নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতই আসুক, দুঃখ আঘাত,অন্ধ দু\'চোখ যতই বাধার সামনে দাড়াকবন্ধু তোমার স্বপ্ন দেখার, মনটা ধরে রেখো।

টি এম মাজাহর

Bangladesh

টি এম মাজাহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ যুগের গোয়েবলস

০১ লা মে, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

দেশটা চলছে পুরো গোয়েবলসিয় কায়দায়। ভুল বললাম, মহাম গোয়েবিয়লস ও জানতেন না ওনার থিওরী দূর একটি দেশে এতো সুন্দর করে অ্যাপ্লাই হবে। শতশত ছবি ও মোবাইল ক্যামেরায় তোলা ভিডিওগুলির (বলা বাহুল্য, যেগুলোর সবই ঝুকি নিয়েই তোলা, মস্তানদের লাঠির বাড়ি, পুলিশের হুমকির আর অনেক মোবাইল কেড়ে নেয়ার পরও যা কিছু বেচে ছিলো ) বিরুদ্ধে গোয়েবয়েলের দল দুটি মোবাইল অডিও নিয়ে লড়াইয়ে নামলো (মোবাইল কলের রেকর্ড কারা করতে পারে, জানেন নিশ্চয়ই)। চুরি-ডাকাতির মোটামুটি দুই তিনদিন পর এই অডিও নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে সব ধরনের চুরিদারির কথা বেমালুম চাপা দিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলো। ঠিক মনে পড়লো বিশ্বজিতের হত্যার কথা। প্রকাশ্যে শতশত লোকের সামনে বিশ্বজিতকে কুপিয়ে খুন করার দৃশ্য যখন দেশের ঘরে ঘরে ঘেন্নার সৃস্টি করেছে, গোয়েবয়েলরা যখন নিশ্চুপ তখন দুই তিন দিন পর আবিস্কার হলো ওই কোপাকুপির দলের কার জানি জ্ঞাতি গোষ্ঠী এলাকায় শিবির করে। ব্যাস, গোয়েবয়েলসের দল নড়ে চড়ে উঠলো, বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করলো, ওই কোপাকুপির ভিডিও থেকে বড় সত্যি আরও আছে। বারবার গোয়েবয়েলস শুনে যারা বিরক্ত, তাদের সাহায্যের জন্য বলছি, গোয়েবয়েলস এর থিউরী ছিলো, একটা মিথ্যা বারবার বলতে থাকো, দেখবে, সত্যটা চাপা পড়ে যাবে, মিথ্যাটাই প্রতিষ্ঠিত হবে। ইলেকশন কেন্দ্রের যে ছেলেটার সামনে সাড়ে সাতশো ব্যালট সিল মেরে দিয়েছে সোনার ছেলেরা, দুদিন পর সেও একটু কনফিউজড, সে কি আসলে সেদিন স্বপ্ন দেখছিলো ? যে অফিসারের সামনে আড়াইশো ভোট বাতিল করার জন্য ডাবল সিল মেরে দিয়েছে, সেও দুদিন পর ভাবছে, আসলে বোধহয় ওইটাই নিয়ম।
৫ জানুয়ারীর নির্বাচন যেমন আজকে হালাল হয়ে গিয়েছে, তেমনি ২৮ এপ্রিলের নির্বাচনও হালাল হওয়ার পথে। ব্যালট ছিনতাই, সিল, চুরি চামারী সব ছাপিয়ে এখনকার গোয়েবয়েলসদের মূল আলোচনার বিষয়, ওরা কেন বর্জন করলো ! চুরিচামারী সবই ঠিক ছিলো, বর্জন করাটাই আসলে ভুল !
গতকাল প্রিয় বন্ধু বললো, এইসব গোয়েবয়েলসদের সাথে সাধারণ মানুষ কখনই পারবে না। উদাহরণ দিয়ে বললো, প্রথম আলোর কমেন্ট পেজে (এই পত্রিকাটির কমেন্ট পেজে মুটামুটি প্রতিটা বিষয়ে পাঠকরা সরব ভুমিকায় থাকেন- যদিও প্রথম আলোর অনুমতি ক্রমেই ) কয়েকজন লেখক আছেন, দিনরাত ২৪ ঘন্টায়ই কমেন্ট করতেই থাকে, তাও প্রতিটা বিষয়েই লীগের মুখপাত্রের চেয়েও কট্টর । অযৌক্তিক কমেন্টের বিরুদ্ধে অনেকেই লিখলেও এরা কখনই দমে নাই। অর্থাত একদল লোককেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র মিথ্যা কথাটাই বারবার বারবার বলার জন্য। সাধারণ মানুষের কাছে, কমেন্ট বা মতপ্রকাশ হচ্ছে শৌখিন বা মনের আনন্দে করা, এদের বেশীরভাগই একটা কমেন্টে ১৫/২০ টা ডিসলাইক পেলে এর পরের কমেন্ট টা দেরীতে করেন কিংবা একটু অফ যান। কিন্তু এই লোকগুলো রীতিমতো পেশা হিসেবেই নিয়োগপ্রাপ্ত । সুতরাং তাদের বেতন হালাল করতেই সারা দিন তারা বসে আছে এই মিথ্যাগুলোকে বারবার বারবার প্রচার করতে। এদের সাথে সাধারণ মানুষের পেরে ওঠার কথা না। শুধু একটাই ভয়, আমরা আম জনতা অন্যায় হজম করতে করতে টায়ার্ড হয়ে যাচ্ছি। আমাদের রাস্তায় নামারও আর এনার্জি নাই, প্রতিবাদ করবারও আর এনার্জি নাই। ৪৭ এ গণভোটে ইউনিয়ন কে বর্জন করলেও লেন্দুপ দর্জির আমন্ত্রন যখন মাত্র ৫০ মিনিটে সিকিম দখল হলো, একটা মানুষও ঘর থেকে বের হয় নাই। বোধকরি ওদেরও আমাদের মতো ক্লান্ত করে রেখেছিলো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.