নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কল্পনায় যদি বাস্তবতার স্বাদ পাওয়া যেত। তবে বাস্তবতায় কেউ টেনে হিচড়েও কাওকে রাখতে পারতো না।
কলম হাতে নিয়ে সামনেই টেবিলে রাখা উন্মুক্ত ডায়েরি নিয়ে প্রায় ঘণ্টা-খানেক কাটিয়ে দিয়েছে মৃন্ময়ী। যদিও মাথায় কিছু আসছিলো না এমনিতেও, তারপরও কিছু একটা লিখতে হবে মনে হচ্ছিল। এখন পর্যন্ত এই অনুভূতি কাজ করছে বিধায় কলম হাত থেকে রাখেনি সে। বেশ কিছুদিন হয় কিছু লিখতে পারছে না সে। এই নিয়ে এক ধরণের হতাশা কাজ করা শুরু করে দিয়েছে, সেই হতাশা আজ এমন ভাবে জেঁকে ধরেছিল যে ফাঁকা মাথা নিয়েই কলম হাতে নিতে বাধ্য হয় মৃন্ময়ী। সে যে কোন নামকরা লেখক বা পেট এর দায়ে লিখে এমনটি না। তাকে লেখালেখির জন্য কোন প্রকাশক এসে চাপ দিতে থাকে না। বা পাঠক রা তার লেখা পাবার আশায় অপেক্ষার প্রহর গুণে না। নিজের জন্য লিখে মৃন্ময়ী, নিজের ভালো লাগে বলেই কলম হাতে নেয়, লিখে চলে যা ইচ্ছে তা। কখনও দুটি চরণ মাথায় ঘুরছে, বসে পড়ে কবিতা লিখতে সময় পেলেই। কখনও কোন একটা চরণ কে লিখায় রূপ দিতে গিয়ে হয়ে যায় গল্প। কোন কোন রাতে মনের যত কথা, লিখে যেতে থাকে আনমনেই। মৃন্ময়ীর ভেতরে কাজ করতে থাকে তখন এক অপরিমেয় তেষ্টা। সে তেষ্টা মেটানোর দায় পড়েনি ওর। তবুও লিখে যায়, আনন্দে হারিয়ে যায়। যত লিখে তত তেষ্টা বাড়তে থাকে, একটা সময় ক্লান্ত হয়ে ডায়েরি বন্ধ করে, কলম হাত থেকে রেখে ঘুমোতে যায় মৃন্ময়ী। কিন্তু ব্যস্ততা বা অন্য বিভিন্ন চিন্তা মাথায় ঘুরছে বিধেয় সে বেশ কিছুদিন যাবত লিখতে বসেনি, সময় পেলেও মাথায় কিছু ছিল না বা তেষ্টা কাজ করলেও লিখতে বসে কিছু মাথায় আসছিলো না। মনে বিরাজ করে অন্যরকম শূন্যতা। বর্ণমালা গুলো বেমালুম ভুলে গিয়ে সেখানে জায়গা করে নেয় এক থলে শূন্যতা। সে শূন্যতা মাঝে অজানায় হাতরে বেড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে মৃন্ময়ী অবশেষে।
আজকে মাথায় একটা নাম ঘুরছিল সারাদিন ধরে। সকল দৈনন্দিন কাজ এর ফাঁকে ফাঁকে সে নাম মনে পরছিল বারবার ওর। তাই এখন লিখতে বসেছে। কিন্তু শুরু করতে পারছে না।
-কি ব্যাপার মৃন্ময়ী ? কতক্ষণ বসে থাকবে এভাবে ?
চমকে উঠে মৃন্ময়ী এ কণ্ঠে। এ তো নিজের কণ্ঠস্বর। ভয় ও চমক এর সংমিশ্রণে চভয় নামের একটা অনুভূতি কাজ করতে থাকে ওর মাঝে। কিন্তু কৌতূহল এর কাছে চভয় অনুভূতি হেরে যায়,
কৌতূহল থেকেই জিজ্ঞেস করে মৃন্ময়ী,
-কে ? কে তুমি ?
-আমি মৃন্ময়ী। আমাকে চিনতে পারছ না ??
এবার একটু বেশিই ভয় পায় সে, মাথার ভেতর নিজের কণ্ঠস্বর ! আবার নিজের কথার উত্তর দিচ্ছে। কি করে সম্ভব এটা। মানুষ এর ভেতর বহুরূপী সত্তা কাজ করে, এটা সে জানে। কিন্তু একই সাথে দু রকম সত্ত্বায় ভাগ হয়ে একজন আরেকজন কে চমকে দিতে পারে কি না, এটা ওর জানা ছিল না। তবে ও কিছু তা আশ্বস্ত হল যে, কণ্ঠ তা ভৌতিক কোন কিছু না, ওর ভেতর থেকেই আসছে। ও জবাব দিলো,
-আমিই তো মৃন্ময়ী।
-হুম,আমি আর তুমি একজন।
-এটা কি করে সম্ভব ?
-একজন মানুষ এর মাঝে পরিস্থিতি ভেদে বহুরূপী সত্তা কাজ করা সম্ভব। জানো না ?
-হুম, সেটা জানি। কিন্তু তুমি তোমার আর আমার মাঝে পার্থক্য কি? বা তুমি এভাবে আলাদা ভাবে চিন্তাভাবনা করার সামর্থ্য রাখো কি ?
-হুম, সবসময় হয়তো রাখি না, এখন পারছি বা বলতে পারো এখন পারছ। মানুষ যদি খুব বেশি নীরবতায় হারিয়ে যায়, তখন সে নীরবতা ভয়ংকর হয়ে ধরা দেয়। সে নীরবতা থেকে উদ্ধার পেতে মানুষ নিজের মাঝে একাধিক সত্তার আগমন ঘটাতে সম্ভব।
-ও আচ্ছা। কিন্তু একটা কথা, মানুষ এর মাঝে তো মূলত দুটি সত্তা কাজ করে। একটি ‘হ্যাঁ সত্তা’ এবং অপরটি ‘না সত্তা’ । তুমি কোনটা এখানে ?
-সেটা কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র। আমি মূলত এসেছি তোমাকে ভয়ংকর নীরবতা থেকে উদ্ধার করতে। ভালো মন্দ, হ্যাঁ অথবা না এগুলো আপেক্ষিক ব্যাপার। সে ক্ষেত্রে আমি এতটা শক্তিশালী থাকি না অথবা বলতে পারো আমি নিজেকে এখন একজন আলাদা মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করার সামর্থ্য রাখি, একেবারে তোমার মত কিন্তু আলাদা। কিন্তু ঐ ক্ষেত্রে পারতাম না।
-ও আচ্ছা, তুমি চাইলে এখন আলাদা হতে পারবে এটা বিশ্বাস করতে পারছি না আমি।
-সেটা তোমার ব্যাপার। বিশ্বাস অবিশ্বাস ব্যাপারটা অনেক বেশি অযৌক্তিক। দুনিয়াতে অনেক কিছু তোমাকে যুক্তির ঊর্ধ্বে উঠে শুধুমাত্র বিশ্বাস দিয়েই মেনে নিতে হয়। যেমন ধর্ম বা ঈশ্বর এর অস্তিত্ব।
-তুমি কি আস্তিক ?
-নির্ভর করে, আমি ঈশ্বর এ বিশ্বাস করি। শুধুমাত্র বিশ্বাস মানেই তো আস্তিক। কিন্তু ঈশ্বর এর বিধি মানি না, সেক্ষেত্রে আমার আস্তিকতা বজায় থাকবে কিন্তু আমি ধর্মভীরু বলে গণ্য হবো না। এবং তখন সাধারণ দৃষ্টিতে আমাকে নাস্তিক বলে ধরা হবে। নাস্তিক প্রতিষ্ঠা পাওয়া বর্তমান যুগে অনেক বেশি সহজ।
-হুম, এটা ঠিক। বর্তমানে আমাদের দেশে নাস্তিক উপাধি পাওয়া শুধু মাত্র ক্ষণিকের বা একটা বক্তব্যের ব্যবধান মাত্র। আমাকে অনেকেই নাস্তিক বলে। কিন্তু আমি মনেপ্রাণে ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। মাঝে মাঝে তার পূজা করি। কিন্তু যৌক্তিক কথা বলার কারণে বা নিজস্ব ধারণা ভাগাভাগি করতে গিয়ে মাঝে মাঝেই নাস্তিক উপাধি পেয়ে যাই। খুব মন খারাপ হয় তখন।
-মন খারাপ করো না। ঈশ্বর যদি থেকে থাকেন। তবে তিনি জানেন কে তার প্রতি বিশ্বাস এনেছে, কে আনেনি। তুমি যদি এ ব্যাপারে বিশ্বাস কে যুক্তির ঊর্ধ্বে নিতে না পারো তবে স্বাভাবিক ভাবেই ঈশ্বর থেকে দূরে সরে যাবে।
-আচ্ছা, এসব কথা বাদ দেও। বিতর্কিত কথাবার্তা সবসময় ভালো লাগে না।
-আচ্ছা। তোমার ইচ্ছা।
-আচ্ছা, বলত আমি লিখতে পারছি না কেন কদিন ধরে ?
-কারণ আমি তোমাকে লিখতে দিচ্ছি না।
-কেন ? দিচ্ছ না কেন ? তুমি না এতটা শক্তি সবসময় পাওনা। তো এতদিন ধরে আমাকে লিখতে দিচ্ছিলে না, এটা কি করে ?
-আসলে আমি আমার উপস্থিতি তোমার কাছে প্রকাশ করার সুযোগ খুঁজছিলাম। আজকের এই পরিস্থিতি তৈরি করতে আমাকে এত কষ্ট করতে হয়েছে।
-কেন ?
-কারণ তোমাকে আমার সম্পর্কে কিছু বলা প্রয়োজন ছিল। তোমার কিছু ধারণা পরিবর্তন করা প্রয়োজন ছিল।
-কি ধারণা ?
-এতক্ষণ যেগুলো বলেছি, সেটা মূল আলোচনা ছিল না। এখন আসছি মূল কথায়। আমি তোমার বিপরীত সত্তা। তোমার যে ধারণা ছিল, তোমার কিছু বড় বড় সিদ্ধান্ত আমি তোমাকে ভুল নিতে বাধ্য করেছিলাম। এটা ভুল। আমি তোমাকে বাধ্য করিনি। আমাকে তোমার মাঝে ওভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। তুমি যা করবে, আমি ঠিক তার বিপরীত কাজ করার জন্য তোমাকে উদ্বুদ্ধ করবো। তোমার মূল সত্তার মানসিক শক্তির পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমি তৈরি।
-পরীক্ষা নেওয়ার কি আছে ? আমার ক্ষতি মানে তোমার ক্ষতি, সিদ্ধান্ত নিতে আমাকে সাহায্য না করে উল্টো আমার ক্ষতি কেন করেছ বা করে যাচ্ছ তুমি ?
-আছে। তোমার মূল সত্তার মানসিকতার সুষ্ঠু গঠন হওয়ার নিশ্চয়তা যাচাই করার দায়িত্ব আমার। তোমাকে মানসিক ভাবে শক্ত করে তোলার দায়িত্ব আমার।
-কিন্তু আমি যদি বারবার তোমার কাছে পরাজিত হতে থাকি?
-তবে তোমার জীবন হবে বিষাদময়। তুমি কখনও প্রকৃত সুখের দেখা পাবে না।
-আচ্ছা, তোমার আর আমার মাঝে মূল পার্থক্য কি, বলতে পারবে ?
-ওভাবে বলতে গেলে কোন পার্থক্য নেই আসলে। বলেছিই তো আমি মূল চরিত্রের বিপরীত। আমি কোন আবেগ অনুভূতি দিয়ে কিছু নির্ধারণ করি না। তবে তুমি যদি আবেগ থেকে দূরে সরে বাস্তবতা দিয়ে কিছু নির্ধারণ করতে যাও, তবে আমি হয়ে উঠবো ভীষণ রকম আবেগী। তবে এটা ঠিক যে বরাবরের মত তোমার আবেগ এর কাছে আমার আবেগ পরাজিত হবেই। তুমি অনুভব করতে পারো। আমি পারি না। আবেগ অনুভবের বিষয়। কোন নিয়ম, বা দায়িত্ব থেকে আবেগী হওয়াটা এত সহজ না। আমি নির্দিষ্ট নিয়মে চলি, যার ফলে আমি কখনও সত্যিকার আবেগ অনুভব করতে পারবো না।
-হুম। বুঝলাম। কিন্তু তুমি আজকে আমাকে এসব বলছ কেন ?
-তোমাকে সাহায্য করার জন্য। আসলে সত্যকথা বলতে আমাকে সাহায্য করার জন্য। তুমি আবেগ ভুলে বাস্তবতা, শুধুমাত্র বাস্তবতা নিয়ে আছো। আমি তোমার সে আবেগ কে অনেকদিন অনুভব করতে পারিনি। যার কারণে আমি নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি। নিজেকে বাঁচাতেই তোমার কাছে ছুটে আসা এভাবে। অন্যথা আমার নিয়মে নেই তোমার কাছে এভাবে আমার পরিচয় দেবার। আমি বলেছি তো, আবেগ আমি অনুভব করতে পারি না। শুধু মাত্র তোমার মাধ্যমে স্বাদ নিতে পারতাম। যেটা অনেকদিন যাবত পারছি না। তুমি তোমার সত্যকার সত্তায় ফিরে যাও মৃন্ময়ী। দয়া করো আমার উপর, তোমার উপর। তুমি তোমার সত্যিকার সত্তায় ফিরে যাও।
-আমি বুঝতে পারছি না। ঘোলাটে লাগছে আমার। তুমিই আমার বিপরীত আবার তুমিই আমায় সাহায্য করছ, কিভাবে এটা সম্ভব ?
কোন উত্তর আসে না। মৃন্ময়ী ধীরে ধীরে অনুভব করে ওর সে শূন্যতা ফিরে এসেছে। তবে এতটা প্রকট না, যতটা লিখতে বসবার সময় অনুভব করেছিল। ক্লান্ত লাগছে মৃন্ময়ীর অনেক বেশি। সে কলম রেখে, ডায়েরি বন্ধ করে শুয়ে পড়ে।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১
তওসীফ সাদাত বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭
মামুন রশিদ বলেছেন: আত্মকথন ভালো লেগেছে ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১
তওসীফ সাদাত বলেছেন: জেনে আনন্দিত হলাম মামুন ভাই
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
তওসীফ সাদাত বলেছেন: ধন্যবাদ পড়বার জন
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার হয়েছে !
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯
তওসীফ সাদাত বলেছেন: ধন্যবাদ অভি ভাই
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কথোপকথনটা বেশ বুদ্ধিদীপ্ত মনে হয়েছে।
একজন মানুষের দুটো সত্তার কথা বলা হয়েছে গল্পে। ১ম সত্তা যা করে, ২য় সত্তা করে তার বিপরীত কিছু। এখানেই সত্তা দুটোর সার্বজনীনতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এটাকে এমনভাবে ভাবা যায়- ১ম সত্তাটা খারাপ কিছু করলেই ২য় সত্তা তা প্রতিহত করতে উদ্যত হয়- তাহলে ২য় সত্তাকে মানুষের বিবেক বলে বিবেচনা করা যেত।
কিন্তু গল্পে ২য় সত্তার বৈশিষ্ট্য ওভাবে দেখানো হয় নি গল্পের প্রয়োজনেই, তা ধরে নিলাম।
ভালো লেগেছে। লাইন স্পেসিং সিঙ্গেল হলে দেখতে সুন্দর লাগে।
আর যে-সত্তাকে নিয়ে লিখেছেন, দয়া করে তার বানানটি মনে রাখবেন- ‘সত্তা’। স্বত্বা বা সত্ত্বা বলে কোনো শব্দ নেই, স্বত্ব বা সত্ত্ব আছে- এ বইয়ের স্বত্ব আমার আমি আমসত্ত্ব ভালোবাসি; তা সত্ত্বেও আমি কাঁচা আম খাই না
শুভ কামনা।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯
তওসীফ সাদাত বলেছেন: বলেছেন: হা হা হা !! ধন্যবাদ আপনাকে !!
সত্তা বানান টা ঠিক করিয়ে দেবার জন্য
৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: শায়মা বলেছেন: আত্মকথনে ভালোলাগা!
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
তওসীফ সাদাত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ
৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
চভয় শব্দ খানা ইন্টারেস্টিং হয়েছে
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৫
তওসীফ সাদাত বলেছেন: হা হা !! নিজস্ব একটা শব্দ বানিয়ে ফেললাম সুযোগ পেয়ে
ধন্যবাদ সময় করে পড়বার জন্য
৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
তানজিয়া মোবারক মণীষা বলেছেন: মৃন্ময়ীকে আমি নিজের মাঝেও দেখতে পাই, নিজের জন্য লিখা, ব্যাপারটা শুধু যারা লিখে যেতে চায় কোন প্রতিদান ছাড়াই তারা বুঝতে পারবে। খারাপ হয় না যদি মাঝে মাঝে নিজের ভিতর স্বতন্ত্র কোন সত্ত্বা এসে জবাবদিহিতা করে যেত, ব্যাখ্যা করতো নিজেকে নিজের কাছেই, অনেক অজানা কাজের উত্তর খুঁজে পেতাম হয়তো আমরা, সিদ্ধান্তগুলো আরো সহজ আর নির্ভুল হতো। নিজেকে পুরোপুরি বুঝতে পারে, এমন কয়টা মানুষই এসেছে পৃথিবীতে?
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
তওসীফ সাদাত বলেছেন: আমার মনে হয় না কেও নিজে নিজেকে বুঝতে পারে, আমরা জন্মগত ভাবে দিধাগ্রস্থ। কখন কি ভালো লাগে, কখন কি করতে ইচ্ছে করে, এর নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। সবকিছুই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।
৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বেশ লাগলো।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
তওসীফ সাদাত বলেছেন: ধন্যবাদ !!
বেশ লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম
১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪০
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: হুম, বুঝলাম
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
তওসীফ সাদাত বলেছেন: কি বুঝলি
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৫
শায়মা বলেছেন: আত্মকথনে ভালোলাগা!