নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেবুলা মোর্শেদ

মেঘ মুক্ত রাতের আকাশ দেখতে ভালবাসি,আর ভালবাসি ছবি তুলতে।

নেবুলা মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূর্যাবর্ত(শেষ পর্ব)।

২৭ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭





বিষুব গোলকের ওপর,যখন সূর্যপথকে স্থাপন করা হয় আকাশগোলকের বিষুব রেখার ওপর তখন তারাও সৄস্টি করে একটি সাড়ে তেইশ ডিগ্রী কোন।আকাশগোলকের বিষুব রেখা আর সূর্যপথ আকাশে দু-স্থানে ভেদ করে পরস্পরকে;এ দুটি স্থানকে বলা হয় বিষুব ইকুইনোক্স(ল্যাতিন ভাষায় সমান রাত)।







সূর্য যে স্থানে আকাশ গোলকের বিষুব রেখাকে অতিক্রম করে উওরের দিকে এগোয়,সে স্থানটিকে বলে মহাবিষুব বা বসন্তবিষুব;(ভারনাল ইকুইনোক্স)।আর সূর্য যে স্থানে আকাশ গোলকের বিষুব রেখাকে অতিক্রম করে দক্ষিনের দিকে এগোয় তাকে বলা হয়,জলবিষুব বা শারদবিষুব (অটমনাল ইকুইনোক্স)।







সূর্য বসন্তবিষুব অতিক্রম করে 21 শে মার্চ বা তার কাছাকাছি সময়ে;আর শারদবিষুব অতিক্রম করে 22 শে সেপ্টেম্ভর বা তার কাছাকাছি সময়ে।বসন্তবিষুব পেরিয়ে সূর্য যখন উওরে যাত্রা শুরু করে তখন উওর গোলার্ধে শুরু হয় বসন্তকাল;আর গ্রীস্ম শুরু হয় যখন সূর্য পৌছে উওরায়নে।শরৎ শুরু হয় যখন সূর্য শারদবিষুব পেরিয়ে দক্ষিনে যেতে শুরু।আর সূর্য যখন সবচেয়ে দক্ষিনে পৌছে,উপস্থিত হয় দক্ষিনায়নে,তখন শুরু হয় উওর গোলার্ধের শীতকাল।







সূর্য পথের আরো দুটি বিন্দু চিন্নিত করতে পারি,খুজে দেখতে পারি।আকাশ গোলকের বিষুবরেখা থেকে সূর্য সবচেয়ে দূরে থাকে কোন কোন স্থানে? 22 শে জুনের কাছাকাছি সময়ে সূর্য চলে যায় দূরতম উওরে,ঐ বিন্দুটিকে বলা হয় উওরায়ন বা গ্রীস্মায়ন (সামার সোলস্টিস,ল্যাতিন ভাষায় স্থির সূর্য বলে)।আর 22 শে ডিসেম্ভরের কাছাকাছি সময়ে সূর্য চলে যায় দূরতম দক্ষিনে ঐ বিন্দুটিকে বলা হয় দক্ষিনায়ন বা শীতায়ন;(উইন্টার সোলস্টিস)।







সোলস্টিস)।সূচনা।পৄথিবী থেকে সূর্যের গড় দুরত্ত 9 কোটি 30 লক্ষ মাইল;তবে পৄথিবীর কক্ষপথ উপবৄক্তাকার বলে দূরত্ত কখনো বাড়ে কখনো কমে।3রা জানুয়ারিতে পৄথিবী পৌছে সূর্যের নিকটতম স্থানে এ স্থানটিকে বলা হয় অনুসূর (পেরিহেলিয়ন); 6ই জুলাই পৌছে সূর্যের থেকে দূরতম স্থানে একে বলা হয় অপসূর (আ্যপিহেলিয়ন)।



অয়নচল: পৄথিবীর নিজের অক্ষরেখার ওপর ঘুরছে লাটিমের মতো তার মাথাটি সব সময় একই অবস্থানে থাকে না।কেননা পৄথিবী ঘুরতে ঘুরতে খুব ধীরে ধীরে তার মাথাটি সরিয়ে নিচ্ছে।এই ধীর লাটিমের মতো গতিকে বলা হয় অয়নচল (earth precession) বা অভিমুখবদল প্রিসেশন।সুমেরীয় কালে বসন্তবিষুবের সময় সূর্য উঠতো বৄষরাশিতে (Tarus) এখন বসন্তের শুরুতে সূর্যকে সূর্যকে উঠতে দেখা যায় মীনরাশীতে।











মীনরাশীতে।এভাবে 26,000 হাজার বছরে একবার ঘোরে পৄথিবীর অভিমুখ।অভিমুখ বদল যেহেতু ঘটে দীর্ঘ সময়ে।তাই এর কোন প্রভাব দু-এক শতকে তার কোন প্রভাব দেখা যায় না।অভিমুখ বদলের ফলে বদল ঘটে মেরু তারার,এখন আকাশ গোলকের উওর মেরু আছে ধ্রুব তারার কাছে 3,000 বছর আগে ছিলো ড্রাকোমন্ডলের থুবান তারার কাছে; 12,000 বছর পর উওর মেরুর কাছে থাকবে বীনা (Lyra) মন্ডলের অভিজিৎ বা ভেগা তারাটি।







তাই ধ্রুবতারা ও ধ্রুব নয়।অভিমুখ বদলের মূলে আছে সূর্য ও চাঁদের অভিকর্ষ।পৄথিবী গোলাকার তবে একবারে গোল নয়,বিষুব অঞ্চলের কাছে পৄথিবী কিছুটা স্ফীতি।সূর্য ও চাঁদ এটাকে টেনে পৄথিবীকে তার কক্ষপথে খাড়াভাবে ঘুরাতে চায়।এর ফলে পৄথিবীর অক্ষের অভিমুখ বদল ঘটে পৄথিবীর মেরুমুখের।









ছবি গুগল।



বিঃদ্রঃ- সকল ব্লগার এবং পাঠক সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা 'ঈদ মোবারক'

সবাই ভালো থাকুন সবসময়।এই কামনায়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১২

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: ভাল লেগেছে! তবে লেখাটা একাডেমিক হয়ে গেছে, গল্পের আকারে লিখলে ভাল হত!

ধন্যবাদ !!!

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ঠিক আছে এর পর থেকে গল্পের আকারে লিখবো।ভালো থাকুন সবসময়।

২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। আপনার এই সিরিজটা কি শেষ? :(

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: এই সিরিজটা শেষ সামনে আরো ভালো লেখা দেবার চেস্টা করবো।
ধন্যবাদ,ঈদ মোবারক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.