নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্যন্ত গৃহী। বইপোকা। লেখালিখিটা প্যাশন; তেমন বাছবিচার না থাকলেও থ্রিলার আর হরর জনরাতে স্বাচ্ছন্দ্য বেশি। অল্প বিস্তর ছবিয়ালও। ইন্সটাতে shajus shot হিসেবে পাবেন। মুভি দেখতে ভালো লাগে, ভালো লাগে খোলা আকাশ, সাগরের পাড়ে চুপ করে বসে থাকা আর নিস্তব্ধতা। প্রিয়

মন থেকে বলি

জীবনের স্থায়িত্বকাল কত অল্প। কিন্তু কত কিছু যে ইচ্ছে করে করতে। তাই পারি আর না-ই পারি, ইচ্ছেগুলোর ডানা মেলে দিয়ে যাই - এই আমার আকাশের জানালায়।

মন থেকে বলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাহানী ঘ্যর ঘ্যর কি (অথবা "স্বামী কেন হতভাগা?")

১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

অনুরোধই।

তবে কিনা হার ম্যাজেস্টি। তাই যাহাই শুনি, মনে হয় ঢ্যাঁড়া পিটাইয়া আদেশ জারি হইলো। আগে পদে পদে প্রহৃত হইতাম ভুলো মনের কারণে। ইদানিং মোবাইলের রিমাইন্ডার জান বাঁচাইয়াছে। তিনি যদি তাঁর ক্লাস মিস করেন, গালি খায় এই লেখক। সেদিন অতিষ্ঠ হইয়া পুরা বছর জুড়িয়া রিমাইন্ডার মারিয়া দিয়াছি। এখন প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে লেখা ভাসিয়া উঠেঃ "বউকে ডাকিয়া দে রে হতভাগা"।

যাহা হউক। প্যাঁচাল পাড়িতে শুরু করিলে আর কিছু মনে থাকে না। মূল কথায় আসি।

আগে হইতে 'হুমকির স্বরে' অনুরোধ ছিল - অদ্যকার গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সাজসজ্জা করিয়া যাইতে হইবে। সুবেশী বান্ধবীদের নিকট 'বর' প্রদর্শিত হইবে। এই 'ছাগলা'ই সেই 'বর'।

ভাবিয়া দেখিলাম,

১| গর্দানের উপর যেহেতু আমার একটাই মুন্ডু এবং....

২| যেহেতু স্কন্ধকাটা হইলে দেখিতে বিশেষ সুবিধার হইবো না এবং....

৩| যেহেতু বুদ্ধিমান প্রাণিমাত্রই গৃহিনীর আদেশের অবাধ্য হয় না,

তাই...সতর্ক ছিলাম। যাহাই হউক না কেন, আমার কারনে যেন বিলম্ব না হয়।

ভাবিয়া দেখিলাম, পোষাক কি আগেরদিনই পরিয়া থাকিব কি না। আগাইয়া থাকা আর কি। উঁহু....মাঞ্জা ভর্তা হইয়া যাইবে। আর তাছাড়া ব্লেজার পরিয়া ঘুমাইবো কিরূপে? মুজাও চুলকানি বাড়াইয়া দিতে পারে।

সুতরাং 'যাহা কাল কাটিবে, তাহা আজই কাটিয়া ফেল' - এই গুরুবাক্য স্মরণ করিয়া মুখমন্ডলের কেশরাজি উৎপাটন করিয়া ফেলিলাম। এমনকি 'অধিকন্ত নঃ দোষায়' নীতিতে স্ক্র‍্যাবার (পড়ুন ফেসওয়াশ) দিয়া মুখমন্ডল একচোট ঘষিয়াও ফেলিলাম। উফ...যেন শিরিশ কাগজের ঘষা রে দাদা! মুহূর্তের মধ্যেই গাল বেবুনের মত টকটকে রক্তিম বর্ণ ধারন করিল। দূর ছাই! এতটার কি দরকার ছিল? এখন আগামীকল্যের পূর্বেই স্বীয় রঙ ফিরত পাইলে হয়।

অবশেষে শেষের সেই ভয়ংকর দিন আসিয়া পড়িল। অদ্যই সান্ধ্যমুহূর্তে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হইতেই হইবে। প্রস্তুতি লওয়া শুরু করিলাম...দু'জনেই...

এইভাবে....

দুপুর ৩:০০টাঃ
-------------
হার ম্যাজেস্টি - পার্লার-নামক কয়েদখানায় গমন করিলেন।

বেক্কল লেখক - বিছানায় শুইয়া হাঁটুর উপর লুঙি তুলিয়া পা নাচাইতেছে আর লোমশ ভুঁড়িতে হাত বুলাইয়া সৌদি কম্বলের স্পর্শ পাইয়া পুলকিত হইতেছে।

সন্ধ্যা ৫:১৫ টা
-------------
হা/মে- বাসায় ফিরিয়া মেকআপ শুরু করিলেন।

বে/লে - 'পেন্সিলে' কি লিখিবে ভাবিতেছে। কমেন্ট দেখিবার লোভে বারংবার নোটিফিকেশন চেক করিতেছে।

সন্ধ্যা ৬:০০ টা
-------------
হা/ম্যা - মেকআপ চেক করিতে, বেলাউজে সেফটিপিন লাগাইতে, শাড়ি টানিয়া নামাইতে, ইত্যাদি নানাবিধ জরুরীকাজ করিবার আদেশ প্রদান করিলেন।

বে/লে - ব্যস্ত সমস্ত হইয়া আদেশ পালন করিল। তখনও লুঙি পরিহিত। কোনমতে কোমরে জড়াইয়া আব্রু রক্ষা হইতেছে। খিয়াল নাই। এখনও 'পেন্সিল' চেক করিতেছে ক্ষণে ক্ষণে।


সন্ধ্যা ৬:১৫
----------

হা/ম্যা - সর্বপ্রকার সজ্জা শেষ করিয়া আবার হুকুম হইলোঃ "এই, তুমি এখনও শুয়ে? এই মুহূর্তে পোষাক পর।"

বে/লে - পাৎলুন, পিরান, ব্লেজার, মুজা এবং জুতা পরিধান করিল। দেহে কিছুটা 'ছেন্ট'ও মারিল। ঘড়ি দেখিল। সাকুল্যে ২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড লাগিয়াছে।


সন্ধ্যা ৬:২৫
----------

হা/ম্যা - শাড়ি পরা পছন্দ না হওয়াতে খুলিয়া আবার পরিল। আবার সেই শাড়ি টানাটানি, সেফটিপিন, ইত্যাদি, ইত্যাদি..। টানের চোটে সেফটিপিন ছিঁড়িয়া গিয়াছে। খোঁজ আরেকটা।

বে/লে - অন-দ্য-টো আছে। আদিষ্ট হইলেই উসাইনের ন্যায় ধাইয়া যাইবে সেপটিপিন কিনিতে। ইউরেকা! আরেকটি পাওয়া গিয়াছে।


সন্ধ্যা ৬:৪০
----------

হা/ম্যা- সাজ শেষ। বানী আসিল - "চল, রওয়ানা দেই। দেরী করছো কেন?"

বে/লে - "অবশ্যই, অবশ্যই...! চল। ভাগ্যিস দেরি হয় নাই।"

হাঁটিতে হাঁটিতে হিসেব করিলামঃ যে কাজ (সাজিতে) আমার ৩ মিনিট লাগিল, সেইটা উনার করিতে কেন লাগিল সাড়ে তিন ঘন্টা....?

কেউ কি জানেন...?? আছেন কেউ জ্ঞানী...???

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: হাহা... লক্ষী বর আপনি :p

১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৮

মন থেকে বলি বলেছেন: এ হলো জান বাঁচানো।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

ওমেরা বলেছেন: এটা তো আপনার ই সব চেয়ে ভাল জানার কথা কারন আপনি তো নিজের চোখেই দেখলেন কেন সারে তিন ঘন্টা লাগল ।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৯

মন থেকে বলি বলেছেন: চোখে তো কত কিছুই দেখি। কিন্তু মাথার উপ্রে দিয়ে যায়। তাই জনগনের কাছে এই জিজ্ঞাসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.