নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়ান ওয়ে জার্নি

১২ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৩



একটি ট্রেন ঘন্টায় এতো কিলোমিটার বেগে চলে এতো মিটার প্লাটফর্ম যদি এতো সেকেন্ডে অতিক্রম করে। তাহলে ট্রেনটির দৈর্ঘ্য কতো? আমাদের ছাত্রজীবনে এই ধরনের ভয়াবহ অংক ছিলো। শিক্ষকতা পেশা ছাড়া আর কোনো পেশাতে এই ধরনের অংক প্রয়োজন আছে কিনা আমার সঠিক জানা নেই।

আজকের লেখার বিষয় সেই ছাত্র জীবনের বা বিসিএসের ভয়াবহ অংক না। বা জীবন খাতার অংকও না। আজকের লেখার বিষয় সেই অংকের “রেল স্টেশন”! বাংলা ও ইংরেজী ২য় পত্রে জার্নি বাই বোট, জার্নি বাই ট্রেন ছাত্র জীবনে আমাদের সকলের কম-বেশী পড়তে হয়েছে। বাস্তবত যেই যা বলুক, আমরা আসলে সবাই বাংলা ইংরেজি ২য় পত্রের মতো - জীবনের ২য় পত্রে যার যার মতো করে রেল স্টেশন প্লাটফর্মে এসে অপেক্ষা করছি। সকলের কাছে একরঙা একই মূল্যের অদৃশ্য টিকেট। এই ট্রেনে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় বলে কোনো শ্রেনী কক্ষ নেই। নেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ - স্লিপিং কোচ। নেই সংযুক্ত কোনো খাবার গাড়ি! এমনকি কোনো কোচে বাতিও নেই! নিঃশব্দ অন্ধকার কোচ।

নির্দিস্ট সময়ের এক সেকেন্ডও এই ট্রেন কখনো লেট করেনি হয়তোবা কখনো করবেও না। হুইসেল বিহীন নিঃশব্দে ট্রেন যেমন আসবে ঠিক তেমনি নির্দিষ্ট যাত্রী নিয়ে নিঃশব্দে আবার চলেও যাবে।

টিকেট - শুধুমাত্র "ওয়ান ওয়ে জার্নি" প্রযোজ্য। গন্তব্য কোথায় আমরা কেউ জানিনা। কখনো জানা সম্ভবও না।


কভার ছবি সূত্র: NIGHT TRAIN
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ।





মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৪

নিমো বলেছেন: অংক লাগে কারও Analytical skill কতটা বুঝার জন্য। যে অংকে ভালো, তার Analytical skill ভালো। খানিকটা অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য হয়ে গেল বোধহয়।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



না, মন্তব্য অপ্রাসঙ্গিক নয়। আমাদের জীবনের প্রতিটি পাতায় পাতায় অংকের প্রয়োজন আছে। ন্যাটো মিলিটারির একটি এম ফোর কারবাইন দক্ষহাতে ত্রিশ রাউন্ড গুলি লোডেড ম্যাগাজিন খালি করতে পাঁচ থেকে সাত সেকেন্ড সময় লাগে। এটি একজন দক্ষ সৈনিকের জানতে হবে। একজন সৈনিকের সাথে বিপক্ষের আরেকজন সৈনিকের কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই; কিন্তু সূত্র হচ্ছে “মারো নয়তো মরো” তাই গুলি চলে অবিরত।

প্রথম মন্তব্য ও লাইকের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।


২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:১০

ককচক বলেছেন: এক্ষেত্রে আমার মতো যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন, আমাদের বোধহয় একটা গন্তব্য আছে। আমরা স্বর্গ বা নরকের দিকে যাচ্ছি!

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



কোথায় স্বর্গ?
কোথায় নরক?
কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝেই স্বর্গ-নরক
মানুষেতে সুরাসুর

- কবি শেখ ফজলল করিম

আমি প্রবল ধরনের আস্তিক মানুষ। জীবনে এমন কিছু দেখেছি বা দেখতে হয়েছে তাতে করে ঈশ্বর আল্লাহ বিশ্বাস না করে উপায় নেই। ভালো মন্তব্য করেছেন, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:১৪

কামাল৮০ বলেছেন: আমি অংকে খারাপ ছিলাম তাই সব বিষয়েই খারাপ।অংকে যে ভালো তার চিন্তা শক্তি ভালো,বিশ্লষণ ক্ষমতা ভালো, বোধ বুদ্ধি ও উপলব্ধি করার ক্ষমতা অনেকের থেকে বেশি।
দ্বিতীয় অংশ ভাল বুঝতে পারিনাই।অংকে খারাপ হবার কারনে।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



যিনি জীবনে একটি বারের জন্যও হাসপাতালের আইসিও’র বিছানাতে শোননি তিনি জীবনের বিশাল শূন্যস্থান সম্পর্কে জানেন না। সময়ে এক সেকেন্ডও অনেক বড় সময়। এক সেকেন্ড অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। (সময় ও সুযোগ হলে, আমি সেকেন্ড নিয়ে একদিন লিখবো)

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩৫

মামুinসামু বলেছেন: Obscure ব্যান্ড এর একটা গান

কোরান বানী স্মরণ কইরা ঈমানটারে শক্ত করো
রসূল পথের পথিক হইয়া গো আখেরাতের পথ তুমি ধরো
খোদা তোমায় ডাকবো যখন
মন দুনিয়াটা বড় অচিন তখন

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সত্যি সত্যি গানটি মনে ধরার মতো একটি গান। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।


৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪১

ককচক বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ

কোথায় স্বর্গ?
কোথায় নরক?
কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝেই স্বর্গ-নরক
মানুষেতে সুরাসুর

- কবি শেখ ফজলল করিম

আমি প্রবল ধরনের আস্তিক মানুষ। জীবনে এমন কিছু দেখেছি বা দেখতে হয়েছে তাতে করে ঈশ্বর আল্লাহ বিশ্বাস না করে উপায় নেই। ভালো মন্তব্য করেছেন, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

ঈশ্বরে, আল্লাহ'য় বিশ্বাসী মানুষজন বিশ্বাস করে 'ভালোকাজ করলে স্বর্গে যাবে; মন্দকাজ করলে নরকে যাবে। সমস্যা হয়, ভালোকাজ ও মন্দকাজ নির্ণয়ে।কিছু মন্দ মানুষ মন্দকাজকেও ভালোকাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে, আমরা চিন্তাভাবনা না করেই চর্চা করছি।

ধন্যবাদ আপনাকেও

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমার কাছে সহজ হিসাব। ন্যায় হচ্ছে ধর্ম আর অন্যায় হচ্ছে অধর্ম। বেশী কিছু জানার প্রয়োজন নেই, বেশী জানতো ইবলিশ শয়তান! বেশী বেশী জানতে জানতে সে ইবলিশ শয়তান হয়ে গিয়েছে। (বিচিত্র কারণে ধর্মীয় বিষয়ে কোনো আলোচনা করতে চাচ্ছি না)

আপনাকে আবারও অশেষ ধন্যবাদ।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: গতদিনের একটা ঘটনা নিয়ে আজ মানে শুক্রবারে একটা পোস্ট লিখেছি এই ট্রেন নিয়ে । এক মুহুর্ত দেরী করে নি এই ট্রেন কোন দিন করবেও না ।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



দুর্ঘটনায় মৃত্যু কারোই কাম্য নয়। তবে কথা থেকে যায়; মানুষ জন্মে একা মরেও একা একা। কেউ কারো জন্য অপেক্ষা করে না, কারো জন্য কারো জীবন থেমেও থাকে না। বিচিত্র কারণে, আমরা সবাই এই একই ট্রেনের যাত্রী কেউ আগে কেউ পরে। শুধু মাত্র সময়ের ব্যবধান।

টিকেট - শুধুমাত্র "ওয়ান ওয়ে জার্নি" প্রযোজ্য।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।


৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:০৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



প্রকৃত অর্থে জীবনটা একটি সিংগেল জার্নিই ,তাতে কোন সন্দেহ নেই,
গন্তব্য জানা না থাকলেও এক সময় শেষ গন্তব্যে তাকে পাড়ি দিতেই হবে ।
সেখান হতে ফিরে আসার কোন সুযোগ নেই । পুর্ণ জন্ম সম্ভব নয়, এটাই ধ্রুব সত্য ।
তবে পৃথিবীর আনেক ধর্মাবলম্বি বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীগন
(যারা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় এক পঞ্চমাংশ) পুর্ণজন্মে বিশ্বাস করেন ,
অবশ্য ভিন্ন রুপে , তাই তাদের কাছে জীবনটা সিংগেল জার্নি নয় ।

অনেকেই মনে করেন জীবন একটি সিংগেল জার্নি নয়,এর অনেক জার্নি তথা যাত্রা
রয়েছে , প্রতিটি জার্নি হতেই কিছু না কিছু প্রাপ্তি কুড়িয়ে নেয়ার মত আছে ।যেমনটি
জিমনেস্টিতে অলিম্পিক পদক বিজয়ি প্রাক্তন খেলোয়ার নাদিয়া কমেন্সি বলেছেন


অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে – এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় – হয়তো বা শঙখচিল শালিকের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিঁকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়।

হয়তো বা হাঁস হবো – কিশোরীর – ঘুঙুর রহিবে লাল পায়
সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে।
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে
জলঙ্গীর ঢেউ এ ভেজা বাংলারি সবুজ করুণ ডাঙ্গায়।

হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে।
হয়তো শুনিবে এক লক্ষীপেঁচা ডাকিতেছে শিমুলের ডালে।
হয়তো খৈয়ের ধান সরাতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে।
রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে
ডিঙ্গা বায় – রাঙ্গা মেঘে সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে,
দেখিবে ধবল বক; আমারে পাবে তুমি ইহাদের ভীড়ে।

আবার আসিব ফিরে
কবি: জীবনানন্দ দাশ

ডঃ এম এ আলী ভাই, পূনর্জন্মের বিষয়টি ভাবনার মতো। মানুষ চাইলে অনেক কিছুই পারে, হয়তো প্রকৃতির সাথে এমন কোনো নীতি আছে যাতে করে পূনর্জন্ম হলে হতেও পারে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য হয়তো পূনর্জন্মকারী তারা কখনো তা প্রকাশ করেন না। প্রকৃতি তার সৃস্টি নিয়ে পাশা খেলে। পাশার দান নানা ধরনের হতে পারে। যিনি পাশা খেলছেন তিনিই এর আইন প্রণেতা।

ভাইসাহেব, আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।



৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:২৫

কামাল৮০ বলেছেন: ওপেন হার্ট সার্জারি করালাম কি আইসিওতে না গিয়ে।তার পরও দুইবার ব্লাক আউট হয়েছি।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



তাহলেতো জীবন সম্পর্কে আপনার মোটামোটি ভালো ধারনা থাকার কথা। কিন্তু আপনার মন্তব্যে প্রায়ই মনে হয় আপনি সরল জীবন যাপন করেছেন - যেখানে কোনো ধরা বাধা বন্ধুর পথ ছিলো না।


৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৩৪

সাসুম বলেছেন: ছোটবেলায় অংকে মারাত্মক কাচা ছিলাম। ট্রেনের অংক ভুল করতে করতে জীবনের সব অংক ভুল করে বসেছি।

যাই হোক, যেহেতু ট্রেন কখন থামবে , আর কখন আমাদের ইন্ডিভিজুয়াল যাত্রা শেষ হবে এটা আমরা জানিনা- তাই সেটা নিয়ে স্ট্রেস নিয়ে বর্তমান যাত্রা কে কলুষিত করার কারন দেখিনা আজকাল।

যখন সময় শেষ হবে, যখন ডাক আসবে তখন উঠে পড়ব ট্রেনে। তার আগ পর্যন্ত চলতেই আছি।

এটাই জীবন।


This is life; the human race is just a chemical scum on a moderate-sized planet on a more moderate galaxy in a vast and enormous dark space.


সো, আপাতত চিন্তা কম করছি ট্রেন কখন থামবে, যখন থামবে তখন দেরি না করে উঠে বসব।

পোস্টে কইষ্যা পেলাস।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৩৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



পোস্টে লাইক বা + এখনও পাইনি। আমি বিস্তারিত মন্তব্য উত্তর বা প্রতিমন্তব্যর জন্য আবার ফিরে আসছি।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



যতোক্ষণ স্বাস - ততোক্ষন আশ অর্থাৎ শাহরুখ খান ও ক্যটরিনা কাইফ অভিনীত ছবি - যাব তাক হ্যায় জান। মৃত্যুর কথা বারংবার চিন্তা করলে মানুষ মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। মৃত্যুতে জীবনের অবসান হয় আর বেঁচে থাকাতে জীবনের নানান গতি।

ছোট্ট একটি উদাহরণ: - এমনও হয়েছে সিন্দাবাদের ভূতের মতো কাঁধের উপর মৃত্যুদূত উঠে বসেছেন, কাঁধে মৃত্যুদূত নিয়ে দৌড়েছি কি দিন আর কি রাত! কি কারণে কখন যেনো তিনি নেমে চলে গিয়েছেন যাবার আগে কানের কাছে ছোট করে বলে গিয়েছেন আবার দেখা হবে।

না, ট্রেন নিয়ে ভাবিনা, তবে ভুলেও যাইনি।

পোস্টে কইষ্যা পেলাসের জন্য আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:১৫

কামাল৮০ বলেছেন: আমি সারা জীবন গভীর খাদের পার দিয়ে হেঁটেছি।মরতে মরতে বেছে গেছি বহু বার।মুক্তি যুদ্ধের নয় মাসই ছিলাম জীবন মৃত্যুর কাছাকাছি।মৃত্যু নিয়ে কখনো ভাবি নাই এখনো ভাবি না।এই সব বিলাসিতা সুখী মানুষের ভাবনা।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



না, কিছু ভুল হয়েছে। মৃত্যু বা বেঁচে থাকার চেষ্টা বিলাসিতা নয়। বিলাসিতা হচ্ছে উল্লাস, আনন্দ, জাঁকজমক, চমৎকার, সমৃদ্ধ, প্রমোদ, আয়েশ, আয়েস, বিলাসিতা, বিলাস, বিলাসদ্রব্য, বিলাসসরঞ্জামপূর্ণ, বিলাসদ্রব্যসজ্জিত, বিলাসব্যসন, বিলাসপ্রিয়তা, জমকালো।

আপনি জানেন রোজা রাখা আর উপবাস করা অনহার থাকা এক নয়। যিনি রোজা রাখেন তিনি জানেন ইফতারে তার খাবার আছে আর উপবাস বা অনাহারে থাকা মানুষ জানেনা তাদের খাবার কি কবে খাবার পাওয়া যাবে। দিনের পর দিন অনাহারে থেকেছি, চাপ কলের পানিও খেতে পাইনি, পুকুরের পানি নদীর পানি খেতে হয়েছে। - মুক্তিযুদ্ধের বিষয় ব্লগে কোনো কারণে আর লিখতে চাচ্ছি না।

মানুষ হিসেবে আমি সুখী মানুষ তবে কখনো বিলাসিপূর্ণ মানুষ নই - হতেও চাই না। বিলাসি মানুষ নিজের পয়সাতে বিলাসি হতে পারে না, এরা অপরের পয়সাতে বিলাসি জীবন যাপন করে।

১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৪২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: কেমন আছেন? ঠাকুরমাহমুদ ভাই।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি ভালো আছি। আপনি ফিরে এসছেন দেখে খুব ভালো লাগছে। চিন্তুমুক্ত হয়েছি জানেন। আমি আপনার কথা প্রয়ই স্মরণ করেছি। মনে হয়েছে ব্লগে বিরক্ত হয়ে কোনো কারণে হয়তো আর লগইন হচ্ছেন না, বা সময় সঙ্কুলান করতে পারছেন না এমন কিছু হবে। যাক ফিরে এসছেন মাঝে মাঝে লগইন থাকলেও আমরা একে অপরের নিক দেখে চিন্তামুক্ত থাকি এই হচ্ছে ব্যাপার।

শুভেচ্ছা রইলো।



১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:১৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: যাক ফিরে এসছেন মাঝে মাঝে লগইন থাকলেও আমরা একে অপরের নিক দেখে চিন্তামুক্ত থাকি এই হচ্ছে ব্যাপার। - ঠিক বলেছেন।

আমিও অনেককে মিস করেছি, করছি... এনিওয়ে,

আমি লগইন করবো।

শুভ রাত্রি

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি কি দেশের বাইরে থাকেন? অসুবিধা না থাকলে প্লিজ জানাবেন। আসলে ভালো মন্দ সর্বস্থলেই আছে। আমি একটি প্রবাদবাক্য মনে প্রাণে বিশ্বাস করি - সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। তাই আমি সব সময় চেষ্টা করি ভালো মানুষের খোঁজ নিতে। আপনি নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ।

গতকাল শুক্রবার রেস্ট ডে ছিলো, আর আজ বন্ধ নিয়েছি আগামীকাল জরুরী প্রয়োজনে ঢাকার বাইরে থাকবো, তিন-চার দিন সময় লাগবে ফিরে আসতে।

শুভ কামনা রইলো।

১৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ধন্যবাদ ঠাকুরমাহমুদ ভাই
পড়লাম তবে সবটা বুঝতে পারলাম না

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



জীবনের পাতায় পাতায় শূন্যস্থান থাকে আমরা কয়জান তা কতোটুকু পূরণ করতে পারি? আপনি পড়েছেন এটিই বিশেষ পাওয়া। আজকে হয়তো বুঝতে পারেননি, কাল অথবা পরশু অবশ্যই বুঝতে পারবেন।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: অল্প কয়েক লাইনে বড় নির্মম ভয়ঙ্কর সত্য কথা লিখেছেন!
বুক কেঁপে ওঠে-সারা দেহ ঝিম ঝিম করে! আমি নেই মানে কি কোথাও নেই.........?

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



উদয়ের পথে শুনি কার বাণী
ভয় নাই, ওরে ভয় নাই
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।

পূরবী
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্র রচনাবলী


আমি নেই এর অর্থ এই নয় কোথাও নেই। হয়তো থাকবো ভিন্ন কোনো রূপে, ভিন্ন কোনো জীবনে, ভিন্ন কোনো মাত্রায়। আর আমি থাকবো আমার উত্তরসূরীদের স্মৃতির পাতায় পাতায়।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৫

কালো যাদুকর বলেছেন: ঐ অংকের নিঃশ্চই ব্যবহারিক দিক আছে, বিশেষত রেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। তবে সে যাই হোক , জীবনের রেলটি ওয়ান ওয়ে জার্নিই। আপনি যদি ৪ ডাইমেনশনের কথা চিন্তা করেন, আমরা কখনো যেমন অতীতে যেতে পারব না, তেমন ভবিষ্যতে কি হবে, তাও জানি না। তবে আমরা যদি ৫ ডাইমেনশনের জীব হতাম তাহলে অবশ্য সময়ের কোন ব্যাপার থাকত না। সে যাই হোক , মরে গেলে কি হবে সে চিন্তা করে ব্যাথিত না হই। এটাই একমান চুড়ান্ত ১০০% সম্ভাবনার সত্য যে এই রেল যাত্রা একদিন শেষ হবে। সেদিন যেন আফসোস না থাকে মনে, আমরা যেন সেই চেস্টাই করি।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি খুব ভালো ব্যাখ্যা দিয়ে মন্তব্য করেছেন। আপনি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন। মৃত্যু নিয়ে আমি ব্যাথিত নই তবে জীবনের একদিন সমাপ্তি হবে এই সত্য কখনো ভুলি যাই না। যুদ্ধ দেখা বা যুদ্ধে যাওয়া সকলের পক্ষে সম্ভব নয় তবে আমার মনে হয় মানুষের মানবিক দিক জীবিত রাখতে হলে মাঝে মাঝে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও কবরস্থানে যাওয়া উচিত - তাতে করে জীবন অবসানের বিষয়টি মনে থাকবে। আর তাতে করে হয়তো ভুল অন্যায় পাপ নোংরা জঘণ্য কাজ থেকে দুরে থাকলে থাকতেও পারে মানুষ। (হয়তো বা)

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার ছোট্ট এই পোস্টে জীবনের অনেক কঠিন সত্যানুসন্ধানের সুযোগ আছে। প্রকৃতপক্ষে মানব জীবনে চাওয়া পাওয়ার হিসাবটা কখনই মেলে না। আমাদের এই ছোট্ট জীবনেও অনেক কিছু চাওয়ার থাকে। কিন্তু সেই চাওয়ার কতটা এক জীবনে পাওয়া যায় সে হিসাবটা যখন কেউ করেন, তখন তার মধ্যে দেখা যায় অনেক ফাঁক। তবে এসব হিসাব না করাদের দলেই আমি। +

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



চাওয়া আর পাওয়ার মাঝে খুবই ছোট একটি ব্যবধান। আর এই ব্যবধানটি হচ্ছে নিজের অবস্থান। অবস্থান সম্পর্কে যিনি যতো সচেতন তার চাওয়া পাওয়া ততো সহজ। আপনি সুখী মানুষের জামা গল্পটি পড়েছেন অবশ্যই? সেই সুখী মানুষটি তাঁর অবস্থান সম্পর্কে ধারনা রাখেন বলেই তাঁর চাওয়া পাওয়া নিয়ে কোনো দ্বিধা ছিলো না।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১১

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার বড় মামা আই সি ইউ তে তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে । দিনের বেশিরভাগ সময় দূর গ্লাসের আড়াল থেকে তাকে দেখছি । একজন প্রাণচঞ্চল মানুষ নিঃসঢ় পরে আছে হাজারো যন্ত্রপাতির মাঝখানে । এই দৃশ্য দেখার পর থেকে আমার ভেতরে মৃত্যু চিন্তা দেখা দিয়েছে । মৃত্যুকে আমি অনুভব করতে পারছি ।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



জীবন সম্পর্কে জানার মোটামোটি পরিস্কার ধারনা পাওয়ার স্থান হচ্ছে ১। সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ২। সরকারি কবরস্থান। আপনি যদি দিনের সময় ১০০০ থেকে ১৭০০ পর্যন্ত মাত্র একদিনও ব্যয় করেন আমি হলফ করে বলতে পারি জীবন সম্পর্কে মোটামোটি একটি ধারনা চলে আসবে - এখন এই ধারনা কেউ মনে রাখেন, আর কেউ মনে রাখেন না। তাতে সময় থেমে থাকে না। সময় তার নিজস্ব নিয়মে নিজস্ব গতিতে ধাবমান। তার কাজ সে করে যাচ্ছে।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময় নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এই মৃত্যু অভিজ্ঞতা নিজের জীবনের সঞ্চয় মনে করতে পারেন।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: “হয়তোবা কখনো করবেও না।”

এখানে “কখনো করবেও না” হবে। কারণ মৃত্যু পূর্বনির্ধারিত।


প্রতিরাতে আমাদের মৃত্যু হয়। ঘুম থেকে উঠেই আমার মৃত্যুকে ভুলে যাই। বুঝেশুঝে ভুল করি। ভুল থেকে শিখতে চাই না।

মানুষ হলো আজিব জীব।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




মানুষ যেই পরিমাণ পাপ করতে পারে সৃষ্টি জগতে আর কোনো প্রাণী আছে যে বা যারা মানুষের সমান বা কাছাকাছি তার বা তাদের পক্ষে পাপ অন্যায় করা সম্ভব?

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।



১৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




"ওয়ান ওয়ে জার্নি" যখন, তখন আর গন্তব্য জেনেই বা কি হবে !!!!! ফিরে তো আর আসা যাবেনা!

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ফিরে আসার বিষয়টি নিয়ে আমি মাঝে মাঝে ভাবি। শেরজা তপন ভাইকে প্রতিমন্তব্যে লিখেছি “আমি নেই এর অর্থ এই নয় কোথাও নেই। হয়তো থাকবো ভিন্ন কোনো রূপে, ভিন্ন কোনো জীবনে, ভিন্ন কোনো মাত্রায়। আর আমি থাকবো আমার উত্তরসূরীদের স্মৃতির পাতায় পাতায়”।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

২০| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছাত্রজীবনে অংকেই একটু ভালো ছিলাম, আর বাংলা ২য় পত্রে। এজন্য হিসাব-নিকাশেও একটু পারফেক্ট :) মানুষের হিসাব-নিকাশ, সঞ্চয় স্কিম, ইত্যাদির উপর অনেক সাজেশন দিয়েছি বিনামূল্যে, কিন্তু আফসোস, ঐ সাজেশন আমার নিজের জীবনের উপর অ্যাপ্লাই করতে পারি নি।

অনেক গুরু-গম্ভীর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। 'এক পলকের নাই ভরসা' এই জীবন কখন এক ফুৎকারে নিভে যাবে, কোনোরূপ হুইসেল বা ওয়ার্নিং ছাড়া, তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানেন না। তবে, আপনার মূল বক্তব্য যেখানে 'টিকিট লয়ে অপেক্ষা' করার কথা বুঝিয়েছেন, সেখানে আমার একটু দ্বিমত বা ভিন্নমত, বা সংযোজনী আছে, বলতে পারেন। অনেক আগে বিটিভিতে আতিকুল হক চৌধুরী অনূদিত ও প্রযোজিত একটা নাটক দেখেছিলাম, লিও টলস্টয়ের 'হাউ মেন লিভ বাই' গল্প অবলম্বনে 'তাঁর রহস্যময় হাসি'। আমরা এ জীবনে কত স্বপ্ন দেখি, কত প্ল্যান করি, আগামীকাল ফিঁয়াসে-কে নিয়ে সিঙ্গাপুর, ইউএসএ-তে প্রমোদ ভ্রমণে যাওয়ার প্ল্যান করি। কিন্তু আমাদের সেই পরিকল্পনা সত্যিই বাস্তবায়িত হবে কিনা, আজকে রাত দুপুরে আমি বা আমার প্রেমিকা বা স্ত্রী তার জীবনের শেষ রাতটি পার করে মৃত্যুর কোলে সমর্পিতা হবেন কিনা, আমার মাথায় কি ঘূণাক্ষরেও সেই মৃত্যুচিন্তাটি কাজ করে? করে না বোধ হয় সবার। যদি করতো, তাহলে পরকাল বা অন্যজীবনে যাওয়ার জন্য আমাদের যে কিছু প্রস্তুতি আছে, তার জন্য সামান্যতম আন্তরিকতাও আমাদের থাকতো। একটা অসৎ কর্ম বা দুর্নীতি করার পদক্ষেপ নেয়ার সাথে সাথেই মৃত্যুচিন্তাটা মাথায় ঢুকতো; মাথায় ঢুকতো অসৎ কর্মের পরিণতিটা কী হতে পারে, সেই ভাবনাও।

ছোট্ট পোস্ট, কিন্তু অনেক তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য সন্নিবিষ্ট করেছেন পোস্টে।

শেষমেষ ৩১ আগস্ট ২০১৫-তে লেখা আমার একটা কবিতা শেয়ার করে গেলাম আপনার পোস্টে।

ভালো থাকবেন প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাই। শুভেচ্ছা।

---

প্রতিটা গভীর নিশীথে যে নারী আমাকে ডাকেন

প্রতিটা গভীর রাতে, যখন অতলান্ত নিদ্রায় ডুবে গেছি-
বহূদূর আসমান থেকে
ভেসে আসা সুরের মতো বেজে ওঠে এক মহীয়সী কণ্ঠ : ‘জাগো’।
আধো নিমীলিত চোখে ঘুমের জড়তা; আঁধারের ছায়ায়
কেউ কি বসে পড়লো নরম শিথানে?
‘জাগো! জাগবে না?’ সুরেলাকণ্ঠী আবারও বলে ওঠেন।
আমি আড়মোড়া ভেঙে চারপাশ দেখি।
কেউ নেই। খা-খা অন্ধকার।
‘ভুলে গেছো?’ অন্ধকারের গহ্বর ফুঁড়ে সেই স্বর জেগে ওঠে।
‘কে আপনি? বলুন তো কোথা থেকে বলছেন? কে আপনি,
এ নিশুতি দুপুরে?’
মহীয়সী শব্দ করে হাসেন। বলেন, ‘আমাকে চিনলে না?
খুব ভুলোমনা তুমি।’
‘নাহ! কোনোদিন দেখি নি। এ কণ্ঠও বড্ড অচেনা। কে আপনি?’
‘আমাকে তুমি চেনো। দূরবর্তিনী, অথচ আমিই তোমার ছায়া।’
‘আজগুবি কথা রাখুন। আপনি কেউ নন। স্বপ্ন। একটা
স্বপ্নের ভেতর প্রতিদিন আমাকে ত্যক্ত করছেন আপনি।’
‘হাহাহা। স্বপ্ন নই, আমিই ধ্রুব।’
‘আপনি যান। বিরক্ত হচ্ছি খুব। ঘুমোতে দিন।’
‘আচ্ছা যাই। ঘুমোও। গোধূলির হাওয়ায় আঁচল উড়িয়ে প্রতিদিন
তোমাকে দেখি- আমাকে ভুলো না প্রিয়; দিনের একভাগে
একবার হলেও আমার কথাটি ভেবো। আমি সোনালি।
তোমার অলঙ্ঘ্য প্রেমিকা। আমি মৃত্যু।’

৩১ আগস্ট ২০১৫


১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি আমার বক্তব্য পরিস্কার করে দিচ্ছি। আমাদের প্রত্যেকের হাতে রিকনফার্ম করা রিটার্ন টিকেট ধরা আছে। সমস্যা হচ্ছে টিকেটটি অদৃশ্য। আমাদের রিটার্ন টিকেট যদি দৃশ্যমান হতো তাহলে হয়তো প্রতিদিন একবার করে কেয়ামত হতো।

আমি জীবনে অসংখবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি প্রতিবার মনে হয়েছে এটি নতুন কোনো রূপ নতুন কোনো ভয়ংকর সময়। (হয়তো কোনো একদিন এ বিষয়ে কিছু লিখবো)

মৃত্যু নিয়ে কবিতাটি খুবই ভালো লেগেছে। একাধিক লাইক দেওয়ার ব্যবস্থা নেই, যদি সম্ভব হতো তাহলে আমি নিজে পাঁচ - পাঁচটি লাইক দিয়ে দিতাম আপনার কবিতায়।

আপনিও ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো। আর ব্যাখ্যা সহ বিশেষ মন্তব্যর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

২১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৩৪

মোগল সম্রাট বলেছেন:
ঠাকুর ভাই, আমার মনে হয়ে ওয়ান ওয়ে বলে কোন কথা নেই। যেহেতু ফেরার তাগিদ আছে ওয়েতো একটা রয়েই গেছে।
সেটা ট্রেন হোক আর প্লেন হোক ।

শুভকামনা।

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সম্রাট ভাই, ফিরে আসার বিষয়টি নিয়ে আমি মাঝে মাঝে ভাবি। “আমি নেই এর অর্থ এই নয় কোথাও নেই। হয়তো থাকবো ভিন্ন কোনো রূপে, ভিন্ন কোনো জীবনে, ভিন্ন কোনো মাত্রায় অথবা ভিন্ন কোনো দেশে। আর আমি থাকবো আমার উত্তরসূরীদের স্মৃতির পাতায় পাতায়”।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

২২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৬

জুন বলেছেন: ইদানীং আমি খুব মৃত্যুর কথা ভাবি ঠাকুর মাহমুদ। গত দু, আড়াই বছরে অনেক আত্মীয় স্বজনকে হারিয়েছি যার হিসাব করতে দু হাতের কড়ের প্রয়োজন হয়। এর মাঝে অনেকে মোটামুটি বয়স্ক ছিলেন, অনেকে একেবারেই অকালে চলে গেলো।
বহু আগে একটা ইংরেজি গান শুনেছিলাম ওয়ান ওয়ে টিকিট ট্যু দ্যা মুন। শিল্পীর নাম মনে নেই। সেই গানের কথা মনে পরলো আপনার লেখায়।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, আপনার মন্তব্যের উত্তর সময়ে দিতে পারিনি। আমি কিছু সময়ের জন্য দেশের বাইরে ছিলাম, দেশে ফিরেছি, জেট ল্যাগে এখন বেশ ক্লান্তি লাগে। মৃত্যুর কথা যদি বলেন তাহলে বলতে হয় আমাদের পরিবার সহ আমাদের গোষ্টিতে আমিই সবার বড়। সিরিয়াল আমারই আগে।

গত কয়েক বছরে চেনা অচেনা অনেক মানুষ, প্রিয় মানুষ, বন্ধু, আত্মীয় পরিজন পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিছু করার নেই আমাদের সকলে চলে যেতে হবে। পৃথিবী অনেক নির্দয় সে কারো প্রতি দয়া করবে না।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

২৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৩৪

বলেছেন:
হে অভিযাত্রী,

জীবনের এক চরম উপলব্ধি, স্মৃতি বিস্মৃতি।।।
হাজার বছর বেঁচে থাকুক আপনার কৃতি।।।।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



অভিযাত্রী! সত্যি সত্যি আমি সমগ্র জীবন নিজেকে একজন অভিযাত্রীই মনে করেছি। আপনি কেমন আছেন? দীর্ঘদিন আপনার কোনো লেখা পাইনা। মাঝে মাঝে যখন মন্তব্য করেন, জানেন ল ভাই, তখন খুব ভালো লাগে, বিচিত্র কারণে আমি আপনাকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম বা এখনও আছি। যদি কখনও মনে করেন আমার সহযোগিতা আপনার উপকার হবে, অবশ্যই জানাবেন। আপনি আমার অত্যন্ত পছন্দের মানুষ।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমরা বেঁচে থাকি আমাদের কর্মে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্মৃতিতে।

আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, আপনার মন্তব্যের উত্তর সময়ে দিতে পারিনি। আমি কিছু সময়ের জন্য দেশের বাইরে ছিলাম, দেশে ফিরেছি, জেট ল্যাগে এখন বেশ ক্লান্তি লাগে।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

২৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কৃতিমানের মৃত্যু নাই।

২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি সঠিক বলেছেন। আমরা বেঁচে থাকি আমাদের কর্মে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্মৃতিতে।

আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, আপনার মন্তব্যের উত্তর সময়ে দিতে পারিনি। আমি কিছু সময়ের জন্য দেশের বাইরে ছিলাম, দেশে ফিরেছি, জেট ল্যাগে এখন বেশ ক্লান্তি লাগে।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।



২৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৯

বলেছেন: ভালোবাসায় ভালোলাগা, কৃতজ্ঞতা।।।

আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।।।।
আপনার কনট্যাক্ট নাম্বার বা ই মেইল দিবেন কথা বললে ভা্ল লাগবে।।।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা রইলো। আপনার ইমেইল এড্রেসটি দিন আমি যোগাযোগ করছি। অথবা ব্লগ এডমিনকে মেইল করুন, তিনি আমাকে আপনার ইমেইল এড্রেস মেইল করে দিবেন।

২৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১০

বলেছেন: একটা বিষয় নিয়ে পরামর্শ লাগবে।।।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



যোগাযোগের ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.