নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।
এতদিন হয়ে গেছে মুক্তি পেয়েছে। নিশ্চয়ই কয়েকজন রিভিউ দিয়েও ফেলেছেন। কিন্তু ছবিটা আমার এত দুর্দান্ত লেগেছে যে আমার মত করে আরেকটা রিভিউ না দিয়ে পারলাম না।
বলা হয়, রাম জন্মানোর আগেই রানায়ন লেখা হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ, গল্পকারের সবসময়ই কিছুটা স্বাধীনতা থাকে মূল ঘটনার কিছুটা রদবদল করার। দাঙ্গাল-ও এর ব্যতিক্রম নয়। দাঙ্গালের কাহিনীর সাথে মৌলিক ঘটনার কিছু কিছু জায়গায় অমিল আছে। আসুন জেনে নেই সেই ব্যতিক্রমগুলো।
১। ছবিতে আমরা দেখেছি যে গীতা ফাইনালে তার রোমানিয়ান প্রতিপক্ষকে অত্যন্ত নাটকীয়ভাবে শেষ রাউন্ডের শেষ সেকেন্ডে একেবারে ৫ স্কোর করে হারিয়ে দেয়। প্রকৃতপক্ষে গীতা ফাইনালে সরাসরি ১-০ এবং ৭-০ সেটে প্রতিপক্ষকে হারিয়েছিল।
২। মুভি অনুসারে কমনোয়েলথ গেমসের আগে গীতা তার সবগুলো আর্ন্তজাতিক খেলাতেই হেরে যায়। কারন সে তার কোচের ভুল পদ্ধতিতে খেলে যাচ্ছিল। বাস্তবে সেই ঐতিহাসিক কমনোয়েলথ গেমসের আগের বছরেই সে কমনোয়েলথ চ্যাম্পিওনশিপের সোনা জিতেছিল।
৩। গীতার সেই হিংসুক কোচের কথা মনে আছে যে কি না পদে পদে মহাবীরকে অপমান করে? সেই তো ছবির একমাত্র ভিলেইন। বাস্তবের গীতার কোচ কিন্তু মোটেও সেরকম মানুষ নন। বরং নিজের এই ভয়ংকর উপস্থাপনা দেখে তিনি আমির খানের বিরুদ্ধে একবার মানহানীর মামলা করার কথাও ভেবেছিলেন। যাই হোক, তাঁর ভাষ্যমতে মহাবীর সিং জী ছিকেন অসম্ভব ভদ্র একজন মানুষ এবং তিনি কখনই তাঁর কোচিং পদ্ধতিতে নাক গলান নি, যেরকম ছবিতে বারবার দেখানো হয়েছে।
৪। ল্লছবিতে আরও দেখায় যে, ফাইনালের সময় মহাবীরকে একটা রুমে আটকে রাখা হয়, সেই কোচেরই নির্দেশে, তাই না? ফলে মহাবীরের পক্ষে তার মেয়ের সেই ঐতিহাসিক জয় উপভোগ করা সম্ভব হয়নি। রিয়েল লাইফে এরকম কিছুই ঘটেনি। মহাবীর পুরোটা সময় গ্যালারিতেই ছিলেন।
৫। মুভির শুরুতেই দর্শকদের জানানো হয় যে, মহাবীর একটা পুত্রের জন্য ডেসপ্যারেট ছিলেন যেন এর মাধ্যমে তিনি সোনা আনতে পারেন। কিন্তু মহাবীর সিং পোগটের আত্মজীবনী 'আখড়া' থেকে আমরা জানতে পারি যে, মহাবীর নন, বরং তাঁর স্ত্রী দয়া কাউর একটি পুত্র সন্তানের জন্য ব্যাকুল ছিলেন।
©somewhere in net ltd.