নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতই আসুক, দুঃখ আঘাত,অন্ধ দু\'চোখ যতই বাধার সামনে দাড়াকবন্ধু তোমার স্বপ্ন দেখার, মনটা ধরে রেখো।

টি এম মাজাহর

Bangladesh

টি এম মাজাহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রিকেট ও এর ভবিষ্যত

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

টেস্ট দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে নবীন দল। মনে রাখতে হবে, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ছাড়া প্রতিটা টেস্ট প্লেইং দেশই প্রথম দুই যুগ অত্যন্ত কঠিন সময় পার করেছে, সেই তুলনায় বাংলাদেশ মাত্র ১৫ বছরের মধ্যেই নিজেদের অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে। অন্যান্য টেস্ট প্লেইং দেশগুলো জন্য কাজটা একটু সহজ ছিলো এই অর্থে যে, তখন ক্রিকেট টা খেলা হিসেবেই চলতো, এবং অন্যান্য টেস্ট দেশগুলো তাদের খেলার মাধ্যমে সাহায্য করেছে। কিন্তু গত দুই/তিন বছর যাবত নতুন দেশগুলোর জন্য ক্রিকেট খেলাটাই কঠিন করে দিচ্ছে ভারত এবং তাদের সাথে সাক্ষীগোপাল হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড কে রেখেছে, যারা খেলাটিকে একটা নিচুমানের ব্যাবসায় পরিণত করবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। সেই সাথে ক্রিকেটের আইন কানুন এতো বেশী বদলে ফেলা হচ্ছে, যে সত্যিকারের খেলা আর প্রতিযোগিতা এখান থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ- পাওয়ার প্লে এবং ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশন নিয়ে গত পাচ বছরে এতোবার আইন বদলানো হয়েছে, যেখানে মূল বিবেচ্য বিষয় ছিলো, কীভাবে ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানরা বেশী রান করতে পারে, ওই উইন্ডো খুলে দেয়া। ফলস্বরূপ দেখবেন ওয়ানডের প্রথম পাচজন দুই শ রান ই করেছে ভারতীয় খেলোয়াড়, এবং তাদের মধ্যে সবগুলোই ইন্ডিয়ার পিচে। সেই সাথে যেহেতু ঐতিহাসিকভাবেই ভারতের দলে খুব বেশী ভালো বোলার আসে নাই, সেহেতু ওয়ানডের নিয়ম কানুনে বোলারদের স্রেফ খুন করা হচ্ছে। একটা ভালো ডেলিভারী কিংবা ভালো স্পেলের মর্যাদা আগে অনেক বেশী থাকলেও এখনকার আইনকানুনে এই একটা ভালো বোলিং করা ভয়ঙ্কর কঠিন কাজে পরিণত হয়েছে। সেই সাথে বিশ্বব্যাপী জুয়ার আসর বসাতে মরিয়া ভারত ক্রমাগত খেলার ফলাফলকে প্রভাব বিস্তারের জন্য আম্পায়ার/ অফিসিয়ালদের ও হাত করে ফেলেছে। আজ থেকে দশ বছর আগেও প্রযুক্তির স্বল্পতার কারণেও কোন আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত ভুল হিসেবেই সবাই মেনে নিতো, এবং আম্পায়াররাও কোন ভুল নিজেরাই অকাতরে স্বীকার করে নিতেন। কিন্তু এখন প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যাবহারের যুগে আম্পায়ারদের ভুল গুলো ভুল বলে মানা অসম্ভবই বলা যায়। সুযোগ থাকবার পরও ভুল ডিসিশনগুলো আম্পায়ারের অজান্তে ভুল বলে মানার কোন প্রশ্নই ওঠেনা। বরং মোটামুটি নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, আম্পায়ারেরা ইচ্ছা করেই এবং জেনেশুনেই খেলা প্রভাবিত করতে ভুল সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ ভারতের ম্যাচেই বোঝা যায়, যে চারটি ভুল সিদ্ধান্ত হয়েছে এগুলোর কোনটিই আম্পায়ারদের অনিচ্ছাকৃত ভুল নয়। আধুনিক যুগের খেলায় এ জাতীয় প্রতিটা সিদ্ধান্তই আম্পায়রেরা পুঙ্খানু পুঙ্খভাবে বিশ্লেষন করেই দেয়, সেখানে থার্ড আম্পয়ারের ধার না ধরেই একটি ফুলটসকে নো ডেকে দেয়া এবং একটি ছয়কে তাড়াহুড়া করে আউট দিয়ে দেয়া (অনেক খেলায়, দর্শকেদর ধরা একটি ক্যাচের দৃশ্যও ওর থেকে বেশীবার টিভিতে রিপ্লে দেখানো হয়) । ডিআরএস কারসাজীতে এলবি ডব্লিও ঘটনার কথা নাই বলি, শুধু এটুকু বলি, যারা কম্পিউটারে রিপ্লাইটা দেখতে পারেন, তারা বল পিচকরার দৃশ্যটা স্টিল করে রুলার দিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন কী ঘটেছিলো। আর নাসিরের ক্যাচের দৃশ্যটা কেউ দেখে বুঝলে একটু আমাকে বইলেন। নাসিরেরর ক্যাচ ধরার দৃশ্যটা বোধহয় ১৯৮৫ সালের ক্যামেরা দিয়ে তোলা হয়েছিলো, যেটার রিপ্লাইও তার চেয়েও ঘোলা, এবং একবারের বেশী দেখানোর প্রয়োজন মনে করেনাই টিভি কর্তৃপক্ষ। সবচেয়ে বড় কথা হলো এতো সব পরিস্কার ভুলের পরও আম্পয়ারদের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা কাজ করে নাই বরং আইসিসি প্রসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করাবার চিন্তাও তারা করছেন। কেননা তারা জানেন তারা আসলে ভুল করেন নাই, তারা ইচ্ছা করে এবং জেনেশুনেই অন্যায় করেছেন। মোদ্দা কথা হলো এই যে, খেলাটাকে যে দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাতে করে তিন জমিদার এবং আইসিসির বিদ্যমান কাঠামো ভেঙে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করাটা কতটা কঠিন তা বোঝা যাচ্ছে । ক্রিকেটের এই ক্রান্তিকালীন সময়ে ক্রিকেট টা ব্যাবসা থেকে খেলায় পরিণত হওয়ার আগ পর্যন্ত সাপোর্টারদের সঠিক সমর্থন দিয়ে যিতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.