নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের বাজারে আগুন

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:৫৯




অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশের বাজারে কেনো কিভাবে কখন আগুন ধরেছে আমরা কেউ জানিনা - সেই দীর্ঘদিন যাবত! যা আমরা হয়তো লক্ষ্যই করছি না। কেনো লক্ষ্য করছি না? হয়তো ভাবছি অন্যের ঘরে আগুন ধরেছে, অন্যের বাজারে আগুন ধরেছে তাতে আমার কি? আমার কি আসে যায়? আমার জানা ও আমার দেখা দীর্ঘকাল ধরে দেখছি - আগুনের মতো ভয়াবহ ভয়ংকরের কাছে পৃথিবীর ইতিহাসের কোনো মহামারী দাাড়াতে পারে নি, পারবেও না। বাজারের আগুন আমি দেখেছি - সঙ্গত কারণে সময় সাল উল্লেখ করছি না। সেই আগুনের কাছে করোনা মহামারী দুধভাত। করোনা মহামারী নিতান্ত দুধভাত ছিলো।

আজ ০৪/১১/২০২২ রোজ শুক্রবার। বাজারে ডিমের দর ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। ফার্মের মুরগীর ডিম। এই বছরের শুরুর দিকে যার দর ছিলো ৯০-৯৬ টাকা ডজন। হয়তো অনেকেই এই ডিমের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে জ্বালানী তৈলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ মনে করতে পারেন। সমস্যা হচ্ছে এক ডজন ডিমের জন্য কখনো এক লিটার তৈল খরচ ধরা যায় না। অন্য কিছু কারণ আছে। আর সেই অন্য কারণটি হচ্ছে ঝালমুড়ি চানাচুর ফেরিওয়ালা ও ঝালমুড়ি চানাচুর বিক্রেতার দ্বারা মূল্য নির্ধারণ। ৬০ টাকা কিলোগ্রাম মুড়ি সামান্য মসলা পেঁয়াজ কাঁচা মরিচ দিয়ে ১০ টাকায় ১০ গ্রাম ঝালমুড়ি। আর ১২০ টাকা কিলোগ্রাম চানাচুর সামন্য মসলা তৈল ও শষা পেঁয়াজ দিয়ে ১০ টাকায় ১০ গ্রাম চানাচুর মিশ্রন। মাত্র। (“মাত্র” শব্দটির সাথে যারা পরিচিত নন তাদের জন্য আগামীতে বেশী সমস্যা হবে, সময় ও সুযোগ হলে “মাত্র” নিয়ে লিখবো)

বিচিত্র কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছে খুবই নিম্ন মন মানসিকতার মানুষের হাতে। যারা আট - দশবার খাবলা দিয়ে দিয়ে মুড়ি চানাচুর উঠালেও ১০ গ্রামের বেশী মুড়ি চানাচুর টিনের পটে উঠাতে পারে না। সেই মুড়ি চানাচুর খুবই নোংরা একটি কাগজের ঠোঙ্গাতে দেওয়া হবে, যেই কাগজে কতো মানুষের নোংরা হাত পরেছে কতো মানুষের নোংরা পা পরেছে চিন্তা করতেও মাথা ব্যথার কারণ হবে।

পরিশিষ্ট: গত বছর ২০২১ সনে বাংলাদেশের স্মরণকালের সবচেয়ে মূল্যবান আলু খাওয়ার ভাগ্য হয়েছে। আলুর বাজার দর উঠেছিলো ৫০-৬০ টাকা কিলোগ্রাম। আর ২০১৯ সনে খুব সম্ভব পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্য বাংলাদেশে ২৫০ টাকা কিলোগ্রাম পেঁয়াজ খাওয়ারও সৌভাগ্য হয়েছিলো। “হারামজাদা” বলে গালি দিতে ইচ্ছে করে, কিন্তু সভ্য সমাজ সভ্য সমাজ মনে করে আমরা অসভ্যর মতো চুপ করে থাকি আর এটিই সকল সমস্যার মূল।




একটি প্রশ্ন: আজ নিম্নবিত্ত আয়ের মানুষ ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ আহত হচ্ছেন নিহত হচ্ছেন। কিন্তু আগামী কাল আমি বা আপনি আহত হবো না বা নিহত হবো না তার কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা নেই। নিশ্চয়তা আছে কি?







মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৩:২৩

বিষন্ন পথিক বলেছেন: সারা পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে সেটার পেছনে লজিক খুঁজতে যাওয়া অনর্থক, এমন কিছু নাই যার দাম বাড়ে নাই, বাংলদেশে সহজেই ব্যাবসায়ী, সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজদের গালাগাল করা যায়, কিন্তু বিদেশের মানুষ পড়েছে আরো চিপায়। পৃথিবীর সবখানেই বিলিওনার আছে আবার হোমলেস ও আছে. কষ্ট সবারই।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



খুব সম্ভব বাংলাদেশ সহ সমগ্র পৃথিবী টাইম মেশিনে ভর করে ব্যাক গিয়ারে ইংরেজ শাসনামলে প্রবেশ করেছে। তাহলে আগামী ২০০ বছরের জন্য আমাদের খবর আছে।



২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:



চানাচুর, পেঁয়াজু, পাকুড়া, গুলগুলা, এসব অখাদ্য বন্ধ করার দরকার। বাজারে আগুন ১৯৬২ সাল থেকে; তার আগে ছিলো আধা দুর্ভিক্ষ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



চানাচুর ঝালমুড়ি এইগুলো উদাহরণ হিসেবে বলার জন্য বলা। বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে কিছু হারামজাদা লেভেলের মানুষজন। আপনি দেশে আসলে বাজারে কিছু সময় ব্যয় করবেন। লক্ষ্য করবেন মানুষ কি কি বাজার করে, কে কেমন বাজার করছে। সবাই তো হাতি ঘোড়া গরু বাজার করে না। যারা হাবিজাবি খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে তাঁদেরও লক্ষ্য করতে হবে।

বাংলাদেশে কোন কোন সনে কিভাবে মানুষ মারা গিয়েছেন আমি জানি। সন মাস আমার জানা।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি তো দেখছি, গ্রামের লোকেরা এখনো অকালে মারা যাচ্ছে পুষ্টি ও চিকিৎসার অভাবে। ৯ কোটী মানুষ কৃষিতে আছেন, সবাই ৪০ বছর বয়সে বৃদ্ধ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি সঠিক দেখেছেন। বাংলাদেশে গ্রামকে গ্রাম মানুষের (নারী) মাথায় তৈল দেওয়ার তৈল ছিলো না। মহিলাদের একটি দুইটি শাড়ির বেশী শাড়ি ছিলো না। বাংলাদেশে নুডলস এসেছে ১৯৮০-১৯৮১ সনে। ১৯৮০ - ১৯৮৫ এই সময়ে নুডলস কিভাবে রান্না করে তা খুব সম্ভব শহরের ৯৫% মানুষও জানতো না। এখন গ্রামে এমন মানুষ আছেন যারা হয়তো তিন বেলাই নুডলস খেয়ে থাকেন। ( নুডলস এতো মজা! )

বাংলাদেশের মানুষ ভয়াবহ কষ্ট করেছে। অকল্পনীয় কষ্ট, যা ব্যাখ্যাতীত। কোনো এক পোস্টে, মন্তব্যে অথবা প্রতি মন্তব্যে লিখেছিলাম “আমি প্রায় চারশত বছরের পুরাতন মানুষ” কথাটি ব্লগেরই একজন কপি করে পালিয়ে গিয়েছে। - ভালো। তারপর আমার দশ হাজার বছর আগের গল্প লিখতে হয়েছে। এখন আমি দশ হাজার বছর পুরাতন মানুষ।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দেশে থাকি না তবুও বাংলাদেশের বাজারে যে আগুন লেগেছে তা বুঝতে পারি। এই আগুনের তাপ এতই প্রকট!

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



এবার ধারণা করুন অবস্থা, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫,৫০০ কিলোমিটার ‍দুরে থেকেও আগুনের তাপ পাচ্ছেন। বাজারের আগুন কতোটা ভয়বাহ।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: গরিবের দুঃখ কষ্ট দেখার লোক রাষ্টে কম থাকে। তবে তাদের নিয়ে পলিটিক্স করার লোক বেমী থাকে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



নোট করে রাখুন, কোনোদিন হয়তো কাজে আসবে। আমার মতে - রাজনীতির অর্থ হচ্ছে রাজার নীতি। রাজনীতিতে জনগণের জন্য ভালো কিছু থাকে না।



৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই নিয়ে হাউকাউ মোটেও দেখছি না। না কো প্রতিবাদ আছে।৷ নিম্ন মধ্যবিত্তদের কষ্ট দেখার যেন এই দেশে কেউ নেই।৷ প্রতিটি জিনিসের মূল্য বেড়েছে তাও দশ পাঁচ নয়, বিশ পঞ্চাশ একশ

ধন্যবাদ

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



জুম্মা জুম্মা সাতদিন হয়নি যারা অর্থের দেখা পেয়েছে তাদের কাছে কারো কষ্টই কষ্ট না। কিন্তু যেইদিন ভূমিতে নেমে আসবে সেইদিন প্রকৃতি তাদের সাথে ভয়ংকর প্রতিশোধ নিবে।


৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: কিছু ব্যবসায়ীদের মানসিকতা লোভ কোন ভয়ঙ্কর অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে সেটা ঠাহর করার জন্য খুচরা বাজার পর্যবেক্ষন করাই যথেষ্ঠ!
বাংলাদেশের সবচেয়ে হারামী ব্যবসায়ী বংশালের ব্যাবসায়ীরা। যদিও অন্য প্রসঙ্গ; গত শোনিবারে একটা কাচামাল(কাপড়) কিনেছিলাম ৯০ টাকা করে (প্রতি বছর কিনি ৬৫-৭০ টাকা)- গতকাল বেশ বড় একটা লট মার্কেটে কিনতে পাঠালে কেমনে যেন মুহুর্তে চাউড় হয়ে গেল, একদর ২২০ টাকা গজ। যেই কাপড় ২০০০ গজ আমি একদিন আগে কিনেছি ১লক্ষ ৮০ হাজার দিয়ে(২ দিন আগে)সেটা এখন ৪ লক্ষ ৪০ হাজার!!!!!!!!!!!!!!!!!
কাকে আপনি দুষবেন? পুরো সমাজ দেশ মানুষগুলো পঁচে গেছে!

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



শেরজা তপন ভাই আমি সময় দেখা মানুষ। বহু তস্করকে দেখেছি মাটিতে মিশে গিয়েছে। চিহ্ন পর্যন্ত নেই। তাদের বিলাপ দেখার তাদের বিলাপ শোনারও কেউ থাকে না।

সমাজ পঁচে যাওয়ার অন্যতম কারণ নষ্ট নারী পুরুষ মাত্রতিরিক্ত হারে মানুষ বেড়ে গিয়েছে।
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।


৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কথা আছে, পরেছো মোঘলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে। উপায় নেই ভাইজান।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কথা সত্যি, তবে এবার মনে হয় মোঘলের হাতে না। টাইম মেশিনে করে অতীতে গিয়ে ইংরেজের হাতে পরে গিয়েছি। তাহলে আগামী ২০০ বছরের জন্য আমাদের খবর আছে - মনে হয়।





৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৫

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: অরন্যে রোদন করে লাভ কি ভাই?

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আসলেই লাভ নেই। আমরা বড় ধরনের বিপদে পরে গিয়েছি। এখন এই বিপদ হতে রক্ষা হওয়ার আশু কোনো সম্ভবনা দেখছিনা।

১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৭

বিটপি বলেছেন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে - এরকম খবর শুনেই মিল মালিকেরা ডি ও দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সুপার স্টোরের মালিকেরা সব তেল সরিয়ে নিয়েছে, মুসি দোকানে রাখা তেলের দাম ৮৬৫ টাকা লেখা থাকলেও কেউ ৯০০ টাকার নিচে বিক্রি করছেনা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



জাহান্নামের দরজা মনে হয় ভেঙ্গে গিয়েছে। সব শয়তান ভাঙ্গা দরজা দিয়ে বাংলাদেশে এসে প্রবেশ করেছে।


১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ডিম ও মুরগির বাজারে কারসাজির জন্য পৃথক দুটি মামলার শুনানিতে প্যারাগন পোল্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এজলাসে নেওয়া হয়। ডিমের বাজারে কারসাজির অভিযোগে ডিম ব্যবসায়ী আড়ৎদার বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ শুনানির জন্য কমিশনের এজলাসে নেওয়া হয়।

- সুত্র পত্রিকা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমার ব্লগিং জীবনে কোনো একটি পোস্টে এক ব্যক্তির এতোগুলো মন্তব্য পাইনি। এই পোস্ট আমার জন্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। আপনার কাছে ভাই আমি ঋণী হয়ে রইলাম। কখনো সুযোগ পেলে এই ঋণ পরিশোধ করতে চেষ্টা করবো।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে আবারও অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।



১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: বুড়ো হয়ে দেখি গায়ের শক্তি বেড়েছে! দশ বছর আগেও এক হাজার টাকার কাঁচা বাজার আনতে মিন্তি লাগতো। এখন ৫০০০/- বাজার এক হাতে ঝুলিয়ে নিয়ে আসি!

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সত্যি বলেছেন বুড়ো হয়ে মনে হচ্ছে গায়ের শক্তি বেড়ে গিয়েছে ৫,০০০ টাকার বাজার এখন একহাতে নিয়ে আসতে পারি। আমরা স্পাইডারম্যান হয়ে গিয়েছি। আর কিছুদিন পর আমাদের বনে জঙ্গলে চলে যেতে হবে সেখানে টারজানের জীবন যাপন বরণ করে নিতে হবে। দুঃখজনক, বাংলাদেশেতো জঙ্গলও নেই।

১৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: প্রতিযোগিতা কমিশন বলছে, বর্তমান দেশের বাজারে চাল, আটা-ময়দা, ডিম, ব্রয়লার মুরগি, টয়লেট্রিজ (সাবান, সুগন্ধি সাবান, গুঁড়া সাবান) ইত্যাদির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি বা কৃত্রিম সংকটের ফলে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছে। এর শুনানি শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকে।


মূল্য কমাতে চাল ডাল তেলের প্রসাধনীর মূল্য কমানোর
জন্য বেশি মরিয়া।

১৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে গমসহ চারটি নিত্যপণ্যের। রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধকালে খাদ্যশস্য রফতানির জন্য কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো খুলে দিতে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি চুক্তি সইয়ের সুফল পেতে শুরু করেছে সমগ্র বিশ্ব। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এই চুক্তির প্রভাবেই দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ছে। দাম কমতে শুরু করেছে গম, চিনি, ভোজ্যতেল ও মসুর ডালের।

১৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ইতোমধ্যেই সরকারের গণমুখী উদ্যোগের কারণে দাম কমছে সব ধরনের চাল,ভোজ্যতেল বিশেষ করে সয়াবিন ও পামঅয়েলের। স্থিতিশীল রয়েছে মসুর ডালের দাম। ব্যবসায়ীদের আপত্তি থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে কমানো হয়েছে চিনির দাম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

১৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: জানা যায়, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা ও দুর্ভিক্ষের পদধ্বনির মাঝেই খাদ্যশস্য রফতানির জন্য কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো খুলে দিতে সম্মত হয়েছে ওই দুই দেশ। গত ২২ জুলাই জাতিসংঘ-সমর্থিত চুক্তিটি সই করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। এর ফলে খাদ্যশস্য পরিবহন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা কেটে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

১৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর তথ্য বলছে, ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে গমের দাম কমেছে ৩ থেকে ৪ শতাংশ। দেশেও পাইকারি পর্যায়ে দাম কমার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। দুই-একটি ব্র্যান্ডের আটা-ময়দার দামও কমেছে। ৫০ কেজির প্রতি বস্তা আটার দাম ২ হাজার ১শ’ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭শ’ টাকা। দেশের খুচরা বাজারে এর পুরোপুরি সুফল পেতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে। দেশে গম আমদানির অন্যতম উৎস রাশিয়া ও ইউক্রেন। সবশেষ ভারত থেকে গম আমদানি বন্ধের পর স্থানীয় বাজারে লাফিয়ে বাড়তে থাকে আটা-ময়দা এবং এ দিয়ে তৈরি পণ্যের দাম।

১৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র হিসাব বলছে, এক বছরে আটা-ময়দার দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৫৬ ভাগ। গত সপ্তাহেও বেড়েছে এই দুটি পণ্যের দাম।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



খুব সম্ভব জাহান্নামের কোনো দরজা জানালা বাংলাদেশের দিকে আছে! হয়তো জাহান্নামের কোনো একটি দরজা জানালা ভেঙ্গে গিয়েছে। সব শয়তান ভাঙ্গা দরজা জানালা দিয়ে বাংলাদেশে এসে প্রবেশ করেছে।


১৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অপরদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে কমতে শুরু করেছে গমের দাম। আগস্টে (২৬ আগস্ট) আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন গমের দর ছিল ৩৬৫ দশমিক ৯৭ ডলার। সেপ্টেম্বরে সেই গম বিক্রি হয়েছে ৩৫৬ দশমিক ৭৮ ডলার দরে। যদিও একবছর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন গম বিক্রি হয়েছে ৩৩৮ দশমিক ৭৮ ডলার দরে। এক বছরের ব্যবধানে গমের দাম ৮ দশমিক ০৩ শতাংশ বাড়লেও গত আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে দমের দাম কমেছে ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

২০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: খাদ্য বিভাগের গত আগস্টের তথ্য বলছে, বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬০ টন গম মজুত রয়েছে দেশের সরকারি খাদ্য গুদামগুলোতে। তবে গত বছরের একই সময়ে গমের মজুত ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন। চলতি অর্থবছরের ৩ আগস্ট পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও গম আমদানি না হলেও বেসরকারিভাবে আমদানি হয়েছে ৪২ হাজার ৯৯০ টন গম। গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সরকারিভাবে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ১২০ টন গম আমদানি হয়। একই সময়ে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি হয়েছে ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯০ টন গম।

২১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এদিকে চলতি বছরে ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সরকারিভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহের কথা বলা হলেও মাত্র ২০ টন গম সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য অধিদফতর। কিন্তু গত বছর একই সময়ে ১ লাখ ৩ হাজার ২১২ টন গম সংগ্রহ করেছিল খাদ্য বিভাগ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে ৬৩ হাজার ৪০০ টন গম আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়।

২২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: খাদ্য বিভাগ বলছে, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারদর অনুযায়ী, জাহাজীকরণের আগে রাশিয়া ও ইউক্রেনের গম টনপ্রতি ৩৬২ দশমিক ৫০ ডলার, আমেরিকান গম ৩৪১ ডলার। যাবতীয় আমদানি খরচ মিলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রতি কেজি রাশিয়ান গম ৪০ টাকা ৭৩ পয়সা, ইউক্রেনের গম ৪০ টাকা ৫৪ পয়সা এবং আমেরিকান গমের দাম পড়ে ৪০ টাকা ৪০ পয়সা।

২৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর ফলে আমরা গম আমদানির জন্য বিকল্প দেশের সন্ধান করি। অতিরিক্ত জাহাজ ভাড়া দিয়ে গম ও ভুট্টা আমদানি করে বাজারে আটা-ময়দার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছি। এখন রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম আমদানির সুযোগ ফিরে আসার ফলে আমাদের মধ্যেও অনেকটা স্বস্তি কাজ করছে। আশা করছি, আমদানি শুরু হলেই দেশের বাজারে দাম আরও কমবে।

২৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। বিশ্ব অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে। হু হু করে বাড়তে থাকে বিভিন্ন পণ্যের দাম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয়।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘যুদ্ধের মধ্যে আর যদি কোনও অঘটন না ঘটে এবং চুক্তি যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, তাহলে বড় একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে, আরও কমবে। এর প্রভাব স্থানীয় বাজারেও পড়বে।’

২৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ‘দেশে গমের মোট চাহিদা ৬৫ লাখ মেট্রিক টন। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন হয় ১০ লাখ টনের কিছুটা বেশি। বাকিটা আমদানি করতে হয়। গম আমদানিতে কোনও শুল্ক আরোপিত নেই বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

২৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে মসুর ডালের দামও কমতে শুরু করেছে। দেশে মসুর ডালের চাহিদা ৫ লাখ মেট্রিক টন। স্থানীয় পর্যায়ে মসুর ডালের উৎপাদনের পরিমাণ ২ লাখ ৫৮ হাজার মেট্রিক টন। বছরে ৩ লাখ টনের বেশি মসুর ডাল আমদানি করতে হয়।

২৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: উপরের সব মন্তব্য পত্রিকা থেকে তথ্য সূত্র।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি সময় করে আপনার সকল মন্তব্য প্রতিমন্তব্য দিবো। আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ ও আনন্দিত। আমার ব্লগ জীবনে একক পোস্টে এক ব্যক্তি থেকে এতো মন্তব্য কখনো পাইনি। এটি আমার জন্য মাইল ফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

২৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: @মোহাম্মদ গোফরান- এতগুলো মন্তব্য!!!!!!!!!!!!!!! :)

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



তিনি তাঁর মনের কথাগুলো লিখে জানিয়েছেন। ভালো কথা লিখেছেন, গালগপ্প গালগল্প অকারণ অযথা কথা একটিও লিখেন নি। আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার ব্লগ জীবনে কোনো একটি পোস্টে একজন হতে এতো মন্তব্য পাইনি। খুব ভালো লেগেছে বিষয়টি।

২৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৬

শাহ আজিজ বলেছেন: মোহাম্মাদ গোফরানের রুপকথা পড়তে পড়তে ফিট হয়ে গেসিলাম । পানির ছিটা দিয়া হুশ ফিরছে :`> :`>





ঠাকুর , আসলেই ছোট লোকদের হাতে বাজার নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে । আমি খুব দুশ্চিন্তায় সময় কাটাই আগত দিনের কথা ভেবে । যাদের সব্জি কেনার ক্ষমতা নেই তাদের জন্য কাচা মরিচ আর নুন সস্তা করে দেওয়া হোক । আর না হয় টি সি বির মাধ্যমে বিষ বিতরনের ব্যাবস্থা করুন যাতে ক্ষুধার্ত মানুষ ইচ্ছা মৃত্যুকে বরন করতে পারে ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



তিনি তাঁর মনের কথাগুলো লিখে জানিয়েছেন। ভালো কথা লিখেছেন, গালগপ্প গালগল্প অকারণ অযথা কথা একটিও লিখেন নি। আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার ব্লগ জীবনে কোনো একটি পোস্টে একজন হতে এতো মন্তব্য পাইনি। খুব ভালো লেগেছে বিষয়টি।

আপনি ভয়ংকর সত্য কথা লিখেছেন। আমরা সময়ের কারণে অভাব অনটন দুঃখ দুর্দশা দেখেছি। আমরা জানি অভাব অনটন কতোটা ভয়াবহ ভয়ংকর হতে পারে।

৩০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: গ্রামে গিয়ে নিজে মুরগী পালন করে ডিম খাওয়া ছাড়া উপায় নাই !!! ডিম এখন একটুকরা স্বর্ন খন্ড । শুধু ডিম কেনো খাদ্য দ্রব্য সব কিছু এখন প্রাইস ট্যগের আড়ালে চলে গেছে ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



কৃষি চাষাবাদ গৃহপালিত পশু যথাক্রমে হাঁস মুরগি গরু ছাগল পালন বা খামার করা প্রফেশনাল বিষয়। আগেকার আমলে গ্রামের মহিলারা হাঁস মুরগি পালন করতে পারতেন, কারণ তারা দীর্ঘদিন যাবত দেখে দেখে ট্রেনিংপ্রাপ্ত ছিলেন। এখন ইচ্ছে করলেই এই প্রফেশনে যাওয়া সম্ভব নয়।

৩১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান,

আমাদের চামড়া এখন গন্ডারের চামড়া থেকেও মোটা ও অনুভূতি শুন্য হয়ে গেছে । আর তাই এখন বাজারের উত্তাপ (আগুন) ত দূর কি বাত কোন নরকের উত্তাপ (আগুন) ও আমাদের কিছু করতে পারবেনা ।

আমরা এখন তাপরোধী ;) হয়ে গেছি । আমরা গলনাংকের মাত্রা ছাড়িয়ে চলে এসেছি। কোন তাপেই আর গলবোনা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সত্যি সত্যি তাই। আমাদের গায়ের চামড়া এখন গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। আমরা সহ্য করতে করতে এখন মৃত পাহাড়ে রূপান্তর হয়েছি। আর এই কারণেই হয়তো সামনে আমাদের জন্য ভয়ংকর বিপদ অপেক্ষা করছে।

৩২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলি আপনাকে- সংসার চালাতে আমাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আর কিছুদিন পর বাংলাদেশের সকল মানুষের বাজারে আগুন লেগে যাবে তখন বিলাপ করে কুল কিনারা পাবে বলে মনে হয় না।


৩৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর সাথে সরকার পেরে উঠছে না।

তাদের জন্যে দেশের জনগণ খারাপ অবস্থায় আছেন।

এছাড়া, আমাদের সাধারণ জনগণের সচেতনতার অভাবও এর জন্যে দায়ী।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সমস্যা হচ্ছে এই দেশের অনেক লোক দেশটিকে নিজের দেশ মনে করে না। মনে করে মন ইচ্ছা মতো আয় রোজগার করে অন্য কোনো দেশে চলে যাবে। অতএব এই দেশ যা ইচ্ছে তা হোক।

৩৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪

মোগল সম্রাট বলেছেন:

হঠাৎ করে দেশের সব ব্যবসায়ী সিন্ডীকেট করে অসাধু বনে গেলো কিভাবে? কারনটা কি? বাজার মনিটরিং, বাজার নিয়ন্ত্রন এসব শব্দগুলোর মানে এখন বাটপারি ফাইজলামির মতো হয়ে গেছে।

একটা দুষ্ট চক্রের খপ্পরে পুরো দেশ এবং দেশের সব মানুষ কিভাবে জিম্মি হয়ে যায় সেটার প্রতক্ষ্য ভুক্তভোগী হয়েও চুড়ান্ত অসহায় হয়ে ঠায় দাড়িয়ে আছে উচুতলা থেকে নিচুতলা।

ব্যবসায়ীরা প্লান করে প্রথমে রাজনীতিটাকে পয়শা দিয়ে কিনে নিয়েছে, তারপর সরকারে তারা হনু হয়ে গেছে। এখন ইচ্ছা মতো ছড়ি ঘুড়াবে আর আমরা সোগা মারা খাবো দিনে তিন বেলা করে।

এই যায়গার পরিবর্তন না হলে এসব ভেবে প্রেসার বাড়ানোর দরকার নাই প্রিয় ঠাকুর ভাই।

শুভকামনা নিরন্তর।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



কে বা কারা বাজারে আগুন দিচ্ছে আমি জানি তাদের চিনি। হয়তো আপনি লক্ষ্য করেছেন, ব্লগে আমি একটি কথা প্রায়ই লিখে থাকি - আমি সময় দেখা মানুষ। আজ আমার একটি কথা মনে রাখবেন “সাপুড়ে মরে সাপের কামড়ে”। সর্প পোষা্ সর্পের সাথে দোস্তি করা কোনো ভালো কাজ হতে পারে না। কখনো ভালো ফলাফল দেয়নি।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

৩৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আপনি বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে এই দেশের অনেক লোক দেশটিকে নিজের দেশ মনে করে না। মনে করে মন ইচ্ছা মতো আয় রোজগার করে অন্য কোনো দেশে চলে যাবে। অতএব এই দেশ যা ইচ্ছে তা হোক।
=========================

একদম সঠিক বলেছেন। প্রতি বছর ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া-কানাডায় এতো এতো বাংলাদেশী ব্রেইন পাচার হয়ে যাচ্ছে যে, দেশের অবস্থা খুব খারাপ।

আমার এক কাজিন কিছু দিন আগে দেশে এসেছেন। তিনি আমেরিকার সরকারের মিলিটারি আইটি বিভাগে চাকরী করেন। আমি তাঁকে বললাম যে- উইকএন্ডে খুঁজে পাই না কোথায় যাবো। নব্বই ভাগ আত্মীয় বিদেশে থাকেন।

তিনি মুচকি হাসি দিয়ে বললেন- ''হ্যাঁ, দেশে সব 'লেফট ওভার' পড়ে আছে।''

আমার দুলাভাই পাশ থেকে বললেন- ''শাইয়্যান, ' লেফট ওভার' মানে কি বুঝেছিস? উচ্ছিষ্ট!''


বুঝুন, দেশের মানুষদের সম্পর্কে এক্সপাট্রিয়েটদের ধারণা কি রকম!

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



কে বা কারা বাজারে আগুন দিচ্ছে আমি জানি তাদের চিনি। হয়তো আপনি লক্ষ্য করেছেন, ব্লগে আমি একটি কথা প্রায়ই লিখে থাকি - আমি সময় দেখা মানুষ। আজ আমার একটি কথা মনে রাখবেন “সাপুড়ে মরে সাপের কামড়ে”। সর্প পোষা্ সর্পের সাথে দোস্তি করা কোনো ভালো কাজ হতে পারে না। কখনো ভালো ফলাফল দেয়নি।

সময় আপনিও খুব যে কম দেখেছেন তা মনে হয় না। প্রবাসী সম্পর্কে আপনার আরোও ধারণা হবে আপনি তখন আমার কথার সাথে মিলিয়ে নিবেন। প্রবাসী সম্পের্কে আপাতত কিছু লিখতে চাচ্ছি না। সময় হোক আপনিই লিখবেন তখন আমাকে অবশ্যই পাশে পাবেন।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

৩৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গত মাসে ২৬০ টাকায় কেনা কাগজ আজ কিনলাম ৫০টাকা দিয়ে।
দেখার কেউ নাই। শুধু খাতা কেনার অভাবে আগামী বছর বহু ছাত্রের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম চাহিদা অন্ন। খাবারের কষ্ট দেওয়া কখনো কোনো ভালো কাজ নয়। এটি খুবই পাপ কাজ। আর আপনি পড়ালেখার কথা বলছেন? পড়ালেখা ধ্বংস করার জন্য মাস্টারপ্লান করা হয়েছে বহু আগে যার বাস্তবায়ন হচ্ছে দিনের পর দিন।

৩৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ৫৮০ টাকা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি জানি, আমি বুঝতে পেরেছি। গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই একটি জাতিকে ধ্বংস করার মূল হচ্ছে তার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া। এই জাতির জন্য আর কিছু করতে হবে না, সে এমনিতে শেষ হয়ে যাবে।


৩৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




যে দেশের বাজারে পন্যের দাম নির্ধারণ করে ব্যবসায়ীরা ( আপনার কথা মতো চানাচুর আর মুড়ি্ওয়ালা ) আর সরকার তাতে মাথা দুলিয়ে সায় দিয়ে যায়, সেদেশের বাজারে আগুন তুষের মতোই তো জ্বলার কথা!
সামনে ইলেকশান, ব্যবসায়ীদের চটিয়ে দিলে ইলেকশানের খরচ দেবে কে ?

০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আহমেদ জী এস ভাই, এটিই দঃখজনক বিষয়। চানাচুর ওয়ালা আর মুড়িওয়ালা হয়ে গিয়েছে এখন নীতি নির্ধারক। আমরা কবে এমন দুর্বল চিন্তার মনুষে রূপান্তর হয়েছি তা নিজেও জানি না। এখন আমাদের নীতি নির্ধারক এমন মানুষ কিভাবে হতে পারে তাও লজ্জার বিষয়।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।


৩৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৩৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন, "আজ নিম্নবিত্ত আয়ের মানুষ ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ আহত হচ্ছেন নিহত হচ্ছেন। কিন্তু আগামী কাল আমি বা আপনি আহত হবো না বা নিহত হবো না তার কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা নেই। নিশ্চয়তা আছে কি?" এমন বিষয় নিয়ে অনেকেই ভাবে না।

আমরা বাঙালিরা কল্পনার জগতে হাটি। আমরা কাল্পিক ভাবে ধরে নেই, আগামী সপ্তাহে বা আগামী মাসে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। সবার জন্য সহজলভ্য করা হবে। আর এই মিথ্যা আশায় আমরা নিজেদেরকে আমরা ধোকা দেওয়ার মাধ্যমে আজকের দিনটির জন্য ধৈর্য ধারণ করি! এটাকে কখনো ধৈর্য বলে না। ধৈর্য হচ্ছে তা, যা প্রচেষ্টার মাধ্যমে চলমান রাখা হয়। কিন্তু আমরা কল্পনা করতেই ভালোবাসি যে! এর চেয়ে সহজ আর কিছু নেই আমাদের কাছে।

জানেন, যেদিন দুর্যোগের নাম করে যে কোন পণ্যের সাধারণ মূল্য অতিক্রম করা হয়, সেদিনই বাঙালি জানে, এই মূল্য এতো সহযে নিম্নমুখী হবে না। এমন কি দুর্যোগ চলে গেলেও না। অথচ বহুল প্রচলিত এই সাধারণ নীতির বিরুদ্ধে তখন কেউ দাঁটায় না! দুর্যোগ চলে গেলেও না! আর এভাবে ব্যবসায়ীরা হয়ে উঠে এক একজন চুরামন্ত্রীর চেয়ে বিরাট অর্থের অধিকারী।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



কে বা কারা বাজারে আগুন দিচ্ছে আমি জানি তাদের চিনি। হয়তো আপনি লক্ষ্য করেছেন, ব্লগে আমি একটি কথা প্রায়ই লিখে থাকি - আমি সময় দেখা মানুষ। আজ আমার একটি কথা মনে রাখবেন “সাপুড়ে মরে সাপের কামড়ে”। সর্প পোষা্ সর্পের সাথে দোস্তি করা কোনো ভালো কাজ হতে পারে না। কখনো ভালো ফলাফল দেয়নি। এই কথাটি আমি আপনি এমনকি রাজা মহারাজা বাদশাহ সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

মানুষকে মানুষ যেভাবে কষ্ট দেয় আমার মনে হয় সৃষ্টিজগতে আর কোনো প্রাণী এভাবে তাঁর সমগোত্রীয় প্রাণীকে কষ্ট দেয় না, কষ্ট দিতে পারে না। আমরা মানুষ হয়েও অমানুষ হয়ে রইলাম এর চেয়ে দুঃখজনক বিষয় আর কিইবা হতে পারে।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

৪০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সিন্ডিকেটবাজির কারণেই বাজারে এ অগ্নিমূল্য। এর সমাধান কোন সহজ পথে নেই!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



গত দশ দিনে সবজি বাজারে ধস নেমেছে। কৃষকের সবজি মজুদ করার মতো কোল্ডস্টোর না থাকায় সবজির বাজারে যেই ধস নেমেছে তাতে করে লোকসান দিতে হচ্ছে প্রতিটি কৃষককে। এবারের ফসলে যেই ক্ষতি কৃষকরা দিয়ে যাচ্ছেন তার প্রতিফলন ঘটবে আগামী বছর। কারণ আগামী বছর কৃষকরা শীত কালীন সবজি কম চাষ করবেন, তাতে করে বাজার দর থাকবে আবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সব সময় ভূক্তভোগী হবেন সাধারণ ভোক্তা ও ‍কৃষক।

সমাধানের সহজ পথ আর হবেও না। আশা করাও বৃথা।


৪১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাজারে লেগেছে আগুন
দ্রব্য মূল্য হয়েছে দ্বিগুণ
বেতন যদি না বাড়ে
না খেয়ে মরতে হবে
এ ব্যর্থতা সরকারের
সামনে আছে দূর্দিন
টের পাবে হাড়ে হাড়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.