নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেবুলা মোর্শেদ

মেঘ মুক্ত রাতের আকাশ দেখতে ভালবাসি,আর ভালবাসি ছবি তুলতে।

নেবুলা মোর্শেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শব্দের বেগ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৭





কোন শব্দায়মান বস্তু হইতে শ্রোতার কানে শব্দ পৌছাতে কিছু সময় লাগে।প্রকৄত পক্ষে আলোক তরঙ্গের বেগের তুলনায় শব্দ তরঙ্গের বেগ অনেক কম।পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে সেলসিয়াস পরিমাপের শূন্য ডিগ্রীতে বায়ুর মধ্যে শব্দের বেগ প্রতি সেকেন্ডে 331 মিটার বা প্রায় 1,090 ফুট।







সাধারনত এক ডিগ্রী সেঃতাপমাত্রা বেড়ে গেলে শব্দের বেগ সেকেন্ডে প্রায় 0.6 মিটার বা 2 ফুট বেড়ে যায়।অর্থ্যা 30 ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রায় শব্দের বেগ প্রতি সেকেন্ডে 1,150 ফুট।আবার আর্দ্রতা বেড়ে গেলেও বায়ুতে শব্দের বেগ বাড়িয়া যায়।সেইজন্যই মেঘলা দিনে দুরের শব্দকেও কাছে বলিয়া মনে হয় এবং আওয়াজও বেশ জোরে শোনা যায়।শব্দের বেগ মাধ্যম অনুযায়ীও কম বেশী হয়।তরল পদার্থে শব্দের বেগ বায়ুতে শব্দের বেগ থেকে অনেক বেশী।আবার কঠিন পদার্থে শব্দের বেগ আরও বেশী।







পানির মধ্যে শব্দের বেগ সেকেন্ডে প্রায় 1,440 মিটার অর্থাৎ বায়ুতে শব্দের বেগ অপেক্ষা প্রায় 40গুন।আবার বায়ুতে শব্দের অপেক্ষা কাঠে শব্দের বেগ প্রায় 12 গুন,এবং ইস্পাতের ভিতর প্রায় 15 গুন বেশী।সচারচর মাধ্যমের ঘনত্ত বেশী হলে উহার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত শব্দের বেগ বাড়িয়া যায়।







শব্দের বেগ নির্নয়ঃকয়েক মাইল দূরে অবস্থিত দুইটি পাহাড়ের উপর দুইজন পর্যবেক্ষকের সাহায্যে খোলা জায়গায় শব্দের বেগ নির্নয় করা যায়।একজন বন্দুকের গুলি ছুড়লে অপরজন স্টপ-ওয়াচের সাহায্যে বন্দুকের ধোঁয়া দেখা ও শব্দ শোনার সময়ের ব্যাবধান নির্নয় করিবে।এই সময়ের ব্যাবধান এবং পর্যবেক্ষকের দূরত্ত হইতে বায়ুতে শব্দের বেগ নির্নয় করা যায়।শব্দের বেগ=দূরত্ত-সময়।







অবশ্য বায়ু প্রবাহের জন্য শব্দের এই বেগের কিছু কম-বেশী হয়।সাধারন অবস্থায়(20 ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রায়) শব্দের বেগ প্রতি সেকেন্ডে 1,130 ফুট অর্থাৎ শব্দ পাঁচ-সেকেন্ডে এক মাইলের ও কিছু বেশী দূরে যায়।বিদুৎতের ঝলকানি দেখিবার সময় হইতে যে পর্যন্ত বজ্রের শব্দ শোনা না যায় ততক্ষন সেকেন্ড গুনিয়া যাইতে থাকি বিদুৎতের ঝলকানি দেখ ও বজ্রের শব্দ শোনার মধ্যে যে সময়ের পার্থক্য সেখান থেকে অনায়াসে মেঘের দূরত্ত নির্নয় করা যায়।







কোন শব্দ শোনার পর উহা আমাদের মস্তিস্কে এক সেকেন্ডের দশ ভাগের এক সময় স্থায়ী হয়।সুতারাং ধ্বনি ও প্রতিধ্বনি শোনার মধ্যে সময়ের ব্যাবধান সেকেন্ডের এক-দশমাংশের কম হইলে ধ্বনি প্রতিধ্বনি মধ্যে পার্থক্য করা যায় না।অর্থাৎ ধ্বনি শোনার অন্তত 10/1 সেকেন্ডের পর প্রতিধ্বনি কানে পৌছানো দরকার।



ছবি গুগল।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২২

টুম্পা মনি বলেছেন: ছুটবেলায় পড়ছিলাম। এখন আবার পড়ে ভালো লাগল।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৭

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৮

আমি বাংলাদেশের বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার সাথে আমিও একমত। এ সম্পকর্ীয় আমার লেখা দেখতে পারেন। 
১.http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/vabnay/29945913
২. Click This Link
৩.http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/vabnay/29975099
৪.http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/vabnay/29973792

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৩

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: পড়লাম এক কথায় দারুন তথ্য পূর্ন লেখা ধন্যবাদ।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

বাংলার হাসান বলেছেন: পড়ে ভালো লাগল।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৪

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট ৷

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৭

নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকুন সর্বদা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.