নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(যদি ইয়াবাবা/ ফেন্সিডিল নেশার কারনে অবৈধ হয় তবে ভারতীয় চ্যানেল কেন অবৈধ হচ্ছে না। )
একটা দেশকে দখল করতে চাও বা তার স্বাধীনতা খর্ব করতে চাও তবে আগে তার সংস্কৃতি বিলীন করে দাও।
সাম্রাজ্য বিস্তারের পূর্ব শর্ত সংস্কৃতি আগ্রাসন।
১৯৭১সালে পাকিস্তান আমাদের ভূখণ্ড দখল করার আগে ধ্বংস করতে চেয়েছে আমাদের সংস্কৃতি। কারন নিজস্ব সংস্কৃতি না থাকলে রাষ্ট্রের পরিচয় থাকে না। সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্র চিন্তা গড়ে উঠে, গড়ে উঠে নিজেস্ব পরিচয়/ নিজস্ব অস্তিত্ব / রাষ্ট্রের জনগনের চিন্তা চেতনা এবং নিজস্ব জাতীয়তাবোধ চেতনা। একটা জাতীর ঐক্যের পেছনে জাতীয়তাবোধ চেতনা সবচেয়ে বেশি কাজ করে। সাধারনত একটা রাষ্ট্র গড়ে উঠে জাতীয়তাবোধ চেতনা থেকে। বাঙালি জাতীয়তাবোধ থেকে মূলত বাংলাদেশ সৃষ্টি। যদি বাঙালি জাতীয়তাবোধ আমাদের না থাকত তবে পাকিস্থান থেকে স্বাধীনতা আমরা চিনিয়ে নিতে পারতাম না। আরও আগে ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হওয়ার পেছনে ধর্ম ব্যাবহার করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবোধ আমাদের আরও সতন্ত্র করে জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশের। সুতরাং বাংলাদেশের ঐক্যের মূল শক্তিই বাঙালি জাতীয়তাবোধ শক্তি।
যখন ব্রিটিশ শাসন ছিল তারা তাদের সংস্কৃতি চালু করে দিয়েছিল তাদের সাম্রাজ্য বিস্তারের লক্ষ্যে। তাই কোন দেশের অর্থনীতিতে আঘাত করার আগে তার সংস্কৃতিকে আঘাত করা জরুরী।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ভারতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন চলছে। আর এই আগ্রাসনের মাধ্যমে তারা তাদের বাণিজ্য বিস্তার করে তুলছে বাংলাদেশে যার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে নিজ দেশের পণ্য। সর্বোপরি এই আগ্রাসন আমাদের অর্থনীতির উপর প্রচণ্ড আঘাত। ভারতের ভেতরে বাহিরের কোন দেশের চ্যানেল নেই। আর তাদের সাথে আমাদের সংস্কৃতির মিল থাকা সত্ত্বেও তারা আমাদের দেশের টিভি চ্যানেল নিষিদ্ধ রেখেছে তাদের দেশে। এরপরও আমাদের বোধ হচ্ছে না। এটা আমাদের সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফসল। কিছু দিন আগেও যে ঘটনা ঘটেছে আমাদের দেশে তাদের চ্যানেলের নাটক দেখে। যা রীতিমত আমাদের দেশে অশান্তি ভয়ে দিচ্ছে।
তাদের চ্যানেলের নাটক আমাদের উপর প্রভাবঃ এই নাটকগুলোর সব কাহিনী একই। এই নাটকগুলো মানুষকে শিখায় ঘরে থেকে ঝামেলা পাকাতে। নিজের ভাষার প্রতি উদাসীন হচ্ছে নতুন প্রজন্ম। পরকীয়া আমাদের সংস্কৃতির জন্য কলঙ্ক যা আজ এসে গেছে ভারতীয় চ্যানেলের কল্যাণে। সংসার ভেঙে যাওয়া ভারতীয়দের জন্য মারাত্মক সমস্যা ছিল কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশেও ছড়িয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের চিন্তা ভাবনাকে সংকীর্ণ করে তুলছে। চিন্তা ভাবনা হচ্ছে ঘর কেন্দ্রিক, চিন্তায় যুক্ত হচ্ছে কুটিলতা/ কুকর্ম/ হতাশা। চিন্তায় যুক্ত হচ্ছে না নদী/ আকাশ/ বিজ্ঞান/ সাহিত্য/ দর্শন এমন কি নিজেদের সমস্যা নিয়েও ভাববার সময় নেই। নিজের সমস্যা না ভাবার কারনে যে সমস্যা হচ্ছে তা হল, বাস্তবতার সম্মুখীন হলে বুঝে উঠতে পারে না ফলে হতাশ হয়ে মাদকে আসক্ত হয়। এসব দেখে সারা দিন মাথায় ঘোরে নাটকের পরের দৃশ্য কি হতে পারে। তাই পড়ালেখা হচ্ছে সংক্ষিপ্ত মানে শুধু পাশ করার জন্য যা সিলেবাস কেন্দ্রিক। এটা একটা বড় ধরনের নেশা যা ইয়াবাবা/ পেন্সিডিলের মতই আসক্তপূর্ণ । যদি ইয়াবাবা/ ফেন্সিডিল নেশার কারনে অবৈধ হয় তবে ভারতীয় চ্যানেল কেন অবৈধ হচ্ছে না। এই দেশের আগামী প্রজন্ম কখনও উন্নত চিন্তা-ভাবনায় এগুতে পারবে না যদি না তারা ভারতীয় চ্যানেলের পাদুর্ভাব/ অভিশাপ থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে না পারে।
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০০
In2the Dark বলেছেন: আপনার সাথে সহমত। কিন্তু এসব বলে মনে হয়না কোন লাভ হবে।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:০৬
আমি বাংলাদেশের বলেছেন: লাভ নেই। কিন্তু না বললে লাভ কি?
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬
আমি বাংলাদেশের বলেছেন: Click This Link