নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবেগ ও অনুভূতি খুব ঠুনকো ! ক্ষনে ক্ষণে রুপ বদলায়। ক্ষণে ক্ষণে উৎস বদলায়।

তওসীফ সাদাত

কল্পনায় যদি বাস্তবতার স্বাদ পাওয়া যেত। তবে বাস্তবতায় কেউ টেনে হিচড়েও কাওকে রাখতে পারতো না।

তওসীফ সাদাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউঃ The Monuments Man

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৩

সংস্কৃতি, এই একটা ব্যাপার সম্ভবত সার্বজনীন বা পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক। সংস্কৃতি চলে তাঁর আপন স্রোতে। এই ব্যাপারটায় জোর খাটে না। মানুষ অনেককিছুই জোর খাটিয়ে করতে চায়। সমাজ, সমাজের নিয়মকানুন সবকিছু নিয়ে জোর খাটানো চলে। কিন্তু, সংস্কৃতি জোর খাটানোর একদমই অযোগ্য একটি ব্যাপার। যা হয়, সম্পূর্ণ স্রোতের টানে ভেসে ভেসে হয়। বিভিন্ন লোকালয়ে, বিভিন্ন স্থানে সংস্কৃতি ভিন্ন ভিন্ন। প্রকৃতি নামে অবশ্য আরেকটি ব্যাপার থাকে, যেখানে জোর খাটানো অসম্ভব। প্রকৃতি ব্যাপারটায় জোর খাটালে বরংচ নিজেদেরই ক্ষতি হয়। এবং বর্তমান সময়ে একুশ শতকে এসে তাঁর ফল এবং প্রকৃতির বিরুপ প্রতিক্রিয়া কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা অনেকটাই উপলব্ধি করতে পারছি আমরা। যাই হোক, এখানে মুভি রিভিউ নাম দিয়ে নিশ্চয় পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কথা বলতে আসিনি। এসেছি সংস্কৃতি সম্পৃক্ত কিছু নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে বলতে। যেহেতু পোস্টে একটি মুভির রিভিউ লিখছি বলে ডেকে এনেছি আপনাদের, তাই আমার বিচরণ ক্ষেত্রও এখানে বেশ কম। তবুও প্রাসঙ্গিক কারণে হুটহাট করে ক্ষেত্রটা অনেকটা জোরই বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টায় থাকবোই। ঐ যে, একটা ব্যাপার আছে না। বাঙালি সুযোগ পেলে রসায়নের মধ্যেও দর্শণ টানে। যদিও সবরকম জ্ঞান-বিজ্ঞান কিন্তু সেই দর্শণ থেকেই এসেছে। তারপরেও, এখন তো দুটো একদম দুমেরু বলেই ধারণা সাধারণ মানুষের। ও হ্যাঁ, কোথা থেকে কোথায় চলে গিয়েছি।

ফিরে আসছি মূল কথায়। সংস্কৃতি, জোর খাটেনা বলেছি। কিন্তু প্রভাবিত হতে পারেনা কিন্তু বলিনি। এতক্ষণ অনেকেই প্রথমে বলা জোর না খাটার ব্যাপার নিয়ে হয়তো মাথা ঘামাচ্ছিলেন, যে জোর খাটেনা বলেছি, এ কথায় কোন ভুল নেই তো! আছে, জোর হয়তো বা সরাসরি খাটেনা, কিন্তু প্রভাবিত হয় বটে।
একটা জাতি, দেশ বা সমাজের নিদর্শণ ধরে রাখে কে? জনগণ ? হ্যা,যতক্ষণ এই জগতে আছে তাঁরা। কিন্তু বংশপরম্পরায় সংস্কৃতি যে বিকৃত হয়, সেটাও তো ভাবনায় আসার কথা। যেমন ধরুন ছোটবেলার কানে কানে খেলার কথাই। অনেকেই হয়তো এই খেলার সাথে বেশ পরিচিত। একজন অপরজনের কানে ছোট একটা গল্প বলবে সে আবার সেটা পরবর্তী জনের কানে বলবে। শেষ জন সবার সামনে তা বলবে। দেখা যায় ঘটনা ক থেকে চন্দ্রবিন্দু হয়ে যায় একদম।
তো, সংস্কৃতি ব্যাপারটাও অনেকটা এরকম। এর ব্যাপ্তি হয়, প্রভাবিত হয়। কিন্তু জোর খাটিয়ে হয় না। স্রোতের টানে হয়।

যাই হোক, সংস্কৃতি নিয়ে দু চারটা কথা বলার কারণ হচ্ছে, আমি যে মুভি নিয়ে আলোচনা করবো, সেটা মূলত সংস্কৃতি কে কেন্দ্রীভূত একটি মুভি। এখন একটা প্রশ্ন করি, খুব সহজ প্রশ্ন যে তা নয়। তবে এর উত্তর নিয়ে সবসময়ই সমাজের কিছু না কিছু মানুষের ভাবতে হয়। তাদের কল্যাণেই মূলত সংস্কৃতির পরম্পরা টা টিকে থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে, সংস্কৃতির ধারক বা বাহক কি?

উত্তর নিয়ে ভাবতে থাকুন। উত্তর দেওয়ার জায়গা মন্তব্য নামের অপশনে আছে বৈকি। যাই হোক, আমার চিন্তাধারায় আসি এবার একটু, এই সম্পর্কে। আমি মনে করি, শিল্প-সাহিত্য হচ্ছে সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। একটি জাতির সম্পূর্ণ বৈশিষ্ট্য বের করার জন্য, তাঁর ধারা বের করার জন্য, অথবা তাঁর গোড়ায় যাওয়ার জন্য শিল্প-সাহিত্য এর বিকল্প নেই বললেই চলে। আর শিল্প-সাহিত্য বাঁচে কিছু সৃজনশীল মানুষের সৃষ্টির মাধ্যমে। আর এই সৃষ্টি গুলো ইতিহাসের ধারক ও বাহক ও হতে পারে যা নির্ভর করে সেই সৃজনশীল মানুষগুলোর উপর। তাই সূদুর ভবিষ্যতে অতীত কে উপস্থাপন করার একটি সর্বোত্তম অস্ত্র হচ্ছে এই সৃষ্টিগুলো/শিল্প সাহত্যের নিদর্শণগুলো। আর পৃথিবীর যতরকম মূল্যবান জিনিসপত্রের মত এসব ও কম মূল্য রাখেনা। বিশেষ করে শিল্পি/সাহিত্যিক দের অসাধারণ সৃষ্টিগুলো যা সাধারণ মানুষের মনে সৃষ্টির পর থেকে অন্যরকম গুরুত্ব নিয়েই স্থান দখল করে আসছে।

যদিও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বড় বড় যুদ্ধের কারণে এসব শিল্প সাহিত্যের অনেক নিদর্শণই নষ্ট অথবা হারিয়ে গিয়েছে, যেগুলো নষ্ট হয়েছে তা তো ইতিহাসের ধূলো পরে হারিয়ে গিয়েছে, শুধু রেখে গেছে বইয়ের পাতায় দু-চার চরণ স্মৃতি। আর যেগুলোর খোঁজ পাওয়া যায় না, তা দুনিয়া জুড়ে সবার কাছে গুপ্তধনে পরিণত হয়। আর কিছু মানুষ তা তাড়িয়ে বেড়ায়। দুনিয়া জুড়ে ঘুরে বেড়ায় এসবের সন্ধানে।
যাই হোক, এখন আসি মূল কথায়... এই যে সংস্কৃতি, এরপর সে সূত্র ধরে শিল্প-সাহিত্য, এরপর আসলো শিল্প সাহিত্যের নিদর্শণ। এরপর একটু মূল কথা থেকে দূরে সরে গিয়ে যুদ্ধে নষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা হারিয়ে যাওয়া নিদর্শণের কথা টেনে আনা, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, যুদ্ধের সময় কিছু মানুষ এসব শিল্প সাহিত্যের নিদর্শণ রক্ষার্থে সচেষ্ট হয়, হোক তাঁরা বিপরীত পক্ষের, তবুও এসব নিদর্শণ রক্ষার্থে তাদের সবার উদ্দেশ্য একবিন্দু তে এসেই মিলে। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়েই তাদের এসব নিদর্শণ রক্ষার কাজ করে যেতে হয়, যুদ্ধের সময় যেখানে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়াটাই বিপত্তি, সেখানে এরা পুরো দেশ জুড়ে ঘুরে ফিরে খুঁজে বের করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নিদর্শণসমূহ। নিঃসন্দেহ তাদের মধ্যে থাকে না স্বার্থ ব্যাপারটি। যেহেতু এখানে কেও কারো বিপক্ষে না, যে দেশেরই হোক সবাই এখানে এক। এমনই কিছু মানুষের একটি দল নিয়েই এগিয়েছে The Monuments Men মুভিটি।



তাঁরা শেষমেশ কি রক্ষা করতে পেরেছে আর কি পারেনি, আদৌ সফল হয়েছে কি অথবা যুদ্ধের বিভীষিকায় হারিয়ে গিয়েছে কি না সেটা জানতে অবশ্যই আপনাকে George Clooney, Matt Damon, Bill Murray অভিনীত এই মুভিটি দেখতে হবে।


মুভিটির আই.এম.ডি.বি লিঙ্ক
মুভিটির ডাউনলোড লিঙ্ক(টরেন্ট,৭২০পি)

দুঃখিত আই এম ডি বি লিঙ্ক খানিকটা টেকনিক্যাল জটিলতার জন্য দিতে পারলাম না। পরবর্তি তে সংযুক্ত করে দিবো :)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:২৯

ভূতাত্মা বলেছেন: :D

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

তওসীফ সাদাত বলেছেন:



কিচ্ছে ভুতাত্মা ভাই/বইন/বন্ধু/বান্ধবি ?

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: মুভিটা দেখছি । ওতো ভালো লাগেনি । :/

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৮

তওসীফ সাদাত বলেছেন:


কি আর করা। ভালো লাগার শাখা-প্রশাখা যার যার ভিন্ন ভিন্ন।

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: দেখতে হবে !!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯

তওসীফ সাদাত বলেছেন:


দেখার মতই মুভি ! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.