নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতই আসুক, দুঃখ আঘাত,অন্ধ দু\'চোখ যতই বাধার সামনে দাড়াকবন্ধু তোমার স্বপ্ন দেখার, মনটা ধরে রেখো।

টি এম মাজাহর

Bangladesh

টি এম মাজাহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাওয়াশ এবং যক্ষের ধন

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

কালকে বাবা বলছিলেন, সাত ঘন্টা খেলা দেখে সময় নষ্ট করি কেন? কী লাভ হবে তোর। তাইতো, কী লাভ, শুধু একটু আনন্দ পাওয়া, জিতলে বুকের ভিতর গুড়গুড় আনন্দ, মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে কোন জিতা ম্যাচের স্মৃতিচারণ। আর কি? যারা খেলে তারা তো টাকা পায়, মিডিয়ায় ফোকাস পায়, বিজ্ঞাপন পায়, ভক্ত পায়, আর দর্শক? কিন্তু ঐ যে, বুকের ভিতর গুড়গুড় আনন্দ, ওটার চেয়ে গুরুত্ব জীবনে কি আছে, সেটাই ভুলে যাই। একটি মাত্র জীবন, শুধু শুধু পয়সার পিছনে দৌড়ে শেষ করে দেবার মানে কি? তার চেয়ে একটু সময় ভালো কাটুক, জীবন উপভোগের একটি মন্ত্র তো আছেই।

বাংলাওয়াশের মজার থেকে বেশি এই মুহুর্তে আর কিছু হতে পারে না। মনে আছে, ৯৭ এ আইসিসি জয়ের পর মনে হয়েছিলো জীবনের সর্বোচ্চ তৃপ্তি আজ হলো, তেমনি ৯৯ এ পাকিস্তান বধের পর, কেনিয়াকে প্রথম হারানোর পর, ভারতকে বক্সিং ডে তে হারানোর পর, অস্ট্রেলিয়া , ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবার হারানোর পর একই অনুভুতি হয়েছিলো । আজকাল একটি দুটি ম্যাচ জিতলে বেশি কিছু মনে হয় না, মনে হয়, এটাই স্বাভাবিক। হয়তো আগামিতে এরকম একটা দুইটা হোয়াইট ওয়াশের মজাটাও এরকম হয়ে দাড়াবে। অস্ট্রেলিয়াকে ৭-০ তে হোয়াইট ওয়াশের পর মনে হবে, এটাই স্বাভাবিক।

প্রথম আলোতে লিখেছে "এমন লজ্জায় পড়েনি পাকিস্তান" । প্রতিপক্ষকে অতিমাত্রায় রক্ষা করে নিজের দেশকে ছোট করায় প্রথম আলোর প্রতিদ্বন্দী নাই। ওদের রিপোর্টেই বলা আছে, সবগুলো টেস্ট প্লেইং নেশনের কাছেই কয়েকবার করে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছিলো দলটি। বাংলাদেশ ১৫ বছর ধরে টেস্ট প্লেইং নেশন। দলটি সবগুলো টেস্ট দলকে অন্তত একবার করেই হারিয়েছে, সেই সাথে দুটি টেস্ট টীমকে তিনবার ধবলধোলাই দিয়েছে। সবশেষ বিশ্বকাপে দাপটের সাথে খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে, এবং বিশ্বক্রিকেট এখনও বিশ্বাস করে, আম্পায়ার ও আইসিসির ব্যাবসাতাত্বিক চুরি না থাকলে, সেমিফাইনাল খেলা একটি দল হতো বাংলাদেশ। তা সেই বাংলাদেশের সাথে হারায় লজ্জা পাওয়ার বিষয়টা আসে কোত্থেকে? বাংলাদেশ তো এমন কোন ছোট বা দুর্বল দল নয়, যে একটা অ্যাক্সিডেন্ট (হার) হলে মুখ কালো করে বলা, ও হ হো, কীভাবে হলো! বরং বাংলাদেশকে খেলে হারাতে চাইলে যে কোন দলই হিসাব নিকাশ করেই নামতে হয়। আর পেছনের দরজা দিয়ে হারাতে হলে অন্য কথা (যেমন বিশ্বকাপে ইন্ডিয়া করেছিলো)।

এবারের বাংলাওয়াশ শুধু আমাদের মনের সাধ মিটিয়েছে, তা না, পাকিদেরও সাধ মিটিয়ে দিয়েছে। মনে রাখবেন, পাকিস্তানী এই বোলিং অ্যাটাকই বিশ্বকাপে সব দলকে কাপিয়ে দিয়েছিলো ভয়ঙ্করভাবে। বরং এই সিরিজে ওদের বোলিং সাইড আরও শক্তিশালী। বিশ্বকাপের বোলিং অ্যাটাকের সাথে যুক্ত হয়েছে সাইদ আজমল, উমর গুল আর হাফিজের মতো বোলাররা, যাদের বোঝানোর জন্য ব্যাখ্যা দরকার হয় না।

প্রথম ম্যাচের পর কোন পাকির যদি আফসোস হতো, আহারে, আরএকটা বোলার যদি থাকতো, - ভাগ্যদেবী বললো, আন, উড়িয়ে নিয়ে আসলো উমর গুলকে, এবার আফসোস আহ্হারে, হাফিজ কত ম্যাচ জিতাইসে, ও যদি বল করতে পারতো? ঠিক তৃতীয় ওয়ানডের আগে হাফিজও বল করতে অনুমতি পেলো। আহ্হারে, আফ্রিদি, শেহজাদ যদি থাকতো। ওকে, তোমাদের মানা করেছে কে? আফ্রিদি, শেহজাদরা মাঠে চলে এলো। এক্কেবারে, ওদের কোন আফসোসের জায়গা না দিয়ে হোয়াইট ওয়াশ করে টাইগারেরা জানান দিলো, এইবার ওয়াকার, জাভেদ মিয়াদাদ দের মাঠে নামাইলেও কাজ হতো না।

যাই হোক, পরিসংখ্যান বলে ৩৬ বারের মধ্যে ওরা ৩২ বার জিতেছে, আমরা ৪ বার। কোননা কোন দিন অন্তত সমান সমান হবেই সেটাই আশা করছি। সেই সাথে আশা করছি, এইটা হবে একটা সূচনা, এটা যেন অব্যহত থাকে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.