নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩২ পৃষ্ঠায় খড়, ৩৩ পৃষ্ঠায় অাগুন

টোকন ঠাকুর

কবিতা গল্প লিখি, ছবি আঁকি-বানাই, একাএকা গান গাই...

টোকন ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'সৈয়দ\' সম্পর্কিক এক টুকরো স্মৃতিকথার মধ্যে সেই মুমূর্ষু পরে মৃত কাজের মেয়েটির কথা কারও কারও মনে থাকতে পারে

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

'সৈয়দ' সম্পর্কিক এক টুকরো স্মৃতিকথার মধ্যে সেই মুমূর্ষু পরে মৃত কাজের মেয়েটির কথা কারও কারও মনে থাকতে পারে
.............................

লেখার বিল-টিল ওঠাব, গেলাম সে-কালের হয়তো দ্বিতীয়পর্বের 'ভোরের কাগজ'-এ। সহকারী সম্পাদক ও সাহিত্য পাতার দায়-দায়িত্বে থাকা কথাসাহিত্যিক মইনুল অাহসান সাবের যে রুমে বসতেন, সেই রুমেই বসতেন সহকারি সম্পাদক কবি অাবু কায়সার। সহজ ও শীতল মানুষ কায়সার ভাই প্রত্যেকদিন দুপুরে অামাকে একটা করে ডানহিল সিগারেট দিতেন অার বলতেন, 'মরে গেলে লেইখেন কোথাও'। ডেস্কে কাজ করা সৈয়দ শরীফ ভাইয়ের সঙ্গে অাড্ডা দিতাম প্রতিদিন। সেই বাংলামোটর,লিংক রোডে। এরকমই একদিন, একজন অার্টিস্ট উঠলেন ভোকা অফিসের চাইরতলায়, তিনি অনেককাল পশ্চিমে পাড়ি দেওয়া মানুষ। অাড্ডাটা প্রাচ্য-প্রতীচ্যে একদম জমে উঠল অার কি! হয়তো অনুল্লেখযোগ্যই, তবু বলি, অার্টিস্টের নামের অাগেও অাছে বংশীয় পদবী, সৈয়দ। কিছুক্ষণ পর খেয়াল করলাম, উপস্থিত দুজন সৈয়দের মধ্যে সদ্য পরিচয়ের জড়তা কেটে গিয়ে অনেকদিন অাগের চেনাজানার ভাব ফুটে উঠেছে। এবং সমস্ত ধরনের ভব্যতা-টব্যতা উড়িয়ে দিয়ে, দেখি, এক সৈয়দ অারেক সৈয়দের সঙ্গে এতক্ষণ অালাপের পরে হঠাৎ অাবার হ্যান্ডশেক করছেন। মানে কি? অামি উৎকর্ণ, অামি চক্ষুষ্মান, দেখলাম, অার্টিস্ট সৈয়দ সাংবাদিক সৈয়দকে উদগত-অভিষিক্তির সঙ্গে বলছেন, 'তবে যাই বলেন, সৈয়দ কিন্তু যে কেউ হতে পারবে না। টাকার মালিক হতে পারে, অনেকেরই অনেক কিছু থাকতে পারে, কিন্তু সৈয়দরা সৈয়দই। এটা ব্লাডের ব্যাপার।'
অন্য সৈয়দ মাথা নেড়ে খুবই হালকামাত্রার সম্মতি দিচ্ছেন এবং অামার দিকে খেয়াল রাখছেন, কারণ, তিনি জানেন, অামি তাকে এ ব্যাপারে ধরতে পারি। ঠিক সে-সময়ই সম্পাদকের রুম থেকে ভোকার'র তদানীন্তন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বেনজীর অাহমেদ বেরিয়ে অাড্ডার রুমটির দিকে এগিয়ে এলেন একটি উপযাচনা নিয়ে, 'বলেন তো কী করি? অাপনাদের মান্নান সৈয়দ একটু পর পর, বারবার ফোন দিচ্ছে?'
বেনজীর ভাই বসলেন।
ইস, মান্নান ভাই, কায়সার ভাই ও বেনজীর ভাই এখন নেই।
বেনজীর ভাই যে তথ্যটা দিলেন, মান্নান সৈয়দকে নিয়ে, তা হচ্ছে, কবি অাবদুল মান্নান সৈয়দের ভাইকে নিয়ে যে নিউজটা গতকাল বেরিয়েছে, সেটা যেন ফলোঅাপে যাওয়া না হয়, এই অার কি। সবাই ম্যানেজড, 'অামাকেও তিনবার ফোন দিলেন, বেচারা অাবার অামারও বন্ধু মানুষ। বলেন তো কী করি...!
তার অাগেরদিন অামরা একটি সচিত্র প্রতিবেদন পড়েছিলাম, 'রাস্তার ধারে অাহত অাধমরা অবস্থায় এক কিশোরী কাজের মেয়েকে বস্তায় বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার'। মনে পড়ে? তো সেই মেয়েকে পুলিশ বস্তার ভেতর থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল তাসপাতালে নিয়ে যায় এবং মেয়েটিকে এমন মার মারা হয়েছিল বস্তায় ভরার অাগে, বস্তাপার্টিরা ভাবছিল, মরে গেছে। দে ফেলে রাস্তার ধারে। হয়তো। এটা একটা ধারণা, অামার, তাই তথ্যসূত্র দিতে পারব না। মেয়েটি জবানবন্দি দিয়ে পরদিনই, হাসপাতালে মরে গেল। জবানবন্দিতে সে বলেছিল, সে যার বাড়িতে কাজ করত, তার নাম। তিনি অামাদের ষাটের দশকের কবি-লেখক-অধ্যাপক-জীবনানন্দ গবেষক অাবদুল মান্নান সৈয়দের ভাই। প্রথমদিন নিউজটা বেরিয়ে গেলেও, পরদিন, নিউজটা যাতে অার ফলোঅাপ না হয়, তার জন্যে অাপাত নিরীহ অারেক কবি সৈয়দ সম্পাদককে বারবার ফোনে অনুরোধ করছেন।
কবির অনুরোধ, সম্পাদক না রাখলে রাখবেটা কে?
জীবনের প্রতিশ্রুতি ও সামাজিক সম্পর্কের দায়, মানুষকে কোথায় নিয়ে যায়, শুধু তাই দেখে যাচ্ছি। কারন, নিজের কানে শুনেছি, 'সৈয়দ একটা ব্লাডের ব্যাপার'। তাই বলে এ নিয়ে অামার কোনো অভিযোগ নেই...

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখা সাবলীল হয়নি

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: খুব সুন্দর লাগলো পড়ে । ধন্যবাদ।।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

বিজন রয় বলেছেন: কবিতা বাদ দিয়ে হঠাৎ গদ্য লিখলেন?

ভাল হয়েছে।
++++

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

রুমি৯৯ বলেছেন: সো প্যাথেটিক!
জ্বী ভাই৷ সৈয়দতো রক্তের ব্যাপার৷ কারণ তাদের শরীরে যে রক্ত আছে তা মানুষের শরীরে থাকার কথা ধয়৷ সবশেষে ঐ মেয়েটির জন্য একরাশ দুঃখবোধ৷

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আব্দুল মান্নান সৈয়দকে এমনিতেই ভালো লাগে না, দিলেন আরো অপছন্দ করার কারণ ধরিয়ে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.