নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেবুলা মোর্শেদ

মেঘ মুক্ত রাতের আকাশ দেখতে ভালবাসি,আর ভালবাসি ছবি তুলতে।

নেবুলা মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাকাশযান রোসেত্তার চুড়ান্ত গন্তব্য ধূমকেতু চুরিয়ামুভ-জারাসিমেনকো।

০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩





আজ থেকে অর্ধ শতাব্দী আগে মানূষ মহাকাশ যুগে প্রবেশ করেছে।এর আগে পৄথিবী পৄস্ট থেকে দূরবীনের সাহায্যে মানূষ সৌরজগত তথা গভীর মহাকাশের বিভিন্ন খ-বস্তু পর্যবেক্ষন করতো।কিন্তু এর থেকে যে তথ্য উপাত্ত পাওয়া যেত,তা খুব সামান্য এবং এর থেকে খুব বেশী কিছু জানা যেত না।এর পরে মানূষ যখন থেকে মহাকাশে বিভিন্ন ধরনের মহাকাশযান পাঠাতে শুরু করলো,ঠিক তখনি খুলে গেল এক অজানা রহস্যময় জগতের দরজা।







আমরা এর কল্যানে জানতে পারছি মহাকাশের অজানা সব খবর।বর্তমানে সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহে মহাকাশযান পাঠানো হচ্ছে,এমনকি সৌরজগতের সীমানা ছাড়িয়ে গভীর মহাকাশের দিকে ছুটে চলছে মহাকাশযান ভয়েজার-1।পৄথিবীর বাইরে মহাকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে বড় বড় দূরবীন,এগুলো অনবরত বিভিন্ন খবর পৄথিবীতে পাঠাচ্ছে।







চঁন্দ্র পৄস্টে প্রথম মানূষের পদার্পন ছিল মানব জাতির প্রথম সবথেকে বড় মাইল ফলক।বর্তমানে মানবজাতি আর একটি বড় মাইল ফলকের সামনে দাড়িয়ে আছে।আর মাত্র তিন দিন পড়ে মহাকাশযান রোসেত্তা থেকে একটি ছোট ল্যান্ডার নামানো হবে ধূমকেতু চুরিয়ামুভ-জারাসিমেনকোতে।একটু পিছনে ফিরে তাকাই।1978 সালে এক্সপ্লোরার-3 নামক প্রথম একটি কৄত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হয় সূর্যকে মহাকাশ থেকে পর্যবেক্ষনের জন্য।







কিন্তু 1980 সালে আন্তর্জাতিক এক্সপ্লোরার মিশন পাল্টে সেপ্টেম্ভর 1985 সালে এই উপগ্রহকে ধূমকেতু গিয়াকোবিনি-জিনিয়ারকে পর্যবেক্ষনের জন্য পাঠানো হয়।এই শুরু মহাকাশযান থেকে ধূমকেতু পর্যবেক্ষন।এর পড়ে পৄথিবীর আকাশে আসে বিখ্যাত হ্যালির ধূমকেতু।কিন্ত দুঃখের বিষয় যুক্তরাস্ট্র তখন কোন মিশন পরিচালনা করেনি এই ধুমকেতু পর্যবেক্ষনের জন্য।শুধু মাত্র ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি গিয়েত্তো মিশন পরিচালনা করেছিলো।







এই মিশন 1992 সালে আরো একটি ধূমকেতু পর্যবেক্ষন করেছিলো।এই 1992 সালেই পরের পরীক্ষামূলক মিশনটি পরিচালনা করা হয়েছিল ডিপ স্পেস-1 মহাকাশযানের সাহায্যে এই পরীক্ষার আগে মহাকাশযানটি ধূমকেতু বোররেলি পর্যবেক্ষন করে সেপ্টেম্ভর 2001 এ এর নাম দেয়া হয়েছিল স্টার ডাস্ট মিশন।এই মিশনের নাম স্টার ডাস্ট দেয়ার কারন ছিল ধুমকেতুর কোমা (মাথা) র বরফ আবহাওয়া মন্ডল এবং ধূলিকনা পরিক্ষা করা।





এর পড়ে 2004 এ পর্যবেক্ষন করা হয় ধূমকেতু ওয়াইল্ড-2 কে এবং দুই বছর পড়ে এই ধূমকেতু থেকে প্রাপ্ত নমুনা নিয়ে পৄথিবীতে ফিরে আসে।আসার আগে মহাকাশযান ডিপ ইম্পপ্যাক্ট থেকে একটি গোলাকার ধাতব বস্তু প্রচন্ড জোড়ে ছুড়ে মারা হয় ধূমকেতু টেম্পল-1 এর কোমায়,এই ঘটনা ঘটানো হয় 2005 এর মধ্যভাগে।এই ভাবে ধূমকেতু পর্যবেক্ষন মিশনের শুরু এবং এগিয়ে চলা।এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে রোসেত্তা মিশনের শুরু এই মহাকাশযানটি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি 2 রা মার্চ 2004 সালে ফ্রেঞ্ছ-ঘায়না থেকে উৎক্ষেপন করা হয়।উৎক্ষেপনের পড় এটি 2008 সালে গ্রহানু স্টেনিস এবং 2010 সালে গ্রহানু লুটিটিয়াকে পর্যবেক্ষন করে।





এর পড়ে রোসেত্তাকে পৄথিবী এবং মগ্নলের মাধ্যাকর্ষন শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিন বছরের জন্য মহাকাশের একটি বিশেষ স্থানে শীতযাপনতা মোডে রাখা হয়।এবং এই বছরের প্রথম দিকে একে আবার তার চুড়ান্ত মিশন পরিচালনার জন্য তৈরী করা হয়।সেই গন্তব্য হলো ধূমকেতু চুরিয়ামুভ-জারাসিমেনকো,এই ধূমকেতু আবিস্কার করেন দুইজন রাশিয়ান জ্যোতির্বিদ ক্লিম চুরিয়ামুভ ও সভেতলানা জারাসিমেনকো 1969 সালে।এবং এই ধূমকেতুটি প্রতি 61.2 বছর পড়ে আবার সৌরজগতের সীমানায় প্রবেশ করে।এই ধূমকেতুটিকে এমনিতে C-G নামে ডাকা হয়,কিন্তু এর অফিসিয়াল নাম 67-p এই কিছু সপ্তাহ পূর্বে রোসেত্তা ধূমকেতু 67-p এর খুব কাছে গিয়ে অবস্থান গ্রহন করে।







করে।এবং পৄথিবীতে ধুমকেতুর ছবি কোমা, সহ ধূমকেতুর বিভিন্ন তথ্য পাঠানো শুরু করে দিয়েছে।রোসেত্তা এবং ধূমকেতুর উপর যে যানটি অবতরন করবে,এদের দুইজনের মধ্যেও তথ্য আদান প্রধান শুরু হয়ে গিয়েছে।আর এর সবকিছু শুরু করা হয়েছে চুড়ান্ত মিশন যেন সঠিকভাবে পরিচালিত হয় সেই জন্য।গত বুধবার রোসেত্তা ধূমকেতুর কোমা (নিউক্লিয়াস-মাথা)র মাত্র 60 মাইল ধুর দিয়ে অতিক্রম করে।এবং বর্তমানে এটি ধূমকেতুর কক্ষপথের মধ্যে অবস্থান করে ধূমকেতুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।ধুমকেতুটি সূর্যের 116 মিলিয়ন মাইলের মধ্যে চলে আসবে।বর্তমানে এটি সূর্য থেকে 335 মাইল দূরে আছে।বর্তমানে ধূমকেতুটি একটি বরফের গোলা হিসাবে আছে,অনেকটা নিঃস্ক্রিয় অবস্থায়।







কিন্ত এটি যতই সূর্যের দিকে এগিয়ে আসছে ততই এর কোমা উতপ্ত হয়ে উঠছে।রোসেত্তা বর্তমানে এই উতপ্ত হয়ে উঠার সময় ধূমকেতুর গ্যাস এবং ধূলিকনা কি আচরন করে এটা পর্যবেক্ষন করছে।এই মিশনের সবথেকে রোমাঞ্ছকর ব্যাপারটি হলো রোসেত্তার সাথে থাকা ছোট একটি যান এর নাম ফিলেই এটিকে ধূমকেতুর পৄস্টে নামিয়ে দেয়া হবে,যা এর আগে কখনো করা হয়নি।একে নামিয়ে দেয়ার জন্য রোসেত্তাকে ধূমকেতুটির সম্পূর্ন কক্ষপথ ঘুরে আসতে হবে।এবং আশা করা যায় সব কিছু ঠিক থাকলে এই নভেম্বরে এই যানটিকে ধূমকেতুর পৄস্টে নামানো হবে।এটি খুব কঠিন একটি কাজ,কারন ধূমকেতুর মাধ্যাকর্ষন শক্তি খুব কম,এবং এর পৄস্ট বরফে আবৄত এবং পিছলা।







এই জন্য ফিলেই নামার সময় হারপুন জাতীয় জিনিস ব্যাবহার করবে,এবং বরফের মধ্যে একে শক্ত করে গেথে রাখবে।এই যানটির সাথে বিভিন্ন ধরনের সুক্ষ যন্ত্রপাতি থাকবে যার মাধ্যমে ধূমকেতুটির সমস্ত তথ্য যানা জাবে।বর্তমানে এই ধূমকেতুটি ধনূ মন্ডলের কাছ দিয়ে সামনে এগিয়ে চলছে।বর্তমানে একে দক্ষিন আকাশে দিগন্তের একটু উপরে বড় দূরবীনের সাথে ক্যামেরা লাগিয়ে ছবি তুলে দেখা যায় খুব আবছা আলোর ছোপের মত।কিন্তু যতই এটি সূর্যের দিকে এগিয়ে আসবে তখন একে ভোরের আকাশে বড় দূরবীনের সাহায্যে দেখা যাবে।আমাদের আশা রোসেত্তার এই অভিযান সফল হোক,মানব জাতি আর একটি মাইলফলক স্থাপন করবে।আর আমরা ধুমকেতুর আরো অজানা তথ্য জানতে পারবো।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অসাধারণ একটি পোষ্ট!
রোসেত্তা এবং এর সাথে যারা জড়িত তাদের জন্য শুভকামনা ....

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৩

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।অবশ্যই এর সাথে যারা জড়িত তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৯

ফেরারী আউট-ল বলেছেন: খাইসে! দারুন ইনফরমেশন পেলাম ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ফেরারী ভাই আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা,ভালো থাকুন সবসময়।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

দুর্দান্ত ও অনবদ্য +++

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: কান্ডারি ভাই,আপনার মন্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত আমার লেখাটিকে অসর্ম্পূন মনে হয়।ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনা রইলো।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার ধারাবাহিক এই তথ্যের ভান্ডার আমাদের নিয়মিত সমৃদ্ধ করছে - ব্যপক।

আপনার এই নিয়মিত কষ্টের প্রতিদান দেবার ভাষা নেই। শুধু ছোট্ট ধন্যবাদ ছাড়া...

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: বিদ্রোহী ভাই। আমাকেও সমৃদ্ধ করছে আমি এই বিষয়ের উপর কিছু পড়াশুনা করেছিলাম এবং বর্তমানে ও করছি।আর রাতের আকাশ দূরবীন দিয়ে দেখা আমার শখ।আমি যা পড়ি এবং দেখি,তাই লিখি।আমার লাভ এতে করে আমার অনেক তথ্য মনে থাকে।আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.