছে কুরবানী ব্যাতীত যেইগুলো আগে আমাদের দরকার ঠিক করার।আমরা যদি সৌদি আরব কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলি তাহলে কি আমাদের দেশে মানাবে??ঐ পর্যন্ত যেতে আমাদের বহুদুর বাকী।পুরো সিস্টেম গলদে ভরা।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: আলবত। আমারো মনে হয়েছে এটা। উদাহরণস্বরূপ: আমাদের রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো জনমানুষের বিশ্বাস আর আস্থা অর্জন করতে পারেনি। তাই আপনার আমার কোরবানির টাকা কোন প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে সুন্দরভাবে বিষয়টা সমাধা করতে গেলে- গোটা টাকাটাই লোপাট হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। সবকিছুই একটা আরেকটার সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু এসব নিয়ে আলোচনা উঠলে এক ধরণের সচেতনতা তৈরি হয়, একটা ডিমান্ড তৈরি হয়। প্রথম প্রথম কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটাও স্বাভাবিক। তারপরে একসময় একটা সিস্টেম দাড়িয়ে যাবে হয়ত। সৌদি আরব বা যুক্তরাষ্ট্রও হয়ত একদিনে আজকের অবস্থানে আসতে পারেনি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:১০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভাল বলেছেন । সবকিছু ঠিক হবে । ফিলিং আশাবাদী । B-)

ঈদ শুভেচ্ছা ।:)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৩

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ। ঈদ মোবারক।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩২

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: জোরালো সমর্থন জানালাম ৷ শুরুটা সিটি করপোরেশনগুলো দিয়ে করা যাক ৷ গ্রামাঞ্চলে বর্তমান প্রেক্ষিতে বোধহয় সম্ভব না ৷

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: সম্পূর্ণ একমত। ধন্যবাদ। ঈদ মোবারক।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সুন্দর, সময়োপযোগী পোষ্টে ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম। লাইক উইথ প্লাস।

ঈদের শুভেচ্ছা রইল, ভালো থাকবেন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪২

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ। ঈদ মোবারক।

৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:১৭

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: আম্রিকাতে এই রেডিমেইড টাইপের কোরবানীতে কোন ফিলিংস পাওয়া যায়না বলেই এখানে কখোনো কোরবানী করা হয়না......দেশেই করি সবসময়.....কিন্তু কোরবানীর মাংস আর কপালে জোটেনা :(
আপানার পোষ্টের ব্যাপারে যুক্তি থাকলেও......আমাদের জীনগত যে ব্যাপারগুলো মনের মধ্যে ঢুকে গেছে........যেমন হাটে গিয়ে দামাদামি করে গরু কেনা.......গেইটের সামনে গরু বেঁধে রাখা......সবাই মিলে রক্তাক্ত হওয়া......মাংস বিলি করা........এগুলোর সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক না থাকলেও এটা না করলে সবার কাছে কুরবানী অসম্পূর্নই থেকে যাবে.......

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: খাঁটি কথা।

৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

মামুন রশিদ বলেছেন: অবশ্যই ভাবার ব্যাপার আছে । বিশেষ করে উন্মুক্ত স্থানে কোরবানী আর হাইজেনিটির ব্যাপারটা নতুন করে ভাবতে হবে ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামত/মন্তব্যের জন্য।

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: লেখাটা আগেই অফলাইনে পড়েছি ।

সহমত জানিয়ে গেলাম ।

ঈদের শুভেচ্ছা :)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
ঈদ মুবারাক!! কুরবানী ব্যাপারটা খুব জরুরী !! পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে বোধের উদয় আরো জরুরী !!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত।

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: @ তৌফিক জোয়ার্দার :

এই বিষয়টা নিয়ে আমিও অনেক ভেবেছি।

ব্লগার "ক্ষতিগ্রস্থ" সিটি করপোরেশন-এর ব্যাপারে যা বলেছেন, তাতে দূর্নীতির আর তাদের দ্বারা জিন্মি হবার ভয় না থাকলে ভালোই হতো।

ব্লগার "রাজ হাসান" যেমন বলেছেন, "ঐ পর্যন্ত যেতে আমাদের বহুদুর বাকী।পুরো সিস্টেম গলদে ভরা।" আসলেও তাই।

সর্বপরি বাংলাদেশের ঢাকাতে এবং অন্যান্য সিটি করপোরেশনগুলোতে যেই ভাবে ইটের বাগান গড়ে উঠেছে, তাতে ইচ্ছা থাকলেও কোরবানির জন্য আলাদা ব্যাবস্থা করা কতটুকু সম্ভব, সেটাও ভাবার বিষয়।

তারপরে এই দেশের কসাইখানা কতটা সাস্থসম্মত, সেটাও দেখার বিষয়।
তারা এমনিতেও এতটা লোড নিতে পারবে না।

এই ঘিন্জি এলাকায় শুধু মাত্র কোরবানির জন্য কেউই আলাদা একটা আস্ত ভবন নির্মানের কথা ভাববে না।

কারণ, বৎছরের বিশাল একটা সময় ধরে এই বিশেষ ভবনের বড় একটা অংশই অব্যবহিৃত থাকবে, ফলে সেটা অর্থিক দিক দিয়ে অলাভজনক হবে।

এই শহরে ফাকা মাঠের বড়ই অভাব, যেই খানে কোরবানি দেওয়া যাবে।
আবার কিছু কিছু ফাকা মাঠ থাকলেও কোরবানির সময় তার সদ-ব্যবহার করাই হয় না।

তো, এই সব সমস্যার সমাধানের জন্য এখন কি করা যায়, সেটা সত্যিই ভাবার বিষয়।


আমার যতটা মনে হয় সেটা হলো,----
বর্তমান কসাই খানাগুলোকে আরো বড় এবং সাস্থসম্মত করে এর স্বক্ষমতা আরো বাড়িয়ে তোলা।

রাস্তার বদলে ফাকা মাঠ ও সরকারী ফাকা যায়গাগুলোতে কোরবানি করতে উৎসাহীত করা।

স্কুল, কলেজ ইত্যাদি কোরবানির সময় বন্ধ থাকে, তো তাদের মাঠগুলো ব্যাবহার করে তারপরে সঠিক নিয়েমে পরিস্কার করে ফেলা।

বহু ঈদগাতে নামাজের পরে খালি হয়ে যায়, এই জায়গাও কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে কোরবানির কাজে ব্যাবহার করা যেতে পারে।

সরকারি ভাবে কিছু কিছু ভবন নির্মান করা যেতে পারে যেই খানে কোরবানির সাময়িক সময়টা ব্যাবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এটা এতটাই অলাভজনক যে, সরকার এটা করতে চাইবে কিনা সন্দেহ।

অলাভজনক সেবা প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দান করার মাধ্যমেও এই ধরণের ভবন নির্মান ও পরিচালনা করা যেতে পারে।

আর ব্লগার "ক্ষতিগ্রস্থ" এর বক্তব্যের মতো যদি সিটি করপোরেশন প্রত্যেক ওয়ার্ডে এই ব্যাপারে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে, তাহলেও ভালো হয়।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০২

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: একসেলেন্ট। আলাদা ভবন নির্মাণ ছাড়া বাকি সবগুলো অপশনই অত্যন্ত ফিজিবল মনে হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টাকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে কিভাবে পৌছানো যেতে পারে? কোন পরামর্শ?

১৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩

মিথিলা মাহমুদ বলেছেন: এই ব্যাপারটি নিয়ে সব জায়গায়ই বেশ আলোচনা হচ্ছে। হয়ত খুব শিঘ্রী পরিবর্তন আসবে। ঢাকার ভেতর না করতে পারলেও নিকটবর্তী কোনো শহর বা উপশহরে slaughter house চালু করা যেতে পারে।যেটি পরবর্তী সময়ে storage হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৫২

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:



@ তৌফিক জোয়ার্দার এবং মিথিলা মাহমুদ :


আলাদা ভবনের বিষয়ে "মিথিলা মাহমুদ" এর পরামর্শ আমার মনে ধরেছে।


কিন্তু এখানে একটা সমস্যাও রয়েছে।

আরবী মাস ইংরেজী মাসের মতো করে স্থির নয়।

কাজেই যেই সময় কৃষি পণ্য অথবা বিদেশ থেকে আমদানী করা পণ্য অথবা দেশে উৎপাদিত পণ্য মজুদ করার সময় আসবে, ঠিক সেই সময় কি আর ওটাকে slaughter house হিসেবে ব্যাবহার করা যাবে।

তখন একটা উভয় সংকট অবস্থা হবে।

তবুও আইডিয়াটা বেশ ভালো।


এছাড়া ঈদের সময় অনেক বড় বড় ভবনও খালি থাকে, যেমন কমিউনিটি সেন্টার। ওগুলোকেও হয়তো ব্যাবহার করা যেতে পারে।

আর এই বিষয়টা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে কিভাবে পৌছানো যেতে পারে, সেই বিষয় আমার কোন ধরণা নেই।


ধন্যবাদ আপনাদের দুজনকেই।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:০৮

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: বিষয়টি যে যেমন করে পারে সেভাবেই সমাধা করে চলেছে আমাদের দেশে বছরের পর বছর। এটা নিয়ে যে রেগুলেশনের কোন বালাই থাকতে পারে সেটাই আমাদের নীতি নির্ধারকদের কোনদিন মাথায় এসেছে বলে মনে হয়না। তাই আমার লেখায় বিদেশের উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছি এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় রেগুলেশনের প্রয়োজন আছে।

এক্ষেত্রে আপস্ট্রীম সমস্যা হল দুইটা (আপাত:দৃষ্টিতে; আরো সমস্যা থাকতে পারে): ১. এটাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় দিলেই যেটা হবে- অনেকটা হাট ইজারা দেয়ার মতো কোরবানির ব্যবস্থাপনার ইজারাও চলে যেতে পারে দলীয় থাগ দের হাতে। এতে সমাধানের চেয়ে নতুন সমস্যার উদ্ভবের সম্ভাবনাই বেশি। ২. কোরবানির একটা নিজস্ব অর্থনীতি আছে। কিছু মানুষ বছরের এই সময়টার প্রতীক্ষায় থাকে, যুগ যুগ ধরে এটা তাদের অর্থনৈতিক সংস্থানের বাড়তি বা উপরি উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। উদাহরণস্বরূপ: মাদ্রাসার কিছু ছাত্র যারা জবাই করে, কিছু লোক যারা গরু জবাইয়ের সময় ধরে, যারা গবাদি পশুকে কোরবানির সময় খাদ্য সরবরাহ করে (আমি জানি, কিছু পরিবার জাস্ট এই সময়টাকে উপলক্ষ্য করে নিজেদের জমির একটা অংশ গোখাদ্য উৎপাদনের জন্য ডেডিকেট করে), পশুর দেখভাল করে, চামড়ার ব্যাপারী-আরো নানা মানুষ। হঠাৎ করে নতুন ব্যবস্থা চালু করলে এদের কি সংস্থান হবে সেটা খুব নিবীড় ভাবে বিবেচনা করা দরকার।

তো সব মিলিয়ে আমার মনে হয়: অলরেডি একজিসটিং স্টেকহোল্ডারদেরকে কাজে লাগিয়েই কাজটিকে করতে হবে, জাস্ট কাজটাকে সুন্দর ভাবে ডিস্ট্রিবিউট করতে হবে,আর কোরবানিটা একটা (বা কয়েকটা) সুনির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ রেখে এর পাবলিক হেলথ হ্যাজার্ড গুলো নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা যেতে পারে (যার তরিকা আপনি সুন্দরভাবে আগের কমেন্টে উল্লেখ করেছেন)।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে: বিড়ালের গলায় ঘন্টাটি বাঁধবে কে? এ ক্ষেত্রে ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সেল যৌথ ভাবে কাজটি করতে পারে। তাদেরকে হয়ত সহায়তা দেবে সিটি কর্পোরেশন।

১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৪

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:


@ তৌফিক জোয়ার্দার :

আপনার এই শেষ কমেন্টের সাথে আমি সহমত পোষণ করছি।

এই দেশের পরিপ্রক্ষিতে অলরেডি একজিসটিং স্টেকহোল্ডারদেরকে কৌশলে কাজে লাগালেই সবচেয়ে ভালো ফল আসবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.